বাণিজ্য মেলায় খণ্ডকালীন চাকরি



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯ সাল প্রায় শেষের দিকে। আসছে নতুন বছর ২০২০। প্রতি বছরের মতো ২০২০ সালের প্রথম দিন থেকে ঢাকায় শুরু হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত মেলায় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকে।

নিজেদের পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের জানাতে এবং স্টল পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো এক মাসের জন্য খন্ডকালীন লোকবল নিয়োগ দেয়। কমপক্ষে এইচএসসি পাস থেকে প্রতিষ্ঠানভেদে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা চাকরির সুযোগ পান। এক মাসের চাকরির বিনিময়ে দেয়া হয় সম্মানী। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা সনদও দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে চাকরি জীবনে এটি বেশ কাজে দেয়। ভালো পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে সেই প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী চাকরির সুযোগও পেয়ে যান অনেকে।

২০২০ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুরো নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

আরএফএল গ্রুপ
আরএফএল গ্রুপ বাণিজ্য মেলার জন্য ২৫০ জন সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দেবে। কমপক্ষে এইচএসসি পাস হলেই আবেদন করা যাবে। বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সাক্ষাতকারের সময় আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। আগ্রহীরা জাগোজবসের মাধ্যমে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

হাতিল
আসবাবপত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হাতিল বাণিজ্য মেলার জন্য চুক্তিভিত্তিক ২০ জন সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়োগ দেবে। আবেদনের জন্য কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। অবশ্যই ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়ার বাসিন্দা হতে হবে। দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ এবং বাণিজ্য মেলার এক মাস সময়ের জন্য নিয়োগ দেয়া হবে। বেতন নির্ধারণ করা হবে আলোচনা সাপেক্ষে। থাকবে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা এবং কোম্পানির নিয়মানুযাী অন্যান্য সুবিধা।

র‍্যাংগস ইলেকট্রনিক্স
বাণিজ্যমেলায় সেলস পার্সোনেল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে র‍্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড। কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা পদটিতে আবেদন করতে পারবেন। উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ বছর হতে হবে। আগ্রহীরা বিডিজবসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন অথবা রেজুমে, দুই কপি ছবিসহ আবেদনপত্র পাঠাতে হবে ‘র‍্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, বক্স-২০২০, সোনারতরী টাওয়ার, ৪র্থ তলা, ১২ সোনারগাঁও রোড, বাংলামোটর, ঢাকা-১০০০’ ঠিকানায়। বা ইমেইলে করতে হবে [email protected] ঠিকানায়। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

ফিট এলিগেন্স
ফিট এলিগেন্সের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা জানান, প্রতি বছর এক মাসের জন্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইন জব পোর্টালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অনলাইনেই আবেদনের সুযোগ থাকে। স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করছে বা স্নাতক ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারেন। শিফট আকারে ডিউটি করতে হয়। এক মাসের জন্য দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা। যারা ভালো করতে পারেন, তাদের প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শোরুমে ফুল টাইম চাকরির সুযোগ দেয়া হয়।

ইলেকট্রো মার্ট
বাণিজ্যমেলার জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারীদের সেলস এক্সিকিউটিভ হিসেবে নিয়োগ দেবে ইলেকট্রো মার্ট লিমিটেড। বয়স হতে হবে অনূর্ধ্ব ২৭ বছর। আগ্রহীরা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ রেজুমে পাঠাতে হবে ‘ইলেকট্রো মার্ট লিমিটেড, কর্পোরেট অফিস, নূর হোল্ডিংস (লেভেল-৭), ৩৩ গুলশান সাউথ এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২’ ঠিকানায়। অথবা ইমেইল করতে হবে [email protected] ঠিকানায়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে আবেদন করতে হবে।

নাভানা ফার্নিচার
আসন্ন বাণিজ্যমেলার জন্য চুক্তিভিত্তিক ১৫ জন সেলস পারসন নেবে নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে আবেদনের জন্য স্নাতক ডিগ্রি এবং বয়স ২২ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে হতে হবে। আগ্রহীরা অনলাইনে বিডিজবসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

এছাড়াও কোকোলা ফুড প্রডাক্টস, আখতার ফার্নিচার, বেঙ্গল গ্রুপ, ম্যাটাডোরসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যমেলার জন্য সেলসে লোক নিয়োগ দেয়। জাতীয় দৈনিক এবং অনলাইন পোর্টালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কিছু প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেও লোক নিয়ে থাকে। সেলসে কাজ করতে আগ্রহীরা রেজুমে এবং ছবিসহ প্রস্তুত রাখতে পারেন। এতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথেই আবেদন করা সহজ হবে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদনের লিংক : 

আরএফএল গ্রুপ । হাতিল ফার্নিচার । র‍্যাংগস ইলেকট্রনিক্স । ইলেকট্রো মার্ট । নাভানা ফার্নিচার

   

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৬৮১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর সর্বমোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। 

পরীক্ষার ফলাফল http://ntrca.teletalk.com.bd/result/ লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়াও উত্তীর্ণদের মোবাইলে এসএমএস'র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

একই দিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।

জানা যায়, ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকুরীপ্রার্থী আবেদন করেন।

;

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫৪৫৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৫৬ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ২২ জেলায় (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এসব প্রার্থী পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশিত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.govt.bd এ পাওয়া যাবে। 

উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

;

দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চাই সবসময় : আবির হাসান



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র কৃষক-গৃহিণী দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেন আবির হাসান। কে জানতো এই আবির হাসানই একদিন সেনাবাহিনীর অফিসার হয়ে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন পাবনার চাটমোহর এলাকার সন্তান আবির হাসান।

চাটমোহর এলাকার আবির হাসান ছিলেন ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। ইচ্ছে ছিল একদিন অনেক বড় হবেন, কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্রতা। তবে দারিদ্রতা যে সফলতার রাস্তার বাঁধা হতে পারে না, সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন আবির।

বাবার সঙ্গে লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চাষ করেছেন আবার ঠিকই লেখাপড়াও করেছেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছেলে সে। তার মনের বাসনায় ছিল পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। পরিবারের সবার ছোট ছেলেটাই এখন আর্মি অফিসার।

যদিও প্রথমে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না তার, তবুও পরিবারের চাওয়ায় যুক্ত হোন সেনাবাহিনীতে। তার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা সৃজন দিয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আবির হাসান।

গ্রাম থেকে নবম শ্রেণি পাশ করে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হোন, সেখান ভালো ফলাফল করে। গ্রাজুয়েশনের জন্য ভর্তি হোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিউপি)। সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেন। আমেরিকান কমান্ডো ট্রেনিংও করেছেন আবির।

দরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠার কারণে দারিদ্রতা কাছ থেকেছেন আবির। তাই দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেন সবসময় আবির। মানুষের দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হতে চেষ্টা করেন। যেমন তিনি নিয়েছেন নিজ পরিবারের দায়িত্ব, তেমনি গরীব পরিবারের দায়িত্বও নিজ হাতে নিয়েছেন তিনি।

আবির হাসান বলেন, দারিদ্রতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সফল। আমি দরিদ্র মানুষেরদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আবির হাসান সবসময় নিজেকে একজন আর্দশবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার প্রত্যাশা আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

;

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৩৬.৩৩ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়।

বিকেলে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এবছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ৭৫ নম্বরের উপরে ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে ৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ৩১০৮৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ফলাফল প্রকাশের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;