এগিয়ে যেতে কি লাগে



নাজমুল হুদা, পেশা বিষয়ক লেখক ও, উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
এগিয়ে যেতে কি লাগে!

এগিয়ে যেতে কি লাগে!

  • Font increase
  • Font Decrease

অতিথি পাখি কীভাবে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দেয়? একটি বিমানকেও যেখানে মাঝে যাত্রা বিরতি করতে হয়, সেখানে সাগর মহাসাগর পেরিয়ে পাখিরা কীভাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলে? কখনো কি ভেবে দেখেছেন পাখিদের এ দীর্ঘ পথচলার শক্তির উৎস আসলে কী? জার্মানী ও অস্ট্রিয়ার একদল বিজ্ঞানী দীর্ঘপথ পরিভ্রমনকারী পাখির পথচলা পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, পাখিরা এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় ইংরেজি ‘ভি’ (v= victory) অক্ষরের মত করে; দলবদ্ধ হয়ে। সামনে যে পাখিটা থাকে, তার পাখার স্পদন সঞ্চারিত হয় পিছনের পাখিদের মধ্যে। এভাবে পুরো সারি’র কেউ যাতে ক্লান্তির কারণে দলছুট না হয়ে পড়ে, সেজন্য দু’জন করে স্থান পরিবর্তন করে। অনেকটা ম্যারাথনের রিলে দৌড়ের মত! ইংরেজি ‘ভি’ (v= victory) অক্ষরের মত পাখিদের পথ-পরিক্রমা বিশ্লেষণ করলে চারটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এগুলো হল নেতৃত্বগুণ বা Leadership, একতাবদ্ধ কাজ বা Teamwork, কর্মপ্রেরণা বা Motivation এবং গন্তব্যে পৌঁছানো বা Touching target.

আমাদের ক্যারিয়ারটাও কিন্তু দীর্ঘ পথের মত, জীবনব্যাপী রিলে দৌড়ের মত। কাঙ্খিত ক্যারিয়ারে পৌঁছানোর জন্যে দরকার হয় একতা, একাগ্রতা, গতিময়তা।

ভারসাম্য বজায় রেখে জীবনের গতিপথে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় লেখক, বক্তা ও জনপ্রিয় সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’ এর কাহিনিকার চেতন ভগত বলেন ‘জীবনটা একটা মার্বেল দৌড়ের মত; স্কুলে যেমন চামচ মুখে দিয়ে মার্বেল দৌড়ে অংশ নেওয়া হয়’।

ক্যারিয়ারের এই রিলে দৌড়ে টিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য দরকার নিজস্ব তাড়না ও অন্যের প্রেরণা। ব্রুস লির এক ছাত্র প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে তিন মাইল দৌড়াতেন। একদিন তিন মাইল পথ ছোঁয়ার পথে ব্রুস লি বললেন, চলো আরও দুই মাইল দৌড়াই। তাঁর ছাত্র ক্লান্ত হয়ে পড়ে বললেন, আরও দুই মাইল দৌড়াতে গেলে আমি মারা যাব। ব্রুসলি বললেন, তবে দৌড়াও। তাঁর সেই ছাত্র রেগে গিয়ে আরও পাঁচ মাইলের সীমা অতিক্রম করে ফেলল। খেপে গিয়ে ওই মন্তব্য নিয়ে ব্রুস লির কাছে জবাব চাইলেন ওই ছাত্র। ব্রুস লি তাঁকে বোঝালেন, ‘থেমে যেতে বা মরে যেতে পারতে। কিন্তু যদি তুমি যা পারো, সেখানেই তোমার সীমা নির্ধারণ করে ফেলো, তবে তা সারা জীবনে তোমার ওপর প্রভাব ফেলবে। এটা তোমার কাজে, নৈতিকতাসহ সবকিছুতে ছড়িয়ে যাবে। সীমা বলে কিছু নেই। স্থিরতা আছে, কিন্তু সেখানে থেমে গেলে চলবে না। মানুষকে অবশ্যই তাঁর সীমা ক্রমাগত ছাড়িয়ে যেতে হবে।’

সবারই সীমাবদ্ধতা আছে সত্যি। তবে সীমাটা নির্ধারিত হয় নিজের মস্তিস্কের মধ্যে; মনোজগতে। সফল কারও কথা আলোচনা হলে কেউ কেউ বলে বসেন যে ওর ‘মাথা’ ভালো! আসলে সফল হওয়ার সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্কের বিষয়টি নিসন্দেহে যুক্ত! তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন ভিন্ন কথা।

মনোবিদ ক্যারোল ডোয়েক এর গবেষণা অনুযায়ী, সফল হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের বুদ্ধিমত্তার চেয়ে তার আচরণ ভালো পূর্বাভাস দিতে পারে। তাঁর মতে, মানুষের মূল আচরণকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে স্থায়ী মানসিকতা (ফিক্সড মাইন্ডসেট) ও আরেকটি হচ্ছে বিকাশমান মানসিকতা (গ্রোথ মাইন্ডসেট)।

