‘গ্লোবাল ব্র্যান্ড হতে এক্সট্রিম লেভেলের কোয়ালিটি নিশ্চিত করছে ওয়ালটন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ডব্লিউএইচআইএল কোয়ালিটি কনফারেন্স সিজন-১ শীর্ষক ওয়েবিনার

ডব্লিউএইচআইএল কোয়ালিটি কনফারেন্স সিজন-১ শীর্ষক ওয়েবিনার

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি করে দেশের বাজারে শীর্ষ স্থান অর্জন করে এখন গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ওয়ালটন। এ জন্য পণ্য  তৈরিতে এক্সট্রিম লেভেলের কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে গত দশকের তুলনায় ওয়ালটন পণ্যের  মান এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ‘ডব্লিউএইচআইএল কোয়ালিটি কনফারেন্স সিজন-১’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগ জুম অ্যাপে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথি হিসেবে কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।

এ সময় তিনি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের তৈরি টেকনিক্যাল ব্রোসিউর উদ্বোধন করেন। রেফ্রিজারেটর তৈরিতে কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের সফলতা, এফিসিয়েন্ট টেস্টিং ফ্যাসিলিটি এবং অটোমেটেড কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রসেসসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ওই ব্রোসিউরে।

কনফারেন্সে প্রতিটি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং নিশ্চিতকরণ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া, সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সার্ভিস ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমার স‌্যাটিসফেকশন নিশ্চিত করার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কনফারেন্সে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রেজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান।

কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন- প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, ওয়ালটন এসির সিইও তানভীর রহমান, রেফ্রিজারেটরের সিইও আনিসুর রহমান মল্লিক, করপোরেট সেলস বিভাগের প্রধান সিরাজুল ইসলাম, টিভির সিইও মোস্তফা নাহিদ হোসেন, রেফ্রিজারেটর বিভাগের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইউসুফ আলী, আরঅ‌্যান্ডডি বিভাগের চিফ কো-অর্ডিনেটর তাপস কুমার মজুমদার, কমপ্রেসর আরঅ‌্যান্ডডি বিভাগের প্রধান মীর মুজাহেদীন ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও সোহেল রানা, কম্প্রেসরের সিইও রবিউল আলম, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও আল ইমরান, কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান তাহসিন হক, নির্বাহী পরিচালক শাহজালাল হোসেন লিমনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মেড ইন বাংলাদেশ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এভাবে উন্নত বিশ্বের বাজারগুলোতে পৌঁছাতে রপ্তানির বৃহৎ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ড হতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের মধ্যে উঠে আসতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। ওয়ালটন কখনোই কোয়ালিটিতে ছাড় দেয়নি। পণ্য উৎপাদনে এক্সট্রিম লেভেলের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। গত কয়েক বছরের তুলনায় ওয়ালটনের পণ্যের মান এখন অনেক উন্নত। পরিবর্তনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।

নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ওয়ালটন পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমার ফিডব্যাক অনেক বেশি পজিটিভ। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এখন অনেক উঁচুতে। এই কৃতিত্ব কোয়ালিটি কন্ট্রোল টিমের। আমাদের নতুন-পুরাতন সব ধরনের ক্রেতাদের ধরে রাখতে হবে পণ্যের উচ্চমান এবং সেবা দিয়ে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

   

পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল



আরিফুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল

পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

পাট রফতানি খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কাঁচামাল, এবং এ কাঁচামালের অভাববেই প্রতিবন্ধক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ডাইভারসিফাইড জুট প্রোডাক্টস, ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না।

তিনি বলছেন, বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাটজাত পণ্য তৈরির জন্য ভারতে ১০০ ধরনেরও বেশি পাটের কাপড় রয়েছে। সেসব দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্যও তৈরি করতে পারে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ধরনের কাপড় রয়েছে এবং কাপড়ের গুণগত মানও তেমন ভালো নয়।

