জাবিতে ‘শাড়ি অবমাননা’ বিতর্ক, কী বলছেন নারীবাদীরা!



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন আন্দোলনকারীরা

দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন আন্দোলনকারীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবি করে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রোববার উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে আন্দোলনকারীরা।

এতে নারীর পোশাক অবমাননা ও সকল নারীকে হেয় করা হয়েছে দাবি করে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপাচার্যকে সমর্থনকারী নারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করতে গিয়ে শাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। যা নারীর পোশাক ও নারীকে অবমাননার শামিল।

মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘শাড়িতে আগুন লাগানো সব নারীর জন্য বেদনাদায়ক। এর মধ্য দিয়ে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোলনারা আকতার বলেন, ‘নারীর অবয়বে শাড়ি পেঁচিয়ে জনসম্মুখে পুড়িয়ে উল্লাস করা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি নারী সমাজের জন্য পীড়াদায়ক।’

কুশপুত্তলিকা দাহ করার প্রতিবাদে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

মানববন্ধনের পর সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি করেন নারী শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বারতা চক্রবর্তী বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে পদচ্যুত করার জন্য কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এমন কিছু কর্মসূচি অবলম্বন করেছেন, যা নারীর জন্য অবমাননাকর। কর্মসূচির নামে বল প্রয়োগ ও নারীকে অসম্মান করা মেনে নেওয়া যায় না। একজন নারীর ছবি সংযুক্ত করে শাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটান নজিরবিহীন।’

এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

তবে বিষয়টিকে এভাবে দেখতে রাজি নন দেশের শীর্ষ নারী অধিকার কর্মী, সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য নারী শিক্ষকরা।

এ ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে নারী অধিকার কর্মী ও সংগঠক খুশি কবির বলেন, ‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনেক সময় প্রতীকী অবয়ব জ্বালানো হয়। যদি বলা হয় কুশপুত্তলিকা পোড়ানো কারো জন্যই ঠিক না তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু নারী হলে কাজটা করা যাবে না, পুরুষ হলে করা যাবে এ জায়গাটায় আমি কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছিনা। দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা নারী হোক পুরুষ হোক সেটা দুর্নীতির অভিযোগ। নারী হিসেবে কোন বাড়তি সুবিধা পাবে না। এখানে নারী-পুরুষ আলাদা করার সুযোগ নাই। একজন ব্যক্তি যখন কোন দায়িত্ব নিচ্ছে তখন সে ব্যক্তি দায়িত্বটা নিচ্ছে। সে নারী হিসেবেও নিচ্ছে না, পুরুষ হিসেবেও নিচ্ছে না।’

‘নারী আসলে আমরা খুশি হই যে, বিভাজনটা কমে আসছে। তার মানে এই নয় যে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বক্তব্য রাখতে পারবে না, সমালোচনা করতে পারবে না বা অভিযোগ থাকলে তদন্ত করতে পারবে না।’ যোগ করেন তিনি।

শাড়ির পোড়ানো প্রসঙ্গে এই নারী অধিকার কর্মী বলেন, ‘শাড়ি পরেছে, নাকি লুঙ্গি পরেছে, নাকি ধুতি পরেছে, নাকি শার্ট-প্যান্ট পরেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করাটা আমার কাছে খুবই অবান্তর বিষয়। লুঙ্গি পরলে পোড়ানো যাবে, শাড়ি পরলে পোড়ানো যাবেনা, শার্ট-প্যান্ট পরলে পোড়ানো যাবে -আমার কাছে এগুলা কোন যৌক্তিক কথা মনে হয় না।’

‘নারী’ উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করার প্রতিবাদে উপাচার্যপন্থীদের মানববন্ধন

প্রায় একই অভিমত জানালেন নারী অধিকার কর্মী শাহজাদী শামিমা আফজালি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সিনিয়র প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই নারী অধিকার কর্মী বলেন, ‘যখন কোন অভিযোগ উঠে, তদন্ত ও বিচারের প্রশ্ন আসে তখন তো আর কে নারী কে পুরুষ সেটা দেখার সুযোগ থাকেনা। আমি মনে করি কুশপুত্তলিকার পোশাকের কারণে নারী বা শাড়ির অবমাননা হয় এটা বলা যায় না। মহিলা পরিষদও তাই মনে করে।’

