রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি হওয়া ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পথনাট্য ‘ছারপোকা’ মঞ্চায়িত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে স্নান চত্বরে এ নাটকের মঞ্চায়ন হয়। রতন সরকার রচিত নাটকটির নিদের্শনায় ছিলেন সাংস্কৃতিক জোটের নাট্য সম্পাদক হাসান খালিদ।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সবসময় বিকৃত করার চেষ্টা করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। এখনো যারা রাজাকারদের আদর্শকে ধারণ করে সমাজে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে, তারা এ স্বাধীন দেশে তাদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। আর তাদেরকেই ‘ছারপোকা’ হিসেবে নাটকের দৃশ্যে দেখা গেছে।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- আনছারুল অনুপম, শ্রাবন্তী রানী, সোহাগ দেওয়ান, আজম হোসেন, আজমিরা আঞ্জুম, আশিকুর রহমান আশিক, গোলাম মোস্তফা, তৃপ্তি, রাশেল, সীমা, শিবলী শিহাব প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম।
শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে নাটকটি মঞ্চায়িত হবে বলে জানানো হয়েছে।
সব বিদায়ই বেদনার! আর এই বেদনার মধ্যে আরেকটু বেদনা যুক্ত হলে তা বহন করা আরো কঠিন হয়ে যায়! ঠিক তেমনই ভারাক্রান্ত মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম ব্যাচের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
২০২৩ সালে বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত এবং দু'বছর আগে একই ব্যাচের ফাবিহা সুহার অকাল মৃত্যুতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিদায় ক্ষণে!
বিভাগের প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ব্যাচ ছিল ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।
এসময় সব শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেলেও তাদের সবার কথার মধ্যেই যেন একটা বেদনা বিরাজ করছিল। গ্রাজুয়েশন শেষে আনন্দে বিভোর থাকলেও দিনশেষে তাদের থেকে চিরবিদায় নেওয়া দুই সহপাঠীকে স্মরণ করেছেন বার বার!
শনিবার (১ জুন) ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নওরীন এবং সুহার স্মরণে ‘এত আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা আমায় ছাড়া’ নামে বিশেষ কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সহপাঠীরা ‘স্টিকি নোটস’ দিয়ে স্মৃতিচারণ করেন দুই সহপাঠীকে।
রওজা নামে এক সহপাঠী লেখেন- ‘নওরীন তুমি আমার প্রথম দিনের বন্ধু। তোমায় খুব মিস করি। আল্লাহ তোমাকে মাফ করে দিক’।
উর্মি নামে আরেক সহপাঠী লেখেন, ‘এমন কোনোদিন নেই যেদিন তোদেরকে মনে করি না আমরা। তোরা ছাড়া নন্দিনী অপূর্ণ। অনেক অনেক দোয়া সোহা এবং নওরীনের জন্য’!
এছাড়াও নাম-পরিচয় ছাড়া তাদের সহপাঠী, জুনিয়ররা ক্ষুদ্র চিরকুট লাগিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তাদের।
কথাগুলো ছিল এমন- ‘হৃদয়ের কাতারে ওঠে ব্যথা, খুঁজে বেড়ায় নওরীন আপুর আভা’, ‘ওপারে ভালো থাকুন আপনারা’, ‘আপনারা এখানে থাকলে পরিবেশটা ভিন্ন হতো’, ‘আপু আপনি ফিনিক্স পাখি হতে চেয়েছিলেন, উড়ে গেলেন দিগন্তে’!
