বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও সত্ত্বের ওপর জোর দিতে হবে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও সত্ত্বের (রিসার্চ অ্যান্ড প্যাটেন্ট) বিষয়ে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত হলেও এর সফলতা মূলত কৌশলগত প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করছে। সঙ্গত কারণেই আমাদের টেকনোলজি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মানসম্মত গবেষণা করতে হবে। আর তা হবে জনকল্যাণের অভিপ্রায়ে। আর প্যাটেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এবিষয়ে কাজ করছি।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেন এসব কথা বলেন।

চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) উদ্যোগে 'সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০' শীর্ষক এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা, এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০৪১ সালে বাংলাদেশ পরিণত হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে।

'আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস করছি। এর স্থপতি হিসেবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তার পরিকল্পনায় আমরা প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের ওপর জোর দিয়েছি। আমাদের বিশাল সম্ভাবনাময় তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে হবে।'

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে মূল হিসেবে ধরে আমরা যদি শিক্ষিত সমাজে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে পারি তাহলে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কঠিন হবে না। এক্ষেত্রে আমরা হবো বিশ্বে রোল মডেল।

এ সময় বাংলাদেশি গ্র্যাজুয়েটদের স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান, অস্ট্রেলিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও উল্লেখ করেন ইউজিসি সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জিইউবি উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, একুশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শর্তই হলো প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জ্ঞান। এটা একটু জটিল। এই বিষয়কে মোকাবেলা করতে পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে।

সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও জিইউবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত কয়েক বছরে মানুষের জীবনযাত্রায় এতটাই পরিবর্তন আসছে, যা আগে কল্পনাও করেনি কেউ। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পেতে ও শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যেই আমরা 'সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০' শীর্ষক এই আয়োজন করেছি।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ফ্লোরিডার আইইইই ফেলো এবং ইইই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ এইচ রশিদ, আইইইই ফেলো ও যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক সজল কে দাস, আইইইই বিডিএস চেয়ার ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন ও জাপানসহ বিশ্বের ১২টি দেশের শতাধিক গবেষক অংশ নিয়েছেন।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া ২০৭টি গবেষণা প্রবন্ধের মধ্য থেকে বাছাই করা ৭৯টি প্রবন্ধ সম্মেলনে মৌখিকভাবে এবং ৩৬টি প্রবন্ধ পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সম্মেলনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবটিক্স অ্যান্ড সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমের ক্ষেত্রে উদ্ভাবিত গবেষণার ফলাফল ও শিল্প প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া আইইইই এক্সপ্লোর ডিজিটাল লাইব্রেরিতে স্থান পাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের গবেষণা প্রবন্ধগুলো।

সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট পাঁচটি প্রবন্ধকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হবে, যা পরবর্তীতে গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালে প্রকাশ পাবে। এছাড়াও সম্মেলনে সেরা প্রবন্ধের জন্য তিনজনকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড হিসেবে 'ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা', 'ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা' এবং 'ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা'র টিকিট দেওয়া হবে।

অন্যদিকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড হিসেবে দেওয়া হবে যথাক্রমে ১০ হাজার, ৬ হাজার এবং ৪ হাজার টাকা। আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে আরো একটি বিশেষ পুরস্কার।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে আইইইই, বাংলাদেশ সেকশন। সম্মেলনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।

   

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপে পড়ানোর দাবি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সংগঠনটির দফতর সম্পাদক সীমান্ত বর্ধন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের সংগ্রামী জনতার পাশে দাঁড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সংহতি গড়ে তোলার দায়িত্ব পৃথিবীর প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। এটি কোনো যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা। প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা বরাবরই সংহতি গড়ে তুলেছে। ফিলিস্তিনের বীর জনতার ওপর ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা এবং অব্যাহত নৃশংসতায় সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতার বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন দেশজুড়ে সংহতি গড়ে তোলার কাজে শুরু থেকে নিযুক্ত।

আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পাঠ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়নের লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় ডাকসু ও ছাত্র ইউনিয়ন ঘোষিত ‘ভিয়েতনাম দিবসের’ সংহতি মিছিল মার্কিন দূতাবাসে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশের গুলিতে ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মতিউল ইসলাম ও মির্জা কাদেরুল ইসলাম শহীদ হন। ২০০২ সালে মির্জা কাদেরুল ইসলাম ও মতিউল ইসলামকে ভিয়েতনামের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয় দেশটির সরকার। পাশাপাশি ভিয়েতনামের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নামকরণও করা হয় এ দুই বীরের নামে।

;

ছাত্রদল নেতাকে পিস্তল দেখিয়ে গুলি করার হুমকি রাবি ছাত্রলীগের



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের কক্ষে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার বন্ধুকে নির্যাতনের পাশাপাশি পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে শাখা ছাত্রদলের দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে আমি ও আমার বন্ধু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের তিনজন নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ আমাদের পেছনে এসে দাঁড়ায়। তাদের দেখে আমরা ক্যাম্পাস থেকে বাইক নিয়ে চলে আসছিলাম। আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া আবাসিক এলাকায় তারা আমাদের পথ রোধ করে তাদের বাইকে আমাকে তুলে নেয়। এরপর তারা আমাকে মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ওই কক্ষে আসেন। এসময় সে আমাকে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এক পর্যায়ে সে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে চড়-থাপ্পর ও মাথায় কিল-ঘুষি মারে। এরপর সে একটা পিস্তল বের করে। পিস্তলে তিনটা গুলি লোড-আনলোড করতে করতে বলে, ‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে’। এমন করতে করতে সে একবার শুট করে। তবে গুলি তখন আনলোড করা ছিল। পরবর্তীতে রাত ১টার দিকে তারা আমাকে সহকারী প্রক্টরের হাতে তুলে দেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর আগে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আমরা তাই সন্দেহজনকভাবে তাকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি।

পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারণ অস্ত্রের রাজনীতি ছাত্রদল করে, এটা ছাত্রলীগ করে না। ছাত্রলীগের হাতে কলম থাকবে, অস্ত্র না।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ফোন পেয়ে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। তারা সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বিনোদপুরে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় মারধর কিংবা নির্যাতনের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মারধরের ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ করলে বিষয়টি দেখব।

;

সাপের কামড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের কামড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম শাকিনুর রহমান সাব্বির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়।

সাব্বিরের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পদ্মার পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাব্বির। এসময় বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ সাব্বিরকে কামড় দেয়। তার বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে মেরে দ্রুত সাব্বিরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

;

জাবিতে প্রথমবারের মত গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর সহযোগিতায় 'নেভিগেটিং কমপ্লেসিটি: ইন্টার ডিসিপ্লিনারি পারসপেক্টিভস অন সোশ্যাল চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ গবেষকদের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন গবেষক রয়েছেন, যা আমাদের জন্য গৌরবের। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪- এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের সাথে যৌথভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে।

এসময় তিনি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স আয়োজনকে প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন যে, এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ এর আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগ একসাথে ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিষয়গুলোর ওপর যৌথ গবেষণা পরিচালনা করা যায়, এটাই আমাদের এই গবেষণা সম্মেলনের প্রয়াস। এ আয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় একটি শুভ সূচনা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে আরো বেশি যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রাথমিক রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নয়টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন শিক্ষক ও গবেষকগণ। মূল আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সোশ্যাল জাস্টিস, গ্লোবালাইজেশন, কালচারাল ডাইভারসিটি, গভার্ন্যান্স এবং টেকনোলজি ও ইনোভেশনের মত চমকপ্রদ কিছু বিষয়।

এদিকে বিকাল ৩টায় আয়োজনের দ্বিতীয় অংশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ৷

কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. দারা শামসুদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল হক ও আইসিটি ডিভিশনের এটুআই প্রকল্পের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ।

উল্লেখ্য, প্রথমবার আয়োজিত এই কনফারেন্সে ৯টি প্লেনারি সেশনে ৭০ টি গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার সারসংক্ষেপ করেন।

কনফারেন্স উপলক্ষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রকাশিত বই এবং বিভাগের জার্নাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মে এবং ৭ মে দুইদিন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশনে আয়োজনে বইমেলা চলছে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ইউপিএল তাদের সমস্ত বইয়ে শিক্ষকদের জন্য ৩০ শতাংশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ শতাংশ ছাড় দিবে।

;