বর্ষপূর্তিতে দারাজের বিশাল ডিসকাউন্ট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড

দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড

  • Font increase
  • Font Decrease

আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন ও দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড সাফল্যের সঙ্গে পার করল ৬টি বছর। এ উপলক্ষ্যে #ThankYouBangladesh স্লোগান নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে দারাজের ‘সিক্সথ অ্যানিভার্সারি ক্যাম্পেইন’।

দেশজুড়ে বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে এবং দারাজের সঙ্গে থাকা সকল গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাতে বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্যাম্পেইনটি চলবে আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

গ্রাহকদের জন্য দারাজ সিক্সথ অ্যানিভার্সারি ক্যাম্পেইনে থাকছে বিশাল ডিসকাউন্টে অসংখ্য পণ্য, ডাবল টাকা ভাউচার, ৬ টাকা ডিল, ব্র্যান্ড ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট ভাউচার, মিষ্টির বক্স, মিশন এম আই সিক্স, শেয়ার অ্যান্ড উইন কন্টেস্ট, ডি এফ জি ক্ল্যাশ রয়্যাল টুর্নামেন্ট ও ডেইলি ফ্ল্যাশ সেল সহ আরো অসংখ্য সব আকর্ষণীয় অফার।

২৬ আগস্ট, বিকাল ৫টায় দারাজ অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজে একটি ডিজিটাল প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যেমে এই ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এই ডিজিটাল প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের (daraz.com.bd) ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ফুয়াদ আরেফিন- চিফ কমার্শিয়াল অফিসার ও চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম। অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

ইভেন্টে ফ্যাশন প্রোডাক্টস, ইলেক্ট্রনিক অ্যাক্সেসরিজ, হোম অ্যান্ড লিভিং, হেলথ অ্যান্ড বিউটি এবং বেবি ও টয়েজ-এর মত ক্যাটাগোরির পণ্যগুলো পাওয়া যাবে মাত্র ৬ টাকায় ফ্ল্যাশ সেল চলাকালীন। এছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে দারাজ ফার্স্ট গেইমস (ডিএফজি) আয়োজিত ইউথবেসড জনপ্রিয় ‘ক্ল্যাশ রয়্যাল’ চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ৩২ জন বিজয়ীর জন্য থাকছে মোট ৩ লাখ টাকার প্রাইজ পুল, যেখানে প্রথম বিজয়ীর জন্য পুরষ্কার হিসেবে থাকছে এক লক্ষ টাকার ভাউচার, দ্বিতীয় বিজয়ীর জন্য থাকছে ৫০ হাজার, তৃতীয় ও চতুর্থ বিজয়ীর জন্য থাকছে ২৫ হাজার এবং পঞ্চম থেকে অষ্টম বিজয়ীর জন্য থাকছে ১০ হাজার টাকার সমমূল্যের ভাউচার। ক্ল্যাশ রয়্যাল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশন চলবে ২০ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত।

ক্রেতাদের কেনাকাটার সুবিধার কথা মাথায় রেখে ৩০ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দারাজ (daraz.com.bd) অফার করছে তাদের পেমেন্ট পার্টনার- ব্র্যাক ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক অফার। এছাড়াও বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে থাকছে সর্বোচ্চ ১৫% ইন্সট্যান্ট ক্যাশব্যাক সুবিধা।

এই উপলক্ষ্যে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, দারাজ গত ৬ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে ক্রেতাদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। দারাজের সঙ্গে যেসব ক্রেতা-বিক্রেতা এতদিন ধরে রয়েছেন তাদের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমাদের সকল পার্টনার, সেলার ও গ্রাহকদের সীমাহীন উৎসাহ উদ্দীপনা, অগাধ ভালোবাসা ও সহায়তার মাধ্যমে আমরা এই বিশাল সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো সেবা প্রদানে সক্ষম হব। থ্যাঙ্ক ইউ বাংলাদেশ!