কাঁচামাল বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিশেষায়িত পাটকল স্থাপন করতে হবে; যা শুধু কাপড়ই তৈরি করবে না, একইসাথে রং করবে এবং লেমিনেশনের সুবিধা থাকবে। এতে উদ্যোক্তারা উচ্চমানের পণ্য তৈরি করতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ডিজাইন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পণ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার' রয়েছে। ভারতের জাতীয় পাট বোর্ডের মতোই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের পণ্য বিক্রির জন্য সংস্থাটির স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখনও প্রকল্পের তহবিলে চলে। ফলে, প্রমোশন সেন্টারটি তহবিল সংকটের কারণে উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না।

ভারতের এমন চারটি শাখা রয়েছে যা পণ্য উন্নয়ন বা কাঁচামাল উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। বাজার সম্প্রসারণের জন্য তারা প্রায় ২০-২৫টি আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করে থাকে। আমাদের সরকারকেও এমন আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করতে হবে।

এছাড়াও তহবিল সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সুলভ ঋণ’ সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিভিন্ন শিল্পখাতে সরকারের তহবিল নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সুলভ ঋণ বাস্তবায়ন করে থাকে। অন্যান্য খাতে এসব ঋণ সুবিধা বেশি থাকলেও পাট কৃষিজাত পণ্য হওয়ায় তেমন সুবিধা পায় না। এছাড়া ‘সুলভ ঋণের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তও নয় পাট।

কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা পাট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের ২ শতাংশ কর দিতে হয়। শিল্পের উন্নয়নে সরকারকে ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আবার পাট রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়া নিয়েও রয়েছে জটিলতা। পাটজাত পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিদ্যমান সার্কুলার সংশোধন করতে হবে।

আরএমজি খাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আরএমজি এত বড় শিল্পখাতে পরিণত হওয়ার কারণ তারা বন্ডেড গুদামের সুবিধা পেয়েছে। আরএমজি সেক্টরের মতো পাট ও চামড়া খাতও সরকারের তেমন সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। কিন্তু এনবিআর কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তারা নতুন খাতে লাইসেন্স দিতে চান না।

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ পাটজাত পণ্য, কাঁচা পাট বা সুতা বিদেশে রফতানি করছে। এতে কোনো কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজন হয় না। কারণ তারা তাদের কারখানার কাঁচামাল দিয়ে পাট-পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশে প্রচলিত পাটকলের ৯৯ শতাংশের কোনো কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট নেই।

;

পাট ও চামড়াজাত পণ্যে রফতানিতে বহুমুখীকরণে বাধা কোথায়?



আরিফুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইনফোগ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ, বার্তা২৪.কম

ইনফোগ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরেই রফতানিমুখী পণ্যকে বহুমুখীকরণ করার চেষ্টা করে আসছে বাংলাদেশ। তবে তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্প থেকে কোনভাবে বেরিয়ে আসতে পারছে না দেশ ।

বাংলাদেশের সর্বশেষ রফতানি নীতিতে ১৮টি খাতকে অগ্রাধিকার খাত এবং ১৪টি খাতকে ‘থার্স্ট সেক্টর’ (উদীয়মান খাত) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রফতানি নীতিতে বলা হয়েছে, রফতানিকারকরা কম সুদের হারে ঋণ পাবেন, আয়করের ওপর ছাড়, বন্ডেড গুদাম সুবিধা এবং নতুন বাজার, বাজারের পণ্যগুলি খুঁজে বের করতে এবং এফডিআই (ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১১.৫২ শতাংশ প্রবদ্ধি অর্জনের জন্য ৭২ বিলিয়ন ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। পণ্য রফতানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবাখাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ১০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪.৫৫  বিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৫.৮৮ শতাংশ।

অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে, বাংলাদেশ ৩৭,২০২.৬৩ মিলিয়ন ডলারের আরএমজি পণ্য এবং ৭৯৪.১৯ মিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ৬৫৯.৫৪ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করেছে। আর এতে আরএমজি খাতের অবদান ৮৫.৪২ শতাংশ।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশের রফতানি হয়েছে, মোট ৩০,১৮৬.৬২ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আরএমজি খাত ২৪,৪৯১.৮৮ ডলার, ৭৪৫.৬৩ মিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ৮২৪.৪৯  মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে আরএমজি খাতের অবদান ছিল ৮১.১৩ শতাংশ।

