চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়েছে। এ সময় সমিতির উপদেষ্টা ও জীবন সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নগরীর চিটাগাং ক্লাবে বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে এই প্রোগ্রাম।

সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জামাল মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী নির্বাহী সদস্য আহমদ ইমরানুল আজিজের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মুহাম্মদ শামসুল আলম, মুহাম্মদ শওকত আলী নূর, প্রাক্তন সহ সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দীন খান প্রমুখ।

এতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সেলিম, সহ সভাপতি ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম, অর্থ সম্পাদক আ ন ম নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক হোসাইনী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেহেনা আখতার বেগম, তথ্য, গবেষণা ও সেমিনার বিষয়ক সম্পাদক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তফা নাজমুল কাউসার আরমান, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল বশর রাসেল, সমাজসেবা সম্পাদক মুহাম্মদ আইয়ুব আলী, নির্বাহী সদস্য এ এম রমিজ আহমদ ও মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বিকাল ৩.০০ টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল, ️দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৪.০০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং ️ তৃতীয় পর্বে বিকাল ৫.০০ টায় রমাদানের তাৎপর্য আলোচনা ও ইফতার মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি চবি অধ্যাপক ড.মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আপনারা আমাকে ভালোবাসেন মায়া করেন। আজকে মহান স্বাধীনতা দিবসে চিটাগং ক্লাবে আমার মত নগন্য মানুষকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। আপনাদের এই ভালোবাসায় আমি চির কৃতজ্ঞ।পবিত্র রমজান মানবজাতির জন্য মহান আল্লাহ্ তায়ালার নিয়ামত। রমজানের শিক্ষা আমাদেরকে ত্যাগ, আত্মসংযম ও নৈতিকতার মাধ্যমে দেশ ও মানবসেবায় নিবেদিত হতে শিক্ষা দেয়।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বলেন, পবিত্র রমাদানুল মুবারকের তাৎপর্য হলো এটি ত্বাকওয়ার শিক্ষা দেয়। রমাদান ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনের শিক্ষা দেয়। আমাদেরকে রমাদান থেকে ত্বাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে ও দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাত ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, এ মাসেই অবতীর্ণ হয়েছে মানবতার হিদায়াতের গ্রন্থ আল কুরআন। আল কুরআনের অনুসরণ ও অনুকরণ করতে পারলে মানবজীবন শান্তিময় হয়ে উঠবে।

পরিশেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান আলোচক চবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির জীবন সদস্য, বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও অতিথিদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।

   

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯০ শতাংশের উপরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার গড়ে ৯০ শতাংশের উপরে ছিল বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১টায় শেষ হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে এবং সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতির হার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে। তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গড় উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের উপরে। আর যবিপ্রবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত আর্কিটেকচার ড্রয়িং পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও ছিল সন্তোষজনক। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল সাড়ে ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তবে পরীক্ষায় তাদের গড় উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের উপরে।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ইবিতে শিক্ষকবিহীন পরীক্ষা হল!



ইবি প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ ২০২৩-২৪ (স্নাতক) শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে শিক্ষকবিহীন কক্ষে পরীক্ষা গ্রহণ করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের জন্য দায়িত্বরত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ২ জন। তবে ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলার সময় কোনো শিক্ষক ছিলেন না। এ রুমে পরীক্ষা চলার সময় ডিউটি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারেরা।

এ বিষয়ে প্রধান পরিদর্শক মো. তহিদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১ নম্বর কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। সে কারণে ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপ-রেজিস্ট্রারদের সহায়তায় তিনি ২০১ নম্বর রুমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।

ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক বলেন, পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষক ছিলেন কি না, তা ফাইল দেখে বলতে হবে। পরীক্ষায় যে শুধুমাত্র শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন তা নয়, বরং যত কর্মকর্তা সবাই পরিদর্শক। সুতরাং তাদেরও পরিদর্শকের সমমর্যাদা। প্রধান পরিদর্শক সব দেখভাল করবেন। কারণ, আমাদের যতসংখ্যক শিক্ষক তাদের সবাইকে প্রত্যেক রুমে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পরীক্ষার হলে একজনও কক্ষ পরিদর্শক নেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমরা প্রতিটি রুমেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দিয়েছিলাম। পাশাপাশি কর্মকর্তারাও ‘ইনভিজিলেটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আসলে এটা তো জোর-জবরদস্তির কোনো বিষয় নয় যে, কোনো শিক্ষককে বাধ্য করে আনা হবে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ছিলাম, তখন পিয়নদের দিয়েও দায়িত্ব পালন করিয়েছি।

উল্লেখ্য, গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৪শ ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৮৯.৯২ শতাংশ



বশেমুরবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান অনুষদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল ) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকৃত মোট ১৭৪৬ জন শিক্ষার্থী মধ্যে উপস্থিত ছিলো ১৫৭০ জন ও অনুপস্থিত ছিলো ১৭৬ জন । জানা গেছে, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল শতকরা প্রায় ৮৯.৯২ ভাগ।

পরীক্ষা শুরুর পর বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. মোবারক হোসেন ও প্রক্টরিয়াল বডি পরীক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব তীব্র তাপদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় বলেন, “আমাদের যেহেতু হিট ওয়েভ চলছে, আমাদের মেডিকেল সেন্টার সহ খাবার পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ রেডি আছে। আশা করি আল্লাহ তা’আলার রহমতে কেউ অসুস্থ হবে না। আর যদি অসুস্থ হয়েই যায়, আমাদের এ্যাম্বুলেন্স আছে। এই পরীক্ষায় আশেপাশের এলাকা থেকেই ছেলেমেয়েরা এসেছে, এটা একটা ভালো দিক তাই আশা করি ওরা ক্লান্ত হয়ে যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সমস্যা হয়নি।”

এছাড়াও তিনি ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।

অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পানি ও শরবত বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বাঁধনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও জেলা শিক্ষার্থী সংগঠন।

প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন ভর্তিচ্ছু অংশগ্রহণ করবে। বশেমুরবিপ্রবির 'এ' ইউনিটের বিজ্ঞান অনুষদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১৭৪৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে।

;

ভাঙা পা নিয়েই ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেন প্রভা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। আজ শনিবার ভাঙা পা নিয়েই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন প্রভা। চাচার কোলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পরীক্ষা দিলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছের ‘এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রভা বলেন, বাসায় আম্মুকে বুঝতে দেইনি আমার আঘাত গুরুতর। পা ভেঙে গেছে এটা জানলে পরিবার থেকে পরীক্ষা দিতে দিতো না। আমি মানসিকভাবে আশাবাদী ছিলাম পরীক্ষা দিতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা ভালো দিয়েছি। আমি আশাবাদী ভালো কিছু হবে।

প্রভার মা জানান, পরীক্ষার আগের রাতে সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা ভেঙে যায়। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। মেয়ের ইচ্ছে সে পরীক্ষা দিবেই।

ভর্তিচ্ছু প্রভা থাকেন চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায়। চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি।

;