মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ৪০৩২ জন নিয়োগ



ক্যারিয়ার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর আওতাধীন অফিস/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য রাজস্বখাতে শূন্যপদের বিপরীতে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য ২৮ টি পদে ৪০৩২ জনকে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহবান করেছে।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (পদার্থ)

পদ সংখ্যা: ১০৯ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (রসায়ন)

পদ সংখ্যা: ১২০ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (জীববিজ্ঞান)

পদ সংখ্যা: ৩১ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (প্রাণিবিদ্যা)

পদ সংখ্যা: ১০৯ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (উদ্ভিদবিদ্যা)

পদ সংখ্যা: ৯৬ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (ভূগোল)

পদ সংখ্যা: ১৩ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

  

পদের নাম: প্রদর্শক (মৃক্তিকা বিজ্ঞান)

পদ সংখ্যা: ০৫ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (গণিত)

পদ সংখ্যা: ২২ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (গার্হ্যস্থ)

পদ সংখ্যা: ০৮ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: প্রদর্শক (কৃষি)

পদ সংখ্যা: ০১ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট  বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্ননাত ডিগ্রী স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: গবেষণা সহকারী (কলেজ)

পদ সংখ্যা: ২১ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: শিক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রী অথবা ডিপ্লোমাসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি  অথবা শিক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার

পদ সংখ্যা: ৬৯ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে দ্বিতীয় শ্রেণির ডিপ্লোমা/ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: ল্যাবরেটরি সহকারী

পদ সংখ্যা: ০৬ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ স্নাতক ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১০।

 

পদের নাম: সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদ সংখ্যা: ০৫ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যন্য দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি, (খ) কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা, (গ) সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি ৮০ (ইংরজি) এবং ৫০ বাংলা, (ঘ) কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে  সর্বনিম্ন গতি ৩০ (ইংরেজি) ও ২৫ (বাংলা)।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৩।

 

পদের নাম: সাঁর্টমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদ সংখ্যা: ০৪ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি, (খ) কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা, (গ) সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ (ইংরজি) এবং ৪৫ বাংলা, (ঘ) কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে  সর্বনিম্ন গতি ৩০ (ইংরেজি) ও ২৫ (বাংলা)।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৪।

 

পদের নাম: উচ্চমান সহকারী

পদ সংখ্যা: ৮৫ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি, (খ) কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা, (গ) কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে  সর্বনিম্ন গতি ৩০ (ইংরেজি) ও ২৫ (বাংলা)।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৪।

 

পদের নাম: অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদ সংখ্যা: ৫১৩ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: (ক) কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এইচ.এস সি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; (খ) কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা, (গ) কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে  সর্বনিম্ন গতি ২০ (ইংরেজি) ও ২০ (বাংলা)।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৬।

 

পদের নাম: ক্যাশিয়ার/স্টোর কিপার

পদ সংখ্যা: ৩৪ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচ.এস সি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৬।

 

পদের নাম: হিসাব সহকারী

পদ সংখ্যা: ১০৬ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে এইচ.এস সি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৬।

 

পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদ সংখ্যা: ৮৫ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে এইচ.এস সি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৬।

 

পদের নাম: স্টোর কিপার

পদ সংখ্যা: ৫০ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচ.এস সি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৬।

 

পদের নাম: মেকানিক কাম ইলেকট্রিশিয়ান

পদ সংখ্যা: ৩৩ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এস,এস.সি/সমমানসহ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে ‘বি’ গ্রুপে ট্রেড কোর্সের  সার্টিফিকেট

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৬।

 

পদের নাম: গাড়ী চালক

পদ সংখ্যা: ১১ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি/সমমান পাস এবং হালকা ও ভারী যানবাহন চালনার বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীর অগ্রাধিকার।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৬।

 

পদের নাম: বুক সর্টার

পদ সংখ্যা: ৪৬ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এস.এস.সি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ গ্রন্থাগারিক সমিতির সাটিফিকেটপ্রাপ্ত অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার।

