আলপনা ও দেয়ালচিত্রকে টিকিয়ে রাখতে রাবি অধ্যাপকের গবেষণা



রাবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আলপনা ও দেয়ালচিত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গবেষণা চালিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক অধ্যাপক ও তার গবেষক দল। বিগত দুই বছর যাবৎ রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় ‘রাজশাহী বিভাগের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের আলপনা ও দেয়ালচিত্র : বিষয় ও আঙ্গিক’ শীর্ষক এই গবেষণা কর্ম পরিচালনা করেন তারা।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক অনুদানে পরিচালিত এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান। এছাড়া প্রকল্পে সহযোগী গবেষক ছিলেন আসাদুল্লা সরকার ও সহকারী গবেষক ছিলেন চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী লাবু হক।

এই গবেষক দলের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আলপনা ও দেয়ালচিত্র অংকনের শিল্পটি গুটি কয়েক নৃগোষ্ঠী পরিবার ধরে রাখলেও অংকনশৈলীতে এসেছে নানা পরিবর্তন। প্রাকৃতিক রং থেকে দূরে সরে তারা ব্যবহার করছেন বাজারের কেনা রং। অনেকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় চিত্রপটে আর ফুটিয়ে তুলছেন না নিজেদের সংস্কৃতিকে। দ্রুত নগরায়নের ফলে দেশের এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইতোমধ্যে বিলুপ্তির পথে।

জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার গোদাগারী ও তানোরে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে, নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সাপাহারে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও রায়গঞ্জে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও শেরপুরে, পাবনার আতাইকুলায় এবং নাটোর সদর ও সিংড়া উপজেলাসহ আরও বেশকিছু উপজেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় এই গবেষক দল গবেষণা চালিয়েছেন। এসব এলাকায় বসবাসরত সাঁওতাল, ওঁরাও, শিং, রাজভোর, বেদীয়া, মুণ্ডা, তুরী, রবিদাস, মাহালী, মাহাতোসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠীদের প্রাচীনকাল হতে বিভিন্ন উৎসব, বিয়ে কিংবা পূজা পার্বণ উপলক্ষে আঁকা আলপনা ও দেয়ালচিত্র ছিলো গবেষণার বিষয়বস্তু।

গবেষণায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের পূর্বের আলপনা ও দেয়ালচিত্রের বিষয়বস্তু ও অংকনশৈলীর সঙ্গে বর্তমানের আলপনা ও দেয়ালচিত্রের বিষয়বস্তুতে বেশকিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করার পাশাপাশি রঙেরও ভিন্নতা লক্ষ্য করেছেন গবেষক দল। কিছু এলাকায় এখনও খুব জোরালোভাবে বিভিন্ন উৎসবে আলপনা ও দেয়ালচিত্র অংকনের প্রচলন থাকলেও কোনো এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা ভুলতে বসেছেন নিজেদের এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে। এর কারণ হিসেবে গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কর্মব্যস্ততা, জীবিকার তাগিদ, মাটির ঘর ভেঙ্গে ইটের ঘর নির্মাণ এবং আধুনিকতার ছোঁয়া।

জানতে চাইলে এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আলপনা ও দেয়ালচিত্র নিয়ে দুই বছরের গবেষণায় আমি নৃগোষ্ঠীদের কয়েকটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রমণ করে তাদের আলপনা ও দেয়ালচিত্রগুলো দেখেছি এবং সেগুলো সম্পর্কে জেনেছি। এলাকাভেদে এগুলোর কর্ম পরিধি এবং কর্মকৌশলে অনেকটাই বৈচিত্র্য আছে। রাজশাহী অঞ্চলের নৃগোষ্ঠীরা মাটির দেয়ালে আতপ চালের গুঁড়োতে পানি মিশিয়ে আলপনা করে। সেখানে ফুল, লতা-পাতা এবং এক রঙের বৈচিত্র্যটা বেশি ছিলো, তবে দুয়েক জায়গায় অন্যান্য রং ছিলো। নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলেও ফুল, লতা-পাতা বেশি ছিলো। এছাড়া এসব এলাকার নৃগোষ্ঠিরা মাটি কেটে উঁচু অংশ রঙ করে আলপনার ফুলের কলিতে কাঁচের টুকরো বসিয়ে দেয়, যেটাতে আলাদা এক নান্দনিকতা প্রকাশ পায়।

তিনি বলেন, দেয়ালচিত্রের মধ্যে আমরা দেখেছি নৃগোষ্ঠিদের জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারাগুলোই তারা চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তাদের বিভিন্ন উৎসব যেমন কারাম, সোহরাই, পৌষ সংক্রান্তি, নবান্ন, ভাই ফোঁটা দেয়ার দৃশ্য এবং এসব উৎসবে মাদল, বাঁশিসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহকারের নৃত্য পরিবেশনের দৃশ্য আমরা তাদের চিত্রকর্মে দেখতে পেয়েছি। এছাড়া আমরা এসব স্বশিক্ষিত নৃগোষ্ঠী শিল্পীদের মাঝে নিজস্ব শৈলিতে শিশুসুলভ ড্রইংয়ের প্রয়োগ লক্ষ্য করেছি। তারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষিত নয় তবুও তাদের হাতের আলাদা এক মাধুর্য্যতা এসব চিত্রে ফুটে উঠে। যেটা আমাদের বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠিদের সংস্কৃতির আলাদা এক ঐতিহ্য।

তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে এই ঐতিহ্য অনেকটাই বিলুপ্তির পথে জানিয়ে এই গবেষক বলেন, আমরা মূলত নৃগোষ্ঠী শিল্পীদের উৎসাহ প্রদানেই এই গবেষণার বিষয়টি বেছে নিয়েছিলাম। এবং এই গবেষণার ফলে তারা অনেকটাই উৎসাহিত হয়েছেন। আশা করি, তারা নিজেদের অংকিত আলপনা ও দেয়ালচিত্রের মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিবে, যেটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষিত শিল্পীদের মাঝেও উদ্দীপনার সৃষ্টি করবে। বর্তমানে অনেক নৃগোষ্ঠী নানা প্রতিকূলতার মধ্যে জীবন-জীবিকার সন্ধানে কর্মব্যস্থ থাকায় তাদের এই ঐতিহ্য অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। আমরা আশা করবো, দেশ ও জাতির মাঝে তাদের সংস্কৃতির এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবে।

   

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ইবি ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের আজকের দিনে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে বাংলার মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আজকের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ফেরার দিন। তিনি দেশে ফেরত আসার মধ্য দিয়ে এদেশে নবজাগরণের সৃষ্টি করেছিলেন। এদিন ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আপামর জনতা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। সেদিন থেকে তার পথচলা এখনো থামেনি। তিনি এসেছিলেন বলেই আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি দেশে ফিরে স্বৈরাচারের পতন করেছেন, রাজাকারদের বিচার করেছেন, সমুদ্র সীমা জয় করছেন, আমাদের মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট চির কৃতজ্ঞ।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষ করে আজকের এই দিনে এদেশের মাটিতে পা রাখেন। তাই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। পাশাপাশি তিনি দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বৈরচারী শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মানুষকে ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশে ফিরেই তিনি জন মানুষের ভরসার জায়গায় স্থান করে নেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এবং তার হাত ধরে আজকে দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে।

এসময় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, শিমুল খান, রতন রায় সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ছাত্রলীগের নানা আয়োজন থাকে এই দিনে। 

;

রাবির 'সি' ইউনিটে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি/বিফার্ম/ বিএসসি, এজিডিভিএম/বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পছন্দক্রম জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ১ম নির্বাচন ও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হলো।

নির্বাচিত প্রার্থীদের ২১ থেকে ২২ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য কনফারেন্স রুম, বিজ্ঞান অনুষদ, কক্ষ নং ৪০১, কুদরাত-এ-খুদা অ্যাকাডেমিক ভবনে উপস্থিত হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে 'সি' ইউনিটে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং 'সি' ইউনিটের অন্য কোনো বিভাগেও ভর্তির সুযোগ থাকবে না। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া এর সমান্তরালে চলবে এবং এর জন্য পৃথক নোটিশ দেওয়া হলো।

ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদে যোগাযোগ করা যেতে পারে। (ফোন: ০২৫৮৮৮৬৪২১৮, অনলাইন ভর্তি ফর্ম পূরণ সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার জন্য হেল্পলাইন ০১৭০৩-৮৯৯৯৭৩)।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধু ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ-পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না নোটিশে জানতে পারবে। ২১ ও ২২ মে বিকাল ৪টার পূর্ব পর্যন্ত অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে অটো-মাইগ্রেশন পুরোপুরি বন্ধ (Stop automigration) অথবা এক বা একাধিক বিভাগে ট্রান্সফার বন্ধ (Opt-out) করা যাবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধাতালিকা ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ 



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ সেশনে স্নাতক (সন্মান) ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটভুক্ত মানবিক 'এ' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২য় মেধাতালিকা ও ১ম মাইগ্রেশন প্রকাশিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এস. এম. এক্রাম উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'এ' ইউনিটে ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১২-১৪ মে ভারিখের মধ্যে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয় পছন্দক্রম ও মেধা স্কোর-এর ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন বা প্রথম মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হলো। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, একই সাথে শূন্য আসনগুলোর বিপরীতে বিষয় পছন্দক্রম ও মেধা স্কোর-এর ভিত্তিতে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলো। আগামী ১৯-২১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ডীনস কমপ্লেক্স ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের A ইউনিটের চীফ কো- অর্ডিনেটরের অফিসে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকারসহ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে A ইউনিটে তাদের ভর্তির মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের A ইউনিট অফিসে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) তাদের রোল নম্বরের পাশে উল্লিখিত বিভাগে আগামী ১৯- ২১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

উল্লেখ্য, ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা স্কোর ও বিষয় পছন্দের ক্রমানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বিভাগ পরিবর্তনের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে (www.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে। ভর্তি হওয়ার পর কোনো ছাত্র-ছাত্রী বিভাগ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাকে অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে স্বয়ংক্রিয় বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে। তবে এরই মধ্যে যারা পছন্দক্রমের ১ম বিষয় পেয়েছেন তাদের মাইগ্রেশন বন্ধ করার প্রয়োজন নাই। 

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধা তালিকা ২৩ মে ২০২৪ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;