করোনা: পোশাক খাতে ৬৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
টিআইবি

টিআইবি

  • Font increase
  • Font Decrease

​তৈরি পোশাক খাতে সুশাসনের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি বিভিন্ন সময়ে উঠে আসলেও তা নিরসনে সরকার ও মালিকপক্ষের সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি লক্ষ্যণীয়- করোনার সময়ে এই প্রবণতা আরও প্রকট হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিজিএমইএর ৩ শত ৪৮টিসহ মোট ১ হাজার ৯ শত ৪টি কারখানা লে-অফ ও বন্ধ ঘোষণা করে এবং প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়। কারখানাসমূহে ইচ্ছাকৃত ছাঁটাই আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে কম বেতন ও মজুরি ছাড়া অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় কাজ করানো এবং ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে।

‘তৈরি পোশাক খাতে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত সংকট: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পক্ষ হতে এ মন্তব্য করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, করোনা সংকটের প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে কারখানা লে-অফ ঘোষণার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সর্বোপরি করোনা সংকটের কারণে দেশের তৈরি পোশাক খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় সংকট হতে উত্তরণের জন্য এ খাতে সরকার বিপুল প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করলেও তার ক্ষুদ্র অংশই শ্রমিকরা পেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্ট-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ নূরে আলম মিল্টন এবং আ্যাসিসট্যান্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা মিনা।

সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ও মালিকপক্ষ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত করোনা সংকট মোকাবিলায় তৈরি পোশাক খাতে কোনো পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন করেনি। সরকার করোনার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মূলত মালিকপক্ষের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে। তাছাড়া, এ খাতের নেতৃবৃন্দের করোনা মহামারির কারণে চীন থেকে তৈরি পোশাক ব্যবসার একটি বড় অংশ বাংলাদেশে চলে আসবে এমন আত্মতুষ্টিতে ভোগার উদাহরণ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মার্চ ২০২০ এ করোনা মহামারির শুরুতে সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও সরকার বা মালিকপক্ষের কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষই কলকারখানা বন্ধের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে পরবর্তী সময়ে সরকার ১ এপ্রিল ২০২০ এই সাধারণ ছুটি বর্ধিত করলেও কারখানা মালিকগণ অপরিকল্পিতভাবে কারখানা খুলে দেয়। কারখানা খোলার খবরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় চলে আসে, আবার একই দিনে কারখানা বন্ধ ঘোষণায় পুনরায় ফেরত যেতে বাধ্য হয়। এতে করে পরিবহণ সংকটে শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হতে হয় এবং সারাদেশে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য মতে, শিফটিং পদ্ধতিতে ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ শ্রমিকের মাধ্যমে কারখানা চালুর নির্দেশনা অধিকাংশ কারখানা মালিক মানেনি। তাছাড়া, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা সীমিত হওয়ায় প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেক শ্রমিক এই পরীক্ষা সুবিধা নিতে পারছেন না এবং অনেকক্ষেত্রে চাকরি হারানোর আতঙ্কে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও শ্রমিক কর্তৃক তা লুকানোর প্রবণতার কারণে কারখানার অন্যান্য শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনা ভাইরাস আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমাদের জিডিপির ১০ শতাংশ এবং রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ শতাংশের অংশীদার তৈরি পোশাক খাত উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তৈরি পোশাক খাতটি উৎপাদন ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই যেহেতু বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব ব্যাপকতর এ খাতটিকে ঘিরে। আমরা লক্ষ্য করেছি ব্যাপকভাবে কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো কিছুদিনের জন্য, শত শত কারখানা লে-অফসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শ্রমিকদের চাকরি হারানোর ঘটনা ঘটেছে। বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এ খাতের এই যে ভূমিকা, তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ায় সার্বিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সুশাসনের যে-সকল মাপকাঠি ব্যবহৃত হয়েছে, তার প্রায় প্রতিটির ক্ষেত্রেই ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। যা নিরসনে সরকার ও মালিক পক্ষের উভয়ের দিক থেকেই সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘাটতি ছিলো বলে মনে করেন ড. জামান।​​

তৈরি পোশাক খাতে করোনা উদ্ভূত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে অংশীজনদের করণীয় চিহ্নিত করে ৯ দফা সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