এমন আরো অনেক কথায় তাদের স্মরণ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি, মায়ের ওপর অভিমান করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিজবাড়িতে গলায় ফাঁস দেন ফাবিহা সুহা। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এছাড়াও ২০২৩ সালে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় সাভারের আশুলিয়ায় নওরিন নুসরাত ছয়তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
দেশে থেকেই যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি অর্জনে দুই প্রতিষ্ঠানের চুক্তি সই
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ক্যাম্পাস
যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য ও সম্মানজনক ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের (ইউক্ল্যান) সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের বাইরে না গিয়ে কম খরচে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি অর্জনের নতুন দ্বার উন্মোচনের লক্ষ্যে দু'টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) রাজধানীর গুলশানে ইউসিবি ক্যাম্পাসে এ উপলক্ষে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইউসিবি'র চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ডিরেক্টরস বব কুন্দানমাল এবং ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ক্যাথেরিন জ্যাকসন।
নতুন চুক্তির ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে দেশে থেকেই যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, ইউসিবি'র পরিচালক জারিফ মুনির এবং এসটিএস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মানস সিং।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান ইউসিবি'র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিল।
এ উদ্যোগের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বলেন, ‘শুধুমাত্র দেশেই নয়, পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়োপযোগী দক্ষতায় আমাদের তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত কর্মশক্তিকে সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। ইউসিবি ও ইউক্ল্যানের মধ্যে অংশীদারিত্ব বৈশ্বিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ। খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্যদেরও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিকভাবে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী দেশের বাইরে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি অর্জনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে, ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গঠন করছে। যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে এবং বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করছে।
ইউসিবির চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ডিরেক্টরস বব কুন্দানমাল বলেন, ইডসিবি-তে ইউক্ল্যান প্রোগ্রাম অ্যাকাডেমিক সাফল্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের চমৎকার সমন্বয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।
ইউসিবি-তে আমরা রূপান্তরমূলক শিক্ষার সুযোগের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব ও উদ্ভাবক তৈরি এবং তাদের পরিচর্যায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমরা মনে করি, ইউক্ল্যান প্রোগ্রাম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সহায়তা করবে এবং তাদের শিল্পখাতে প্রাসঙ্গিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ উন্মোচন করবে। এ উদ্যোগ যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য দেশেই মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ তৈরির গুরুত্বকে আরো জোরদার করে তুলবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরিবহন চত্বরে কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ৯টি বাস। অযত্নে পড়ে থাকায় বাসগুলোর চাকা দেবে গেছে মাটির সঙ্গে আর মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে কিছু বাসের।
বাসগুলোকে সচল করা কিংবা নিলামে তুলতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই কোনো ভ্রুক্ষেপ। প্রশ্ন এসে যায়, তবে কি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিকে অবহেলায় নষ্ট করা হচ্ছে!
পরিবহন দপ্তরের একটি সূত্র বলছে, বাসের নিলামের সময় বাজার মূল্যের থেকে কম দামে কিনতে একটা সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে। সে কারণে, সমালোচনার ভয়ে প্রশাসকেরা সাধারণত চান না, নিজের সময়ে নিলাম হোক।
এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক ও ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোকছিদুল হক।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়েল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের পেছনে তিনটা এবং পরিবহন দপ্তর এলাকায় পড়ে রয়েছে আরো ছয়টা অচল বাস।
বাসগুলোর কোনোটির বিভিন্ন অংশের গ্লাস ভাঙা। কোনোটির চাকা মাটির নিচে দেবে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় বাসগুলোর ভেতরে-বাইরে জমেছে ধুলো-ময়লার স্তূপ। ধরেছে মরিচা! খসে পড়েছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ! ভেঙে গেছে অনেক সিটও।
