কলকাতায় নিহত তানিয়ার বাবা

‘আমার মেয়ে বেঁচে ফিরলো না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া
কলকাতার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তানিয়ার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

কলকাতার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তানিয়ার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমার মেয়ের ফুসফুসে পানি জমেছিলো। ঢাকাতে অনেক ডাক্তার দেখিয়ে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কোন লাভ হয়নি। ঈদের পর কলকাতা গিয়েছিল চিকিৎসার জন্য। আজ তার ফেরার কথা ছিলো কিন্তু আমার মেয়ে বেঁচে ফিরলো না। তার মরদেহ আনতে হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সে করে। আমার আদরের মানিক বুক খালি করে চলে গেল। ’

মেয়ের মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন, কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ফারজানা ইসলাম তানিয়ার বাবা মুন্সি আমিনুল ইসলাম।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চাঁদটে তার গ্রামের  বাড়িতে গিয়ে কথা হয় মেয়ে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান বাবা মুন্সি আমিনুল ইসলামের সঙ্গে।

দুপুর একটায় তানিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে ঘিরে বাবা-মার কান্নায় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতরণা হয়।

মুন্সি আমিনুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। দুই মেয়েসহ পরিবার নিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে রাজধানীর ধানমণ্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন। বাবা মায়ের আদরের দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছিলেন ফারজানা ইসলাম তানিয়া। আর ছোটবোন তামান্না বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ অধ্যয়নরত।

আরও পড়ুন:সোহাগ ফিরলেন তবে নিথর দেহে

কলকাতায় নিহত ২ বাংলাদেশির লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেবে রাত ২টায়

এরআগে রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টায় ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন। এরপর গ্রামে আনা হলে বাদ জোহর চাঁদট ঈদগাহ ও গোরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত তানিয়ার চাচাতো ভাই রাকিব বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ফারজানা ইসলাম তানিয়া পাঁচ বছর ধরে সিটি ব্যাংকে চাকরি করছেন। সম্প্রতি তিনি এমবিএ ফাইনাল পরীক্ষা অংশ নিয়েছেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে গোটা পরিবার।

নিহতের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আকতার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বাবা মা ও একমাত্র ছোট বোনকে নিয়ে ঈদের আগের দিন গ্রামের বাড়ি চাঁদটে আসেন ফারজানা ইসলাম তানিয়া। ঈদের একদিন পর বুধবার সকালে চিকিৎসার জন্য কলকাতা যায়। শুক্রবার গভীর রাতে খাবার খেতে যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে মোবাইলে তিনি কথাও বলেন। এর কিছু সময় পর খাবার খেয়ে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও জানান, রোববার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স যোগে বেনাপোল থেকে সকালে তানিয়ার লাশ নিয়ে রওনা হয়ে দুপুরের দিকে চাঁদট গ্রামে এসে পৌঁছায়। পরে পৌনে তিনটার দিকে চাঁদট ঈদগাহ ও গোরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৬ আগস্ট ফারজানা ইসলাম তানিয়া, মাঈনুল ও তাদের এক সহকর্মী শফিউল্লাহসহ তারা তিনজন কলকাতার শেক্সপিয়র সরণিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এ সময় দুই দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা দুটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি প্রাইভেট কার উল্টে তাদের গায়ের ওপর এসে পড়ে। এ সময় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন ফারজানা, মাঈনুল। আহত হন অপরজন শফিউল্লাহ।

আরও পড়ুন:কলকাতায় গাড়িচাপায় ২ বাংলাদেশির মৃত্যু, ঘাতক গ্রেফতার

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;