বেতন স্কেল: গ্রেড-১৯।

 

পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদ সংখ্যা: ১৯৩২ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোন স্বীকৃত বোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

বেতন স্কেল: গ্রেড-২০।

 

পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী

পদ সংখ্যা: ২৫৫ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:অষ্টম শ্রেণি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: গ্রেড-২০।

 

পদের নাম: মালী

পদ সংখ্যা: ১০০ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

বেতন স্কেল: গ্রেড-২০।

 

পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী

পদ সংখ্যা: ১৬৩ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: পঞ্চম শ্রেণি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

বেতন স্কেল: গ্রেড-২০।

 

আবেদনের নিয়ম: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট dshe.gov.bd অথবা টেলিটকের ওয়েবসাইট dshe.teletalk.com.bd মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন শুরু তারিখ: ০১ নভেম্বর ২০২০।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ।

 

বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে

যথাসময়ে হবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যথাসময়ে হবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা

যথাসময়ে হবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

বুধবার (১০ জুলাই) এনটিআরসিএর যুগ্ম-সচিব মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনটিআরসিএর ব্যবস্থাপনায় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই দেশের আটটি বিভাগীয় জেলা শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। জেলাগুলো হলো- ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট।

সময়সূচি অনুযায়ী- ১২ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা হবে। এছাড়া ১৩ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু কুচক্রীমহল বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতকরণ সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এসব অপসংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।

;

উদ্যোক্তা হতে হলে



মাহমুদুল আলম রোহান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণভাবে উদ্যোক্তাকে ব্যবসায়ী ও বলা যেতে পারে। কিন্তু একজন উদ্যোক্তা আর ব্যবসায়ীর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সব উদ্যোক্তাই ব্যবসায়ী, কিন্তু সব ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নন। যেমন, একজন সাধারণ দোকান পরিচালনাকারী ব্যবসায়ী হলেও উদ্যোক্তা নন। তিনি উদ্যোক্তা তখনই হবেন, যখন তিনি মানুষের কোনো একটি সমস্যা গৎবাঁধা নিয়মে সমাধান না করে একটু উদ্ভাবনী উপায়ে সমাধান করবেন।

আরও বিস্তারিতভাবে বললে, উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী এ দুইয়ে মিলেই হয় উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা হওয়ার কোনো বয়স নেই এবং উদ্যোক্তা হতে হলে আর্থিক সামর্থ্য থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে কেউ উদ্যোক্তা হতে পারেন। তবে এজন্য কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

প্রথমেই দরকার হার না মানা মনোভাব। একজন উদ্যোক্তাকে তার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। যেকোনো পরিস্থিতি সামলে ওঠা ও ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণের সামর্থ্য ও পরিবর্তনের মানসিকতা থাকতে হবে। ব্যর্থতার কথা চিন্তা না করে কাজে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে সফল হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সেই সঙ্গে প্রথমেই প্রাথমিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। হতে পারে একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কোনো সমস্যায় পড়েছেন অথবা আশপাশে কেউ অনেকটা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। অথবা সেটা কোনো সামাজিক সমস্যাও হতে পারে। মোটকথা, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং এর একটি উদ্ভাবনী সমাধান দ্রুত বের করা প্রয়োজন।

এর পরের কাজ হলো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের একটি ব্যবসায়িক মডেল দাঁড় করানো। এতটুকু হয়ে গেলেই প্রারম্ভিক কাজ অনেকটা শেষ হয়ে যাবে। এরপর কাজটি এগিয়ে নেওয়া এবং এর একটি সফল পরিণাম দেওয়ার জন্য কিছু টিম গঠন করা যেতে পারে। টিমে ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরের মানুষ যেমন, কেউ বিপণন, কেউ প্রকৌশল, আবার কেউবা সামাজিক বিজ্ঞানের ছাত্র। এতে করে টিমে বৈচিত্র্যতা থাকবে। আবার সক্ষমতা থাকলে ,কেউ নিজেই উদ্যোগটি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।

