শিক্ষার্থীদের রক্ষায় শিক্ষকদের মানবপ্রাচীর!

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
শিক্ষার্থীদের রক্ষায় শিক্ষকদের মানবপ্রাচীর!

শিক্ষার্থীদের রক্ষায় শিক্ষকদের মানবপ্রাচীর!

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় শুরু হওয়া মিছিলটি নিয়ে আন্দোলনকারী এখন উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন।

সেখানে অবস্থান করে ভিসি অপসারণে দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তারা। এদিকে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

তবে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যেনো কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি না হয় এজন্য মানব প্রাচীর দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আগলে রেখেছেন জাবির শিক্ষকরা। তারা বলছেন, পুলিশকে কোনো অ্যাকশনে যেতে হলে আগে আমাদের আহত করতে হবে। তারপর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে হবে।

জাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে পুলিশের অবস্থান

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত ৮টায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অফিস বা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলসমূহ ত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের দোকানপাটও বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন, এই সময়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো শিক্ষার্থীর অবস্থান সমীচীন নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ভেতরে অবস্থানরত কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ, মিছিল করতে পারবে না। এছাড়া কোনো অফিস বা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করতে পারবে না।

তবে প্রসাশনের এমন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

   

চবির হলে লোকবল সংকট, ডাইনিং বন্ধ রেখে আন্দোলনে বাবুর্চিরা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের ডাইনিংয়ে লোকবল সংকট নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন হলটির কর্মচারীগণ।

রোববার (১৩ মে) দুপুরের খাবার রান্না বন্ধ রেখে হলের সামনে অবস্থান নেয় বাবুর্চিরা। এতে হলের ডাইনিংয়ে খবার না পেয়ে বিপাকে পড়েন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

হল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে হলের প্রভোস্ট না থাকা ও ডাইনিং থেকে পরপর চারজন কর্মচারীকে অন্যত্র স্থানান্তর করায় সৃষ্টি হয় নানা সমস্যা।

জানা যায়, সহকারী বাবুর্চি, ভোজনালয় সহকারী ও বাবুর্চিসহ মোট ১৭ জন কর্মচারী নিয়ে ডাইনিং পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু গত কয়েকমাসে ৩ জন কর্মচারীকে ওই হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে হল কর্তৃপক্ষ। এর পর সর্বশেষ জামাল উদ্দিন নামের এক ভোজনালয় সহকারীকে হল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। ফলে লোকবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।

হলের ডাইনিং এর ভোজনালয় সহকারী মো ফরহাদ বলেন, আমাদের এখানে এমনিতেই লোকবল সংকট রয়েছে তার পরে আরও একজনকে এখান থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে করে আমাদের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ১৭ জনের জায়গায় ১৩ জন কাজ করছি ফলে আমরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের সময়মত সেবা দিতে না পারায় তারা মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা চাই এখানে যাতে করে দ্রুত লোকবল নিয়োগ দিয়ে আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হলের ডাইনিং ম্যানেজার বখতিয়ার মিয়া জানান, আমাদের ডাইনিংয়ে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে পারছি না। ফলে প্রায় শিক্ষার্থীদের সাথে মনোমালিন্য তৈরি হচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত না নতুন লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয় ডাইনিং বন্ধ থাকবে।

হলটির আবাসিক শিক্ষক সাঈদ বিন কামালের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, হল থেকে কয়েকজন কর্মচারীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এজন্য তারা নতুন লোকবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলব এটা নিয়ে যাতে করে সমস্যাটি সমাধান করা যায়।

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন

;

বেরোবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান মোরশেদ হোসেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচির মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোরশেদ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (১২ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০০৯ অনুসারে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোরশেদ হোসেনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকতা বিভাগে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ওই নিয়োগ আদেশ ১২ মে, ২০২৪ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পরিবর্তিত হলে পরবর্তী সময়ে দায়িত্বে আসা ডিন এ দায়িত্ব পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হয় গত ১০ মার্চ। ওই দিন থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর সই করা পৃথক পৃথক তিনটি পত্রের মাধ্যমে তিন দফায় তিনজন সহকারী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কেউই দায়িত্ব নেননি।

