বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
উদযাপিত হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

উদযাপিত হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উন্নয়নের জন্য সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন’ স্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, নাটক পরিবেশনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা উৎসব।

রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টা ১০মিনিটে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্টার, চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, বাংলাবাজার ওভারব্রিজ পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় গেট দিয়ে প্রবেশ করে শেষ হয়। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা নানা রঙ-বেরঙের টি-শার্ট ও শাড়ি পরে নেচে গেয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ নিজস্ব বিভাগীয় ব্যানারে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

র‌্যালি শেষে সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে ২য় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০১৯ এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এতে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ও অন্যান্য শিল্প কর্ম স্থান পায়। উল্লেখ্য, আজ শুরু হওয়া ২য় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী-২০১৯ প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বেলা ৩টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ২৮ অক্টোবর প্রদর্শনীটির সমাপ্ত হবে।

এরপর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সার্বিক সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ প্রতিষ্ঠিত। একাডেমিকভাবে সেশনজট মুক্ত, কারিকুলামের আধুনিকায়ন ও মেধাবী শিক্ষকবৃন্দের প্রয়াসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ সকল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের ভর্তির জন্য মূল আকর্ষণ। এছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর কোন র‌্যাগিং ও অন্য রকম অন্যায় আচরণের ঘটনা সংঘটিত হয় না। এই সকল ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সজাগ রয়েছেন।'

তিনি আরো বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে ১০৪ জন অধ্যাপকের মধ্যে ১০১ জন অধ্যাপক পি.এইচ.ডি ডিগ্রিধারী বাকি ৩জনের ডিগ্রি প্রক্রিয়াধীন। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২০ সালের জুন মাসের পর কোন শিক্ষক পি.এইচ.ডি ডিগ্রি ছাড়া অধ্যাপক পদে প্রমোশন পাবে না। গবেষণায় তরুণ শিক্ষকবৃন্দ অনেক এগিয়ে গিয়েছে, প্রায় শতাধিক শিক্ষক ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডার মতো দেশে তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করছেন এবং কেউ কেউ ডিগ্রি সম্পন্ন করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।'

জগন্নাথ দিবস উদযাপন
ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম 

আলোচনা সভায় রেজিস্টার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান-এর সঞ্চালনায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ শওকত জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদা আক্তার খানম, আইন অনুষদের ডিন খ্রীস্টিন রিচার্ডসনসহ অনেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

পরে ১১.৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগের তদারকিতে শুন্যন নাট্যদলের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটক 'লাল জমিন' পরিবেশিত হয়।

এছাড়াও ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজিত হয়। প্রদর্শনীতে ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ বার্তার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও প্রকাশনা প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থ, বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ থেকে প্রকাশিত জার্নাল, শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ ও অন্যান্য মুদ্রণ উপকরণ স্থান পায়।

দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ব্যান্ড ও লোক গানের দলের ‘অভিকর্ষ’, ‘ট্রাভেলার্স’, ‘মনের মানুষ’, ‘আবোল-তাবোল’, ‘স্বপ্নবাজি’, এবং ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ ব্যান্ডদল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধারাবাহকিভাবে গান পরিবেশন করছে। শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌদ্দবছর পূর্তি উদযাপন করে।

এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটস কর্তৃক উপাচার্যকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বাঁধন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালিত হয়।
উল্লেখ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনসমূহ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।

   

জবির প্রথম বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক ড. আব্দুল মালেক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. মো. আব্দুল মালেক

ড. মো. আব্দুল মালেক

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রথমবারের মতো বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক নতুন এই পদের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ৮ (ণ) ধারা অনুযায়ী ড. মো. আব্দুল মালেককে বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি পরবর্তী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। আদেশটি পহেলা মে থেকে কার্যকর হবে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত সংযোজিত এই পদের পরিচালক হিসেবে ড. মালেক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও কোলাবোরেশান, বিদেশী শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়াবলি তদারকি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে অংশগ্রহণ সহ যাবতীয় বৈদেশিক বিষয়াদি দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে।

এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল মালেক বলেন, আমি আশা করি মাননীয় উপাচার্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি ভালোভাবে পালন করতে পারবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দপ্তরটি একেবারেই নতুন। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে দাপ্তরিক কাজ শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমি প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা, বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশানের নীতিমালা তৈরীর কাজ করবো। 

 

;

ঢাবিতে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (CARASS)- এর উদ্যোগে 'ভাষা আন্দোলন এবং বিশ্বে বাংলাভাষী স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আবির্ভাব' শীর্ষক দু'দিন ব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভাষা আন্দোলনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। লন্ডন কিংস কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জন উইলসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন। অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভাষা বিষয়ে সমন্বিত গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন বাঙালির আত্ম-পরিচয় ও স্বাধিকারের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বহুত্ববাদের আদর্শকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিকৃত ইতিহাস রচনা করে এবং বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অপচেষ্টা চালায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের চেতনাকে জাগ্রত করে। এটি বাঙালির আত্ম-পরিচয়, আত্মমর্যাদা ও জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার জন্য তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। নতুন জ্ঞান বিতরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্যের মাঝে উদ্দীপনা জাগাতে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

;

আনন্দমুখর পরিবেশে সিআইইউতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আনন্দমুখর পরিবেশে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর সামার সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সোমবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ১১টা পর্যন্ত। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা অংশ নেন মৌখিক পরীক্ষায়।

এর আগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। তিনি এসময় গবেষণা, দক্ষতা ও নিত্য-নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে তাঁর প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর বলে অভিভাবকদের জানান।

সকালে পরীক্ষার হলগুলো ঘুরে দেখেন সিআইইউ বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুর কাদের, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. রুবেল সেনগুপ্ত, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের সহকারী ডিন সার্মেন রড্রিক্স, স্কুল অব ল’র সহকারী ডিন নাজনীন আকতার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের দুই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছেন কিংবা যারা ভর্তির পর সেমিস্টারগুলোতে ভালো ফলাফল করবেন, তাদের জন্য এখানে রয়েছে স্কলারশিপের নানান সুযোগ।

তাসনিয়া দোহা চৌধুরী নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন,ভালো উচ্চশিক্ষার জন্য সবাই এখন চিন্তিত। আর তার জন্য চাই ভালোমানের প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে যে ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে, তার ভেতর সিআইইউ আমার বরাবরই পছন্দের। আশা করছি, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যেতে পারবো।

 

;

জাবির ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচনে ৩০ জনের মনোনয়নপত্র জমা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয়টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৩০ জন প্রার্থী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ২টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন পদে জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সর্বমোট ৭ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, অধ্যাপক মাহবুব কবির, অধ্যাপক আতাউর রহমান ও অধ্যাপক মো. এনামউল্যা এবং গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রব।

কলা ও মানবিকী অনুষদ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সর্বমোট ৪ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা ও অধ্যাপক খো: লুৎফুল এলাহী এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।

জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন পদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন্য প্রার্থী৷ তারা হলেন, উদ্ভিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূহু আলম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ডিন পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সর্বমোট ৯ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল বাসেত, সহযোগী অধ্যাপক নাফিজা ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা, অধ্যাপক কাশেদুল ওহাব তুহিন, সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক রাকিবুল হাসান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক ইউসুফ হারুন এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাহ উদ্দিন রাজিব।

এছাড়া আইন অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনের জন্য একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস ।

প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে আগামি ০২ মে বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে কোনো প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাইলে আগামী ৬ মে দুপুর ২টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রার্থী লিখিত আবেদনের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন৷ এরপর আগামি ৭ মে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আগামি ১৫ মে ছয়টি অনুষদে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;