সিঁড়িতেই ক্লাস নিলেন আকুতি জানানো সেই শিক্ষক



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সিঁড়িতেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন রুশাদ ফরিদী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সিঁড়িতেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন রুশাদ ফরিদী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্লাসে ফেরার আকুতি জানিয়ে তিন দিন ধরে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে অবস্থানকারী রুশাদ ফরিদী নামক সেই ঢাবি শিক্ষক সিঁড়িতেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী তার ক্লাসে অংশ নেন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান ভবনের সিঁড়িতে ক্লাস নেন অর্থনীতি বিভাগের এই শিক্ষক। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি তার ক্লাস পরিচালনা করেন। প্রথম দিন পরিসংখ্যানের বেসিক পাঠ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানা যায়। 

এর আগে ক্লাসে ফেরার আকুতি জানিয়ে প্ল্যাকার্ড বহন করে অবস্থান করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহকারী অধ্যাপক। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে রাখার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আদালতের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ক্লাসে ফিরতে না পেরে গত তিনদিন ধরে বিভাগের চেয়ারপারসনের কক্ষের সামনে অবস্থান করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষককে ৯০ দিনের বেশি বাধ্যতামূলক ছুটিতে রাখার বিধান নেই।

এদিকে গত ২৫ আগস্ট এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রুশাদ ফরিদীকে বিভাগে যোগদানে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনি জটিলতা দেখিয়ে তাকে ক্লাস নিতে দিচ্ছে না।

হাইকোর্টের রায়ের তিন মাস অতিক্রম করার পরও ক্লাসে ফিরতে না পেরে প্রতিবাদ হিসাবে গত মঙ্গলবার থেকে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে একটি প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি। প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, ‘আমি শিক্ষক, আমাকে ক্লাসে যেতে দিন।’

রুশাদ ফরিদীর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসহযোগিতার জন্যে তিনি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্ত ছাড়াই তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি বিভাগের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেন বলে তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলকভাবে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে। 

তার বাধ্যতামূলক ছুটির কারণ হিসাবে জানা যায়, ২০১৭ সালে রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ওই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক। তাদের অভিযোগ ছিল রুশাদ ফরিদী শিক্ষকসুলভ আচরণ করেন না। শিক্ষার্থীদের কাছে বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সে সময় বিভাগে জরুরী বৈঠক ডাকা হয়। পরে বিভাগ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট সুপারিশ করা হয়।

জানা যায়, বিভাগীয় শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০১৭ সালের ১২ জুলাই তাকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিতে পাঠানোর চিঠি দেয় সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের পর তা পুনর্বিবেচনার দাবিতে ভিসি, প্রো-ভিসি (শিক্ষা), প্রো-ভিসি (প্রশাসন), রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর উকিল নোটিশ পাঠান। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাড়া না দিলে একই বছরের ১৩ জুলাই তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেন।

২৪ জুলাই সিদ্ধান্তটি কেন অবৈধ নয় সেটি জানাতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেন। দীর্ঘ শুনানির পর চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্টের বেঞ্চ ড. রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের দেয়া আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে একইসঙ্গে তাকে কাজে যোগদান করারও নির্দেশ দেন। তবে আদালতের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি এখনও না আসায় সোমবার তিনি তার আইনজীবীর রায়ের সার্টিফিকেট ও যোগদানের কাগজপত্র বিভাগের অফিসে জমা দিতে গেলে অফিসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা জানান চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া কোনো চিঠি রিসিভ করা যাবে না। তখন তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করলে চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া চিঠি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রায়ের বিষয়টিকে আইনি প্রক্রিয়া উল্লেখ করে রায়ের কপি আসলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

