জিডি করেছেন বশেমুরবিপ্রবি'র পদত্যাগী সহকারী প্রক্টর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গোপালগঞ্জ
থানায় জিডি করেছেন বশেমুরবিপ্রবি'র পদত্যাগী সহকারী প্রক্টর, ছবি সংগৃহীত

থানায় জিডি করেছেন বশেমুরবিপ্রবি'র পদত্যাগী সহকারী প্রক্টর, ছবি সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পদত্যাগী সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবীর।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় জিডি করেন তিনি। মো. হুমায়ুন কবীর গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি'র সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করি। এ জন্য হুমায়ুন কবীর নাম দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা ফেসবুক আইডি খুলে তার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক, চারিত্রিক ও মানহানিকর বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। অজ্ঞাতনামা (ভিসিপন্থি) ব্যক্তিরা উক্ত ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করছেন। যাতে আমার সামাজিক ও পারিবারিক এবং শিক্ষকতা পেশায় সম্মানহানি হচ্ছে।

আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পন্থিরা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজে পেয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। আমি উক্ত বিষয় নিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। যেকোনো সময় ভিসিপন্থিরা ফেসবুক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচার করে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন। বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে বহিরাগতদের হামলায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ওই দিনই তিনি পদত্যাগ করেন সহকারী প্রক্টর হুমায়ন কবীর।

   

তীব্র দাবদাহে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপাখিদের জন্য 'বিহঙ্গের জল'



গণ বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট, সাভার
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র দাবদাহে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো পশুপাখিদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, পশুপাখিদের জন্য 'বিহঙ্গের জল'!

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গবিসাসের সভাপতি আখলাক ই রাসূলের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদামতলা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়।

এরপর বাদামতলা, আমতলা, তালতলা, ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ডসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গাছে প্লাস্টিকের বোতল ঝুলিয়ে এবং মাটির হাড়ি স্থাপন করে পাখি, কুকুর, বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা করে গবিসাস।

পশুপাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় গবিসাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, সাংবাদিক মাত্রই যে মানবিক, তা গবিসাসের এই উদ্যোগ থেকেই বোঝা যায়। বিরূপ আবহাওয়ায় প্রাণীকুলের জন্য পানির ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানাই।

'বিহঙ্গের জল' কর্মসূচিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি- বার্তা২৪.কম

গবিসাসের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, বিগত কয়েকদিনের দাবদাহে ও তাপপ্রবাহে জনজীবনের সঙ্গে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুলও। এর পাশাপাশি পানি সংকটও লক্ষণীয়। তীব্র গরমে ক্যাম্পাসের কুকুর, বিড়াল ও পাখিদের পানির পিপাসা মেটাতেই এবং ফেলনা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের প্রচেষ্টায় গাছে গাছে মাটির হাড়ি এবং পানির বোতল কেটে ঝোলানো হয়েছে।

এসময় উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক এ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। পরবর্তীতে এই ধারা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন তারা।

পানির সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত রোজ পাত্রগুলোতে পানির ব্যবস্থা করা হবে বলে নিশ্চিত করেন গবিসাসের সদস্যরা।

কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবিসাসের সদস্যরা।

 

;

নারী নিপীড়নের অভিযোগে জাবি থিয়েটার সম্পাদককে অব্যাহতি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (অডিটোরিয়াম) সাধারণ সম্পাদক চন্দন সমাদ্দার সোম হিমাদ্রীকে সংগঠনের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের দপ্তর সম্পাদক জায়েদ হোসেন আলিফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (অডিটোরিয়াম) সাধারণ সম্পাদক চন্দন সমাদ্দার সোম হিমাদ্রীর বিরুদ্ধে একটি নিপীড়নের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হলো।

তদন্ত চলাকালে চন্দন সংগঠনের কোন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকবে না। তদন্ত শেষে রিপোর্ট প্রকাশের পর জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার (অডিটোরিয়াম) তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ততদিন পর্যন্ত সংগঠনের যাবতীয় সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া জাহানকে মনোনীত করা হলো। তদন্তকাজে প্রশাসনকে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার যেকোনো ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত কিছুদিন যাবত অনলাইন মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারকে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার, গুজব ও মিথ্যাচার আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (অডিটোরিয়াম) সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নামে যে-সব তথ্য দেয়া হয়েছে, তা নিতান্তই মিথ্যা এবং অতিরঞ্জিত। এর পেছনে অন্তর্নিহিত কোন অসাধু উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি, নিপীড়নের তদন্ত প্রমাণের পূর্বেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ, নানা মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানিমূলক এবং হয়রানিমূলক আচরণ দেখা যাচ্ছে, তা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এর প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উপর ভয়াবহভাবে পড়বে। এ ধরনের মিথ্যাচার, গুজব ও অপপ্রচারের কারণে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার (অডিটোরিয়াম) এসব অপপ্রচারকারী ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার সকলকে আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (অডিটোরিয়াম) সাধারণ সম্পাদক চন্দন সমাদ্দার সোম হিমাদ্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও হিমাদ্রীর মধ্যে ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন হিমাদ্রীর দ্বারা ৪ বার গুরুতরভাবে আহত হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া, আঙুল ভেঙ্গে দেওয়া, মাটিতে ফেলে বুকের উপর বসে গলা চেপে ধরাসহ কথায় কথায় গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টাও করা হয়ে বলে অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়।

