চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস



এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ
চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস

চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি বা কর্মক্ষেত্রে সকলেই সফল হতে চায়। সফল হতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দূর্লভ। সফলতার পিছনে দুটি বিষয় কাজ করে তা হলো হার্ড স্কিলস ও সফট স্কিলস। প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে হার্ড স্কিল ও সফট স্কিলস কি? আপনি কোথাও চাকরি খুঁজছেন বা ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন তখন দুধরনের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো হচ্ছে হার্ড স্কিলস ও সফট স্কিলস। হার্ড স্কিলস হল আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কম্পিউটার পরিচালন জ্ঞান, কারিগরী জ্ঞান, পেশাগত দক্ষতা অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। যেমন- আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তাহলে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজাইন করাটা আপনার হার্ড স্কিল। আর সফট স্কিল হলো আপনি কাজটা করতে গিয়ে কতটা সৃজনশীলতার সাথে করতে পেরেছেন, একটি দলে থেকে কিভাবে দলবদ্ধ ভাবে কাজটি করেছেন বা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আপনার কাজ সম্পর্কে আপনার ক্লাইন্ট বা বসকে কতটুকু সাবলীল ভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই হার্ড স্কিলের চেয়ে সফট স্কিলকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফট স্কিলস সম্পর্কে জানবো।

১. কমিউনিকেশন স্কিল: কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতার মানে এই নয় যে, জোরালো বক্তব্য দিতে পারতে হবে। কমিউনিকেশন স্কিল বলতে যার সাথে কথা বলা হচ্ছে তার কথা বলার ভঙ্গিমা বা ধরনের সাথে মিলিয়ে নিয়ে কোন কিছু বোঝাতে পারার সক্ষমতাকে বোঝায়। অর্থাৎ যে কোন বিষয় যে কোন ব্যক্তির নিকট সহজে বোঝাতে পারা। এছাড়া নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রেও এই গুনটির প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইমেইল কমিউনিকেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কতটা সুন্দর, সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাবে আপনি আপনার ম্যাসেজ ইমেইলের মাধ্যমে সেন্ডারের নিকট পাঠাতে পারবেন তা আপনার দক্ষতার প্রকাশ।

২. লিডারশীপ বা নেতৃত্ব: নেতা এমন ব্যক্তি যিনি কাজ শুরু করেন এবং অধীনস্থদের জন্য নীতি এবং পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং তাদেরকে নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা স¦াভাবিক ভাবেই প্রতিষ্ঠানের নতুন লক্ষ্য বা পরিকল্পনা সম্পর্কে জানে না আর এইসব জানানোর কাজটি করেন নেতা। একজন নেতা তার সঠিক নেতৃত্ব গুনাবলী এবং দিক নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মীদের লক্ষ্য সম্পর্কে অবগত করবে এবং কাজ শুরু করবে। কর্মীদের উৎসাহ এবং প্রেরণা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করার দায়িত্বটি কিন্তু একজন সঠিক নেতাই নেন। তিনি নেতৃত্বকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে কর্মীদের অর্থনৈতিক এবং উৎসাহমূলক পুরষ্কার দিয়ে অনুপ্রাণিত করেন যাতে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের প্রতি দয়িত্বশীল থাকে।

৩. নেটওয়ার্কিং: বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে আমাদের যে দক্ষতাটির প্রয়োজন হয় সেটি হলো নেটওয়ার্কিং। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে যোগ্য, দক্ষ ও সফল মানুষদের সাথে যুক্ত থাকতে পারার সুফল অনেক। চাকরি পাওয়া, পদোন্নতি কিংবা কোন দরকারের সময় সাহায্য পাওয়া নেটওয়ার্কিং সবকিছুকে করে দেয় খুব সহজ।

৪. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি: যে কোন মানুষের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি একটি বিশেষ গুন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যা তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে। জীবনে চলার পথে প্রতিদিনই আমাদেরকে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। কঠিন সময়ে আমাদেরকে সাহস না হারিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। প্রথমে আমাদেরকে ঠিক করতে হবে আমরা আসলে কি চাই, কোন পথে আগালে আমরা সফলতা পাবো এবং সে পথ যত কঠিন হোক না কেন ”আমাদেরকে সেটা পারতে হবে” এই মনোভাব তৈরি করা। 

৫. প্রফেশনালিজম: কর্মক্ষেত্রে যে বিষয়টি নিজের গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দেয় তা হচ্ছে প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব। কারণ, যে কোন দায়িত্ব দিয়ে নির্ভর করা যায় ঐ কর্মীর উপর যার পেশাদারিত্ব রয়েছে। এই নির্ভরতা ঐ ব্যক্তির ক্যারিয়ারে সফলতা নিশ্চিত করে। সময়মত অফিসে উপস্থিত থাকা, যেকোন কাজ সময়মতো করে দেয়া কিংবা সঠিক জায়গায় সঠিক পোষাক পরা, নিজের কোন কাজের ব্যর্থতা থেকে নিজে শিখা অন্যকে দোষারোপ না করা, এই সবই পেশাদারিত্ব বা প্রফেশনালিজমের অন্তর্গত।