পরিবহন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ, ২০১৮ সালে নিলামের মাধ্যমে ৫টি অচল বাস বিক্রি করা হয়। তবে, ওই বাসগুলোর নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। তখন ৫টি অচল বাস বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় হয়েছিল ৫ লাখ টাকার বেশি। এর আগের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১-১২ সালের দিকে।
২০১৬ সালের পর থেকে অচল হওয়া গাড়িগুলোই বর্তমানে পড়ে আছে। চেসিস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মূলত গাড়িগুলোকে অপসারণযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, পুরনো বাসগুলোর যন্ত্রাংশ বাজারে না পাওয়া ও জ্বালানি খরচ বেশি, মেরামতের খরচ বেড়ে যাওয়া, ফিটনেসে ঘাটতিসহ বিভিন্ন কারণে গাড়িগুলোকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনেকদিন ধরে পড়ে থাকা গাড়িগুলোর বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক ও ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোকছিদুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাধারণত বেশিসংখ্যক অচল গাড়ি যখন একসঙ্গে জমা হয়, তখন নিলাম ডাকা হয়।
এটা সাধারণত ১০ থেকে ১৫ বছর পর পরই হয়। কারণ, ২-১টা গাড়ির জন্য নিলাম প্রক্রিয়ায় গেলে বেনিফিট কস্টের (সুবিধার্থে ব্যয়) দিক থেকে সুবিধা হয় না। আর সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করার কিছু প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়া আমরা প্রায় দুই বছর আগেই শুরু করেছি। তারপরও করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কারণেই আমরা এখনো প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি শেষ করতে পারিনি। শিগগিরই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করার দায়টা কার জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব গাড়ি তো ১০/১৫ বছর ধরে পড়ে থাকে না। দুই-চার মাস আগে অচল হয়েছে, এমন গাড়িও আছে। এছাড়া, একটা গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়া এবং তার খরচ আর ১০টা গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়া ও তার খরচ প্রায় এক।
এজন্য দুই-একটা গাড়ির জন্য নিলাম ডেকে খুব একটা সুবিধা হয় না আবার গাড়ির সংখ্যাটা বেশি নাহলে ভালো পার্টিও পাওয়া যায় না।
দু’বছর আগের নিলাম প্রক্রিয়া এখনো শেষ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতদিন সময় লাগে না, এটা ঠিক! কিন্তু এটা তো সরকারি সম্পত্তি। এখানে কোনো খুঁত রেখে কাজ করা যায় না। দ্রুত নিলাম প্রক্রিয়া শেষ করলে, পরে দেখা যায় যে, অনেকে বলবেন, ১০ লাখ টাকার জিনিস ৪ লাখে বিক্রি করা হয়েছে। এজন্য একটু সময় নিয়েই প্রক্রিয়াটা শেষ করা হয়েছে। এখন বিজ্ঞাপন পর্যায়ে রয়েছে।
এবিষয়ে পরিবহন দপ্তরের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার বলেন, ৫ মাস হলো আমি ওখানকার সভাপতি নিযুক্ত হয়েছি। এতদিনেও কেন অচল হওয়া বাসগুলো বিক্রি করা হয়নি, সেটা আমি জানি না। কয়টা বাস অচল হয়ে আছে, সেটাও জানি না। এই সময়ের মধ্যে এরকম (অচল বাস নিলাম) কোনো বিষয় এজেন্ডাভুক্ত হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো, বিষয়টা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমি নিজেও অনেক আগে পরিবহন দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলাম। তখন দেখেছি, বাসের নিলামের সময় সিন্ডিকেট করে এমন দরপত্র বলা হয়, যেটা শুনে সবাই হাসবে বা অন্যরকম কিছু ভাববে। তাই, বিশ্বাসযোগ্য দাম না পাওয়া গেলে প্রশাসকদের সমালোচিত হতে হয়, এটা সত্যি!
তিনি বলেন, তাই বলে, এখন বাসগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিতে হবে না, এমন নয়। এগুলো বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি গত দেড় বছর ধরে বারবার বলে এসেচি। কারণ, এগুলো ফেলে রেখে তো কোনো লাভ নেই! কিছুদিন পরে দেখা যাবে যে, বাসগুলোর জিনিসপত্র আর কিছুই নেই! আবার জং ধরে নষ্ট হয়ে গেলে দাম আরো কম পাওয়া যাবে! বিক্রি বিলম্ব হওয়ার কারণ বিষয়ে দপ্তরটির উপদেষ্টা কমিটি ভালো বলতে পারবে।
বাংলাদেশি ইয়ুথ স্কলার'স প্রতিনিধি হিসেবে চীনে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির(ডুজা) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি।
আগামী রবিবার (২ জুন) সাংহাই ইনস্টিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আমন্ত্রণে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ থেকে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন তারা। ১১ জুন দশ দিনের সফর শেষে তারা দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশী ইয়ুথ স্কলারস প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৬ জন শিক্ষক, বিসিএসআইয়ের একজন গবেষক ও তিনজন সাংবাদিক রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এতে যোগ দিচ্ছেন ডুজা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এই সফর নিয়ে তারা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি ইয়ং স্কলারদের প্রতিনিধিদের চীন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার জন্য এই সুযোগকে পূর্ণ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি ইয়ুথ স্কলার প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা চীন সফরে ইউনান, বেইজিং, সাংহাই প্রদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। চীনের সাথে বাংলাদেশের একাডেমিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক নীতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।