সিরাজগঞ্জে দেশি পশুর কদর বেশি



সোহেল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিরাজগঞ্জ
জমে উঠেছে পশুর হাট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জমে উঠেছে পশুর হাট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের পশুর হাটগুলো। এবারের হাটগুলোতে দেশি গরুর কদর বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, গতবারের চেয়ে দামের পার্থক্য খুব বেশি না হওয়ায় কৃষক ও খামারিরা পশুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। তবে ক্রেতাদের দাবি, দাম বেশি হওয়ায় বাজেটে ঘাটতি পড়ছে। অন্যদিকে খামারিরা জানিয়েছেন, পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে। এর মধ্যে যদি ভারতীয় গরু আসে তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলার ৯ উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য এক লাখ ৪৪ হাজার ২৪৩টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ৪০৬টি গরু, ৪৭ হাজার ৬১৭টি ছাগল এবং বাকিগুলো ভেড়া ও মহিষ। এসব পশুকে দেশি দানাদার ও প্রাকৃতিক খাবার দেয়া হচ্ছে। যদিও বন্যায় পশু পালনে কিছুটা ব্যাঘাত হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565038453289.jpg

জানা গেছে, শহরের শাহজাদপুর, উল্লাপড়া, সদর, বেলকুচি, চৌহালী, তাড়াশ, রায়গঞ্জসহ ৯ উপজেলায় এ বছর পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সোয়া লাখ। কিন্তু প্রতি বছরের মতো এ বছরও জেলায় অতিমাত্রায় দেশি পশু মোটাতাজাকরণ চলছে। এবারও এসব দেশি পশু জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে। খামারিরা গাভী পালনের পাশাপাশি ষাঁড়ও পালন করছেন। তবে গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে পশু মোটাতাজা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিদের। অবশ্য তাদের আশা, মোটাতাজাকরণে খরচ যত বেশিই হোক, কোরবানির হাটগুলোয় যদি শেষ পর্যন্ত বিদেশি পশু স্থান না পায় তাহলে তারা লাভের মুখ দেখবেন।

সোমবার বিকালে সলঙ্গা হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে ছোট-বড় প্রচুর কোরবানির পশু উঠেছে। হাটে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার গরু বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু গরুর দাম তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। আর হাটে ছাগলের চাহিদাও রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565038468785.jpg

এদিকে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাটে পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ কর্মরত আছে। জালনোট শনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। সলঙ্গা থানার শহরিয়ার পুর গ্রামের রিপন আহম্মেদ নামে এক ক্রেতা জানান, হাটে অনেক দেশি গরু উঠেছে। তবে ভারতীয় গরু না আসায় গরুর দাম এবছর একটু বেশি।

সলঙ্গা থানার আমশড়া গ্রামের আলী আশরাফ নামে আরেক ক্রেতা জানান, হাটে দালালদের দৌরাত্ব না থাকায় প্রতি বছর এই হাট থেকে তারা গরু কেনেন। তবে গরুর দাম এ বছর একটু বেশি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565038488156.jpg

তাড়াশ উপজেলার মাধবপুর গ্রামের ফজলার রহমান খান, সলঙ্গা থানার চড়িয়া উজির গ্রামের বাবলু সরকার, থানার মালতি নগর গ্রামের আব্দুর করিমসহ কয়েকজন বিক্রেতা জানান, এ বছর দেশি গরুর চাহিদা বেশি। ফলে গরু প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা দাম বেড়েছে। ফলে লাভও বেশি হচ্ছে। তবে এখনও হাটে গরু কেনার মানুষ কম। সবাই আসছেন দাম যাচাই করছেন, কিনছেন কম।

পাবনার মির্জাপুর উপজেলার চয়ড়া গ্রামের রানা মাসুদ, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার মাকিদয়িার গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, ক্ষুদ্র শিমলা আব্দুস সালাম আকন্দসহ কয়েকজন ছাগল বিক্রেতা জানান, প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে এই হাটে ছাগল কিনতে আসেন অনেকে। এবছর ছাগল কম বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগেরদিন ছাগল বিক্রি বাড়তে পারে। হাটে ছাগল বিক্রি হচ্ছে ৬-২১ হাজার টাকা দরে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565038511635.jpg

সলঙ্গা হাট ইজাদার জাহাঙ্গীর আলম লাবু জানান, হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে দেশি পশু কেনার চাহিদা রয়েছে। এবারের ঈদে বিভিন্ন এলাকার খামারিরা গরু পালন করেছেন।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেড জেড মো. তাজুল হুদা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হাটে পোশাকধারী পুলিশসহ সাদা পোশাকের পুলিশও নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া জালনোট শনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;