বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীরা পাবেন ১০০ ল্যাপটপ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক/ ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নীতিগত সহায়তা ও পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রয়োজনে সার্বিক সহায়তা দান করবে।

এ সময় তিনি নতুন উদ্ভাবক উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের ১০০ কোটি টাকা ও গবেষণা কর্মের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে বলে জানান।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগ কর্তৃক দুই হাজার ৪০০ জন প্রতিবন্ধী মেধাবীকে একটি করে ল্যাপটপ প্রদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ১০০ জন দরিদ্র কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীকেও একটি করে ল্যাপটপ প্রদানের ঘোষণা দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি (বিইউ) এর স্টার্টআপ অ্যাসিলারেটর কর্তৃক ‘মেকিং সেন্স অব বিগ ডাটা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনাব আ. বারি।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাইট ক্যাসেল পার্টনার্স এর প্রধান নির্বাহী বিজন ইসলাম। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুর হক এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) আনত সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউ’র স্টার্টআপ অ্যাসিলারেটর-এর নির্বাহী উপদেষ্টা টিনা এফ জাবিন।

অনুষ্ঠানে বিইউ’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ কামরুল হাসান, রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মো. মাহবুবুল হক (অব.) ও পরিচালক ইঞ্জি. কাজী তাইফ সাদাত, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, স্টার্ট আপসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ও সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা ও অক্লান্ত কর্মদ্যোগ এবং তা বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের গৃহীত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন পলক। তিনি ২০২৩ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় ও ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের চলমান কর্মকাণ্ডের বিষয়টি সেমিনারে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, রংপুরে আইসিটি পার্ক ছাড়াও দেশে আরও ২৮টি পার্ক নির্মিত হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আইসিটি ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের বিগত ১২ বছরে গৃহীত বিভিন্ন মেগা প্রকল্পসহ সার্বিক উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন ও আইসিটি ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার যে সুযোগ সরকার সৃষ্টি করছে তা গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, স্টার্টআপ অ্যাসিলারেটর প্লাটফর্ম নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের প্লাটফর্ম। এ প্রসঙ্গে তিনি ছয় বছর পূর্বে বিইউতে দেশের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টার ল্যাবের উদ্বোধনের কথা স্মরণ করে বলেন, স্টার্টআপ অ্যাসিলারেটর এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আগ্রহী সকল শিক্ষার্থীকে উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা করার কার্যক্রম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিই প্রথম শুরু করেছে। এক্ষেত্রে তিনি বিইউ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিইউ সময়ের আগে ভাবে, সময়ের আগে বলে’। বিইউ’র উদ্ভাবনী পণ্য বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে দিতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ডাটা অ্যানালাইসিস ল্যাব প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন ও এখানে শুধু বিইউ’র ছাত্র-শিক্ষক নয়, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকও এটি গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া এ ল্যাবে উদ্ভাবিত গবেষণালব্ধ পণ্য বাজারজাতকরণেও আইসিটি বিভাগ ব্যবস্থা নেবে মর্মে ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক জনাব আ. বারি ডাটা, এর ধরণ, ডাটা বিজ্ঞান, প্রক্রিয়াকরণ, সমস্যা সমাধানে এর ব্যবহার, বৃহৎ ডাটা’র, পরিমাণ, গতি, বৈচিত্র্য, নির্ভুলতা ও এর মূল্য এর উপর বিষদ আলোচনা করেন। সর্বক্ষেত্রে ডাটা’র ব্যবহার ও ভবিষ্যৎ ঘটনা প্রবাহ ও পরিবর্তন অনুধাবনে গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। ডাটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ক্ষমতা উদ্যোক্তাদের কীভাবে সহায়তা করবে এবং দেশ ও পৃথিবীর পরিবর্তনে কী ভূমিকা রাখবে তা তিনি স্পষ্ট করেন।

অতিথি বক্তা জনাব বিজন ইসলাম সহজ, পাঠাও, বিকাশ এর সূচনা ও উত্থানে ডেটার ব্যবহারের উপর দৃষ্টিপাত করে ডেটার সঠিক ব্যবহার বা প্রয়োগ বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার ধারনা দেন। উদ্যোক্তাদের বিশ্লেষণ ও ব্যবহারের পরামর্শ দেন, প্রকল্প পরিচালক।

সৈয়দ মজিবর হক তার বক্তব্যে উদ্যোক্তা তৈরি করতে হলে বৃহৎ ডেটা বিশ্লেষণের কৌশল জানা প্রয়োজন উল্লেখ করেন। তিনি ১২০ জন উদ্যোক্তাদেরকে ইতোমধ্যে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে ও সব মিলিয়ে ১০০০ জন উদ্যোক্তাকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে উল্লেখ করেন। তিনি ৫০ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে কীভাবে ব্যয় করা হবে সে বিষয়ে সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান।