উল্লেখযোগ্য সুপারিশসমূহ হলো- করোনা মহামারি বিবেচনায় নিয়ে সকল শ্রেণির শ্রমিকের চাকরির নিরাপত্তার বিধান সংযুক্ত করে ‘ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬’ এর ধারা ১৬ ও ২০ সংশোধন করতে হবে; বিজিএমইএ কর্তৃক প্রণীত গাইডলাইন মোতাবেক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ এবং স্বাস্থ্য-বিধি প্রতিপালন ব্যত্যয় হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ‘ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি)’ সুবিধা বাতিল এবং জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে; বিজিএমইএর অঙ্গীকার করা করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার বাকি তিনটি ল্যাব দ্রুততার সাথে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে স্থাপন করতে হবে; ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নৈতিক ব্যবসা পরিচালনায় অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। পোশাকের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ ও কার্যাদেশসমূহের বিদ্যমান শর্তের সাথে দুর্যোগকালে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণের বিষয় সংযুক্ত করতে হবে; করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ও মালিক সংগঠনসমূহ কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটিকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে এসব কমিটি শ্রমিকদের অধিকার ও কারখানায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে; লে-অফকৃত কারখানায় একবছরের কম কর্মরত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; শ্রমিক অধিকার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নিয়মিত ও কার্যকর পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে; ইইউ ও জার্মানির সহায়তা তহবিল ব্যবহারের জন্য করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সঠিক তালিকা অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই, কার্যাদেশ বাতিল ও পুনর্বহাল, প্রণোদনার অর্থের ব্যবহার ও বণ্টন, ইত্যাদি সব তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে ও নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।

   

মোংলা বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসার নতুন রেকর্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

এক মাসে ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়িয়ে নতুন রেকর্ড করেছে মোংলা বন্দর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সর্বশেষ এই বন্দরে মার্কস লাইনের ১শ ৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী 'মার্কস হাই পং' কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসে। আর এতেই মোংলা বন্দরের জেটিতে কন্টেইনার আসার সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দরটি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এক মাসে সর্বোচ্চ কন্টেইনার জাহাজ আসায় নতুন মাইলফলক তৈরি হলো। চলতি মাসে সর্বোচ্চ ৮টি কন্টেইনার জাহাজে ১ হাজার ৮শ ৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রফতানি করা হয়েছে।

এসব বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেব্রিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই-সাইকেল পার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রফতানি করা হয়েছে।

মাকরুজ্জামান বলেন, চলতি এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দরের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর জেটিতে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী 'কোটা টেনেগা' এবং এমভি 'কোটা রানচাক' 'এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক' 'এমভি মার্কস কুইনজু' 'এমভি মার্কস চট্টগ্রাম', 'এমভি মার্কস ঢাকা' বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে দুটি করে কন্টেইনার জাহাজ আসছে।

মোংলা বন্দরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে।

এছাড়া বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধপরিকর।

বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের ‘স্মার্ট বন্দর’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে বলেও বলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মো. মাকরুজ্জামান।

 

;

আইএবি অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ স্থপতি ইনসটিটিউটের (আইএবি) সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘আইএবি গোল্ড মেডেল-২০২৩’ আইএবি অ্যাওয়ার্ডস এবং ‘আইএবি ইন্টেরিওর ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩’ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা পেশাজীবী ও গবেষক স্থপতিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আইএবি অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ীরা হলেন- পিএমজি গ্যালারি তেজগাঁও প্রকল্পের জন্য ‘রিটেইল’ ক্যাটাগরিতে মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ, মামুন মোরশেদ চৌধুরী, ড্যানিয়েল হক এবং মাজহার উদ্দিন আহমেদ। সাইরু হিল রিসোর্ট, বান্দরবান প্রকল্পের জন্য হসপিটালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার ক্যাটাগরিতে মুস্তফা আমিন, মো. কায়সার হোসাইন, কাজী মেফতাউল আরেফিন, আদনান ফেরদৌস হক এবং মাহমুদ হোসাইন।

‘থার্মাল কমফোর্ট গাইডলাইন্স ফর প্রোডাকশন স্পেস উইথইন মাল্টিস্টোরি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিজ লোকেটেড ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণার জন্য ‘রিসার্চ’ ক্যাটাগরিতে মো. মোহতাজ হোসাইন। ‘ফিফটি ইয়ারস অব আর্কিটেকচার ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণার জন্য ‘পাবলিকেশন’ ক্যাটাগরিতে নাসরিন হুসাইন এবং মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ।

