সংলাপের দীর্ঘসূত্রিতায় রাকসু নির্বাচন নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’



আব্দুস সবুর লোটাস, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভবন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভবন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে অচল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের মাধ্যমে রাকসু সচলের দাবি জানিয়ে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর রাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রথম দিকে রাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তোড়জোড় দেখালেও ক্রমেই তা ক্ষীণ হয়ে আসে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার পাশাপাশি কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এ নিয়ে কার্যত চুপ থেকেছে প্রশাসন।

প্রায় এক বছর ধরে চলছে রাকসু সংলাপ। ফলে আদৌ নির্বাচন হবে কিনা-এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ছাত্র সংগঠনগুলো ‘ধোঁয়াশা’র মধ্যে রয়েছে।

রাকসু সংলাপ শুরু হলেও ‘ধীরে চলো’ নীতিতে এগিয়েছে প্রশাসন। সংলাপের নামে এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর এখন আর কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচন নিয়ে যে আশার সঞ্চার হয়েছিলো তা সংলাপেই শেষ হয়েছে। দীর্ঘদিনের সংলাপের পর প্রশাসন বলছে, নির্বাচন দেওয়ার মতো ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।

অন্যদিকে, ছাত্র সংগঠনগুলোর অভিযোগ, বর্তমানে ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রশাসন রাকসু সংলাপের মাধ্যমে মূলত কালক্ষেপণ করেছে। সত্যিকার অর্থে প্রশাসন রাকসু চায় না। যে প্রক্রিয়ায় প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, তাতে আদৌ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

জানা যায়, ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৬-৫৭ মেয়াদে। ওই সময় এর নাম ছিল রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (রাসু)। মাঝখানে আইয়ুব খানের শাসনামলে এর কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ১৯৬২ সালে এটি যাত্রা শুরু করে রাকসু নামে। এখন পর্যন্ত ১৪ বার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯-৯০ মেয়াদের জন্য। এর মধ্যে ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। পরে সামরিক শাসনামলে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল রাকসু।

রাকসু সংলাপ কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় রাকসু সংলাপ। দীর্ঘ ৬ মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী-সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে ৪ জুলাই আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে ছাত্র সংগঠনগুলো ও শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি সংলাপ কমিটির কাছে তুলে ধরে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, রাকসু নির্বাচন নিয়ে কিছুদিন আগেও আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। এটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন। ক্যাম্পাসে এখন নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। এখনই নির্বাচন দেওয়ার উপযুক্ত সময়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন দ্রুত কার্যক্রম করছে না তা জানি না। তবে আমরা আবারো প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবি জানাবো।

‘নির্বাচন দেওয়ার মতো ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই’- প্রশাসনের এমন দাবির প্রেক্ষিতে রুনু বলেন, বিগত বছরগুলোতে ক্যাম্পাসে মৌলবাদী ছাত্র শিবিরের যেরকম প্রভাব ও অস্থিতিশীল পরিবেশ ছিলো, তা এখন নেই। এখন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে। আর প্রশাসন যদি মনে করে যে ক্যাম্পাসে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই তাহলে এটি ঠিক নই।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, রাকসু কার্যকর না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকারের কথা বলতে পারছে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংলাপ আয়োজনের পর ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিতের পাশাপাশি দ্রুত তফসিল ঘোষণার আশ্বাস দেন। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত রাখি। পরে আমরা নির্বাচনের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্যাম্পাসে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ’ রয়েছে জানিয়ে নানা টাল-বাহানা শুরু করে তারা। সত্যিকার অর্থে প্রশাসন রাকসু চায় না। কারণ এখন তারা যেভাবে সকল সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারছে, রাকসু সচল থাকলে তা আর পারবে না। তাই মূলত রাকসু হচ্ছে না। নির্বাচনের দাবিতে আমরা আবারও আন্দোলন শুরু করবো।

রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, রাকসু সংলাপ কমিটি গঠনের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও নির্বাচনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। বিভিন্ন সময় কমিটির কাছে জানতে চাইলেও তারা সংলাপের দীর্ঘসূত্রিতার কারণ সম্পর্কে যথার্থ কোন যুক্তি দেখাতে পারেনি। দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাণচঞ্চল ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

রাকসু সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণের দাবি রাকসু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি সংলাপ কমিটি গঠন করে। আমরা ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা করেছি। সবাই রাকসু নির্বাচন চায়। আমরা হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গেও কথা বলেছি। অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষই আবাসিক হলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বলে মত দিয়েছেন। তাছাড়া ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সহাবস্থান নেই। আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা ছিলো রাকসুর সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথা বলা। কিন্তু সমাবর্তন, ভর্তি পরীক্ষার কারণে আমাদের কার্যক্রম সম্পন্ন কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখন ফের নতুন করে হলগুলোতে সংলাপ শুরু করবো।

   

