একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?



সোহেলী জান্নাত,পিএইচডি গবেষক, ইউজিসি
একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?

একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?

  • Font increase
  • Font Decrease

আপনি যদি নতুন করে ব্যবসায় নামতে চান, কিংবা ঢিমেতালে চলতে থাকা পুরাতন ব্যবসাকে নতুন করে ঝালিয়ে নিতে চান তবে কতিপয় দিকে আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

সঠিক মাত্রার আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাসী মানুষ সফল হয়, এ কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলে, আত্মবিশ্বাস তখন অহংকারের পর্য়ায়ে চলে যায়। আবার দুর্বল আত্মবিশ্বাসী মানুষকে কেউ পছন্দ করে না, ভরসা করে না। বাস্তবতার অভিজ্ঞতায় দেখবেন সংসারে বাবা বা বড় ভাই শ্রেণির মানুষের কথা অনেকসময় ভুল হলেও আমরা হাসিমুখে মেনে নেই! বিপদে আপদে তাদেরই ভরসা করি। কারণ তারা ভুল কথাটাও আত্মবিশ্বাস থেকে বলেন। অনেক পরিবারে মায়েরাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরিবার মেইনটেইন করেন। ব্যবসা যেহেতু অনেকটা নির্ভর করে পারসোনাল ব্রান্ডিং এর উপর, আপনাকে ভরসা করলে আপনার পন্যও কিনতে পারবে ক্রেতা নির্ভাবনায়। আত্মবিশ্বাসই প্রথম ধাপ যেটা আপনাকে ব্যবসার ক্ষেত্রে পজেটিভ ভাইভ দিবে। একটা গল্প বলি।

আমার এক ছাত্র গেছে করপোরেট অফিসে ভাইভা দিতে। তো, প্রয়োজনীয় একাডেমিক বিষয় জিজ্ঞাসা করার পর একজন নিয়োগকর্তা হুট করেই জিজ্ঞাসা করে বসলেনঃ
আচ্ছা বলেন তো, এই জগৎটা কার বশ?
ছাত্রটি প্রথমে মনে মনে বিভ্রান্ত হল, ভাবলো কার কথা বলি... কার কথা বলি... মহা মুশকিল তো! পরে উত্তর খুঁজে না পেয়ে সময়ক্ষেপণের জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রশ্নকারীর প্রশ্নটাই রিপিট করলোঃ
জগৎ টা কার বশ!

সঙ্গে সঙ্গে তুমুল হাততালি সবার! পারফেক্ট বলেছেন। আপনাকেই আমাদের করপোরেট অফিসে চাই! আসলেই এ পৃথিবীটা টাকার কাছে বশ! ছাত্র এবার মেলালো...
ও তাইতো! প্রশ্নটাই উত্তর!
জগৎ টা কার বশ?
জগৎ টাকার বশ!

নেতিবাচকতাকে ইতিবাচকতায় পরিণত করা
চলার পথে এমন হরহামেশাই ঘটে, যে আমরা না চাইতেও ভুল করে ফেলি! ভুল মানুষকে বিশ্বাস করি, ভুল জিনিস নির্বাচন করে ফেলি। এরপরে আবার নিজেরাই হতাশায় ভুগে সেই সামান্য করে ফেলা ভুলটুকুকে বাড়িয়ে দীর্ঘ করে ফেলি। থামুন! আপনি মানুষ, যন্ত্র নয়! আপনার আবেগ আছে, মন আছে! ভুল করেছেন বলেই আপনি মানুষ! ভুল করেছেন ভাল কথা। এবার সেই ভুলটাকে কীভাবে সঠিক করা যায় সেটি নিয়ে আপনাকে মাথা খাটাতে হবে, এবং দ্রুত সেই ভুলকে কর্ম দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে সাফল্যে পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রেও একটি উদাহরণ দেই। এক সাংবাদিক গেছে গ্রামের এক স্কুলে জেএসসিতে এ প্লাস পাওয়া ছাত্ররা আসলেই মেধাবী কি না, সেটি যাচাই করতে। তার আসল উদ্দেশ্য ছিল এ প্লাস পাওয়া ছাত্রদের হেও করা, ছোট করা। সে কারণে সে ইচ্ছে করেই এমন প্রশ্ন করছে যেন ছাত্ররা ভুল উত্তর করে এবং সে এটা মজা করে তা প্রচার করতে পারে। এরকম করে করে এক ছাত্রকে সে প্রশ্ন করল আচ্ছা বলতো দেশের বর্তমান জনসংখ্যা কত? ছেলেটি জানতো উত্তর ১৬ কোটি। কিন্তু মুখ ফস্কে বেড়িয়ে গেলো.. ৩২ কোটি!
সাংবাদিকতো হেসেই খুন! সে যা চাচ্ছিল তাই হয়েছে। ছাত্রটি ভুল করেছে!