বার্তা২৪.কম-কে রুশাদ ফরিদী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের বেশি বাধ্যতামূলক ছুটিতে কাউকে রাখা যায় না। তারপরও আমি ৭০০ থেকে ৮০০ দিনের বেশি ছুটিতে আছি। আমি নির্দোষ, আমাকে অন্যায় ভাবে দু’বছর ধরে হেনস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু মামলার রায় হওয়ার পরও তাদের এখনো বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখছি না। তাই আমি প্রতিবাদ হিসাবে অবস্থান করে আসছি।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শফিকুজ্জামান বিষয়টি সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আদালতের ব্যাপার দাবি করে বলেন, উনার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে জড়িত। মামলা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে, আমাদের বিভাগের সাথে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যা বলবে আমরা তাই করব। তাকে ক্লাসে ফেরার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নাই।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। আইনের প্রতি আমরা সব সময় শ্রদ্ধাশীল। আদালতের আদেশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেলে আমরা পরবর্তীতে ভেবে দেখবো।

   

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যেটা ১৯৯০ সালে তিনি তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিলে হত না। সেদিন তিনি সারা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলে আজ শাসন, শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। রাজাকার ও মৌলবাদীদের হাত থেকে আজ বাংলাদেশ নিষ্পত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী ফিরেছিলেন বলে আজকে বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে পেয়েছে। আপনি জীবনকে তোয়াক্কা না করে সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। তাই আমরা আজ ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, তার এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পরিবর্তন এর সূচনা করেছে। তিনি এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন যখন বাংলাদেশে চলছিল 'কারফু গণতন্ত্র', তখন মিলিটারিরা প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো,যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সামরিক স্বৈরশাসকেরা 'কোন বানেগা ক্রোরপতি' এর মতো টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতো। যখন আমাদের নাগরিক অধিকারের মৌলিক বিষয়বস্তু ভোটের অধিকার যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এই মৌলিক সাংবিধানিক কথাটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সামরিক স্বৈরশাসকেরা অবৈধ দখলের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক তান্ডব চালিয়েছে হত্যাকান্ড করেছে এবং দেশ বিক্রির রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াও এ দেশে সাধারণ মানুষের জীবন জয় বা জীবন বদলে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন এর মাধ্যমে।

সাদ্দাম হোসেন বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকের এই দিনেও আমরা জানি যে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ক্ষমতায় আসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তথা কথিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে এজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলো 'টেকব্যাক বাংলাদেশ' তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণ রেড কার্ড দেখিয়েছে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো 'ত্রুটিপূর্ণ' তারাই আবার গতকাল বলছে আস্থার পুনঃনির্মান। যারা বলেছিল বাংলাদেশে লু হাওয়া প্রবাহিত হবে তারা দেখছে বাংলাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

;

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গবেষণা সেলের আয়োজনে 'রিসার্চ প্রপোজাল রাইটিং' শীর্ষক গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তখনই এগিয়ে যাবে যখন তরুণ শিক্ষকরা গবেষণায় উৎসাহিত হবে, বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ইনোভেশনের চেষ্টা থাকবে। তবেই গবেষণায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

এছাড়াও ওয়ার্কসপে বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

;

চবি শাটলে পাওয়ারকার ও বগি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রক্টরিয়াল বডির



চবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের সমস্যা সমাধানের লক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে মিটিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এসময় একটি পাওয়ার কার ও একটি বগি বাড়ানোর প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় (সিআরবি) কার্যালয়ে প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের সাথে এই আলোচনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির।

মিটিং এ গৃহীত সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বগি শিডিউল বাড়ানো ও পাওয়ারকার যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে আমরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় একটি ট্রেনের আপ-ডাউন করতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। অন্যদিকে এই রুটে ট্রেনের লাইন একটা হওয়ায় নতুন করে শিডিউল বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই আমরা নতুন বগি সংযোগ ও পাওয়ারকার দেওয়ার কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শাটলে আপাতত যে মালবাহী বগিটি আছে ওইটার পরিবর্তে আপাতত একটা বগি যোগ করার কথা হয়েছে। আর যেকোনো একটা ট্রেনে একটা পাওয়ারকার সংযোগ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেনে বগি বাড়ানোর ব্যাপারগুলো আমাদের হাতে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। হয়ত খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা লাইট ফ্যানগুলো চালু করার চেষ্টা করছি, দেখি কবে চালু করা যায়।

কবে নাগাদ চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটা লিমিটেশন আছে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা চেষ্টা করছি।

;