অটো-পেইন্টারদের জন্য বার্জারের অটো-রিফিনিশিং বুথ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অটো-পেইন্টারদের জন্য বার্জারের অটো-রিফিনিশিং বুথ

অটো-পেইন্টারদের জন্য বার্জারের অটো-রিফিনিশিং বুথ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অটোমোবাইল পেইন্টারদের জন্য সর্বাধুনিক অটো-রিফিনিশিং বুথ ও তাদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ সুবিধা দিতে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশে লিমিটেড (বিপিবিএল) এবং পিপিজি কোটিংস (এম) এসডিএন.বিএইচডি.এসইএ চালু করেছে ‘বার্জার পিপিজি অটো রিফিনিশ ট্রেনিং সেন্টার’। এ উদ্যোগের ফলে, স্থানীয় গাড়ি মেরামতের দোকান, গ্যারাজ এবং গাড়ির কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এ বিষয়ে তাদের কারিগরি জ্ঞান বর্ধিত করার সুযোগ পাবেন।

সম্প্রতি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী বার্জার পেইন্টসের তেজগাঁও সেলস অফিসে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

প্রযুক্তির উৎকর্ষতা দেশের ভেহিকেল ইন্ডাস্ট্রিতে এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা ইতিমধ্যে ব্যবহারকারীর গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত প্রথাগত ধ্যানধারণায় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ফলে, দেশের গাড়ি নির্মাণ শিল্পে ইতিমধ্যেই রূপান্তর শুরু হয়েছে; গাড়ি মেরামতের দোকানগুলোও এ উন্নতমানের প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। দেশের বাজারে প্রবেশ করা নতুন গাড়িগুলো আগে থেকেই গুণগত মানের রঙে আবৃত থাকে, যার ফলে সেগুলোকে পুনরায় রঙ করার ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করার প্রয়োজন পড়ে। ফলে, উন্নত পদ্ধতিতে গাড়ি রিফিনিশ (পুনরায় রঙ) করার চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলছে।

অন্যদিকে, এ আধুনিক পদ্ধতিসমূহ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্যক ধারণা রাখে, এমন কারিগরের সংখ্যাও অপ্রতুল। ফলশ্রুতিতে, গাড়ির মালিকরা তাদের গাড়িতে রঙ করানোর সময় রঙের নিখুঁত ফিনিশিং কিংবা অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখি হয়। অনেক সময় সুদক্ষ, পেশাদার ও নির্ভরযোগ্য রঙের কারিগর পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

দেশে সুদক্ষ ও পেশাদার অটো রিফিনিশ রঙ মিস্ত্রি ও কারিগরদের শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যেই ‘বার্জার পিপিজি অটো রিফিনিশ ট্রেনিং সেন্টার’ চালু করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের আওতায় রঙের কারিগরদের এফিশিয়েন্ট রিপেয়ার প্রসেস, ফাস্ট রিপেয়ার, ড্রাই স্যান্ডিং প্রসেস, আইআর কিউরিং, ওয়ার্ক ফ্লো, পেইন্ট ম্যানেজারTM, র‌্যাপিড ম্যাচিং TM, কালার ম্যাচিং, ব্লেন্ডিং টেকনিকস এবং পলিশিং প্রসেস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ পর্বটি পরিচালিত হবে চারটি মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে, এগুলো হলো- প্রসেস ইম্প্রুভমেন্ট, টেকনিক্যাল ট্রেনিং, পেইন্ট ম্যানেজার সফটওয়্যার এবং ডিস্ট্রিবিউটরস ট্রেনিং।