আনিত অভিযোগের বিষয়ে চন্দন সমাদ্দার সোম হিমাদ্রী বলেন, এতদিন পরে এসে এইধরনের অভিযোগে আমি বিব্রত এবং বিরক্ত। এতদিন পরে এসে এধরনের কথা আমার জন্য মানহানিকর এবং আমিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং আমার মনে হয় উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মিথ্যামিশ্রিত। তারপরেও যেহেতু আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এসেছে, আমিও চাই এই অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত হোক।

এদিকে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবির জানান, আমরা লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। ইতিমধ্যে দু'জন সহকারি প্রক্টরকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রকৃতি বিশ্বাস। প্রতিবেদন দাখিলের পর প্রয়োজনে নিপীড়নবিরোধী সেলে এ অভিযোগ পাঠানো হতে পারে।

;

ছাত্রলীগের হল সভাপতির কক্ষ দখল, হত্যার হুমকি



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কক্ষ দখল ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একটি আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।

বুধবার (১ মে) রাত ১০টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এই অভিযোগ তুলেন তিনি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে দল থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি শাহ মাখদুম হলের ২০৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মিনহাজুল ইসলাম, শাহ মাখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মিঠু মোহন্ত ও কর্মী ইমন। অভিযুক্তরা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, আমার স্নাতকোত্তরের দুটি পরীক্ষা হয়েছে। এখনো তিনটা বাকি আছে। বাকি পরীক্ষাগুলো ১২ মে এর পরে হবে। আমি মঙ্গলবার আমার জিনিসপত্র নিয়ে ঢাকা চলে এসেছি। ওরা ভেবেছে, আমি হল ছেড়ে চলে এসেছি। এই ভেবে ওরা আমার রুমমেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকেও রুম ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। আমার রুমমেট বলেছে, অপূর্ব ভাইতো হলে আসবে। উনি যেদিন হল ছেড়ে চলে যাবে, আমিও সেদিন চলে যাবো।

তিনি বলেন, এসব জানতে পেরে আমি মিনহাজ ভাইকে কল দিই। তখন উনি আমাকে গালাগালি দিয়ে তর্কাতর্কি করেন। আমি বলি, আমি হলের সভাপতি ভাই। আমার রুমে দশজনও থাকতে পারে। আপনাকে কৈফিয়ত দেবো কেনো? আমি কি বাবু ভাইয়ের কনসার্ন ছাড়া ননপলিটিক্যাল ব্লকে একটা ছেলেকেও তুলেছি? পলিটিক্যাল ব্লকে একটা ছেলেকেও তুলিনি আমি। কমিটি হওয়ার পর থেকে আমি নিষ্ক্রিয়। অভিমান করে আমি আর যাইনা রাজনীতির সাথে।

তখন উনি আমাকে বাবু ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এবং বলেন, তুই বাকি তিনটা পরীক্ষা বাড়ি থেকে দিবি। বিষয়টি বাবু ভাইকে জানালে তিনি বলেন, ঠিক আছে। আমি মিনহাজকে বলে দিচ্ছি। মিনহাজ ভাইকে কল দিলে তিনি বলেন, বাবু ভাই রুম লক করে দিতে বলেছে। তখন আমি বলি, আমার রুমমেটরা কোথায় থাকবে ভাই?’ উনি বলেন, সেটা আমি জানি না। তুই রাজশাহী এসে আমার সঙ্গে দেখা করবি। তারপর সমাধান করবো। আবার বাবু ভাইকে কল দিয়ে বিস্তারিত জানালে তিনি বলেন, ঠিক আছে দেখছি।

এরপরে আমার হলের মিঠু আমাকে কল দিয়ে বলে, ভাই, আপনি নাকি বলেছেন যে, আমার রুমে যে কয়জন গিয়েছে, রাজশাহী গিয়ে তাদের ব্যবস্থা করবো। আমি বললাম, হ্যা, বলেছি। আমার রুমে যাবি কেনো? তখন বলে, ঠিক আছে ভাই। রাজশাহী আসেন। আপনার বাকি তিনটা পরীক্ষা কিভাবে দেন, দেখছি।সবকিছু বাবু ভাইকে জানালেও তিনি ডিরেক্ট কোনো পদক্ষেপ নেননি। এরপরেই আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছি। পোস্ট করার পরে বাবু ভাই আমাকে কল দিয়ে পোস্ট ডিলিট করার কথা বলেছেন। ডিলিট করতে না চাওয়ায় তিনি বলেন, পোস্ট ডিলিট না করলে তোর মত তুই থাক। আর সমাধান করতে পারলে, কর। আমি ঢাকাতেই আছি। সাদ্দাম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো এ বিষয়ে।