পাট পাটজাত পণ্য

শীর্ষস্থানীয় পাট পণ্য রফতানিকারকদের একজন, ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, পাটজাত পণ্য বহুমুখীকরণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল পাওয়া।

ভারতে পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য একশ’রও বেশি পাটের সুতা রয়েছে। তারা এ সুতা দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ধরনের পাটজাত সুতা রয়েছে এবং এ সুতা তেমন একটা মানসম্পন্ন নয়।

তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণেরণের বলছি, কিন্তু আমাদের কাছে এই ধরনের পণ্য তৈরির কাঁচামাল নেই।’

সমস্যার উত্তরণ প্রসঙ্গে রাশেদুল করিম মুন্না জানান, পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য বিশেষায়িত পাটকল স্থাপন করতে হবে, যা শুধু সুতাই তৈরি করবে না, রঙ এবং লেমিনেশন করার সুবিধাও দেবে, যাতে উদ্যোক্তারা উন্নতমানের পণ্য তৈরি করতে পারেন।

এ জন্য বাংলাদেশের ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’, আমাদের পণ্য ডিজাইনে সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পণ্যের মান উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

এ সেন্টার আমাদের পণ্য বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ‘ভারতের জাতীয় পাট বোর্ড’ ঠিক এই কাজটিই করে থাকে।

বাংলাদেশের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার প্রকল্প সহায়তা দিয়ে চলে বলে ভারতের জাতীয় পাট বোর্ডের মতো ভূমিকা রাখতে পারে না। সীমিত তহবিল দিয়ে এ কাজ করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ৮৫ শতাংশ কাঁচা পাট বা সুতা বিদেশে রফতানি করে।

পিছিয়ে চামড়াজাত পণ্য

বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- এলজিডব্লিউ সার্টিফিকেট।

বুড়িগঙ্গা নদী বাঁচাতে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে অনেক কারখানাতেই ‘কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি- সাধারণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট) স্থাপন করা হয়নি। কোনো কোনো কারখানায় ইটিপি বন্ধ রাখা হয়, অর্থ বাঁচাতে। ফলে এখানকার ট্যানারি শিল্প এখনো পানি ও পরিবেশকে দূষিত করে চলেছে।

দিলজাহান বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ভূঁইয়া জানান, এখন শুধু চীন তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনে। তারা একটি পণ্য এক ডলার ১০ সেন্ট থেকে এক ডলার ২০ সেন্টে কেনে। তারা সাত বছর আগে একই পণ্য ২ ডলার ২০ সেন্টে বিক্রি করতেন।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘চীন ছাড়া আমাদের কাছ থেকে অন্য কোনো দেশ কাঁচা চামড়া কিনতে আসে না। এর কারণ হিসেবে অন্য দেশগুলোর বক্তব্য, এজন্য আমাদের এলডব্লিউজি সনদ লাগবে। কিন্তু এ সনদ পেতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সনদ লাগবে। এ সদন ছাড়া তারা আমাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনবে না।’

এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি ) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিটি সেক্টরে নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার সঙ্গে তারা যে কাঠামোতে কাজ করে সেখানেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যদিও আরএমজি সেক্টর ৪০ বছরের পুরনো একটি শিল্প। তারপরেও এখাতে প্রণোদনা দিতে হয়। এটি এখন পক্ষপাতমূলক হয়ে গেছে। তারা এখনো বন্ডেড সুবিধা ভোগ করে’।

‘আরএমজি উদ্যোক্তারা নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করতে পারলেও অন্য শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা তা করতে পারেননি। ফলে, অন্যান্য খাতের উদ্যোক্তারা দুর্বলই থেকে যাচ্ছেন।’- বলে মনে করেন তৌফিকুল ইসলাম খান।

