বদির পাশে কেউ নেই!



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কক্সবাজার
বিমানবন্দরে আব্দুর রহমান বদির সেলফি/ ছবি: সংগৃহীত

বিমানবন্দরে আব্দুর রহমান বদির সেলফি/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বহুল আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ঘনিষ্টজনদের দেখা মিলছে না। বর্তমানে বদিকে বিভিন্ন সভা, সমাবেশে একা দেখা যাচ্ছে। তার পুরনো ঘনিষ্টজনরা এখন কোথায়? এমন প্রশ্ন সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে।

আব্দুর রহমান বদি ২০০৮ সালে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে একই আসনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন। এই ১০ বছরে এমপি হিসেবে এলাকায় ব্যাপক অধিপত্য বিস্তার করেন। ক্ষমতায় থাকতে এমপি বদির পাশে অনেক বাঘা বাঘা নেতার দেখা মিলত। তাদের অনেকেই আজ বদির পাশে নেই। বিশেষ করে তার ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ, শফিক মিয়া।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার আশঙ্কায় বদি তার পরিবারে মনোনয়ন রাখতে জোর লবিংয়ে নামেন। সর্বশেষ তিনি সফলও হন। এখন তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী নামেমাত্র সংসদ সদস্য। সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বদি। তবে নিজে এমপি থাকাকালীন যে দাপট দেখিয়েছেন, তা এখন নেই বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এখন নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে বদি উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ দখলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরেক সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর পাশে থেকে দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আগের ঘনিষ্টজনদের মধ্যে কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন, আবার কেউ অভিমান করে পাশে নেই। তবে কয়েকজন অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

শীর্ষ ৭৩ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায়ও নাম রয়েছে বদির। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের করা টেকনাফের শীর্ষ ৭৯ মানব পাচারকারীর তালিকায়ও তার নাম ছিল। এমনকি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সহায়তাকারীদের তালিকায়ও তার নাম।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়নের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন বদি। পরে রাতারাতি নিজেকে পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। জাতীয় পাটির সময় তার পিতা এজাহার মিয়া কোং ছিলেন টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান। বাবার কাছেই রাজনীতির হাতেখড়ি লাভ করেন। এরশাদ সরকারের পর বদির বাবা যোগ দেন বিএনপিতে। পরে বদি আওয়ামী লীগে যোগ দিলে তার পিতাও আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/05/1562295293153.jpg

২০০৮ সালে উখিয়া-টেকনাফে শুরু হয় বদির শাসন। বদির আমলে ইয়াবার জোয়ারে ভাসে টেকনাফ। ঐ সময় ইয়াবাকে কেন্দ্র করে সেখানকার রাজনীতি আর অর্থনীতি নির্ভর করছিল। টেকনাফে লবণ, মাছ চাষ, কাঠ ব্যবসাসহ বিভিন্ন বৈধ ব্যবসা ছেড়ে বিত্তশালীরা ইয়াবায় অর্থলগ্নিতে ডুবে পড়েন। এক পর্যায়ে টেকনাফ হয়ে উঠে মাদকের স্বর্গরাজ্য।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘বদি এমপি থাকাকালীন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তার পাশে থেকে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়েছেন। তখন থেকে বদির ইয়াবার সংশ্লিষ্টতা জানত উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত। তার কাছে অসহায় ছিল মানুষ। তবে ক্ষমতার কারনে ইয়াবা ব্যবসায় তার লোকজন প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে।’

বদি ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা পাচারকারীর তালিকার শীর্ষে রয়েছেন তার ভাই মো. আবদুস শুক্কুর ও মৌলভী মুজিবুর রহমান, আবদুল আমিন, ফয়সাল রহমান ও শফিকুর রহমানের নাম। এছাড়াও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বদির বেয়াই আখতার কামাল, শাহেদ কামাল, ফুফাত ভাই রাসেল, ভাগনে নিপু।

এদের মধ্যে তার চার ভাই, ফুফাত ভাই, ভাগনে নিপু ও বেয়াই শাহেদ কামাল ১০২ জন ইয়াবা কারবারির সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আরেক বেয়াই আখতার কামাল বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে কারাগারেও যেতে হয়েছে বদিকে। তাকে এই মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আবদুর রহমান বদিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২০১৪ সালে এ মামলায় বদি ১৮ দিন কারাগারে ছিলেন।

এসব বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি বদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিব করেননি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ওনি (বদি) তো আছেন, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;