প্রত্যক্ষদর্শী শহীদজায়ার স্মৃতিতে ঢাবির জগন্নাথ হলে ২৫শে মার্চের গণহত্যা



কানজুল কারাম কৌষিক, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বকুল রাণী দাস ও তাঁর ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস

ছবি: বকুল রাণী দাস ও তাঁর ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস

  • Font increase
  • Font Decrease

বকুল রাণী দাস (৭৩), ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ এর কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া নৃশংস গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী। 'অপারেশন সার্চলাইট' নামক সেই হত্যাযজ্ঞে জগন্নাথ হলে শহীদ হন তাঁর স্বামী  জগন্নাথ হলের তৎকালীন নৈশপ্রহরী শহীদ সুনীল চন্দ্র দাস। সেই রাতে নিজের চোখে দেখা ঘটনা ও দেড় বছর বয়সী ছেলে ও তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে সেই হত্যাপুরী থেকে বেঁচে ফেরার গল্প শোনান বকুল রাণী দাস।

শহীদজায়ার এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বার্তা২৪.কম-এর ঢাবি করেসপন্ডেন্ট কানজুল কারাম কৌষিক।

প্রশ্ন: ১৯৭১ সালে আপনার বয়স কত ছিল?

বকুল রাণী দাস: আমার বয়স তখন বাইশ। ছোট ছিলাম। এত কিছু বুঝতাম না।

প্রশ্ন: ২৫ শে মার্চে রাতে কি অবস্থা ছিল জগন্নাথ হলের?

বকুল রাণী দাস: ২৫ মার্চের রাত্রে আমাকে স্বামী (শহীদ সুনীল চন্দ্র দাস) বলল বাচ্চাদেরকে নিয়ে তুমি ঘুমিয়ে যাও। তখন আমি খাওয়া দাওয়া করে বাচ্চাদেরকে নিয়ে শুয়ে পরছি। আমাকে বাইরে থেকে তালা মেরে দিয়ে সে গেলো ডিউটিতে। যখন রাত ১২ টা বাজল, তখন অনেক শব্দ শুনি। শব্দ আর শব্দ(গোলাগুলি)। নিজে কিছু বুঝি নাই তখন পাশের বাসার এক বৃদ্ধ মহিলা যাকে দিদিমা বলে ডাকতাম তিনি এসে ডেকে বললেন, এই বকুলি,এই বকুলি কি করস? আমি বললাম আমি আর কি করুম বাচ্চাদেরকে নিয়া বইসা আছি। জিগেস করল বাচ্চার বাবা কই। আমি বললাম ওর বাবা ডিওটিতে গেছে। তখন দিদিমা বলল দেখি কাওরে দিয়া ওর বাবারে আনানো যায় কি না। পরে পাশার বাসার এক ছেলেকে দিয়ে খবর পাঠালে ওর বাবা আসে। এসেই বলে চল আমরা বের হয়ে যাই।

প্রশ্ন: তখন কি আপনি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পেরেছিলেন?

