শিরীন শাসনামলের শেষ দিনে চাকরি প্রত্যাশীদের ভিড়



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীন আখতার নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত হয়ে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনের পাঁচ বছরে সমাবর্তন করতে না করা, মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়, শিক্ষা ও গবেষণার সুন্দর পরিবেশ না থাকা ও অবৈধ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ সহ নানা কারণে সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু এবার বিদায় ঘন্টা বাজতেই গণহারে শুরু হয়েছে চাকরি দেওয়া।

রোববার (১৯ মার্চ) চবির নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে চাকরি প্রত্যাশীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

এদিন বিভিন্ন পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগ, হল ও দপ্তরে অন্তত ৪৪ জনকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে। তবে তাদের প্রত্যেককেই দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জানান, আমি নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটি শুনতে পেয়েছি এবং অনেককে আজকে ছোটাছুটি করতে দেখেছি। উপাচার্য তার ব্যক্তিগত এখতিয়ার অস্থায়ীভাবে দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে নিয়োগ গুলো দিয়ে থাকতে পারেন। একসাথে এত জনকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটা নৈতিকভাবে কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।

সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছু দরিদ্র ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে এটা প্রক্টরের বিষয় আমাকে জিজ্ঞেস করার কিছু নেই। এইসব নিয়োগ নিয়ে কেন কথা বল?কোন কিছুই তো আইনের বাইরে হচ্ছে না। যদি কিছু হয়ে থাকে সেটা আমার জানা নেই।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার কে এম নুর আহমদের কাছে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি আজকে চাকরি প্রত্যাশীরা ভিড় করেছিল। বিগত কয়েকদিনে অনেক প্রার্থীকে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে তবে এগুলো খুব গোপনীয়তার সাথে করা হচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় এই পর্যায়ে এসে এভাবে এতগুলো নিয়োগ দেওয়া থেকে পরিত্রাণ খুব সহজে পাবেন না।

৩য় শ্রেণির কর্মচারী সেলের প্রধান সৈয়দ মনোয়ার আলী বলেন, আমি শুনেছি গত কয়েকদিনে প্রায় ৩০ জনকে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের অর্ডার হয়েছে। তবে আমরা এখনো কোনো এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পাইনি। লেটার পেলে আমরা সেল থেকে সেটা অনুমোদন দেব।

   

প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা

প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সকল প্রকার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘গতকালের যে সন্ত্রাসী হামলা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং বহিরাগতরা শিক্ষকদের উপর চালিয়েছে তাতে স্পষ্ট যে, উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ এই পদে থাকার যোগ্য না। তারা সন্ত্রাসী, তাই তাদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনোপ্রকার শিক্ষা কার্যক্রম, প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবো না। তবে ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।’

জরুরি সাধারণ সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না সেই বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। এছাড়া যে সকল শিক্ষক-শিক্ষকদের উপর হামলার সাথে জড়িত তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে, শিক্ষকদের উপর গত ২৮ এপ্রিল যে-সকল বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে তাদের শনাক্ত করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ছাত্রত্ব ও সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের নামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

;

চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ডিএনএ সিকুয়েন্সিং ল্যাব উদ্বোধন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ফাংশনাল জিনোমিক্স এবং প্রোটিওনিক্স ল্যাবরেটরি (এফজিপিএল) অত্যাধুনিক স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিন ও ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অণুজীব থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেকোনো ডিএনএ-সৃষ্ট জীবের সিক্যুয়েন্সিং জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করা যাবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ল্যাবটি উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু তাহের। এরপর জীববিজ্ঞান অনুষদের পাশে অবস্থিত গ্রিন হাউজ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন উপাচার্য।

ডিএনএ আবিষ্কারের ৭১ বছর মাইলফলক উদযাপনসহ নতুন এই মেশিন ও ল্যাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. তৌহিদ।

এছাড়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা এবং এফজিপি ল্যাবের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকানসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ল্যাবটি সম্পর্কে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকান জানান, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট রূঢ় পরিবেশে চাষযোগ্য নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিনটি এ ল্যাবে সংযুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, স্যাঙ্গার সিক্যুয়েন্সিং মেশিনের মূল কাজ হল ডিএনএ'র নিউক্লিওটাইডগুলির ক্রম নির্ধারণ করা যাকে সহজ ভাষায় বলে ডিএনএ সিকুয়েন্সিং। এই মেশিনটি বর্তমানে বিশ্বে জীববিজ্ঞানের গবেষণায় অন্যতম শক্তিশালী সরঞ্জাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ব্যবহার করে গবেষকগণ বিভিন্ন অণুজীব থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেকোনো ডিএনএ-সৃষ্ট জীবের সিক্যুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিং মেশিন এবং পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ এই ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন অণুজীব শনাক্তকরণ, জিনের প্রকাশ নির্ণয়, বিভিন্ন রোগের জিনগত কারণ উদঘাটন, দ্রুত এবং সর্বোচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন রোগনির্ণয় পরীক্ষা, রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য জানাপূর্বক ওষুধ ও ওষুধের ডোজ নির্ধারণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজেও ব্যবহার করা যায়।

