ডাকসুর ছয় মাস

সফলতা গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিতকরণ: এজিএস



ইমরান হোসাইন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসাইন, ছবি: সংগৃহীত

ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসাইন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেছেন, 'ছয় মাসে ডাকসুর সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে পারা'।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ছয়মাসে নির্বাচিত ডাকসু শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে এবং নির্বাচনের সময় দেওয়া ইশতেহার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এসব নিয়ে কথা হয় এজিএস সাদ্দামের সঙ্গে।

ছয় মাসে ডাকসুর সবচেয়ে বড় সফলতা কী জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'ছয় মাসে ডাকসুর সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে এটির মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখানে সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান আছে। সবাই যে যার মতো করে কর্মসূচি পালন করতে পারছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, গত তিন দশকের মধ্যে (নব্বই পরবর্তী সময়ের পরে) সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক সময় আমরা গত ছয় মাসে কাটিয়েছি।'

অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, 'হয়তো কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি মনে করি, গণতন্ত্রের জয় সবচেয়ে বেশি ডাকসু নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই প্রতিফলিত হয়েছে।'

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ডাকসু তাদের মৌলিক সমস্যাগুলোর কোনো দৃশ্যমান সমাধান করতে পারেনি- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'এসব কিছুর স্থায়ী সমাধান সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে অনেক কাজের অগ্রগতি হয়েছে। জো বাইকের (চক্কর) কাজ এগিয়েছে। পরীক্ষামূলক চালানোর প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষার্থীদের ফি দেওয়ার পক্রিয়াটি আগামী মাসেই ডিজিটাইলাইজেশনের আওতায় আসবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অটোমেশনের আওতায় আনতে আরও চার-পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। কারণ এটা অনেক ধরনের প্রক্রিয়ার বিষয়। লাইব্রেরি সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে আমরা বলেছি, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আগামী বাজেটে লাইব্রেরির জন্য আলাদা বিল উত্থাপন করবেন। এছাড়া পরিবহন সমস্যা নিয়ে আমরা যোগাযোগ মন্ত্রীকে বলেছি। আশা করি, এর একটা সুফল শিক্ষার্থীরা পাবেন। তবে পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেদের মান অক্ষুণ্ণ রেখে দরকষাকষি করে উন্নয়ন বরাদ্দ আরও বাড়ানোর জন্য আমরা আহ্বান জানায়। তাহলেই পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।'

ক্যান্টিনের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, 'ক্যান্টিনের খাবারের মান তুলনামূলক আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। খাবারের মধ্যে বৈচিত্রতা আসছে। খাবারের মূল্য অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে ক্যান্টিন মালিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। স্বল্পমূল্যে কীভাবে খাবার নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।'

হলগুলোতে ছাত্রলীগের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এগুলো অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে প্রচারণা চালানো হয়। তারপরও যদি এমন কোনো কিছু ঘটে থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত আছে।'

গেস্টরুম গণরুম নিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ইশতেহার দিয়েছি, পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা। সেক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেখানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি, নতুন ভবন নির্মাণ করতে।'

সাদ্দাম বলেন, 'গণরুম আসলে একটা বাস্তবতা। এই মুহূর্তে এটি পুরোপুরি তুলে দেওয়া সম্ভব না। গণরুম তুলে দিলে প্রায় পনের হাজার শিক্ষার্থীর থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। সেজন্য আমরা আপাতকালীন সমাধান হিসেবে কীভাবে গণরুমের পরিবেশ উন্নত করা যায়, যেমন ফ্যান, ইন্টারনেট সুবিধাগুলো বৃদ্ধি করতে পেরেছি। ব্লাংক বেড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে সেটা কতটুকু তাদের মাস্টার প্লানের সঙ্গে যায়। টিনশেড নির্মাণ করা যায় কিনা সেটা নিয়েও কথা চলছে।'