জেন্ডার ও কিনশিপ নিয়ে পড়ান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা। তার অভিমত জানতে চাইলে বলেন, ‘এখানে নারীর অবমাননার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ নারী তো কোন সমরুপ ক্যাটাগরি না। নারী উপাচার্যের বিরুদ্ধে এরকম দুর্নীতির অভিযোগ আসছে, প্রমাণিত হলে সেটা বরং নারীর জন্য লজ্জার। কারো বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ ওঠে তখন সে কোন লিঙ্গের কোন বর্ণের কোন গোত্রের সেটা তো দেখার বিষয় না। নারী হলেই যে অপরাধ করবেনা এরকম কথা কি কোথাও আছে? এটা কোন পোশাকের, কোন লিঙ্গের পরিচয়ের সঙ্গে কোন সংযোগ নাই। লিঙ্গের পরিচয়ে তো আমরা কেউ শিক্ষক হইনা।’

শাড়ি ও নারী অবমাননার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘এমন অভিযোগ যারা তোলেন তাদের মেধা ও মনন নিয়ে আমার প্রশ্ন। এটা খুবই হাস্যকর। যে শিক্ষকরা এমন প্রশ্ন তুললেন আমি মনে করি তাদের নিয়োগ নিয়ে এখন আবার রিভিউ করা উচিত, কিভাবে তারা শিক্ষক হলেন!’

   

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যেটা ১৯৯০ সালে তিনি তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিলে হত না। সেদিন তিনি সারা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলে আজ শাসন, শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। রাজাকার ও মৌলবাদীদের হাত থেকে আজ বাংলাদেশ নিষ্পত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী ফিরেছিলেন বলে আজকে বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে পেয়েছে। আপনি জীবনকে তোয়াক্কা না করে সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। তাই আমরা আজ ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, তার এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পরিবর্তন এর সূচনা করেছে। তিনি এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন যখন বাংলাদেশে চলছিল 'কারফু গণতন্ত্র', তখন মিলিটারিরা প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো,যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সামরিক স্বৈরশাসকেরা 'কোন বানেগা ক্রোরপতি' এর মতো টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতো। যখন আমাদের নাগরিক অধিকারের মৌলিক বিষয়বস্তু ভোটের অধিকার যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এই মৌলিক সাংবিধানিক কথাটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সামরিক স্বৈরশাসকেরা অবৈধ দখলের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক তান্ডব চালিয়েছে হত্যাকান্ড করেছে এবং দেশ বিক্রির রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াও এ দেশে সাধারণ মানুষের জীবন জয় বা জীবন বদলে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন এর মাধ্যমে।

সাদ্দাম হোসেন বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকের এই দিনেও আমরা জানি যে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ক্ষমতায় আসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তথা কথিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে এজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলো 'টেকব্যাক বাংলাদেশ' তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণ রেড কার্ড দেখিয়েছে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো 'ত্রুটিপূর্ণ' তারাই আবার গতকাল বলছে আস্থার পুনঃনির্মান। যারা বলেছিল বাংলাদেশে লু হাওয়া প্রবাহিত হবে তারা দেখছে বাংলাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

;

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গবেষণা সেলের আয়োজনে 'রিসার্চ প্রপোজাল রাইটিং' শীর্ষক গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তখনই এগিয়ে যাবে যখন তরুণ শিক্ষকরা গবেষণায় উৎসাহিত হবে, বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ইনোভেশনের চেষ্টা থাকবে। তবেই গবেষণায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

এছাড়াও ওয়ার্কসপে বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

;

চবি শাটলে পাওয়ারকার ও বগি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রক্টরিয়াল বডির



চবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের সমস্যা সমাধানের লক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে মিটিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এসময় একটি পাওয়ার কার ও একটি বগি বাড়ানোর প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় (সিআরবি) কার্যালয়ে প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের সাথে এই আলোচনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির।

মিটিং এ গৃহীত সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বগি শিডিউল বাড়ানো ও পাওয়ারকার যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে আমরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় একটি ট্রেনের আপ-ডাউন করতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। অন্যদিকে এই রুটে ট্রেনের লাইন একটা হওয়ায় নতুন করে শিডিউল বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই আমরা নতুন বগি সংযোগ ও পাওয়ারকার দেওয়ার কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শাটলে আপাতত যে মালবাহী বগিটি আছে ওইটার পরিবর্তে আপাতত একটা বগি যোগ করার কথা হয়েছে। আর যেকোনো একটা ট্রেনে একটা পাওয়ারকার সংযোগ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেনে বগি বাড়ানোর ব্যাপারগুলো আমাদের হাতে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। হয়ত খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা লাইট ফ্যানগুলো চালু করার চেষ্টা করছি, দেখি কবে চালু করা যায়।

কবে নাগাদ চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটা লিমিটেশন আছে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা চেষ্টা করছি।

;