বকুল রাণী দাস: তখন আমরা আর পাশের বাসার ৭/৮ জন মানুষজনসহ এস এম বিল্ডিং থেকে বের হতে যাই। এসএমবির ভিতরে গিয়ে বসছি। আর্মির বুটের টক টক শব্দ শুনতে পাই। তখন আমরা একটা কাঠামোর পেছনে গিয়ে লুকিয়ে পরি। কাঠামোটা ছিলো স্বরস্বতী পূজার কাঠামো। এমন সময় একটা বাচ্চা কান্না করে উঠল। ওরা শব্দ শুনলো, ব্যাটারি লাইট দিয়ে খুঁজে পেল ওর বাবারে (শহীদ সুনীল চন্দ্র দাস)। আর কোন পুরুষ মানুষ ছিলো না আমাদের সাথে। তখন ওর বাবা রে পাঞ্জাবিরা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো। ওনার কোলে ৩ বছর বয়সী মেয়ে ছিল। মেয়েকে তার কোল থেকে ফেলে দিলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম আমার স্বামী কে কোথায় নেন? এ কথা বলার পর আমারে লাত্থি দিয়া ফেলে দিলো। তারপর আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম। আমার সাথে যারা ছিল তারা আমাকে জল ঢেলে জ্ঞান ফেরায়। কিছুক্ষণ পরে আমাকে গেটের সামনে একটা টুলে বসায় পাঞ্জাবিরাই টুল দেয়। তখন আমি আবার জিগেস করি আমার স্বামী কোথায়। তখন ওরা আমাকে শান্তনা দিয়ে বলল, তোমার স্বামীকে নিয়ে গেছে আবার দিয়ে যাবে। তখন আমি আবার অজ্ঞান হয়ে দেড় বছরের ছেলেকে কোলে নিয়েই পড়ে যাই। জ্ঞান ফিরলে আমি দেখি একটা লোক কে পাঞ্জাবিরা এসএমবির ভেতর থেকে ধরে নিয়ে আসছে। সেই লোকটা হলের হাউজ টিউটর। তার পরনের ধুতি দিয়েই তাকে বেঁধে নিয়ে আসছে। তারপর পাঞ্জাবীরা উর্দুতে কি যেন জিজ্ঞাস করল। হাউজ টিউটর এর উত্তর দেয়ায় তাকে থাপ্পড় মারল। তারপর তাকে আর আরেকজন সিকিউরিটি গার্ড প্রিয়নাথকে ধরে নিয়ে যায় জগন্নাথ হলের মাঠে। ওর বাবারেও ওইখানেই নিলো।

প্রশ্ন: উনাদেরকে ধরে কোথায় নিয়ে গেল?

বকুল রাণী দাস: জগন্নাথ হলের মাঠে। বড় একটা গাছের নিচে। কিছুক্ষণ পর ৩ জনকে ৩ টা গুলি করল। আমি বললাম গুলির শব্দ হয় কিসের? আমার সাথের সবাই বলল তোমার স্বামীকে কিছু করে নাই।

প্রশ্ন: আপনারা কি শহীদদের লাশ খুঁজে পেয়েছিলেন?

বকুল রাণী দাস: যখন রাত ৪ টা বাজে তখন সবাই বলল চল মাঠের দিকে যাই। গিয়ে দেখি ওরা ট্রাক দিয়ে গর্ত করে সব লাশ একসাথে গণকবর দিয়ে দিচ্ছে। বাথরুম,বারান্দা যেখানে যত লাশ ছিল কিছু যুবক ছেলেদেরকে দিয়ে লাশগুলো আনায়। এনেই ওই মাঠেই গণকবর দিয়ে দেয়।

প্রশ্ন: আপনারা সেখান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে গেলেন কিভাবে?

বকুল রাণী দাস: আমরা ৭/৮ জন কিছুক্ষণ সেখানে থেকে মেডিকেলের দিকে রওনা হলাম যাওয়ার পথে মেইন গেইটেই ২ টা লাশ দেখলাম। মেডিকেলে যাওয়ার পর বাচ্চারা খেতে চাইলে খাবার দেয়ার মত টাকা ছিল না। ক্যান্টিনের একটা ছেলে এক গ্লাস দুধ আর একটা রুটি দিলে ছেলেকে দুধ খাওয়াই আর মেয়েটাকে রুটি খাওয়াই। এভাবেই বেচে ছিলাম।পরে সদরঘাটে গিয়ে নৌকায় উঠি। আমার মনে হচ্ছিল নদীর বুকে যেই ঢেউ আমার বুকেও সেই ঢেউ। এভাবেই ভাসতে ভাসতে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাই।

প্রশ্ন: এখন আপনি কেমন আছেন? সরকার থেকে কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন?