৬. টিমওয়ার্ক: দলগত থাকার মানসিকতা বা দলের সবার সাথে মিশে কাজ করার মানসিকতা থাকা বা দক্ষতা থাকা উভয়ই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, নিজের মতামত ঠিকভাবে দিতে পারা এবং দলনেতার নির্দেশনা অনুসারে কাজ করা, এসবকিছুই কর্মজীবনে সফলতা অর্জনে সাহায্য করে।

৭. এডাপ্টিবিলিটি: যেকোন পরিবেশ পরিস্থিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই হচ্ছে এডাপ্টিবিলিটি বা অভিযোজন। অনেক ক্ষেত্রে বয়সসীমা পার হয়ে যাওয়ার চাপ কিংবা নানাবিধ প্রতিকূল অবস্থায় কাজ করে যেতে হয় এরকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে যাওয়ার সক্ষমতা আপনাকে ব্যতিক্রমী ও যোগ্য করে তুলবে।

৮. সৃজনশীলতা ও চিন্তন দক্ষতা: কঠিন সময়ে যিনি চিন্তা করে সহজ সামাধান বের করতে পারে দিন শেষে তিনিই সফলতা অর্জন করেন। সবসময় অন্যের কথা অনুসরণ না করে নিজেকে চিন্তভাবনা করা উচিত। প্রতিযোগীতাপূর্ণ চাকরির বাজারে যে নিজেকে যতটা বেশি সৃষ্টিশীল হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে কর্মক্ষেত্রে তার সফলতার পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ আপনাকে হতে হবে ক্রিয়েটিভ।

৯. কুইক লারনার বা দ্রুত শিখতে পারার সক্ষমতা: কর্মক্ষেত্র বিস্তৃতির সাথে সাথে কাজের ধরণও পরিবর্তিত হচ্ছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই কাজগুলো সহজে আয়ত্বে আনতে না পারলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই প্রয়োজন দ্রুত শিখে নেয়ার ক্ষমতা। কর্মক্ষেত্রে যত দ্রুত কোন প্রয়োজনীয় বিষয় আয়ত্বে এনে তা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় সফলতা তত দ্রুতই হাতে ধরা দেয়।

১০. কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট: কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বা দ্বন্দ ব্যবস্থাপনা যাই বলি না কেন এটি একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় অফিসিয়াল মিটিংএ দেখা যায় একটি বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একেকজন একেক রকম মতামত দিচ্ছে। কেননা সব মানুষের চিন্তা, রুচি, দৃষ্টিভঙ্গি একরকম হয় না। তাই সবার যোগ্যতাকে একসাথে ব্যবহার করতেই এই কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি এসেছে। এক্ষেত্রে সকলে মিলে সেক্রিফাইস মূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি কমন ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় যেটা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক। সবার মধ্যে উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করতে হয়।

এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন), ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপ।

যথাসময়ে হবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যথাসময়ে হবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা

যথাসময়ে হবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

বুধবার (১০ জুলাই) এনটিআরসিএর যুগ্ম-সচিব মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনটিআরসিএর ব্যবস্থাপনায় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই দেশের আটটি বিভাগীয় জেলা শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। জেলাগুলো হলো- ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট।

সময়সূচি অনুযায়ী- ১২ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা হবে। এছাড়া ১৩ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু কুচক্রীমহল বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতকরণ সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এসব অপসংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।

;

উদ্যোক্তা হতে হলে



মাহমুদুল আলম রোহান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণভাবে উদ্যোক্তাকে ব্যবসায়ী ও বলা যেতে পারে। কিন্তু একজন উদ্যোক্তা আর ব্যবসায়ীর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সব উদ্যোক্তাই ব্যবসায়ী, কিন্তু সব ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নন। যেমন, একজন সাধারণ দোকান পরিচালনাকারী ব্যবসায়ী হলেও উদ্যোক্তা নন। তিনি উদ্যোক্তা তখনই হবেন, যখন তিনি মানুষের কোনো একটি সমস্যা গৎবাঁধা নিয়মে সমাধান না করে একটু উদ্ভাবনী উপায়ে সমাধান করবেন।

আরও বিস্তারিতভাবে বললে, উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী এ দুইয়ে মিলেই হয় উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা হওয়ার কোনো বয়স নেই এবং উদ্যোক্তা হতে হলে আর্থিক সামর্থ্য থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে কেউ উদ্যোক্তা হতে পারেন। তবে এজন্য কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

