ভুলুয়া নদী খননে ভাগ্য ফিরবে লক্ষাধিক মানুষের



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
মৃতপ্রায় ভুলুয়া নদী, ছবি: বার্তা২৪

মৃতপ্রায় ভুলুয়া নদী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের ভুলুয়া নদী এক সময় ছিল খরস্রোতা, যা এখন মৃতপ্রায়। অথচ এক কালে নদীটিতে জোয়ার-ভাটাও হতো। অবৈধ বাঁধ নির্মাণ, দখল, দূষণ, ভরাট ও পলি জমে কমে এসেছে নদীটির প্রস্থ। এছাড়া, খনন না হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে নদীটি শুকিয়ে যায়।

১৯১২ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত উন্মত্ত নদী ছিল ভুলুয়া। বর্তমানে ৭১ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যের এ নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। ঐতিহ্যবাহী এ নদী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলা হয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে। এক সময় ভুলুয়ার প্রস্থ ছিল প্রায় ৫০০ মিটার, কিন্তু বর্তমান প্রস্থ মাত্র ৮৫ মিটার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551234308316.jpg

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জেলার কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরকাদিরা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদীর বুকে ট্রাক্টরের চাকা আর মানুষের পায়ের ছাপ। অনেকটা পানিশুন্য নদীটি যেন ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। কৃষকরা পাম্প দিয়ে জমিতে পানি সেচ দিয়ে শেষ করে ফেলছেন। মলা-ঢেলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছেন স্থানীয়রা। বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষের জন্য কিছু দূর পর পর নদীর মাঝে বাঁধ দেওয়া আছে। শুকনো নদীর বুকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে ছোট ছোট নৌকাও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551234334536.jpg

পানির অভাবে নদীর আশেপাশে কমে গেছে কৃষি উৎপাদন। হুমকির মুখে পড়েছে নদী কেন্দ্রিক জীববৈচিত্র। অবৈধ বাঁধ ও দখলের কবল থেকে রক্ষা করে নদীটি খনন করা হলে এখানকার লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য ফিরবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551234287468.jpg

তারা জানান, এক সময় ভুলুয়া নদী পার হতে মানুষ ভয় পেত। একা কেউ নদীটি পার হতে সাহস করতো না। আশপাশের লাখো মানুষ কৃষি উৎপাদনসহ নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করতো ভুলুয়ার পানি। এর বুকে বড় সাম্পান আর জাহাজ চলাচল করতো। নদীতে বহু জাতের মাছের সমাহার ছিল। ভুলুয়ার মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন অসংখ্য মানুষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551234466528.jpg

কিন্তু এখন প্রভাবশালীরা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্নভাবে নদীটি দখল করে রেখেছেন। এমনকি স্থানীয় ইটভাটা মালিকরা ব্যবসার সুবিধার্থে চরকাদিরা এলাকায় নদীর ওপর একাধিক কাঁচা সড়ক নির্মাণও করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551234274798.jpg

অন্যদিকে, কমলনগরের চরকাদিরা গ্রামে নদীটির ওপরে একটি বেইলী ব্রিজ রয়েছে, কিন্তু ব্রিজটিও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সাংঘাতিক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয় ভারী যানবাহন। ব্রিজের সিটগুলো মরিচা ধরে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551234262099.jpg

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ আছে, প্রত্যেকটি নদী অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। ভুলুয়া নদীতে অবৈধ দখল কিংবা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551234352898.jpg

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, ভুলুয়া নদী খননের জন্য প্রকল্পের অনুমোদন চেয়ে দফতরে আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছে। বরাদ্দ পেলে খুব শিগগিরই ভুলুয়ার খনন কাজ শুরু হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;