ইভ্যালি এবার পা রাখলো ট্র্যাভেল খাতে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইভ্যালি এবার পা রাখলো ট্র্যাভেল খাতে

ইভ্যালি এবার পা রাখলো ট্র্যাভেল খাতে

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রুততম সময়েই দেশের ই-কমার্স জায়েন্টে পরিণত হওয়া ইভ্যালি এবার তাদের সম্প্রসারণ ঘটালো ট্র্যাভেল খাতেও। বাংলাদেশে ট্র্যাভেল এজেন্সি জগতের মার্কেট লিডার ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’-কে অধিগ্রহণের মাধ্যমে নিয়ে নিয়েছে তারা।

ফ্লাইট এক্সপার্ট এরই মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে পুরো পৃথিবী জুড়ে। দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অফিসে অর্ধশতাধিক কর্মী রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ শতাধিক এয়ারলাইন্স এবং সাড়ে ৯ লাখ হোটেল-রিসোর্ট যুক্ত আছে তাদের সাথে। তৃতীয় পক্ষের নিরূপণে ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর অর্থমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

ইভ্যালি পুরোপুরি অধিগ্রহণ করে নিলেও ফ্লাইট এক্সপার্ট-কে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনা করা হবে। ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর পূর্বের পরিচালনা পরিষদের সবাই বর্তমান পরিষদে আছেন, সাথে জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এর ব্যাপ্তিও আরও বাড়বে বলেই আশা করা যাচ্ছে ।

২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই বছরের মধ্যে ৫০ লক্ষাধিক গ্রাহক এবং ২০ হাজারের বেশি বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন।

এছাড়া অনলাইন ব্যবসা খাতে নতুন নতুন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আসছে ইভ্যালি। ই-ফুডের পর ই-জবস ও ই-হেলথ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
এশিয়া ওয়ান ম্যাগাজিন ২০২০ সালে বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা দেয় ইভ্যালিকে। করোনাকালীন সময়ে অনবদ্য অবদানের জন্য ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব ইভ্যালিকে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড-এ ভূষিত করে। এছাড়াও, ই-ক্যাব হতে দেশের সেরা ই-কমার্সের সম্মাননা পেয়েছে দেশীয় এ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।

ইতিমধ্যে ইভ্যালি বিভিন্ন খাতে বেশ গতিশীল এবং নতুন মাত্রার কাজ করে চলেছে। ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর মাধ্যমে ট্র্যাভেল খাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ভবিষ্যতে আরও নানাদিকে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের আশা রাখে ইভ্যালি।

   

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;

পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল



আরিফুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল

পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

পাট রফতানি খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কাঁচামাল, এবং এ কাঁচামালের অভাববেই প্রতিবন্ধক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ডাইভারসিফাইড জুট প্রোডাক্টস, ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না।

তিনি বলছেন, বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাটজাত পণ্য তৈরির জন্য ভারতে ১০০ ধরনেরও বেশি পাটের কাপড় রয়েছে। সেসব দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্যও তৈরি করতে পারে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ধরনের কাপড় রয়েছে এবং কাপড়ের গুণগত মানও তেমন ভালো নয়।

কাঁচামাল বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিশেষায়িত পাটকল স্থাপন করতে হবে; যা শুধু কাপড়ই তৈরি করবে না, একইসাথে রং করবে এবং লেমিনেশনের সুবিধা থাকবে। এতে উদ্যোক্তারা উচ্চমানের পণ্য তৈরি করতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ডিজাইন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পণ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার' রয়েছে। ভারতের জাতীয় পাট বোর্ডের মতোই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের পণ্য বিক্রির জন্য সংস্থাটির স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখনও প্রকল্পের তহবিলে চলে। ফলে, প্রমোশন সেন্টারটি তহবিল সংকটের কারণে উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না।

ভারতের এমন চারটি শাখা রয়েছে যা পণ্য উন্নয়ন বা কাঁচামাল উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। বাজার সম্প্রসারণের জন্য তারা প্রায় ২০-২৫টি আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করে থাকে। আমাদের সরকারকেও এমন আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করতে হবে।

এছাড়াও তহবিল সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সুলভ ঋণ’ সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিভিন্ন শিল্পখাতে সরকারের তহবিল নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সুলভ ঋণ বাস্তবায়ন করে থাকে। অন্যান্য খাতে এসব ঋণ সুবিধা বেশি থাকলেও পাট কৃষিজাত পণ্য হওয়ায় তেমন সুবিধা পায় না। এছাড়া ‘সুলভ ঋণের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তও নয় পাট।

কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা পাট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের ২ শতাংশ কর দিতে হয়। শিল্পের উন্নয়নে সরকারকে ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আবার পাট রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়া নিয়েও রয়েছে জটিলতা। পাটজাত পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিদ্যমান সার্কুলার সংশোধন করতে হবে।

আরএমজি খাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আরএমজি এত বড় শিল্পখাতে পরিণত হওয়ার কারণ তারা বন্ডেড গুদামের সুবিধা পেয়েছে। আরএমজি সেক্টরের মতো পাট ও চামড়া খাতও সরকারের তেমন সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। কিন্তু এনবিআর কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তারা নতুন খাতে লাইসেন্স দিতে চান না।

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ পাটজাত পণ্য, কাঁচা পাট বা সুতা বিদেশে রফতানি করছে। এতে কোনো কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজন হয় না। কারণ তারা তাদের কারখানার কাঁচামাল দিয়ে পাট-পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশে প্রচলিত পাটকলের ৯৯ শতাংশের কোনো কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট নেই।

;