প্রথমেই দরকার হার না মানা মনোভাব। একজন উদ্যোক্তাকে তার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। যেকোনো পরিস্থিতি সামলে ওঠা ও ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণের সামর্থ্য ও পরিবর্তনের মানসিকতা থাকতে হবে। ব্যর্থতার কথা চিন্তা না করে কাজে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে সফল হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সেই সঙ্গে প্রথমেই প্রাথমিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। হতে পারে একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কোনো সমস্যায় পড়েছেন অথবা আশপাশে কেউ অনেকটা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। অথবা সেটা কোনো সামাজিক সমস্যাও হতে পারে। মোটকথা, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং এর একটি উদ্ভাবনী সমাধান দ্রুত বের করা প্রয়োজন।

এর পরের কাজ হলো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের একটি ব্যবসায়িক মডেল দাঁড় করানো। এতটুকু হয়ে গেলেই প্রারম্ভিক কাজ অনেকটা শেষ হয়ে যাবে। এরপর কাজটি এগিয়ে নেওয়া এবং এর একটি সফল পরিণাম দেওয়ার জন্য কিছু টিম গঠন করা যেতে পারে। টিমে ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরের মানুষ যেমন, কেউ বিপণন, কেউ প্রকৌশল, আবার কেউবা সামাজিক বিজ্ঞানের ছাত্র। এতে করে টিমে বৈচিত্র্যতা থাকবে। আবার সক্ষমতা থাকলে ,কেউ নিজেই উদ্যোগটি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।

পরবর্তীতে ব্যবসা সম্প্রসারণ হলে একজন বিপণন কর্মকর্তা, হিসাব কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মানবসম্পদ কর্মকর্তা নিয়ে টিম গঠন করতে পারেন। সমস্যার সমাধান হতে পারে কোনো পণ্য অথবা সেবা নিয়ে।সমাধান নিরূপনে ব্রেইনস্টর্মিং করতে হবে৷ সমাধান যা-ই হোক, তার জন্য প্রথমে একটা প্রটোটাইপ বানাতে হবে। প্রটোটাইপ হলো সমস্যা সমাধানের একটা বাস্তব মডেল, যা সমাধানকে প্রদর্শন করবে ৷

কিছু টিপস

নেটওয়ার্কিং বাড়াতে হবে নিজের পরিচিতজনদের, একই কমিউনিটির মানুষদের মাঝে নিজের উদ্যোগ সম্পর্কে জানাতে হবে যা পরবর্তীকালে ক্রেতা বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে সাহায্য করবে। উদ্যোক্তা হতে হলে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে শিখতে হবে। বিনিয়োগকারী, ক্রেতা এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাসহ আরও অনেকের সঙ্গে। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে ৷ কারও কাছে খুব ভালো আইডিয়া বা ভালো পণ্য আছে,কিন্তু সঠিকভাবে যোগাযোগ বা পণ্যের কার্যকারিতা বোঝাতে না পারলে খুব একটা লাভ হবে না। তাই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে গেলে যোগাযোগে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নেতৃত্বদানের গুণাবলীও অর্জন করতে হবে।

বাস্তব অভিজ্ঞতা

উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী এ দুইয়ের সম্মিলন ঘটাতে এবং সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষে সুবিধাবঞ্চিত বা জীবনমানের মানোন্নয়নে পরিবর্তন আনতে সক্ষম যা কিছু অনেকে চোখে দেখে ও বাস্তবে দেখতে পায় না এরকম উদ্যোগ কয়েকজন সমমনা তরুণ মিলে পরিকল্পনা শুরু করি৷ অনেকগুলো উদ্যোগের মাঝে আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি পাঠদান শুরু করি যা আমাদের কাছে একইসাথে গ্রহণযোগ্য ও সেবামূলক সামাজিক উদ্যোগ মনে হয়েছে ৷

কটূক্তির জবাব দিতে গিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার দৃষ্টান্ত

আমার পরিচিত ৪ বন্ধু তারা প্রত্যেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী। একদিন চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট থেকে টিশার্ট ক্রয় করতে যেয়ে ব্যর্থ হয়৷ স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে মোটা হওয়াতে বিক্রেতা ‘হাতি সাইজের জামা পাওয়া যায় না’- জামা কিনতে গিয়ে এমন কটূক্তি শুনে তারা নিজেরাই নামলেন ব্যবসায়। তাদের এখন নিজেদেরই টিশার্ট বিক্রির অনলাইন পেজ আছে যেখানে ৩XL পর্যন্ত সাইজ পাওয়া যায়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম শহরে টিশার্ট বিক্রির জন্য বেশ সমাদৃত ৷

এ দৃষ্টান্ত থেকে আমরা বলতেই পারি, পরিবর্তনের প্রত্যয়ে হোক আমাদের নিরন্তর পথচলা!