এছাড়া ‘কনজার্ভেশন অ্যান্ড রিভাইটালাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে দুটি প্রকল্পকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। ‘কনজার্ভেশন অব বারো সরদার বাড়ি, সোনারগাঁ’ প্রকল্পের জন্য অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলেন- আবু সাঈদ এ আহমেদ, মো. সারোয়ার হোসাইন, মো. খালেদ শামস খান এবং মো. মাশরুর মামুন হোসাইন। ‘মীর মঞ্চিল, মোহাম্মদপুর, ঢাকা’ প্রজেক্টের জন্য অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নাঈম আহমেদ কিবরিয়া, এশিয়া করিম, মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম এবং মো. বাপ্পারাজ চৌধুরী।

বাস্থই’র সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, দেশের স্থাপত্যধারা সমৃদ্ধ করতে স্থপতিরা অসামান্য ভূমিকা রাখছেন। তাদের কল্পনাশক্তি ও কারিগরি জ্ঞানের মাধ্যমে এই খাতের টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তাই স্থপতিদের অনুপ্রেরণা দিতে আইএবি বাংলাদেশ এর স্থাপত্য জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ডসের প্রচলন করেছে। আমরা আরও নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের মেধাবী স্থপতিদের পাশে এবং পেশা চর্চাকে জনস্বার্থে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর।

বাস্থই’র সাধারণ সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খান বলেন, আইএবি অ্যাওয়ার্ডস সে সকল স্বপ্নদ্রষ্টা স্থপতিদের উৎসাহিত করেছে, যারা তাদের প্রকল্পগুলোতে সৃজনশীল আর নান্দনিকতার পাশাপাশি টেকসই উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্থাপত্যশিল্পকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে নির্মাণকাঠামোগত পরিবেশকে প্রভাবিত করছেন। আইএবি ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডস ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের অসামান্য প্রতিভা এবং কারিগরি নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নান্দনিক আবেদন এবং কার্যকারিতার নতুন মাত্রাকে স্বীকৃতি প্রদান করছে।

এশিয়ান পেইন্টসের কান্ট্রি হেড বুধাদিত্য মুখার্জি বলেন, আমাদের আশপাশে সবচেয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও বাসযোগ্য আবাসস্থল গড়ে তোলার জন্য স্থপতিরা অবদান রাখছেন। তাদের সৃজনশীল ও অভিনব কাজের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে আইএবি অ্যাওয়ার্ডস। ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের এ সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ডস প্রদান উদ্যোগে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।

তিনি বলেন, উপযুক্ত প্রযুক্তি ও কল্পনার মিশেলে আমাদের আবাসস্থলগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রেখে চলেছে এশিয়ান পেইন্টস। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

স্থপতিদের দেওয়া আইএবির সর্বোচ্চ পুরস্কার হচ্ছে- আইএবি গোল্ড মেডেল, যেটি প্রতি দুই বছরে স্থপতিদের তাদের সমগ্রজীবনে স্থাপত্যকলায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দিয়ে থাকে।

এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এ আয়োজনের এক্সক্লুসিভ পার্টনার। একটি বাসযোগ্য ও নান্দনিক আবাসস্থল গড়ে তুলতে স্থপতিদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এ অ্যাওয়ার্ডস প্রদান আয়োজনে যুক্ত হয়েছে।

;

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে আরও ৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের

৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দশকের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার ৬৮০টি বই হস্তান্তর করলো বিকাশ। শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ও উৎকর্ষের লক্ষ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলে এই বইগুলো বিতরণ করা হয়।

আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর হাতে বইগুলো তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)।

শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে বিকাশ। এর আওতায়, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখেরও বেশি বই দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই পড়াকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা আয়োজনে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করছে বিকাশ। এছাড়া, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলে প্রতি বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে ২০১৯ সাল থেকে যশোরের বিশেষায়িত স্কুল প্রয়াস এর শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাদান খরচও বহন করে আসছে বিকাশ।

;

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ত্রৈমাসিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ত্রৈমাসিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনলাইন মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত।

সভায় চলতি বছরে ব্যাংকের অর্জিত সাফল্যের পর্যালোচনা এবং শাখা ও উপশাখাসমূহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জেহাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সামাদ, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক এবং উপশাখা ইন-চার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।

;