গাড়ি রঙ করার কারিগর, গ্যারাজ মালিক, ব্যবস্থাপক এবং প্রকৌশলী, বডি শপ প্রোডাকশন সুপারভাইজার/ফোরম্যান, কালার ম্যাচারস এবং কার পেইন্ট ডিলারস ও তাদের কর্মচারীরা বার্জার পিপিজি অটো রিফিনিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য তালিকাভুক্ত ও নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন, এবং এই কার্যক্রমটি ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষানবিশ প্রকৌশলীগণও অটো রিফিনিশ পেইন্টিং প্রক্রিয়া ও রঙের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে ধারণা লাভ করতে পারবেন। বিশ্বখ্যাত রঙ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিপিজি এবং বার্জার বিগত দশ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অটো রিফিনিশিং সুবিধা সরবরাহের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এবার এই খাতের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে অটো রিফিনিশিং পেইন্টিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক জ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে তারা এমন যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। এই বিশেষ প্রশিক্ষণের ফলে খ্যাতনামা গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপকৃত হবে, কারণ এটি সংশ্লিষ্ট খাতের উৎপাদনশীলতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মীদের দক্ষতার অগ্রগতি সাধন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেইন্টিং প্রক্রিয়া ও মানদণ্ড অনুসরণ, পেশাদারিত্ব এবং অটোমেশনের আওতায় গুণগত সেবা প্রদানে ভূমিকা রাখবে।

এ ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশে লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী বলেন, নিজের প্রিয় গাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে গাড়ির মালিকরা বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে থাকেন। কেনার পরই যদি একটি গাড়ির বাহ্যিক কোটিংয়ে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তা একদিকে যেমন গাড়ির ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে, তেমনি গাড়ির ক্রেতার মাঝেও অসন্তোষ সৃষ্টি করে। দেশের অসংখ্য যুগান্তকারী পরিবর্তনের বাহক বার্জার এবার এক অত্যাধুনিক ট্রেনিং সেন্টার চালু করেছে, যা রঙের কারিগরদেরকে দক্ষ করে তুলবে এবং যা প্রকারান্তে গাড়ির মালিকদের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে। আমাদের প্রত্যাশা, বার্জার পিপিজি অটো রিফিনিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কারিগররা তাদের কাজের দক্ষতা দিয়ে দেশের অটো রিফিনিশ ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবর্তনের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন।

প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের মহসিন হাবিব চৌধুরী, জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) এ কে এম সাদেক নাওয়াজ, হেড স্পেশাল কোটিংস মোখলেচুর রহমান, হেড ভেহিকেল রিফিনিশ সুব্রত পাল এবং মো. আব্দুল্লাহ-আস-সালাম, ব্র্যান্ড ম্যানেজার, মার্কেটিং।

২-৫ দিন মেয়াদি দিনব্যাপী ট্রেনিং সেশনগুলোতে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন পিপিজি পেইন্টস, এসইএ এবং বিপিবিএল’র আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকবৃন্দ। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করবে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও পিপিজি পেইন্টস।

   

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন প্রদত্ত ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এ “মোস্ট ইনোভেটিভ প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংক ইন বাংলাদেশ” অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।

সম্প্রতি দুবাইয়ে এক অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অথরিটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে এ পুরস্কার প্রদান করে।

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে দক্ষতা, আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স, আর্থিক অন্তর্ভূক্তি এবং নতুন প্রোডাক্ট উদ্ভাবনসহ সার্বিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য ইসলামী ব্যাংককে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স পাবলিকেশন লিমিটেড কর্তৃক প্রকাশিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স’ ম্যাগাজিন বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শিল্পে প্রতিভা, নেতৃত্বের দক্ষতা, আর্থিক প্রবৃদ্ধি ও সক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর গবেষণা করে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

;

টানা ৫ দফায় কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ নিয়ে টানা ৫ দফায় সোনার দাম কমানো হয়েছে মোট ৬ হাজার ৮১২ টাকা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৪০২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা।

এ নিয়ে গত ১১ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৮ বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৬ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। সবশেষ ৫ সমন্বয়েই হ্রাস পেয়েছে সোনার দাম।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৮ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখার বার্ষিক ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখাগুলোর বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বলে রোববার (২৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান মো. মনিরুজ্জামানের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহর সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান।

এছাড়াও ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত ২শ ২৬টি উপশাখার ইন-চার্জ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায় সম্মেলনে ২০২৪ সালের জন্য উপশাখাগুলোর করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম বলেন, আমাদের ব্যাংক ক্রমশ সফলতার পথে এগিয়ে চলেছে এবং ২০২৪ সালেও তা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এবছরও ব্যাংকের মুনাফা ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে আপনারা আগের চেয়েও উদ্যমী হয়ে কাজ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আজকের এই সম্মেলনে আলোচনা পর্যালোচনা করে গৃহীত ব্যবসায়িক কৌশলসমূহ বাস্তবায়নে আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সফলতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

