বেডরুমে রোগী দেখেন হাসপাতালের কর্মচারী!
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মচারী বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জরুরি বিভাগের রোগী নিজ বেডরুমে ডেকে নিয়ে চিকিৎসা দেন তিনি। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা দেন বলেও অভিযোগে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেলাল হোসেন। জরুরি বিভাগের পাশ্ববর্তী ভবনেই তার থাকার কক্ষ রয়েছে। সেখানেই চলে তার অবৈধ চিকিৎসালয়। যেখানে তিনি খতনাসহ নানান চিকিৎসা দেন। প্রতিটি খতনা দিতে নেন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। যদিও সরকারি হাসপাতালে খতনা দেওয়ার নিয়ম নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলাল হোসেন তার বেডরুমে সাইফুল নামে এক শিশুর খতনা করাচ্ছেন। যেখানে তিনি ব্যবহার করছেন সদর হাসপাতালের ওষুধ ও যন্ত্রপাতি। গত কয়েক মাস ধরে তিনি এ কাজ করে আসছেন বলেও জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে বেলাল হোসেন দাপট দেখিয়ে রোগীদের হয়রানি করেন। সরকারি হাসপাতালে নিষিদ্ধ হলেও তিনি বেডরুমে খতনা করান। এ জন্য তিনি ওয়ার্ড থেকে একটি বেড ও যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছেন। কর্তৃপক্ষ তা দেখেও না দেখার ভান করছে।
এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মাঝে মধ্যে খতনার কাজ করি। এ জন্য অতিরিক্ত দু’এক হাজার টাকা পাই। দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাজ করার সুবাদে এখন মানুষ আমার কাছে আসে।’
হাসপাতালে বা তার বেডরুমে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, নিয়ম নেই। তবে কিছু টাকা পয়সার জন্য করি।’
তবে হাসপাতালের ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘যন্ত্রপাতি সব আমার নিজের।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত তত্বাবধায়ক ডা. বিধান পালের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মতিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মুঠোফোনে আপনাকে কিছু বলতে পারছি না। তবে অফিসে আসুন। সেখানে বসেই আলাপ করব।’