পরবর্তীতে ব্যবসা সম্প্রসারণ হলে একজন বিপণন কর্মকর্তা, হিসাব কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মানবসম্পদ কর্মকর্তা নিয়ে টিম গঠন করতে পারেন। সমস্যার সমাধান হতে পারে কোনো পণ্য অথবা সেবা নিয়ে।সমাধান নিরূপনে ব্রেইনস্টর্মিং করতে হবে৷ সমাধান যা-ই হোক, তার জন্য প্রথমে একটা প্রটোটাইপ বানাতে হবে। প্রটোটাইপ হলো সমস্যা সমাধানের একটা বাস্তব মডেল, যা সমাধানকে প্রদর্শন করবে ৷

কিছু টিপস

নেটওয়ার্কিং বাড়াতে হবে নিজের পরিচিতজনদের, একই কমিউনিটির মানুষদের মাঝে নিজের উদ্যোগ সম্পর্কে জানাতে হবে যা পরবর্তীকালে ক্রেতা বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে সাহায্য করবে। উদ্যোক্তা হতে হলে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে শিখতে হবে। বিনিয়োগকারী, ক্রেতা এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাসহ আরও অনেকের সঙ্গে। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে ৷ কারও কাছে খুব ভালো আইডিয়া বা ভালো পণ্য আছে,কিন্তু সঠিকভাবে যোগাযোগ বা পণ্যের কার্যকারিতা বোঝাতে না পারলে খুব একটা লাভ হবে না। তাই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে গেলে যোগাযোগে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নেতৃত্বদানের গুণাবলীও অর্জন করতে হবে।

বাস্তব অভিজ্ঞতা

উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী এ দুইয়ের সম্মিলন ঘটাতে এবং সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষে সুবিধাবঞ্চিত বা জীবনমানের মানোন্নয়নে পরিবর্তন আনতে সক্ষম যা কিছু অনেকে চোখে দেখে ও বাস্তবে দেখতে পায় না এরকম উদ্যোগ কয়েকজন সমমনা তরুণ মিলে পরিকল্পনা শুরু করি৷ অনেকগুলো উদ্যোগের মাঝে আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি পাঠদান শুরু করি যা আমাদের কাছে একইসাথে গ্রহণযোগ্য ও সেবামূলক সামাজিক উদ্যোগ মনে হয়েছে ৷

কটূক্তির জবাব দিতে গিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার দৃষ্টান্ত

আমার পরিচিত ৪ বন্ধু তারা প্রত্যেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী। একদিন চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট থেকে টিশার্ট ক্রয় করতে যেয়ে ব্যর্থ হয়৷ স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে মোটা হওয়াতে বিক্রেতা ‘হাতি সাইজের জামা পাওয়া যায় না’- জামা কিনতে গিয়ে এমন কটূক্তি শুনে তারা নিজেরাই নামলেন ব্যবসায়। তাদের এখন নিজেদেরই টিশার্ট বিক্রির অনলাইন পেজ আছে যেখানে ৩XL পর্যন্ত সাইজ পাওয়া যায়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম শহরে টিশার্ট বিক্রির জন্য বেশ সমাদৃত ৷

এ দৃষ্টান্ত থেকে আমরা বলতেই পারি, পরিবর্তনের প্রত্যয়ে হোক আমাদের নিরন্তর পথচলা!

