দাবি না মানায় কুবি শিক্ষক সমিতির শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত দফা দাবি না মানায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি আবারও ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পূর্বঘোষিত সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো এ সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এক জরুরি সাধারণ সভা শেষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বের যে দাবিগুলো ছিল, সেগুলো উপাচার্য মানেননি। তাই আমরা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে ২৭ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করছি।'

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময়ে চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো হবে। তবে বাকি মিডটার্ম, প্রেজেন্টেশনও এই সিদ্ধান্তের অন্তর্ভুক্ত হবে।'

এদিকে দুপুরে শিক্ষক লাউঞ্জে জরুরি সাধারণ সভা ডাকে কুবি শিক্ষক সমিতি৷ সভার শেষে তারা তাদের পূর্বের সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য দফতরে যান। এসময় উপাচার্যের কক্ষে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর শিক্ষক নেতাদের রাগান্বিত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এরপরেই দুপুর তিনটায় সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করে শিক্ষক সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট দেখছেন না বলছেন৷ উনি বলছেন এই সংকট শিক্ষক সমিতির, উনার নয়। আমাদের পূর্বের যে সিদ্ধান্ত এবং দাবিসমূহ নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলাম, সেটি তিনি পড়েও দেখেননি৷ আমরা চাই, বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক, এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।'

শিক্ষকদের এই দাবি না মানা ও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি উনাদের বলেছি যে, এ বিষয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে৷ কিন্তু উনারা আসেন আমার রুমে, নিজেরা নিজেরা গোলযোগ করেন৷ কথা বলার কোনো পরিবেশ রাখেন না তারা। তাদের বলেছি আপনাদের আইনসিদ্ধ যেকোনো দাবি অবশ্যই কার্যকর করবো। শুধু শুধু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করবেন না।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) এক সাধারণ সভায় সাত দফা দাবি ও তিনটি সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়। ঐদিন প্রথম ধাপে দুই দিনের শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করেছিল কুবি শিক্ষক সমিতি।

   

রাঙামাটিতে জিএসটি প্রথম ধাপের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) প্রথম ধাপের জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাঙামাটি রাবিপ্রবি’র অধীনে মোট আটটি কেন্দ্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম দফায় ৮ হাজার ৫শ ৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন, রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।

রাবিপ্রবি’র বঙ্গবন্ধু কর্নারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসি জানান, দেশের অন্যতম পর্যটন শহর রাঙামাটিতে এবছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তিন দফায় ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ ইউনিটে অংশ নেবেন সর্বমোট ১৪ হাজার ৫শ ৩০ জন পরীক্ষার্থী।

তিনি বলেন, শনিবার প্রথম দফা ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শহরের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা গুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভিসি জানান, এবার জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটের অধীনে ৮ হাজার ৫শ ৮২, ‘বি’ ইউনিটের অধীনে ২ হাজার ৭শ ৪৪ এবং ‘সি’ ইউনিটের অধীনে ৩ হাজার ২শ ৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

পুলিশ প্রশাসন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, সংবাদমাধ্যমকর্মী, হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, অটোরিকশা মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সুন্দর ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভিসি।

এলাকাবাসীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, আমাদের রাঙামাটি জেলায় আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ। এতবড় আয়োজনে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য রাঙামাটির পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

এসময় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম (বার), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার প্রথমবারের মতো রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত রাবিপ্রবি’র গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রায় ২শ ৫০ পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে পুরো রাঙামাটি শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয়।

রাবিপ্রবি'র তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রধান কেন্দ্র হচ্ছে, রাবিপ্রবি ক্যাম্পাস এবং উপ-কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, রাঙামাটি সরকারি কলেজ, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোনঘর আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ আবদুল আলী একাডেমি এবং ভেদভেদী পৌর উচ্চ বিদ্যালয়।

;

‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ নিয়ে পরিক্ষার্থীদের পাশে ইবি ছাত্রলীগ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের সমন্বিত গুচ্ছ ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশংসিত হচ্ছে শাখা ছাত্রলীগের সহায়তামূলক কার্যক্রমগুলো। অন্যান্যবারের মতো এবারও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে শাখা ছাত্রলীগের জয়বাংলা বাইক সার্ভিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো দূরে হওয়ায় পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে শেষ মুহুর্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগের জয় বাংলা বাইক সার্ভিস।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি ‍পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, অভিভাবক ছাউনির ব্যবস্থা করেছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, আবাসন, স্যালাইন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিনামূল্যে কলম বিতরণ করেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেরিতে আসা ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে মেইন গেইটে অপেক্ষায় আছে একদল ছাত্রলীগ কর্মী। তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের সামনে রেখেছেন বাইকগুলো। অভিভাবক তাঁবুতে ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিনামূল্যে খাবার পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে।

