উবার রাইডের পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উবার রাইডের পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশে

উবার রাইডের পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশে

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন থেকে রাইড শেয়ারিং সেবা উবারের পেমেন্ট বিকাশে পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহক। ফলে, নগদ এবং ভাংতি টাকার ঝামেলা ছাড়াই রাইডের ভাড়া যাত্রীর বিকাশ একাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিশোধিত হয়ে যাবে। প্রিয়জনকে উবার রাইড দিয়েও গ্রাহক নিশ্চিন্তে যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। বহুল প্রতীক্ষিত ক্যাশলেস এই পেমেন্ট ব্যবস্থা, বিশেষ করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের এই সময়ে যাত্রী এবং চালক উভয়কেই আরো নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে। 

উবার রাইডের ভাড়া বিকাশে পরিশোধ করার সেবা নিতে উবার অ্যাপের ‘টাচ’ মেনু থেকে ‘পেমেন্ট’ বা ‘ওয়ালেট’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘অ্যাড পেমেন্ট মেথড’ নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে বিকাশ নির্বাচন করে বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে গ্রাহক একটি নোটিফিকেশন পাবেন। এই পেমেন্ট পদ্ধতিতে একবার বিকাশ অ্যাকাউন্ট যুক্ত করলে পরবর্তী সব রাইডের ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পরিশোধ হয়ে যাবে। এছাড়া দুর্বল নেটওয়ার্ক, গেটওয়ের বিরতি কিংবা অ্যাকাউন্টে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্সের কারণে কখনো কখনো গ্রাহকের লেনদেনে যে বিলম্ব হয়ে থাকে, তাও এখানে এড়ানো সম্ভব হবে।

পেমেন্ট ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশে এই প্রথম বিকাশের মত কোন আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে উবার এর পার্টনারশীপ হ’ল যা উভয়েরই এক বিশাল গ্রাহকগোষ্ঠীকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করলো। একই সাথে এটি সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের ইকোসিস্টেম তৈরির পথেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

এ প্রসঙ্গে উবার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ডিরেক্টর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নন্দিনী মহেশ্বরী বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিকাশের মত শীর্ষস্থানীয় ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি আমরা সম্মান জানাই। এই পার্টনারশিপ গড়ার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের বিকাশের মত পেমেন্ট অপশনের সাথে যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্ব মহামারীর এই সময়ে যখন শহরগুলো আবার সচল হতে শুরু করেছে তখন নিরাপদ, ক্যাশলেস লেনদেনে মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার গুরুত্ব আমরা অনুধাবন করেছি। এই পার্টনারশিপ নগদ টাকার উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশের ডিজিটাল আর্থিক অবকাঠামো আরো উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে।’

এই প্রসঙ্গে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, মহামারীর এই সময়ে বিকাশের মাধ্যমে উবার রাইডের স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট গ্রাহকদের জন্য আরো স্বস্তি বয়ে আনবে। নতুন এই ডিজিটাল পেমেন্টের অভিজ্ঞতা নিরবচ্ছিন্ন রাইড শেয়ারিং সেবা গ্রহণকে আরো নিশ্চিত করলো। অন্যদিকে রাইড শেয়ারিং সেবার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান উবারের পেমেন্ট বিকাশের সেবা তালিকায় যুক্ত হওয়ায় আমাদের  বৈচিত্রময় সেবা সম্ভার আরো সমৃদ্ধ হলো।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে প্রথম রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে উবার দেশের বিভিন্ন শহরের চালক ও যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারের মতো শহরে সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

   

প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য মাসের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। প্রথম ২৬ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এ ছাড়া ৬০টি ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের সাত কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৬৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৪৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৯৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

;

ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাণিজ্য জোরদারে ফ্রান্সের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন মেদেফের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনেও আগ্রহের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। ফ্রান্স দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি পণ্যের বাজার হিসেবে ধরা হয় ফ্রান্সকে। দেশটিতে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মো. আমিন হেলালী ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে বিজনেস টু বিজনেস (B2B) বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাটাচে ইয়ান রিগেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

একীভূত না হয়ে নিজেই সবল হতে চায় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। এ কারণে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক যাতে ঘুরে দাঁড়ায় এ লক্ষ্য নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবস্থাপনায়ও পরিববর্তন এসেছে। এখন  যদি বলা হয় একীবূত করা হবে, তা হয় না। যে কারণে একীভূত না হয়ে ব্যাংকটিকে কীভাবে সবল হতে পারে সে ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এর আগে গত ৯ এপ্রিল জানানো হয়, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সংকটে থাকা বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক।

এদিকে, ব্যাংক খাতে একীভূতকরণ নিয়ে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাহকরা আমানত তুলে নিচ্ছে বলেও বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা যায়। গত ১৫ এপ্রিল ব্যাংক খাতের এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেওয়া হবে না।

এর আগে ১৮ মার্চ এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই হয়। এটি ছিল একীভূতকরণের প্রথম ধাপ। এছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে কয়েকটি ব্যাংকে একীবূত করার  সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে দূর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে বলে জানানো হয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা। এরপর গত ৪ এপ্রিল ব্যাংক কিভাবে একীভূতকরণ করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড- ২০২৩’ পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনা করে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার
অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে দেশে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্প।

সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক মেশিনারিজের সমন্বয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেসব পণ্য রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো তা এখন রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এই নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন সবসময় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ালটনের উৎপাদিত ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। যা পরিবেশ সুরক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখে চলছে। পরিবেশ অধিদফতর ও ইউএনডিপির সমন্বয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে এসি এবং ফ্রিজে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ওয়ালটন যেমন পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখছে, তেমনি দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুষম ব্যবহারও নিশ্চিত করছে।

নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও অধিক পরিমাণে উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগিতামূলক
অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছর ১২টি খাতে ওয়ালটনসহ মোট ২৯টি শিল্প-কারখানা এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

;