গত প্রায় দুই মাস সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের পদটি শূন্য ছিল। এতে বিভাগের কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেয়। সেশন জটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা ৭ মে (মঙ্গলবার) থেকে বিভাগের প্রধান নিয়োগের দাবিতে লাগাতার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন। ওই ঘটনার পর রোববার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে ওই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেয় প্রশাসন।

 

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন

;

রাবি ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হল প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টায় সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এবং ওই হলের নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই হলের সহ-সভাপতি ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মাদার বখ্শ হল ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। অভিযুক্তরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার মধ্যরাতের সংঘর্ষে নিয়াজ মোর্শেদকে (শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) আমি নাকি সহযোগিতা করেছি। এজন্য রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। তারা আমার হাতে-গালে-মাথায় কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, আমরা সকালে হল থেকে বের হওয়ার সময় দেখি ওই কর্মচারী অন্যপাশে হয়ে ফোনে বলছিল, ‘হলে ওরা আসছে, তিনজন ঢুকছে’। এই কথা শোনার আমরা তার ফোন চেক করি তিনি একটি নাম্বারে কথা বলছিলেন। নম্বরটি ট্রু কলারে চেক করে দেখি সেটা নিয়াজ মোর্শেদ ভাইয়ের নাম্বার। শুধু তাকে নয়, সে ছাত্রদল থেকে সবার কাছে তথ্য পাচার করেছে। এরপর তাকে আমরা হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়ে চলে এসেছি। তাকে কোনো প্রকার মারধর করা হয়নি।

আরেক অভিযুক্ত মাদার বখ্শ ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি বলেন, না এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা বানোয়াট একটা তথ্য, বিভিন্ন জায়গা থেকে এমনটা শুনতে পাচ্ছি। আমি এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ব্যক্তি তথ্য পাচার করছিল তাই তাকে ওরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাৎক্ষণিক হল প্রাধ্যক্ষ এসে তাকে নিয়ে গেছে।

তবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচণ্ড মারধর করে। হলের কর্মচারীকে মারধর করা মানে হল প্রশাসনের উপর আঘাত আনা। আমরা আজ প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব গ্রুপ এবং সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন

;

'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার

'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিভাগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৩’ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন৷ এর আগে গত ০৯ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ড. মো. মনোয়ার হোসেনের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ এ পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনয়নের তথ্য জানায়।

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করে আসছে৷ ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৩টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ৩টিসহ মোট ৬ শাখায় এ পদক প্রদান করা হয়৷ তবে এ বছর তিন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়৷

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ এ পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, যেকোনো স্বীকৃতি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে৷ আমি সম্মানিত বোধ করছি যে, রাষ্ট্র আমাকে এ পদক দিয়ে সম্মানিত করছে। কাজের স্বীকৃতি কাজের পরিধি বাড়িয়ে দেয়। তাই বলতে হয়, এখনো এ দেশের প্রাণ-প্রকৃতির জন্য অনেক কিছুই করার বাকি৷ আমরা প্রজাপতি ও প্রকৃতি নিয়ে ২০১০ থেকে এখন অবধি গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর প্রজাপতি মেলার আয়োজন করে যাচ্ছি৷ প্রজাপতি তার সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি প্রকৃতিতে উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করে। এর মাধ্যমেই উদ্ভিদ বংশবিস্তার করতে সক্ষম হয়। প্রজাপতি টিকে থাকলে সবুজ বন টিকে থাকবে। আর সবুজ বন টিকে থাকলে আমরা অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রাণ-প্রকৃতিকে পরিবেশ রক্ষায় যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। পাখি, জলাশয়, লেক, সাপ, ব্যাঙসহ সকল ধরনের প্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

এদিকে আজ এক অভিনন্দন বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ড. মনোয়ার হোসেন ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৩’ এর জন্য মনোনীত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনন্দিত। এ পদক পরিবেশ বিষয়ে তার গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম ও গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষে উপাচার্য ড. মনোয়ার হোসেনের অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন এর আগে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২০’ লাভ করেন। তিনি প্রজাপতি, মৌমাছি, ফড়িংসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী বিষয়ে অধ্যয়ন, অধ্যাপনা এবং গবেষণা করে আসছেন।

জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়ে থাকে৷

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন

;