ছাত্রটি বুঝল টিভিতে লাইভ সম্প্রচারে এমন ভুল সত্যি তার স্কুলকে বিপদে ফেলতে পারে! যেটা স্কুলের জন্য, তার নিজের জন্য ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব এনে দেবে! তখন সে দ্রুত বুদ্ধি করে ডেকে বললোঃ

ভাই! দাঁড়ান! আগে শুনবেন না ৩২ কোটি কেন বললাম?
: তুমি জান না তাই বলেছো! সোজা হিসেব!
: হা হা! আসলে ভাই আপনিই সমকালীন তথ্য রাখেন না! আগে হয়তো ছিল ১৬ কোটি। কিন্তু এ বছর থেকে দেখেন সরকার দলীয় নেতারা বলে যাচ্ছেন, "আমাদের সাথে দেশের ১৬ কোটি জনগণ আছে!" আবার বিরোধী দলও বলে যাচ্ছে "আমাদের সাথে দেশের ১৬ কোটি জনগণ আছে!" এখন এই খ্যাতিমানরা নিশ্চয়ই মিথ্যুক নন! এরাই দেশবরেণ্য নেতা, এরাই মন্ত্রী! এদের উভয়ের কথা সত্যি হলে দেশের জনগণ অবশ্যই ৩২ কোটি!

সাংবাদিকের তো আক্কেলগুড়ুম! বাপরে কত মেধাবী এই স্কুলের বাচ্চারা! সহজেই নেতিবাচকতা বদলে ইতিবাচকতায় পরিনত হলো!

সঠিক পণ্য নির্বাচন, সঠিক ইনভেস্টমেন্ট
আপনি একটি ব্যবসায় নামার আগে আপনাকে প্রথম যে দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে, সেটি হল আপনার পণ্যের উৎস সহজ এবং আপনার হাতের কাছে এভেইলেবেল কি না সেটা দেখা, এবং সে পন্যের বাজারে চাহিদা কেমন। সহজ কথায় বললে বাজার রেকি করা। পন্যের উৎসের ক্ষেত্রে যদি আপনি অরিজিনাল উৎস থেকে সরাসরি ক্রয় করতে পারেন তবে কম মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন। আপনার কষ্টও কম হবে এক্ষেত্রে। যেমন বাগেরহাটের কথাই বলি। বাগেরহাটের ইউনিক জিনিস, পান সুপরি, চিংড়ি, নারকেল তেল। এবার উদ্যোক্তা যদি এ এলাকার হয় তবে তার উচিৎ হবে পন্য নির্বাচনে এগুলোকে বেশি প্রায়োরিটি দেয়া। এখানে সে সহজেই অরিজিনাল উৎস থেকে কমে জিনিশ কিনে বাজারে কমে দিতে পারবে। যেটা ঢাকা বা অন্যজেলার একজন উদ্যোক্তা পারবে না। কেননা চিংডি বা তেল কিনতে তাকে বাগেরহাটে নিজে আসতে হবে যেটাতে পরিশ্রম অধিক হবে, আর ব্রোকার বা মধ্যস্বত্তভোগীর মাধ্যমে কিনলে দাম বেশি পরবে, ফলে তুলনামূলক কমে বাজারে ছাড়তে পারবে না!। তার ব্যবসায় প্রসার ঘটানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।

তাই পণ্য চুজের ব্যাপারে এদিকে প্রথম নজর দিতে হবে।

এবার যে পণ্য আপনি কিনবেন বা উৎপাদন করবেন, সেটার মারকেট ভ্যালু আছে কি না যাচাই করা। একটা সত্য ঘটনার উদাহরণ দেব এক্ষেত্রঃ

কিশোরগঞ্জের এক প্রান্তিক চাষী একবার ধান বাদ দিয়ে পাট উৎপাদন করেছিল প্রচুর! সে অনুমান করেছিল বাজারে যেহেতু পাটের খুব চাহিদা, আদমজী জুটমিলের লোক এসে সহজেই তার পাট উচ্চমূল্যে কিনে নেবে। সে স্বপ্ন দেখতে লাগলো পাট বিক্রি করে লাখপতি হবার। অত:পর কঠোর পরিশ্রমে পাট চাষ করে পুরো প্রক্রিয়া শেষে সে যখন বাজারে পাট তুলল, কেউ তার পাট কিনতে এল না! পর পর সাতদিন বাজারে তোলার পরও যখন তার পাট বিক্রি হলো না, তখন সে ভাবলো ঘটনা কী! মিলের লোক কেন আসে না!

এবার সে মিলের অবস্থা যাচাই করতে দু টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নারায়ণগঞ্জ এলো আদমজী জুটমিলে। এসে দেখলো জুট মিল সে বছরের শুরুতেই বন্ধ হয়ে গেছে! পাট কেনাতো দূরের কথা এখানকার শ্রমিকরা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে দেদারছে নেশাগ্রস্ত হয়ে পরছে!