লেখক: শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

;

মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রিয়তার নতুন অর্জন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ প্রিয়তা ইফতেখার

ছবি: মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ প্রিয়তা ইফতেখার

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) থেকে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ প্রিয়তা ইফতেখার। মাস্টার অব স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে (এক্সটেনশন) পড়েছেন তিনি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে যারা ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চান তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এটি। ডিজিটাল যুগে গবেষণা, মূল্যায়ন এবং নৈতিক তথ্য বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে উন্নত পাবলিক কমিউনিকেশন অনুশীলন করানো হয় এতে। এ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অধ্যয়নের পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করার অনুমতি রয়েছে।

প্রিয়তা ইফতেখার বলেন, ‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করলাম। স্নাতকোত্তর একাডেমিক এক্সিলেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ পেয়ে ২০২২ সালের আগস্টে স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে মাস্টার্স শুরু করি। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছে ইউটিএস কর্তৃপক্ষ। পরিবারে আমিই প্রথম কোনও বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর বিদেশি ডিগ্রি অর্জন করেছি।’

প্রিয়তার পরিবার থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। ইউটিএস-এ অধ্যয়নের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে ও পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পেরেছেন তিনি। তার কথায়, ‘আমার বাবা-মা উভয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে স্নাতক করেন। তবে তারা সমাবর্তন মিস করেছেন। তাই মা কোনও স্নাতকের ছবি দেখলেই ভাবতেন, আমাকে সমাবর্তনের গাউন পরা দেখে যেতে পারবেন কিনা।’

প্রিয়তার মা জীবদ্দশায় মেয়ের সেই অর্জন দেখে যেতে পারেননি। তার বাবা-মা দুই জনই মারা গেছেন। তাদের স্মৃতি বহনের পরিকল্পনা থেকে ইউটিএস-এর সমাবর্তনে বিশেষ একটি শাড়ি পরে প্রিয়তা। ২০০৫ সালে তার মাকে তার বাবা এটি উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই শাড়িতে কালো, সাদা, সবুজ ও লাল প্যাটার্ন রয়েছে, যা যুদ্ধ ও গণহত্যার বার্তা তুলে ধরে। এর রঙ বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন উভয় দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গণহত্যার প্রতিবাদ এবং শান্তির আহ্বানে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হতে এই শাড়ি পরেন তিনি। এতে একইসঙ্গে ১৯৭১ ও ২০২৪ দুটি ভিন্ন সময়ের গল্প ফুটে উঠেছে।’

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি শহরে অবস্থিত ইউটিএস দেশটির সরকারের অর্থায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি মূলত ব্যবহারিক ও শিল্প-সংযুক্ত শিক্ষার ওপর কাজ করে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংস ২০২৪ অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় নবম এবং বিশ্বে ৮৮তম স্থানে রয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত নূরজাহান বেগমের নাতনি প্রিয়তা ইফতেখার। তার নানা কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা রোকনুজ্জামান খান (দাদাভাই)। ২০০৮ সালে ‘দ্য ফ্ল্যাগ গার্ল’ নামের একটি নেটওয়ার্ক গড়েন তিনি। এর মাধ্যমে ভ্রমণ বিষয়ে নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসুরা এই নেটওয়ার্কের সদস্য।

শ্রীলঙ্কায় প্রথম বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন প্রিয়তা। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২০০’রও বেশি শহরে বেড়ানো হয়েছে তার। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার ঝুলিতে রয়েছে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়, মালয়েশিয়ায় মিস ট্যুরিজম ওয়ার্ল্ড, মিস ল্যান্ডস্কেপস ইন্টারন্যাশনাল ও মিস মাল্টিন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা।

;

৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে এ ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। 

এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বুধবার কিংবা বৃহস্পতিবার পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হবে। তবে ফল তৈরির কাজ শেষের দিকে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাতেই ফল প্রকাশ করা হলো।

ফলাফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ নামক সেবাবক্সে এবং http://ngi.teletalk.com.bd লিংকে পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও নির্বাচিত প্রার্থীরা অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফলাফল দেখতে পারবেন। একইভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজ প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত প্রার্থীদের তথ্য দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬টি। মাদ্রাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ মে।

তবে এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ পেতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ প্রার্থীর। যাচাইবাছাইয়ে তাদের মধ্যেও অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সে হিসাবে আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজারের মধ্যে। অর্থাৎ শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।

জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। ফলে আবেদন আরও কমেছে। এ ছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

;