;

তাপপ্রবাহে ফেনীতে বেড়েছে চার্জার ফ্যানের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে, দাবদাহ, অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ফেনীর জনজীবনে নেমেছে চরম ভোগান্তি।

কিছুটা প্রশান্তি পেতে চার্জার ফ্যান কিনতে সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব কোম্পানির চার্জার ফ্যানের দামও।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

ফেনী শহরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা চার্জার ফ্যান ও সেইসঙ্গে সিলিং ফ্যান কিনতে দোকানগুলিতে ভিড় করছেন।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকারভেদে বেড়েছে ৩শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই সঙ্গে নষ্ট হওয়া ফ্যান মেরামতেও অনেকে আবার ছুটে আসছেন পাড়া-মহল্লার ইলেকট্রিকের দোকানে।

অন্যদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ, ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

শহরের স্টেশন রোডে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানে চার্জার ফ্যান কিনতে আসা আব্দুল গফুর বলেন, গত কয়েকদিন অতিরিক্ত গরমের সঙ্গে ৭-৮ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। ফ্যানের দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও পরিবারে শিশু ও বয়োবৃদ্ধের কষ্টের কথা চিন্তা করে ফ্যান কিনতে বাধ্য হচ্ছি।

তীব্র দাবদাহে বেড়েছে ফ্যানের দাম, ছবি-বার্তা২৪.কম

শহীদুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আমার দুই সন্তানের সামনে পরীক্ষা। এ অবস্থায় গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পড়ালেখা হচ্ছে না। সেজন্যই চার্জার লাইট ও ফ্যান কিনতে এসেছি। অনেকদিন পর কিনতে এলেও এবার দাম কিছুটা বাড়তি মনে হচ্ছে।

লতা মণ্ডল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, সবদিক থেকে আমরা সাধারণ মানুষ একটি অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। এত গরমে বাসায় থাকার উপায় নেই। ১০ মাস আগে যে ফ্যান কিনেছি, সেটা এখন আরো ৪শ টাকা বেশি হাঁকাচ্ছেন দোকানদাররা। মনে হচ্ছে, দোকানিরা সুযোগ বুঝেই ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। তারপরও নিরূপায় হয়ে কিনতে হচ্ছে।

শহরের নাজির রোড এলাকার বাসিন্দা মতিন মিয়া নামে এক রিকশাচালক বলেন, আমাদের মতো খেটেখাওয়া মানুষজন তো বাড়তি টাকা দিয়ে ফ্যান-লাইট ব্যবহার করতে পারবে না। কিছুদিন ধরে মোমবাতি আর হাতপাখাই ভরসা আমাদের।

ফেনী গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের রিফাত ইলেকট্রিকের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রিফাত বলেন, রমজান মাস থেকে বৈদ্যুতিক পাখা, চার্জার ফ্যান, আইপিএসের বিক্রি বেড়েছে। দাম কিছুটা বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের বাজার দরের চেয়ে তুলনামূলক কম বেড়েছে। এছাড়া কোম্পানি দাম বাড়ালে আমাদের পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের করার তেমন কিছু থাকে না।

হীরা ইলেকট্রিকের স্বত্বাধিকারী নুরুল করিম হীরা বলেন, চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বাড়লেও সিলিং ফ্যান আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। নন-ব্র্যান্ড সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৫শ টাকা থেকে শুরু করে এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ২ হাজার ৮শ টাকা থেকে বেশ দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্যাডেস্টাল ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা থেকে ৮ টাকা বেশি দামে।

রংধনু ইলেকট্রিকের স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গত কিছুদিন ধরে চার্জার ফ্যান বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে এটি মৌসুমী ব্যবসা। শুধুমাত্র গরম এলেই এ ধরনের বেচাকেনা হয়। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যান ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা, ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, চলমান দাবদাহ আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেছেন, চট্টগ্রাম বিভাগে নিম্ন থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। ফেনীতে গড়ে ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রতিদিন ওঠানামা করছে। চলমান তাপপ্রবাহ মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

;