স্থায়ী বা অবিচল মানসিকতা হচ্ছে যখন কেউ নিজের সম্পর্কে ধরে নেয় যে সে যা তা–ই। সুবিধাজনক জায়গায় (Comfort Zone) থাকতে চায় তার মন। কোনো পরিবর্তন তাঁর মধ্যে আনা অসম্ভব মনে করে। যখন তাঁকে চ্যালেঞ্জ করা হয়, তখনই সমস্যা সৃষ্টি হয়। এরকম পরিস্থিতিতে সে হতাশ ও বিহ্বল হয়ে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই একগুয়েমি ভাবকে আকাঙ্খা দারিদ্র্য (Poverty of Aspiaration) বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা নিজেদের বিকাশমান মানসিকতার ব্যক্তি মনে করেন, বিশ্বাস করেন চেষ্টা করলে তিনি উন্নতি করতে পারবেন। তারা বিভিন্ন দিক থেকে স্থায়ী মানসিকতার ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। এমনকি বুদ্ধিমত্তা বা আইকিউ কম থাকলেও প্রচেষ্টার কারণে এগিয়ে যেতে পারবেন। যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে অন্তত নতুন কিছু শেখার সুযোগ তৈরি হয় তাই তারা কোনো না কোন ভাবে এগিয়ে যান। জীবনের সিদ্ধান্ত নির্ণয় করার ক্ষেত্রে কীভাবে বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবেন তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিকাশমান মানসিকতার ব্যক্তিরা এসব বিপত্তি খোলামনে স্বাগত জানান। গবেষক ডোয়েকের মতে, জীবনে সফলতা হচ্ছে ব্যর্থতা কীভাবে মোকাবিলা করা হয় সে বিষয়টি বোঝা। বিকাশমান মানসিকতার মানুষ এভাবেই ব্যর্থতাকে গ্রহণ করে। তাঁদের কাছে ব্যর্থতা হলো তথ্য। এটাকে ব্যর্থতা হিসেবে লেবেল লাগানো হয় মাত্র। বিকাশমান মানসিকতার ব্যক্তির কাছে সমস্যা সমাধানের ভিন্ন পথে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ।

অপরাহ উইনফ্রে বাল্টিমোরে অতিরিক্ত আবেগ দেখানোর কারনে টিভি উপস্থাপিকার চাকরি হারিয়েছিলেন অথচ উপস্থাপনা করে তিনি যশ, খ্যাতি, অর্থ অর্জনে অনন্য হয়ে আছেন।

দুটি গাড়ি কোম্পানি ব্যর্থ হয়েছিল হেনরি ফোর্ডের! তার পরের গল্প সবার জানা।

উএসসির সিনেমাটিক আর্টস স্কুল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন স্টিভেন স্পিলবার্গ অথচ সিনেমা জগতে নৈপথ্যের নায়ক হিসেবে তিনি সুপরিচিত।

স্টিভ জবস নিজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যুত হয়েই গড়ে তুলেছেন ‘প্রিক্সার’ এর প্রতিষ্ঠান।

তাঁরা যদি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর নতুন আশা নিয়ে ঘুরে না দাঁড়াতেন, তবে কি সফল হতে পারতেন?

আপনার জীবনেও কঠিন সময় আসতেই পারে। তাই বলে নিজেকে পুরোপুরি অসহায় ভাববেন না। অসহায়ত্বের অনুভূতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটা থেকে কিছু শিখতে পারেন এবং সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। বুদ্ধিতে আপনার ঘাটতি থাকলে তা আবেগ দিয়ে পূরণ করতে পারেন। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেটের পরামর্শ হচ্ছে আপনার সত্যিকারের আবেগের বিষয়টি ৫/২৫ পদ্ধতিতে খুঁজে বের করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে আপনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ২৫টি বিষয় লিখবেন ২০টি বিষয় বাদ দেবেন। যে ৫টিকে আপনি রাখবেন তাই আপনার প্রকৃত আবেগ। বাকিগুলো আপনার চিত্তবিক্ষেপ বা আবেগের অতিশায়ন। তাই আবেগ থেকে যদি বেগ আসে মন্দ কি?

   

সিলেটে ১ মিনিটের জন্য বিসিএস দেওয়া হয়নি ২০ পরীক্ষার্থীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে কেন্দ্রে ১মিনিট দেরিতে আসায় বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে পারেননি ২০ জন শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সিলেট ব্লু বার্ড হাই স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে ৷

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও নির্দেশনা মতে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু তারা সকাল ৯ টা ৩১ মিনিটে পৌঁছালে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এদিকে এসময় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও সকাল সাড়ে নয়টার পর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় অনেকে গেটের উপর দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টাও করেন। অনেকে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু কিছুতেই মন গলেনি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আয়োজিত ২০০ নম্বরের এই পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানায় সিলেট ব্লু বার্ড হাই স্কুল কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে সিলেট ব্লু বার্ড হাই স্কুল কেন্দ্রের হল সুপার হুসনে আরা বলেন, আমরা পিএসসির নির্দেশনা ফলো করেছি। গতকাল মিটিং করে বলা হয়েছে সকাল সাড়ে নয়টার পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাই আমরা সাড়ে নয়টার পর গেট বন্ধ করে দিয়েছি। কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এখানে মানবিক দিক বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নাই। যেহেতু তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। আর এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এখানে অবশ্যই সবাইকে সময় মেন্টেইন করে আসতে হবে। পিএসসি স্যারও এখানে ভিজিট করতে এসেছিলেন। আমরা স্যারকে এ ব্যাপারে বলেছি। তিনি বলেছেন আমরা ঠিক কাজ করেছি।

;

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, ৩য় গ্রুপের ফল প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়‌।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।

গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। 

;

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল স্থগিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে আজ রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফলাফল রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

এজন্য মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম এরই মধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রোববার রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বিকেল থেকে অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি, তা জানাতে থাকেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

ফল না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভালো পরীক্ষা দিলেও তাদের ফল আসেনি। প্রথমে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এমন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ কারণে তারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট দুই সেটের ফল নিয়ে অভিযোগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার দিকে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

;

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৫৭ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৫৭ জন

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৫৭ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে মোট ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।৩ পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার পরীক্ষার এ ফল প্রকাশ করা হয়।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -এ ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

এর গত ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

 

;