লোকটি এবার তুমল লসে পরে আর দেনার কথা ভেবে উৎপাদিত পাটে আগুন দিয়ে নিজেই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল! সে সময়ের বড় বড় পত্রিকায় সে নিউজ ছাপা হয়েছিলো।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি অধ্যাপক মীজান স্যার এক পলিসি মেকিং সংক্রান্ত সভায় এই ঘটনা তুলে ধরে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই চাষীর মৃত্যুর জন্য আসলে কে দায়ী ?

দায়ী মূলত চাষী নিজে! কেননা সে পাট চাষের সিদ্ধান্ত নেবার আগে আদমজী জুট মিলে খোঁজ নেয় নি, পাট বিক্রি হবে কি না! তার দু হাজার টাকা পাটে ইনভেস্ট করার আগে দু টাকা দিয়ে রেলে চেপে নারায়ণগঞ্জ আসা উচিৎ ছিল, পাট চলবে কি না যাচাই করার জন্য! সে যদি আগে এখানে আসতো তবে নিশ্চিতভাবে বুঝে যেত এখানে এখন পাটের প্রয়োজন নেই! হতাশায় ভোগা শ্রমিকদের প্রয়োজন সস্তা নেশাদ্রব্য! ফলে সে ফিরে গিয়ে বরং তামাক বা গাজা পাতা চাষে ইনভেস্ট করতো! এবং সেটি বিক্রয় করে অধিক মুনাফা পেতে পারতো।

আর ইনভেস্টমেন্টের সঠিক পরিমাণ কী হওয়া উচিৎ এ সংক্রান্ত একটি মজার গল্প বলে লেখা শেষ করবো। শিক্ষক ক্লাসে বিটলুকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ

বিটলু বলতো আমাদের দেশের সরকার মেয়েদের শিক্ষায় বেশি ইনভেস্ট করে ছেলেদের জন্য করে না কেন?

বিটলুর বিটকেলে উত্তরঃ স্যার সরকার ভাল করেই জানে, মেয়েরা স্কুলে আসলে ছেলেগুলি এমনিতেই আসবে! অযথা পয়সা খরচ করে লাভ কী!

শিক্ষকঃ তবেরে! ছেচড়া বাদর ছেলে!

হা হা। আপনিই ভাল বুঝবেন আপনি কত টাকা কোন খাতে মার্কেটে ঢাললে সঠিক সময়ে জাল ফেলে তুলে নিতে পারবেন! বিচক্ষণতা এক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন।

পরিশেষে, স্বপ্ন দেখুন। সঠিক পদক্ষেপে সে স্বপ্নের বীজকে ফুলে ফলে সুশোভিত বৃক্ষে পরিণত করুন।
শুভকামনা সবার জন্য।

 লেখক: সোহেলী জান্নাত

 পিএইচডি গবেষক, ইউজিসি ও
 সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ,   জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

   

সিলেটে ১ মিনিটের জন্য বিসিএস দেওয়া হয়নি ২০ পরীক্ষার্থীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে কেন্দ্রে ১মিনিট দেরিতে আসায় বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে পারেননি ২০ জন শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সিলেট ব্লু বার্ড হাই স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে ৷

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও নির্দেশনা মতে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু তারা সকাল ৯ টা ৩১ মিনিটে পৌঁছালে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এদিকে এসময় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও সকাল সাড়ে নয়টার পর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় অনেকে গেটের উপর দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টাও করেন। অনেকে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু কিছুতেই মন গলেনি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আয়োজিত ২০০ নম্বরের এই পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানায় সিলেট ব্লু বার্ড হাই স্কুল কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে সিলেট ব্লু বার্ড হাই স্কুল কেন্দ্রের হল সুপার হুসনে আরা বলেন, আমরা পিএসসির নির্দেশনা ফলো করেছি। গতকাল মিটিং করে বলা হয়েছে সকাল সাড়ে নয়টার পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাই আমরা সাড়ে নয়টার পর গেট বন্ধ করে দিয়েছি। কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এখানে মানবিক দিক বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নাই। যেহেতু তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। আর এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এখানে অবশ্যই সবাইকে সময় মেন্টেইন করে আসতে হবে। পিএসসি স্যারও এখানে ভিজিট করতে এসেছিলেন। আমরা স্যারকে এ ব্যাপারে বলেছি। তিনি বলেছেন আমরা ঠিক কাজ করেছি।

;

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, ৩য় গ্রুপের ফল প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়‌।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।

গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। 

;

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল স্থগিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে আজ রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফলাফল রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

এজন্য মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম এরই মধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রোববার রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বিকেল থেকে অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি, তা জানাতে থাকেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

ফল না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভালো পরীক্ষা দিলেও তাদের ফল আসেনি। প্রথমে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এমন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ কারণে তারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট দুই সেটের ফল নিয়ে অভিযোগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার দিকে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

;

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৫৭ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৫৭ জন

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৫৭ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে মোট ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।৩ পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার পরীক্ষার এ ফল প্রকাশ করা হয়।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -এ ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

এর গত ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

 

;