ক্রীড়া সাফল্যের পর এবার জনপ্রতিনিধি মর্জিনা
![বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মর্জিনা খাতুনকে মালা দিয়ে বরণ করা হচ্ছে / ছবি: বার্তা২৪](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2019/Mar/25/1553520266129.jpg)
বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মর্জিনা খাতুনকে মালা দিয়ে বরণ করা হচ্ছে / ছবি: বার্তা২৪
ক্রীড়াবিদ মর্জিনা খাতুন। ক্রীড়া সাফল্যের পর এবার তিনি হলেন জনপ্রতিনিধি। সম্প্রতি শেষ হওয়া তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাড়ে ৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে পরাজিত করেন।
জানা গেছে, সাঁতারের পাশাপাশি তিনি এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবেও পরিচিত। গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাঁতারু খুঁজে বের করেন। তিনি আমলা এলাকায় তিনটি সাঁতার সংগঠন সাগরখালী, গড়াই ও লালন শাহ সুইমিং ক্লাবের প্রশিক্ষক। এছাড়া লালন শাহ সুইমিং ক্লাবের সভাপতিও। এ তিনটি ক্লাবে শতাধিক সাঁতারু রয়েছে। যারা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের গিয়েও স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন।
মর্জিনা খাতুনের জন্ম ১৯৭০ সালে। ১৯৮৩ সাল থেকে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। উচ্চ লাফে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। এছাড়া শটফুটসহ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়েছেন। জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। বিজেএমসি ও বাংলাদেশ আনসারের খেলোয়াড় ছিলেন। এরপর ১৯৯৬ সালে খেলার জীবন শেষে করে সংগঠক হন। এলাকায় বড় ভাই আমিরুল ইসলামের সঙ্গে সাঁতারু গড়ার কাজে যোগ দেন। এর জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতেই নির্বাচনে অংশ নেন।
মর্জিনা খাতুন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আমার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চেয়েছি। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি। তাই তাদের দাবি-দাওয়া আমার সাধ্যের মধ্যে পুরণ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এছাড়া সাঁতারু গড়তে জনপ্রতিনিধি হিসেবে যা যা করার তাই করব ইনশাআল্লাহ।’
মর্জিনা খাতুনের বড় ভাই দেশের অন্যতম সাঁতার প্রশিক্ষক আমিরুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, মর্জিনার এক ছেলে আসিফ রেজা জাতীয় সাঁতারু। নৌ বাহিনীতে চাকরি করেন তিনি। এক মেয়ে খাদিজা আক্তার বৃষ্টিও জাতীয় সাঁতারু। খাদিজা বিকেএসপিতে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী।