হাওরে যাতায়াত দুরবস্থায় ভোগান্তিতে কৃষকরা



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
হাওর থেকে ধান নিয়ে ফিরছেন এক শ্রমিক, ছবি: বার্তা২৪.কম

হাওর থেকে ধান নিয়ে ফিরছেন এক শ্রমিক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক সময় বাংলাদেশের সর্বত্র জালের ন্যায় ছড়িয়ে ছিলো বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল। আর এসব নদ-নদীর ওপর নির্ভর ছিলো বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে বৈশাখ মাসে দূরের হাওর থেকে কাটা ধান বাড়িতে আনতে নদীপথ ছিলো সবচেয়ে সুবিধাজনক। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন আর আগের মতো নদ-নদী নেই। ফলে হাওর থেকে ধান আনতে কৃষকরা এখন আর নৌকা ব্যবহার করতে পারছেন না।

এদিকে, বিস্তীর্ণ হাওরজুড়ে এখনও তেমন স্থলপথ সৃষ্টি হয়নি। ফলে যাতায়াত দুরবস্থার কারণে বোরো ধান তুলতে ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা। বছরের পর বছর ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার। শুধুমাত্র নদী খনন করা হচ্ছে বলেই দায় সারছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচশ’র অধিক হাওর রয়েছে। কোনো কোনো হাওরের দূরত্ব গ্রাম থেকে প্রায় ২০/২৫ কিলোমিটার। এসব হাওরে চাষাবাদ করতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কৃষকদের। হাওরে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় জমির আল দিয়ে ২০/২৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে চাষাবাদ করতে যেতে হয়। সেই সঙ্গে কৃষি সামগ্রীও নিতে হয় মাথায় অথবা কাঁধে করে। এতে সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত শ্রমিক খাটাতে হচ্ছে।

বিশেষ করে বৈশাখ মাসে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় কৃষকদের। এ সময় বোরো ধান ঘরে তুলেন হাওরের কৃষকরা। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাওর পাড়ের কৃষকদের। সেই সাথে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা, বাড়ছে শ্রমিক সংকট।

কৃষকদের দাবি, এক সময় হাওরের বিভিন্ন দিকে নদ-নদী ছিলো। ফলে তারা (কৃষকরা) দূর-দূরান্তের ধান নৌকা দিয়ে নদী পথে নিয়ে আসতেন। কিন্তু এখন হাওরের সব কয়টি নদী বৈশাখের আগেই শুকিয়ে যায়। কোনো কোনো নদীতে হচ্ছে চাষাবাদও। আবার হাওরের বুকে বিভিন্ন ধরণের মালবাহি গাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই। ফলে দূরের ধান আনতে হচ্ছে মাথায় অথবা কাঁধে করে। যে জমিতে আগে ৫ জন শ্রমিক লাগতো সেখানে বর্তমানে শ্রমিক লাগছে ১০ জনের অধিক। কারণ ধান মাঠে আনতেই শ্রমিকের ব্যয় হচ্ছে কাটার চেয়ে অধিক সময়। সেই সাথে দূর থেকে ধান বয়ে আনার ভয়ে মিলছে না শ্রমিকও।

এদিকে, মাঠে নিয়ে আসার দূর্ভোগের কারণে কেউ কেউ জমির পাশেই মাড়াই করে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন ধান। আবার হাওরের বুকে মাড়াই করা ধান পাহারা দিতে গিয়ে বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর শঙ্কাও।

এ ব্যাপারে আমজিরীগঞ্জ সদরের কৃষক মো. কদম আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এক সময় আমাদের বাপ-দাদারা নৌকা দিয়ে ধান নিয়ে আসতেন। কিন্তু আমরা তা পারছি না। কারণ নদীগুলো এখন শুকিয়ে গেছে। সেই সাথে ট্রাক্টর দিয়ে যে দূর থেকে ধান আনব সেই সুযোগও নেই। কারণ হাওরে ট্রাক্টর যাওয়ার রাস্তা নেই।’

একই উপজেলার কৃষক মো. শহীদ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নদীগুলো খনন করলে আমরা কৃষকদের অনেক ভালো হতো। ১৫/২০ কিলোমিটার জায়গা মাথায় করে ধান আনতে গিয়ে ১০ জনের জায়গায় ২০ জন কামলা (শ্রমিক) লাগছে। আবার দূর থেকে ধান আনার ভয়ে কামলাও পাওয়া যাচ্ছে না।’

বানিয়াচং উপজেলার সাংঙ্গর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা কতটা সমস্যায় আছি তা দেখার কে আছে? ধান ফলানো কত কষ্ট, অথচ দামের বেলায় চারশ’ থেকে সাড়ে চারশ’ টাকা মণ। এক কের ধান কাটতে যে খরচ হয় তাও পাওয়া যায় না। যদি সরকার হাওর দিয়ে একটি রাস্তা করে দিত তাহলে আমাদের কিছুটা খরচ বাঁচত।’

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কৃষকদের হাওরের ধান আনার সুবিধার্থে নদীগুলো খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নদী খননের একটি প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। যা পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;