তিনি এটাও স্মরণ করে দেন, ‘আরএমজি উদ্যোক্তারা যখনই কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, তখনই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন। অন্য সেক্টরের স্টেকহোল্ডাররা তা করতে পারেননি। ফলস্বরূপ, নীতিনির্ধারণ সবসময় যারা বেশি প্রভাবশালী, তাদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। চামড়া শিল্পের সমস্যা হচ্ছে, কমপ্লায়েন্স সমস্যা। এটি এই খাতের একটি সুনির্দিষ্ট সমস্যা। এইখান থেকে উন্নীত হতে হবে।’

কৌশলগত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়ে সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান জানান, সরকার রফতানিখাতকে 'থ্রাস্ট সেক্টর’ ঘোষণা করেছে। এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য আমাদের কৌশলগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রয়োজন।

;

কৃষি খাতকে লাভজনক করতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই: এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কৃষি খাতকে লাভজনক করতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই

কৃষি খাতকে লাভজনক করতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ব্যয় হ্রাস, কৃষিপণ্যের অপচয় রোধ, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষি খাতকে অধিক লাভজনক করতে জরুরি ভিত্তিতে স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

মঙ্গলবার (এপ্রিল ৩০) দুপুরে মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকো (CISCO) এর একটি প্রতিনিধি দলের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেব নাথ।

এ সময় তিনি বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্যের জোগান ঠিক রাখতে হলে কৃষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে, চাষাবাদের ব্যয় কমাতে হবে। মাটি, পানিসহ খনিজ সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং জলবায়ু ইস্যুতে দায়িত্বশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জমি কর্ষণ, সেচ, শস্য মাড়াই, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) সহ সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকে আরও লাভজনক করতে সরকার, বেসরকারি খাত, গবেষণা সংস্থা এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন সহযোগী (Solution Provider) সহ সকল অংশীজনকে দ্রুত সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।

যান্ত্রিকীকরণকে বেগবান করতে কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও স্মার্ট প্রযুক্তি আমদানিতে শুল্ক ছাড়সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান জরুরি বলে এসময় মন্তব্য করেন উপস্থিত বক্তারা। পাশাপাশি, স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নের অন্তরায় সকল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার আহ্বান জানান তারা।

এসময়, বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নের যাত্রায় অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন সিসকো কমার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অফিসের টেক লিড দীনেশ পাল সিং।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসর প্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. বেলায়েত হোসেন, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির এগ্রি বিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এফবিসিসিআই’র সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

;

বিকাশ পেমেন্টে গোল্ড কিনে জমাতে পারছেন ‘গোল্ড কিনেন’ অ্যাপের গ্রাহকরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোল্ড কিনেন অ্যাপের গ্রাহকরা এখন বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের হলমার্ক ও সার্টিফাইড ২২ ক্যারেট গোল্ড ক্রয়, সঞ্চয়, বিক্রয়, উপহার এবং বার ও কয়েন রূপে উত্তোলন করতে পারছেন।

ক্রয়কৃত গোল্ড দেশের যেকোনো স্থানে নির্দিষ্ট পিক-আপ পয়েন্ট থেকে অথবা ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় ঘরে বসেই উত্তোলন করতে পারছেন গ্রাহকরা। এ লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গোল্ড কিনেন ও বিকাশ। সেই সঙ্গে ৩১ মে পর্যন্ত চলা ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকরা গোল্ড কিনেন অ্যাপ থেকে গোল্ড কিনে পেমেন্ট বিকাশ করলেই পাচ্ছেন ৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, ১০০ টাকা পর্যন্ত।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর, গোল্ড কিনেন-এর প্রতিষ্ঠাতা কামরান সঞ্জয় রহমান, রাফাতুল বারি লাবিব ও আতেফ হাসান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের প্রথম গোল্ড অ্যাপ ‘গোল্ড কিনেন’। গোল্ড কেনা যেন আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হয় সেই লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এই চুক্তির ফলে গোল্ড কিনেন গ্রাহকরা অ্যাপ থেকেই সহজ, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে গোল্ড কিনতে ও উত্তোলন করতে পারছেন বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে। গোল্ড কিনেন অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যায়।

;