বকুল রাণী দাস: এইযে এত কষ্ট করে বেঁচে ফিরলাম। এখনো অব্দি কোন সরকার ই আমাদেরকে কোন সাহায্য করে নাই। শহীদ পরিবার হিসেবে আমার ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটু দেখা করে আমি কিছু কথা বলতাম।

   

ঢাবির ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ উপলক্ষ্যে বিভাগের উদ্যোগে র‍্যালি, বেলুন উড্ডয়ন, কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাবি ভূতত্ত্ব অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার সাহা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্মৃতিচারণ করে বলেন, জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ভূতত্ত্বের বিষয়গুলো অনেক উপভোগ্য। ভূতত্ত্ববিদদের সমতলে, পাহাড়ে, ভূ-অভ্যন্তরে এমনকি মহাকাশে সমভাবে কাজ করতে হয় এবং সকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হয়। সকল ধরণের সক্ষমতা অর্জন করে ভূতত্ত্ববিদরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ভূতত্ত্ব শুধু অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি মানুষের জীবনের সাথে গভীরভাবে মিশে আছে। সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও অ্যালামনাইরা প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। ভূতত্ত্বের পরিধি ও কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি এর প্রায়োগিক দিক আরও জোরদার করার জন্য শিক্ষক, গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ৭৫ বছরের পথচলায় বিভাগের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশের উন্নয়নে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও জ্ঞানের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাইবৃন্দ অংশ নেন।

;

জবির প্রথম বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক ড. আব্দুল মালেক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. মো. আব্দুল মালেক

ড. মো. আব্দুল মালেক

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রথমবারের মতো বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক নতুন এই পদের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ৮ (ণ) ধারা অনুযায়ী ড. মো. আব্দুল মালেককে বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি পরবর্তী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। আদেশটি পহেলা মে থেকে কার্যকর হবে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত সংযোজিত এই পদের পরিচালক হিসেবে ড. মালেক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও কোলাবোরেশান, বিদেশী শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়াবলি তদারকি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে অংশগ্রহণ সহ যাবতীয় বৈদেশিক বিষয়াদি দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে।

এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল মালেক বলেন, আমি আশা করি মাননীয় উপাচার্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি ভালোভাবে পালন করতে পারবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দপ্তরটি একেবারেই নতুন। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে দাপ্তরিক কাজ শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমি প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা, বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশানের নীতিমালা তৈরীর কাজ করবো। 

 

;

ঢাবিতে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (CARASS)- এর উদ্যোগে 'ভাষা আন্দোলন এবং বিশ্বে বাংলাভাষী স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আবির্ভাব' শীর্ষক দু'দিন ব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভাষা আন্দোলনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। লন্ডন কিংস কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জন উইলসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন। অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভাষা বিষয়ে সমন্বিত গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন বাঙালির আত্ম-পরিচয় ও স্বাধিকারের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বহুত্ববাদের আদর্শকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিকৃত ইতিহাস রচনা করে এবং বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অপচেষ্টা চালায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের চেতনাকে জাগ্রত করে। এটি বাঙালির আত্ম-পরিচয়, আত্মমর্যাদা ও জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার জন্য তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। নতুন জ্ঞান বিতরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্যের মাঝে উদ্দীপনা জাগাতে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

;

আনন্দমুখর পরিবেশে সিআইইউতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আনন্দমুখর পরিবেশে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর সামার সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সোমবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ১১টা পর্যন্ত। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা অংশ নেন মৌখিক পরীক্ষায়।

এর আগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। তিনি এসময় গবেষণা, দক্ষতা ও নিত্য-নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে তাঁর প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর বলে অভিভাবকদের জানান।

সকালে পরীক্ষার হলগুলো ঘুরে দেখেন সিআইইউ বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুর কাদের, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. রুবেল সেনগুপ্ত, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের সহকারী ডিন সার্মেন রড্রিক্স, স্কুল অব ল’র সহকারী ডিন নাজনীন আকতার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের দুই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছেন কিংবা যারা ভর্তির পর সেমিস্টারগুলোতে ভালো ফলাফল করবেন, তাদের জন্য এখানে রয়েছে স্কলারশিপের নানান সুযোগ।

তাসনিয়া দোহা চৌধুরী নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন,ভালো উচ্চশিক্ষার জন্য সবাই এখন চিন্তিত। আর তার জন্য চাই ভালোমানের প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে যে ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে, তার ভেতর সিআইইউ আমার বরাবরই পছন্দের। আশা করছি, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যেতে পারবো।

 

;