হাইটেক পার্কের পরিচালক (প্রশাসন) জনাব শফিকুর রহমান বলেন, হাইটেক কর্তৃপক্ষ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে শুধু হাইটেক, সফটওয়্যার ও টেকনোলজি পার্কের মত সুবিধা সৃষ্টি করছে তা নয়। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক গবেষণা করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাব করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতেও ইনোভেশন ল্যাব করা হবে এবং উদ্যোক্তারা তা ব্যবহারের সুযোগ পাবে।

সেমিনারের শেষ পর্যায়ে আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্বে উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাব দেন সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক জনাব আ. বারি ও অতিথি বক্তা জনাব বিজন ইসলাম।

   

জবির প্রথম বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক ড. আব্দুল মালেক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. মো. আব্দুল মালেক

ড. মো. আব্দুল মালেক

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রথমবারের মতো বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক নতুন এই পদের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ৮ (ণ) ধারা অনুযায়ী ড. মো. আব্দুল মালেককে বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি পরবর্তী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। আদেশটি পহেলা মে থেকে কার্যকর হবে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত সংযোজিত এই পদের পরিচালক হিসেবে ড. মালেক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও কোলাবোরেশান, বিদেশী শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়াবলি তদারকি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে অংশগ্রহণ সহ যাবতীয় বৈদেশিক বিষয়াদি দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে।

এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল মালেক বলেন, আমি আশা করি মাননীয় উপাচার্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি ভালোভাবে পালন করতে পারবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দপ্তরটি একেবারেই নতুন। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে দাপ্তরিক কাজ শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমি প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা, বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশানের নীতিমালা তৈরীর কাজ করবো। 

 

;

ঢাবিতে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (CARASS)- এর উদ্যোগে 'ভাষা আন্দোলন এবং বিশ্বে বাংলাভাষী স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আবির্ভাব' শীর্ষক দু'দিন ব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভাষা আন্দোলনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। লন্ডন কিংস কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জন উইলসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন। অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভাষা বিষয়ে সমন্বিত গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন বাঙালির আত্ম-পরিচয় ও স্বাধিকারের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বহুত্ববাদের আদর্শকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিকৃত ইতিহাস রচনা করে এবং বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অপচেষ্টা চালায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের চেতনাকে জাগ্রত করে। এটি বাঙালির আত্ম-পরিচয়, আত্মমর্যাদা ও জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার জন্য তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। নতুন জ্ঞান বিতরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্যের মাঝে উদ্দীপনা জাগাতে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

;

আনন্দমুখর পরিবেশে সিআইইউতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আনন্দমুখর পরিবেশে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর সামার সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সোমবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ১১টা পর্যন্ত। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা অংশ নেন মৌখিক পরীক্ষায়।

এর আগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। তিনি এসময় গবেষণা, দক্ষতা ও নিত্য-নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে তাঁর প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর বলে অভিভাবকদের জানান।

সকালে পরীক্ষার হলগুলো ঘুরে দেখেন সিআইইউ বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুর কাদের, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. রুবেল সেনগুপ্ত, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের সহকারী ডিন সার্মেন রড্রিক্স, স্কুল অব ল’র সহকারী ডিন নাজনীন আকতার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের দুই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছেন কিংবা যারা ভর্তির পর সেমিস্টারগুলোতে ভালো ফলাফল করবেন, তাদের জন্য এখানে রয়েছে স্কলারশিপের নানান সুযোগ।

তাসনিয়া দোহা চৌধুরী নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন,ভালো উচ্চশিক্ষার জন্য সবাই এখন চিন্তিত। আর তার জন্য চাই ভালোমানের প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে যে ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে, তার ভেতর সিআইইউ আমার বরাবরই পছন্দের। আশা করছি, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যেতে পারবো।

 

;

জাবির ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচনে ৩০ জনের মনোনয়নপত্র জমা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয়টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৩০ জন প্রার্থী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ২টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন পদে জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সর্বমোট ৭ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, অধ্যাপক মাহবুব কবির, অধ্যাপক আতাউর রহমান ও অধ্যাপক মো. এনামউল্যা এবং গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রব।

কলা ও মানবিকী অনুষদ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সর্বমোট ৪ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা ও অধ্যাপক খো: লুৎফুল এলাহী এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।

জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন পদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন্য প্রার্থী৷ তারা হলেন, উদ্ভিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূহু আলম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ডিন পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সর্বমোট ৯ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল বাসেত, সহযোগী অধ্যাপক নাফিজা ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা, অধ্যাপক কাশেদুল ওহাব তুহিন, সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক রাকিবুল হাসান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক ইউসুফ হারুন এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাহ উদ্দিন রাজিব।

এছাড়া আইন অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনের জন্য একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস ।

প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে আগামি ০২ মে বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে কোনো প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাইলে আগামী ৬ মে দুপুর ২টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রার্থী লিখিত আবেদনের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন৷ এরপর আগামি ৭ মে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আগামি ১৫ মে ছয়টি অনুষদে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;