;

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের রশিদ চৌধুরী আবাসিক হলের ১ নং কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন- একই ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমাকে রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১নং রুমে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। এ সময় ওই রুমে চারজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। পালাক্রমে চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমাস মাহফুজ রাফিদ, ফরহাদ হোসেন সুমন, সাগর রয় অনিক, মেহেদি হাসান আমাকে মারধর করে এবং সর্বশেষ আলমাস আমার হাতে ও গলায় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। তারা আমাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং আমার ১ম বর্ষ 'ফিগার স্টাডি কোর্স-১০৩ পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

ভুক্তভোগী স্বাগত দাসের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পাস থেকে আমাদের চারুকলার ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে বাস থেকে নামার পরে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র আলমাস মাহফুজ ভাই আমাকে হলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে আরো তিনজনসহ মোট চারজন আমাকে ঘণ্টাব্যাপী মারধর করে এবং জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ও এ ঘটনার বিচার কামনা করেছি।

মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাদের পূর্ব কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না, কিন্তু তারা (অভিযুক্তরা) আমার সাথে প্রায়ই ঝামেলা বাধাতে আসত।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলমাস মাহফুজ রাফিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরেক অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন সুমন রুমে আটকে রাখা ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। আমার ব্যাচমেট আলমাস ও জুনিয়র স্বাগতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেহেদী হাসান নামের আরেক অভিযুক্ত। তিনি বলেন, এটা স্বাগত (ভুক্তভোগী) ও আলমাসের (অভিযুক্ত) মধ্যকার ঘটনা। তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা থেকেই এমন হয়েছে। মারধরের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা দুপুরের পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা এখনো অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারিনি। এ ব্যাপারে আগামীকাল আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে।

;

কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন: পাল্টাপাল্টি দোষারোপ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য-শিক্ষক সমিতি-ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যকার ত্রিমুখী সংঘর্ষের পর উপাচার্য ড. এফএফএম আবদুল মঈন এবং শিক্ষক সমিতির নেতারা আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সংঘর্ষের পর বিকাল ৫টার দিকে উপাচার্য এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হয়ে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে এবং সেখানে আমার সাথে তারা উচ্চবাচ্য করে, হুমকি-ধামকি দেয়, গালিগালাজ করে। আমি তাদেরকে বারবার বলেছি, আপনারা আসুন, আলোচনা করি। উনারা কোন রেসপন্স করে নাই। আমি উনাদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট ডেকে কমিটি গঠন করেছি, কিন্তু উনারা সেটি মানল না। উনাদের সাতটি দাবির চারটি পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা কি করলো? ভিসি, আমার ট্রেজারারকে, আমার প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো। ট্রেজারার স্যারকে রাত ৮টা অবধি গেইটে রেখেছে। দপ্তরগুলোতে তালা দিয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে এখানে নিয়োগ দিয়েছে, তারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কীভাবে?

তিনি আরো বলেন, আজকে আমি প্রবেশ করতে গেলে উনারা (শিক্ষক সমিতি) আমার উপর আক্রমণ করেন। বিশেষ করে সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, প্রত্নতত্ত্বের মোর্শেদ রায়হান আরেকজন হলো মার্কেটিংয়ের একজন জুনিয়র শিক্ষক মাহফুজ। এই মাহফুজ ছেলেটা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে চেয়েছিলো। উনারা কীভাবে একজন ভিসির গায়ে হাত তুলেন এটা আমার জানা নেই। আমিতো ভিসি ছাড়াও একজন সিনিয়র শিক্ষক!

পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'আমাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে যে তিনটি দফতর তালাবদ্ধ ছিল সেগুলো প্রক্টরের নেতৃত্বে অছাত্র-বহিরাগত, বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামিদের দ্বারা তালা ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু আমরা কোন সংঘর্ষে যাইনি। উনি আসার সময় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম, উনি (উপাচার্য) আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন, মোর্শেদ রায়হান স্যারকে কনুই দিয়ে আহত করেন, মাহফুজুর স্যারকে ঘুসি মারেন। সকল অছাত্ররা তখন আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা কেউ সেখানে যাইনি। শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অবস্থান করেছি। অথচ কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরের মদদে অছাত্র, সন্ত্রাসীরা শিক্ষক সমিতির অফিসে লাথি মারে এবং তালা ভাঙার চেষ্টা করেন।

তিনি আরো বলে, পরবর্তীতে ঐ সন্ত্রাসীরা আবারো আমাদের উপর হামলা করে, সাবেক সভাপতি শামিমুল স্যার লাথি দিয়ে নিচে ফেলে মারধর করে। শুধু তারাই নয়, উপাচার্য নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে হামলা করেছেন, শিক্ষকদেরকে কিল-ঘুষি মেরে তিনি কার্যালয়ে গিয়েছেন।

;