ডাকসু অনেকটা সমন্বয়হীন এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'ডাকসু একটা পার্লামেন্টের মতোই কাজ করছে। সমন্বয়হীনতার যে অভিযোগটি আনা হচ্ছে, এটা আমার মনে হয় শুধুমাত্র ডাকসুকে অকার্যকর, ব্যর্থ বলে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা। সমন্বয়হীনতা থেকে থাকলে ভিপির দিক থেকে সমন্বয়হীনতা আছে। তিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যার দিকে মনোযোগ না দিয়ে সাংগঠনিক বিস্তৃতির দিকে মনোযোগ দেন। শিক্ষার্থীদের সমস্যার জন্য কাজ না করে গণফোরামের প্রোগ্রামে যান।'

গত ১১ মার্চ দীর্ঘ ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডাকসু নির্বাচন। ১১ সেপ্টেম্বর ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের মিনি পার্লামেন্ট নামে খ্যাত এই ডাকসু বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।

   

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যেটা ১৯৯০ সালে তিনি তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিলে হত না। সেদিন তিনি সারা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলে আজ শাসন, শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। রাজাকার ও মৌলবাদীদের হাত থেকে আজ বাংলাদেশ নিষ্পত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী ফিরেছিলেন বলে আজকে বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে পেয়েছে। আপনি জীবনকে তোয়াক্কা না করে সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। তাই আমরা আজ ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, তার এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পরিবর্তন এর সূচনা করেছে। তিনি এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন যখন বাংলাদেশে চলছিল 'কারফু গণতন্ত্র', তখন মিলিটারিরা প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো,যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সামরিক স্বৈরশাসকেরা 'কোন বানেগা ক্রোরপতি' এর মতো টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতো। যখন আমাদের নাগরিক অধিকারের মৌলিক বিষয়বস্তু ভোটের অধিকার যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এই মৌলিক সাংবিধানিক কথাটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সামরিক স্বৈরশাসকেরা অবৈধ দখলের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক তান্ডব চালিয়েছে হত্যাকান্ড করেছে এবং দেশ বিক্রির রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াও এ দেশে সাধারণ মানুষের জীবন জয় বা জীবন বদলে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন এর মাধ্যমে।

সাদ্দাম হোসেন বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকের এই দিনেও আমরা জানি যে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ক্ষমতায় আসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তথা কথিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে এজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলো 'টেকব্যাক বাংলাদেশ' তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণ রেড কার্ড দেখিয়েছে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো 'ত্রুটিপূর্ণ' তারাই আবার গতকাল বলছে আস্থার পুনঃনির্মান। যারা বলেছিল বাংলাদেশে লু হাওয়া প্রবাহিত হবে তারা দেখছে বাংলাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

;

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গবেষণা সেলের আয়োজনে 'রিসার্চ প্রপোজাল রাইটিং' শীর্ষক গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তখনই এগিয়ে যাবে যখন তরুণ শিক্ষকরা গবেষণায় উৎসাহিত হবে, বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ইনোভেশনের চেষ্টা থাকবে। তবেই গবেষণায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

এছাড়াও ওয়ার্কসপে বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

;

চবি শাটলে পাওয়ারকার ও বগি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রক্টরিয়াল বডির



চবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের সমস্যা সমাধানের লক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে মিটিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এসময় একটি পাওয়ার কার ও একটি বগি বাড়ানোর প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় (সিআরবি) কার্যালয়ে প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের সাথে এই আলোচনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির।

মিটিং এ গৃহীত সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বগি শিডিউল বাড়ানো ও পাওয়ারকার যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে আমরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় একটি ট্রেনের আপ-ডাউন করতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। অন্যদিকে এই রুটে ট্রেনের লাইন একটা হওয়ায় নতুন করে শিডিউল বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই আমরা নতুন বগি সংযোগ ও পাওয়ারকার দেওয়ার কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শাটলে আপাতত যে মালবাহী বগিটি আছে ওইটার পরিবর্তে আপাতত একটা বগি যোগ করার কথা হয়েছে। আর যেকোনো একটা ট্রেনে একটা পাওয়ারকার সংযোগ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেনে বগি বাড়ানোর ব্যাপারগুলো আমাদের হাতে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। হয়ত খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা লাইট ফ্যানগুলো চালু করার চেষ্টা করছি, দেখি কবে চালু করা যায়।

কবে নাগাদ চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটা লিমিটেশন আছে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা চেষ্টা করছি।

;