ক্যাম্পাসে কুবি উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝোলালো শিক্ষক সমিতি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মূলফটকের সামনে ও গোলচত্বর সংলগ্ন ডাস্টবিনের উপর উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে কুবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের এ কুশপুত্তলিকা ঝোলানো হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মূল ফটকের মাঝামাঝি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছবি সংবলিত একটি কুশপুত্তলিকা ঝুলানো হয়েছে। এছাড়া গোলচত্ত্বর সংলগ্ন ডাস্টবিনের উপরের কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে আরেকটি কুশপুত্তলিকা ঝুলানো হয়েছে।

কুশপুত্তলিকা ঝুলানোর বিষয় শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলকে বঞ্চিত করেছেন। সকলের মনেই সেজন্য ক্ষোভ জন্মেছে, সে ক্ষোতের বহিঃপ্রকাশ এই কুশপুত্তলিকা। আমরা এটিকে না পুড়িয়ে আজ ডাস্টবিনের উপর প্রতিস্থাপন করেছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষকদের সাথে যে আচরণ করেছেন এবং শিক্ষকদের সাথে যে আচরণ করেছেন তা ডাস্টবিনে নিক্ষেপের মতোই। তারই প্রতিবাদস্বরুপ আমরা তার কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়েছি। তার যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক দূর্নীতি সেগুলোর জন্য আমরা চাই তিনি এই স্থান ত্যাগ করে চলে যাক।'

তিনি আরো বলেন, 'আমরা শিক্ষকেরা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরতে প্রস্তুত। আমরা চাই তিনি আমাদের সে ব্যবস্থা করে দিক।'

;

১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে: জবি উপাচার্য



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে: জবি উপাচার্য

১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে: জবি উপাচার্য

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ক্লাস আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১০ মে) গুচ্ছের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

জবি উপাচার্য বলেন, নতুন বছরের ক্লাস শুরু করা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু করা।

উপাচার্য আরও বলেন, সুষ্ঠুভাবেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলেছেন প্রশ্নের মানও ভালো। আমরা দ্রুত ভর্তির প্রস্তুতি শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। পরবর্তীতে ৩ মে মানবিক বিভাগ ও আজ ১০ মে বাণিজ্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৪র্থ বারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।

এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন করেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী।

;

স্বাভাবিক সময়সূচিতে ক্লাসে ফিরছে জবি, মঙ্গলবারে অনলাইন ক্লাস



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশ ব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় স্বাভাবিক সময়সূচিতে ক্লাস-পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। তব এখন থেকে স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে ক্লাস-পরীক্ষা।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রবিবার (১২ মে) হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। তবে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে।

;

ঢাবিতে মাস্টার্সেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে: উপাচার্য



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্নাতোকোত্তর শ্রেণিতে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শুক্রবার (১০ মে) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের 'নবীনবরণ ও অগ্রায়ন' অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন তিনি ।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. রাশেদা ইরশাদ নাসির এবং এ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ঢাবির লাইব্রেরিতে সবাই এখন বিসিএস এর পড়া পড়তে যায়। দু-একজন হয়তো শ্রেণির বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ, যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচি নির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যান-জ্ঞান হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভর্তি করি, সে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে ভর্তি করার প্রয়োজন আছে কি না তা ভাবতে হবে। এখন কেবল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে পরীক্ষার ভিত্তিতেই মাস্টার্সে ভর্তি করানো আইনগতভাবে বৈধ কি না, তাও আমাদের ভাবতে হবে।

তিনি আরও জানান, মাস্টার্সে যারা যাবে তারা সংখ্যায় বেশি হবে না। যারা বিষয়ের উপর গবেষণা করবে, ক্যারিয়ার নির্মাণ করবে—তারা হয়তো মাস্টার্সে পড়াশোনা করবে।

উপাচার্য আরো বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আগামী বছর থেকে হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত কার্ড পান্স করে প্রবেশ করতে হবে। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমার শেকড় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল বলেই এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। সাংবাদিকতা বিভাগ বৈচিত্রময়। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা নানা জায়গায় অবদান রাখছে।

তিনি আরো বলেন, এখন যে কেউ চাইলে সাংবাদিক হয়ে যান। হাতে একটি ফোন থাকলেই হয়; এটি অপ-সাংবাদিকতা। এসব বিষয় নিয়ে একটি সেমিনার করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চ্যায়ারপার্সন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড.আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, করোনার কারণে অনেকগুলো ব্যাচকে আমরা 'নবীনবরণ ও অগ্রায়ন' দিতে পারিনি। দীর্ঘদিন পর আবারও সে সুযোগ হলো। সামনে তা অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্কসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিভাগের ৯ম, ১০ম, ও ১১ তম ব্যাচকে অগ্রায়ন এবং ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচকে নবীনবরণ দেওয়া হয়।

;