পাবনা থেকে আসা পরীক্ষার্থীর নাহিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘দূর থেকে আসায় টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। শেষ মুহূর্তে এসে কোনদিকে সিট বা হলে কিভাবে যাবো তা নিয়ে দিশেহারা ছিলাম। তখন স্বেচ্ছাসেবী ভাইদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়ে যান। তাদের এই সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই দিকপাল তাদের সার্ভিস নিয়ে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকের এই জয় বাংলা বাইক সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি। এতে করে দেরিতে আসা শিক্ষার্থীরা যেমন দ্রুত হলে পৌঁছাতে পারছে পাশাপাশি তাদের এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে হল খোঁজার বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে না। এছাড়াও আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য তীব্র গরমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অবিভাকদের বসে বিশ্রাম নেয়ার স্থান, শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা উপহারসহ প্রতিটা হল এবং আবাসিক হলের সামনে হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে করে দূর দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হচ্ছে বলে আশাবাদী।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, অনেক সময় পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসতে বিলম্ব হয়ে যায়, তাই দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের একটি টিমের অনুমোদন পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। আমরা মোট ৬টি বাইকের ব্যবস্থা রাখছি ৬টি হলের জন্য। তারা শিক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে।

;

তাপদাহেও ঢাবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের ভিড়



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার শুরু হয়েছে আজ। মোট ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে প্রতিষ্ঠিত এই গুচ্ছ পদ্ধতি। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মোট তিন ইউনিট মিলে ২০ হাজার ৩৫০টি আসনের এই ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন পড়েছে আবেদনকারীদের। ভয়াবহ তাপদাহেও পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও ভিড় করছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা যায়। বেলা ১২টায় পরীক্ষার সময় দেওয়া হলেও সকাল ৯টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

তীব্র গরম পড়লেও ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর সামনে ফাঁকা স্থান চোখে পড়ে নি । অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে চলছে না কোন যানবাহনও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা পরীক্ষার্থী নীলা আক্তার জানান, বিজ্ঞান ইউনিট থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছি তবে ভর্তির সুযোগ হয় নি। এটাই শেষ সুযোগ স্বপ্ন ছোঁয়ার। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি তাই গরম বেশি হলেও এই পরীক্ষা দিতে সাবধানতার সাথে অনেক আগেই এসে উপস্থিত হয়েছি কেন্দ্রে।

নরসিংদী থেকে আসা শিক্ষার্থী সুস্ময় দাস বলেন, আমরা ঢাকায় থেকে কোচিং করেছি। তাই আবেদন করার সময় ঢাকায় কেন্দ্র দিয়েছি। ঢাকা থেকে আবেদন করায় আমার সিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। যার ফলে এখন আমার নরসিংদী থেকে আসতে হয়েছে এত গরমে।

কুমিল্লা থেকে আসা এক অভিভাবক তারিক জামিল বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। তার কেন্দ্র পরেছে কার্জন হলে। সে ঢাকাতেই ভর্তি কোচিং করেছিলো। কুমিল্লা থেকে আমি ওকে কেন্দ্রে নিয়ে আসতেই সকালের ট্রেনে এখানে এসেছি। আমি একটি সরকারি অফিসে চাকরি করি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানকে মেয়েকে পড়ানো আমার স্বপ্ন তাই এই গরমেও যতটুকু পারছি সাপোর্ট দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, তীব্র তাপদাহে যেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোন সমস্যা না হয় সেজন্যে ঢাবির বিএনসিসি এবং রোভার ইউনিট সদস্যদের নানা ধরণের সেবামূলক দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

;

ইবি কেন্দ্রে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু 



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি একাডেমিক ভবনে বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয় যা চলবে বেলা ১ টা পর্যন্ত। ইবি কেন্দ্রে এ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে ৬ হাজার ৪৪২ জন ভর্তিচ্ছুর।

এর আগে সকাল ১০টা থেকেই প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে ভর্তিচ্ছু পরিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে থাকে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও আশপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র।

পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানসহ প্রশাসনের সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিতে ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে।

এদিকে, গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্খিত ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

;