লেখক: শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

;

মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রিয়তার নতুন অর্জন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ প্রিয়তা ইফতেখার

ছবি: মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ প্রিয়তা ইফতেখার

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) থেকে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ প্রিয়তা ইফতেখার। মাস্টার অব স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে (এক্সটেনশন) পড়েছেন তিনি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে যারা ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চান তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এটি। ডিজিটাল যুগে গবেষণা, মূল্যায়ন এবং নৈতিক তথ্য বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে উন্নত পাবলিক কমিউনিকেশন অনুশীলন করানো হয় এতে। এ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অধ্যয়নের পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করার অনুমতি রয়েছে।

প্রিয়তা ইফতেখার বলেন, ‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করলাম। স্নাতকোত্তর একাডেমিক এক্সিলেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ পেয়ে ২০২২ সালের আগস্টে স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে মাস্টার্স শুরু করি। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছে ইউটিএস কর্তৃপক্ষ। পরিবারে আমিই প্রথম কোনও বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর বিদেশি ডিগ্রি অর্জন করেছি।’

প্রিয়তার পরিবার থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। ইউটিএস-এ অধ্যয়নের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে ও পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পেরেছেন তিনি। তার কথায়, ‘আমার বাবা-মা উভয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে স্নাতক করেন। তবে তারা সমাবর্তন মিস করেছেন। তাই মা কোনও স্নাতকের ছবি দেখলেই ভাবতেন, আমাকে সমাবর্তনের গাউন পরা দেখে যেতে পারবেন কিনা।’

প্রিয়তার মা জীবদ্দশায় মেয়ের সেই অর্জন দেখে যেতে পারেননি। তার বাবা-মা দুই জনই মারা গেছেন। তাদের স্মৃতি বহনের পরিকল্পনা থেকে ইউটিএস-এর সমাবর্তনে বিশেষ একটি শাড়ি পরে প্রিয়তা। ২০০৫ সালে তার মাকে তার বাবা এটি উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই শাড়িতে কালো, সাদা, সবুজ ও লাল প্যাটার্ন রয়েছে, যা যুদ্ধ ও গণহত্যার বার্তা তুলে ধরে। এর রঙ বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন উভয় দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গণহত্যার প্রতিবাদ এবং শান্তির আহ্বানে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হতে এই শাড়ি পরেন তিনি। এতে একইসঙ্গে ১৯৭১ ও ২০২৪ দুটি ভিন্ন সময়ের গল্প ফুটে উঠেছে।’

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি শহরে অবস্থিত ইউটিএস দেশটির সরকারের অর্থায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি মূলত ব্যবহারিক ও শিল্প-সংযুক্ত শিক্ষার ওপর কাজ করে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংস ২০২৪ অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় নবম এবং বিশ্বে ৮৮তম স্থানে রয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত নূরজাহান বেগমের নাতনি প্রিয়তা ইফতেখার। তার নানা কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা রোকনুজ্জামান খান (দাদাভাই)। ২০০৮ সালে ‘দ্য ফ্ল্যাগ গার্ল’ নামের একটি নেটওয়ার্ক গড়েন তিনি। এর মাধ্যমে ভ্রমণ বিষয়ে নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসুরা এই নেটওয়ার্কের সদস্য।

শ্রীলঙ্কায় প্রথম বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন প্রিয়তা। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২০০’রও বেশি শহরে বেড়ানো হয়েছে তার। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার ঝুলিতে রয়েছে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়, মালয়েশিয়ায় মিস ট্যুরিজম ওয়ার্ল্ড, মিস ল্যান্ডস্কেপস ইন্টারন্যাশনাল ও মিস মাল্টিন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা।

;

৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে এ ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। 

এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বুধবার কিংবা বৃহস্পতিবার পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হবে। তবে ফল তৈরির কাজ শেষের দিকে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাতেই ফল প্রকাশ করা হলো।

ফলাফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ নামক সেবাবক্সে এবং http://ngi.teletalk.com.bd লিংকে পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও নির্বাচিত প্রার্থীরা অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফলাফল দেখতে পারবেন। একইভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজ প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত প্রার্থীদের তথ্য দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬টি। মাদ্রাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ মে।

তবে এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ পেতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ প্রার্থীর। যাচাইবাছাইয়ে তাদের মধ্যেও অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সে হিসাবে আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজারের মধ্যে। অর্থাৎ শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।

জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। ফলে আবেদন আরও কমেছে। এ ছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

;