   

বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশি ঋণে নেয়া প্রকল্পগুলো বাড়তি শ্রম দিয়ে দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ধরনের প্রকল্পের কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে প্রতি তিন মাস অন্তর অগ্রগতির প্রতিবেদন পাঠানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে আয়োজন করা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় আজ এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনগুলো তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।

তিনি জানান, এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি সহায়তা হিসেবে ১ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।

ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর নমনীয় শর্তে বিদেশি ঋণের সুবিধা কমে যাবে।

এর আগে বিদেশি সহায়তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

তিনি এ সময় আরও বলেন, সক্ষমতার ঘাটতির কারণে এডিপতে বরাদ্দ অর্থের মাত্র ৭০% ব্যবহার করা হচ্ছে। এই হার বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সচিব আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তাদের নেয়া প্রশিক্ষনের সর্বোচ্চ ব্যবহারের নিশ্চিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, কোন কর্মকর্তা বিদেশে বিশেষায়িত অরশিক্ষন নিয়ে দেশে আসার পর তাকে সংশ্লিষ্ট খাতেই নিযুক্ত করতে হবে।

থানা ভিত্তিক ছোট উন্নয়ন প্রকল্প না নিয়ে মহাপরিকল্পনার আওতায় জেলাভিত্তিক বড় প্রকল্প নেয়ার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, উপজেলাভিত্তিক ছোট প্রকল্প নেয়া হলে মনিটরিং ও মূল্যায়ন কঠিন হয়ে পরে।

প্রকল্প নেয়ার আগে মানসম্মত ফিজিবিলিটি স্টাডি নিশ্চিত করতে সভায় তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করে এমন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।

;

রংপুরে গ্যাস মিলবে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস

রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর ও নীলফামারীতে শিল্পে গ্যাস পেতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে গ্যাস সংযোগ প্রদানের জন্য প্রস্তুত হবে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল)।

রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন পাইপের কাজ শেষ হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে, এখন চলছে মিটারিং স্টেশনের কাজ। অন্যদিকে বিতরণ পাইপলাইন মাত্র ৩৫ কিলোমিটার স্থাপন শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে ওই প্রকল্পের কাজ। অর্থাৎ জুলাই থেকে গ্যাস সংযোগ নিতে পারবে শিল্প কারখানা।

বর্তমানে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ রয়েছে যে কারণে বিদ্যমান নীতিমালায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোন সুযোগ থাকছে না। শুধু শিল্প ও বাণিজ্যিকে সংযোগ দেওয়া হবে উত্তরের জনপদে।

পিজিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ প্রদানের জন্য প্রস্তুত হবো। প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ, আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৮ শতাংশ। পাইপলাইনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সমানতালে চলছে সিভিল ওয়ার্কও। বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পাইপ, সেগুলো চলে আসায় এখন অনেকটা নির্ভার।

অন্যদিকে সঞ্চালন পাইপলাইনের দায়িত্বে থাকা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তাদের পাইপলাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলেছে মিটারিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই কাজ শেষ হবে। জানুয়ারি থেকেই গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রস্তুত আমরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা। বহুল কাঙ্ক্ষিত উত্তরের গ্যাস সরবরাহের জন্য পৃথক দু’টি প্রকল্প নেওয়া হয়। একটি হচ্ছে ১৫০ কিলোমিটার বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর সঞ্চালন পাইপ। ওই প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। করোনাসহ নানা কারণে ৩ দফায় সময় পেছানো হয়। অবশেষে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ভার্চুয়ালি গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রংপুরবাসীর স্বপ্নের এই সঞ্চালন পাইপ লাইনের পাশপাশি বিতরণের জন্য পৃথক একটি প্রকল্প নেয় পিজিসিএল। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১’শ কিলোমিটার বিতরণ লাইন। এরমধ্যে রংপুর শহরে ৪৪ কিলোমিটার, পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার এবং নীলফামারী ও উত্তরা ইপিজেড এলাকায় ৪৬ কিলোমিটার।