রুমমেট দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ও আবাসিক শিক্ষার্থী কিনা জানতে চাইলে তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, আমি আবাসিক। আর ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিন্তু আবাসিক না।

অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গেলে এরকম দুয়েকজনকে রাখা লাগে ভাই। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিরতো ছাত্রত্বই নাই! সে হলে থাকে না? আর আমিতো হলের ভাড়া দিয়ে পাঁচবছর রয়েছি। রাজনৈতিক প্রয়োজনে অন্য হলের ছেলেপেলেও নিয়ে এসে রাখা লাগে। আমার একজন রুমমেটের বাড়ি বিনোদপুরে। নতুন কমিটি হওয়ার পরে এক বড় ভাইয়ের পরামর্শেই আমি ওকে লোকাল ছেলে হিসেবে আমার রুমে রাখছি।

সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে অভিযুক্ত মিঠু মোহন্ত বলেন, আমি না বরং উনিই (অপূর্ব) আমাকে গালাগালি করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। আমরা ওনার রুম দখল করতে যাবো কেনো? বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি সিট বাণিজ্য বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। অপূর্ব ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের অনেক অভিযোগ আছে। মূলত আমাদের কাছে তথ্য ছিলো যে, উনি দশ হাজার টাকার বিনিময়ে একটা ছেলেকে ওনার রুমে রেখেছেন। তাই, আমরা ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি যে, সে টাকার বিনিময়ে হলে আছে কিনা বা আবাসিক কিনা।

তিনি আরও বলেন, ওই ছেলেকে যে উনি হলে তুলেছেন, সেটা হলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও জানেনা। ওই ছেলে পলিটিক্সও করে না, সে অনাবাসিক। উনি (অপূর্ব) সভাপতি বলেতো যা ইচ্ছা, তা করতে পারেন না। এটা পলিটিক্যাল ঝামেলা। উনি ঢাকায় শিফট হওয়ার আগে একটা ঝামেলা করতে চাচ্ছেন।
আরেক অভিযুক্ত মিনহাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে পুরোপুরি অবগত না। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ক্যাম্পাসে ফিরে এটা সমাধানের চেষ্টা করবো।

শাহ মাখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, দুই পক্ষের কেউই আমাকে কিছু বলেনি। রাতে ফেসবুকে অপূর্বের পোস্টটা আমি দেখেছি। এখানে পরস্পর বিরোধী বিষয় আছে। এজন্য আমি আজ সকালে হলে গিয়ে বিষয়টা জানার চেষ্টা করেছি। পুরো বিষয়টা এখনও ক্লিয়ার হতে পারিনি। অপূর্ব নিজেও কিছু ঝামেলা করে রেখে গিয়েছে। এখন ও যেভাবে দোষারোপ করছে, সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটাও একটা বিষয়।

;

কুবিতে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোর্শেদ রায়হান ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পৃথক মানববন্ধন করেছে বিভাগ দুইটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলা অনুষদের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়।

লোক প্রশাসন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'আজকের এই সংকটময় দিনে আমরা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে দাঁড়িয়েছি। গত ২৮ তারিখ যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে আমরা সেটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শিক্ষকরা যেখানে হামলার সম্মুখীন হয়েছে সেটা খুবই লজ্জার। দাবি জানাচ্ছি সব ধরনের  বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটিয়ে ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থী বান্ধব হিসেবে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য।'

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হিজবুল্লাহ আরেফিন তাজবী বলেন, 'একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কিভাবে একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়! এই রকম অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।'

লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাহিদ বলেন, 'আমরা এখানে আমাদের অধিকারের কথা বলতে এসেছি, নিপীড়নের কথা বলতে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে? তিনি (ভিসি) চিন্তা করেছেন এই সময়টাতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলে তার জন্য উপকার হবে। একজন ভাইস চ্যান্সেলর কিভাবে একজনের গায়ে হাত তুলতে পারে? এমন কোনো নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আছে? উনি আমাদের প্রিয় সহকর্মী লতা ম্যামকে অপমান করেছেন। উনি এখানে থাকার সমস্ত যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা আপনাকে আর চাই না। আপনি এখানে আর আসবেন না।' 

মানববন্ধনে উপস্থিত সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ানা বলেন, 'একজন মানুষের ভিতর রাগ বিদ্বেষ থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের ওপর হামলা করতে পারে! এই অবস্থায় কিভাবে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। তার পাশাপাশি আপনি হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো বন্ধ করে দিলেন। এইভাবে শিক্ষার্থীদের কোণঠাসা করার দরকার কি!'

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতি বাঁধা প্রদান করে। একপর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে মারামারি ও উপাচার্যের সাথে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। সে সময় ধাক্কাধাক্কিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতা এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোর্শেদ রায়হান।

;