প্রধানমন্ত্রী চাইলেই স্বামী হত্যার বিচার পাব: নিহত একরামুলের স্ত্রী



নূরুল হক, উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, টেকনাফ (কক্সবাজার), বার্তা ২৪.কম
নিহত একরামুলের স্ত্রী ও দুই মেয়ে, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিহত একরামুলের স্ত্রী ও দুই মেয়ে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামী হত্যার বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে চেয়ে আছেন টেকনাফের নিহত কাউন্সিলর একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম। তিনি বলেন, ‘এটা স্বাধীন বাংলাদেশ, এদেশে আমি কি স্বামী হত্যার বিচার পাব না? কেন আমার স্বামীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে? আমি এখনও আশা রাখি, এই মাটিতে আমার স্বামী হত্যার বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আমি স্বামী হত্যার বিচার পাব।’

শনিবার (২৫ মে) বার্তা২৪.কম-এর সাথে আলোচনায় এসব কথা বলেন আয়েশা বেগম।

জানা গেছে, একরামুল হক টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালি পাড়ার আবদুস সাত্তারের ছেলে এবং পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলার ও স্থানীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। গত বছর ২৬ মে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন একরাম। র‌্যাবেব দাবি, তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি পরিকল্পিতভাবে তাকে 'হত্যা' করা হয়েছে।

আয়েশা বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমার স্বামী কোনোদিনও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না। এক বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয় নি। কিন্তু ঘটনার পর অনেকেই অনেক আশা দিয়েছিলেন। গত রমজানে দুই জন মন্ত্রী আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনও আমি ডাক পায়নি। ওই সময় মামলা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওপর থেকে নির্দেশ আসে কিছুই করা যাবে না, বিষয়টি সরকার দেখছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীকে হত্যা করা হলেও সরকার চুপ থাকলো, যা মানা যায় না। অন্তত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এটা মানা যায় না। কারণ আমার স্বামীতো আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ছিলেন। সবাই জানে আমার স্বামী জনগণের কল্যাণে কাজ করেছিলেন। কিন্তু দলের পক্ষ থেকেই আমাদের কোনো খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি।’

আয়েশা বেগম বলেন, ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমি জানতে চাই, কেন আমার স্বামী খুন হলো? কেউ আমার দুই মেয়ে তাহিয়া হক ও নাহিয়ান হকের খবর রাখেনি। জানিনা এটি কেমন সমাজ! এখন আমাদের কষ্টের জীবন। এদিকে স্বামী হত্যার বিচার নিয়ে সন্দেহ অন্যদিকে মেয়েদের কান্না।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমার স্বামীও তার দলের লোক ছিলেন। তবুও দলের কেউ আমাদের খোঁজ নেননি। মেয়েরা সেহরি খওয়ার সময় বাবা’কে খুঁজে কান্না করে। তাদের প্রশ্ন- বাবাতো কোনোদিন কারও খারাপ করেনি। তবুও কেন বাবাকে খুন করা হয়েছে? তাদের এমন প্রশ্নে নিজেকে খুবই অসহায় মনে হয়।’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ঘটনা ঘটার আগেই টেলিভিশনে আমার স্বামীর মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়। এতেই বুঝা যায় হত্যাকারীরা আগে থেকে পরিকল্পনা করে রেখেছিল। আমি একবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। কারণ তিনিও একজন নারী। তাই আমার কষ্টগুলো তিনিই বুঝবেন। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আমি স্বামী হত্যার বিচার পাব।’

নিহত একরামুলের স্ত্রী বলেন, ‘ঘটনার পরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এসেছিলেন। কিন্তু এরপর তিনি আর কোনো খোঁজ নেননি। মাঝে মধ্যে আমার স্বামী নম্বরটি খোলা পাওয়া যায়। কিছুদিন আগেও ওই নাম্বারে কল দিয়েছিলাম। কে যেন রিসিভ করেছিল, কিন্তু কথা বলেনি। তবে আমি কান্না করে বলেছিলাম, আমার স্বামী তো নির্দোষ ছিল, কেন তাকে এইভাবে হত্যা করা হয়েছে? যেখানে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয় সেখানে বেশ কিছুদিন আগে একজন একটি সাদা চশমা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। সেটি বাড়ি এসে একজন দিয়ে গেছে। এসব এখন শুধুই কষ্টের স্মৃতি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একরামুল হত্যায় যে অডিওটি ফাঁস হয়েছে সেটি আনার ব্যবস্থা করছি। একজন ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৬ মে নিহত হওয়ার পর কাউন্সিলার একরামুল হকের স্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে চারটি অডিও প্রকাশ করেন, যাতে শোনা যাচ্ছে তার মেয়ের সাথে একরামুল হকের কথোপকথন। এক পর্যায়ে গুলি ও গোঙানির শব্দও শোনা যায়। এই অডিওটি প্রকাশের পর থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;