শিল্প কারখানার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। যে অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ যতো আগে নিশ্চিত হয়েছে সেই অঞ্চলে শিল্প ততো এগিয়ে গেছে। উত্তরাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় শিল্পের প্রসার নেই বললেই চলে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করেন গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই তারা রংপুর অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপনে সাহস দেখাননি। এতে বিশাল অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ পেলে রংপুর অঞ্চলেও শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। চাপ কমে আসবে রাজধানী ঢাকার ওপর। সে কারণে আশায় বুক বেঁধে আছে রংপুর অঞ্চলের বাসিন্দারা। পাইপ লাইন হলেই সংকট পুরোপুরি কাটছে না উত্তর জনপদের। এখনই সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া অঞ্চলে তেমন গ্যাসের চাপ পাওয়া যায় না। আরও দেড়’শ কিলোমিটার দূরে উত্তরা ইপিজেডে গ্যাস পাওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে সরকার ২০২৬ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষে কাজ শুরু করেছে।

পাইপলাইন হলেই যেখানে সেখানে শিল্প কারখানা গড়ার বিপক্ষে সরকার। তারা চান পরিকল্পিত এলাকায় শিল্পায়ন গড়ে উঠুক। যে কারণে নিজের ইচ্ছেমতো এলাকায় শিল্প কারখানা গড়লেও সেখানে গ্যাস দিতে চায় না সরকার। গ্যাস পেতে হলে পরিকল্পিত শিল্পনগরীতে কারখানা গড়তে হবে।

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বোর্ড চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহীনা খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিদ্যমান গ্যাস নীতিমালা অনুযায়ী অর্থনৈতিক জোন ও বিসিক শিল্পনগরীর বাইরে সংযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। গ্যাসের সংযোগ পেতে ওই অঞ্চলের ইকোনমিক জোন এবং বিসিক শিল্পনগরীতে কারখানা গড়তে হবে।

পিছিয়ে থাকা উত্তরাঞ্চলের ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করার কোন সুযোগ রয়েছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে শাহীনা খাতুন বলেন, যেসব শিল্প কারখানা ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করা হয়।

;

টিসিবির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল কিনছে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টিসিবির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল কিনছে সরকার

টিসিবির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল কিনছে সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এতে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সনম্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইজি জেনারেল ট্রেডিং, নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্ট থেকে এই ডাল কেনা হবে।

এরমধ্যে ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ভোলার শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতা শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খানসহ স্থানীয় অতিথিবৃন্দ।

ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতা শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খানসহ স্থানীয় অতিথিবৃন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। ক্যাম্পেইনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের আওতায় এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন লালমোহন উপজেলার কনফেকশারি দোকানি মো. শামীম। হলেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৫তম মিলিয়নিয়ার। শামীমের মিলিয়নিয়ার হওয়ার খবরে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে দ্বীপ জেলা ভোলায়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) চরফ্যাশন উপজেলার সদর রোডে শরিফ পাড়া এলাকার ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এ ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ৪ মে দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন প্লাজা থেকে থেকে ১২ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ২৭০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন শামীম। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। জানতে পারেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশ পেয়েছেন তিনি।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শামীম বলেন, দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করছি অনেক দিন ধরে। ওয়ালটনের পণ্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। দাম কম। সার্ভিসও ভালো। তাই দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনেরই ফ্রিজ কিনি। কিন্তু কিস্তিতে একটি ফ্রিজ কিনেও যে এতো বড় উপহার পাবো তা স্বপ্নেও ভাবতে পরিনি। এমন পুরস্কার ওয়ালটনের দ্বারাই দেয়া সম্ভব। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকা ব্যবসার কাজে লাগাবো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, পণ্য কেনায় ক্রেতাদের সারাবছরই কোনো না কোনো সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন। ননস্টপ মিলিয়নিয়ার তার মধ্যে একটি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশে সৃষ্টি করে চলেছে ব্যাপক কর্মসংস্থান। এ জন্য সবার উচিৎ এই দেশি ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশে থাকে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা, স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার গিয়াস উদ্দীন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বাচ্চু, ওয়ালটনের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, চিফ ডিভিশনাল অফিসার আল মাহফুজ খান, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার শাহানুর আলম, বরিশাল ডিভিশন সার্ভিস মনিটরিং অফিসার মিজানুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম রেজা, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার লালু কুন্ডু, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. লিয়ন এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার আবু ওয়াসীসহ ওই অঞ্চলে কর্মরত বিভিন্ন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজারবৃন্দ।

;