প্রক্টর পদে যোগ্য কাউকেই চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা



মাহমুদুল হাসান (জাবি প্রতিনিধি) বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রায় পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা কর্মকাণ্ডে হয়েছেন আলোচিত, সমালোচিত ও বিতর্কিত। এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ধর্ষণকাণ্ডে এই দাবি আরও প্রগাঢ় রুপ নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের পুনর্মিলনীতে অ্যাম্বুলেন্সে করে মদ আনা ও ওই অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় এক নারীর গর্ভপাত এবং এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত যৌন নিপীড়নের অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে করা অভিযোগের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে দিয়ে জোরপূর্বক দায়মুক্তিপত্র লেখানো, প্রক্টরের দায়িত্বকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাদকের অবাধ সিন্ডিকেট তৈরি এবং সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত নারী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিয়ে দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগ এনে গত ১ মাস ধরে ফিরোজ উল হাসানকে প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

প্রক্টরের অপসারনের দাবি যে শুধু আন্দোলনকারীরাই করে আসছে এমনটা নয়। বর্তমান প্রশাসনপন্থী অনেক শিক্ষকও এই পদে নতুন মুখ দেখতে আগ্রহী। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় গত সপ্তাহে টানা ৩ কর্মদিবস প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। টানা অবরোধে স্তিমিত হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম, একপর্যায়ে প্রক্টরের পদে নতুন কাউকে আসীন করার আশ্বাস দেন উপাচার্য।

আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম আশ্বাস দিয়েছেন ১৮ মার্চ দুপুরের মধ্যে বর্তমান প্রক্টর হয় স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী উপাচার্য তার ক্ষমতাবলে অব্যাহতি দিবেন।

এদিকে নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি সামনে আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-জল্পনা-কল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর কে হচ্ছেন এমন প্রশ্ন এখন সকলের মুখে? ইতোমধ্যে এই পদে নতুন নিয়োগের সম্ভাব্য তালিকায় উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের নাম। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আসীন হওয়ার আশায় জোর প্রচেষ্টাও চালাচ্ছেন অনেক শিক্ষক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান। তিনি নিকট অতীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও পরিবহণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া সম্প্রতি সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

তালিকায় আরও রয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আওলাদ হোসেন। তিনি ইতঃপূর্বে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে পরিবহণ অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন। এই অধ্যাপককে প্রক্টর পদে নিয়োগের জন্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামূল কবির জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে কয়েকজন শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া তালিকায় এগিয়ে আছেন স্ট্যাটিস্টিকস এন্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর কবির। তিনি ইতোমধ্যে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া রেজিস্ট্রার অফিস ও উপাচার্য কার্যালয়ের কয়েকটি সূত্র থেলে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এই পদে নিয়োগ পেতে পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সিকদার জুলকারনাইন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহিবুর রৌফ শৈবালসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধান রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতে সৎ, যোগ্য, গতিশীল ও সাহসী কাউকেই প্রত্যাশা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিপীড়নের বিরুদ্ধে গঠিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, ‘আমরা প্রক্টর হিসেবে ক্লিন ইমেজের একজনকে চাই। ফিরোজ স্যারের মতো জেল খাটা ও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের অভিযুক্ত কাউকে নয়। যিনি সৎ, সাহসী এবং যেকোনো চাপে ভয় পায় না এরকম প্রক্টর আমরা চাই।’

কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রথমত এই পদে ছাত্র-বান্ধব ব্যক্তি প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত ক্যাম্পাস মাদকে ভরে গেছে। প্রক্টর নানাভাবে মাদকমুক্ত করতে পারেন। এমন ব্যক্তি প্রয়োজন যিনি ক্যাম্পাসটাকে ভালো রাখবেন। ক্যাম্পাসে যা কিছুই ঘটে তা প্রক্টরের নজরে আসে। যারা ইয়াং, অনেস্ট, ডায়নামিক ও ক্যাম্পাসটাকে ভালোবাসে এমন ব্যক্তিকে পদে আসীন করা হোক। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও তাকে সহযোগিতা করার মনোভাব থাকতে হবে।’

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম বলেন, ‘পুরোপুরি শিক্ষার্থী বান্ধব একজন শিক্ষক প্রক্টর হবেন এটাই আমার চাওয়া। যিনি দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেচনা করবে এবং যার প্রতি সকলের সহমর্মিতা, সহানুভূতি থাকবে এমন ব্যক্তি ও প্রশাসন আমার চাওয়া।’

নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে উপাচার্যের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

   

স্থানীয় দোকানির মারধরে রক্তাক্ত চবি শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সবজি বিক্রেতাদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আনাস মাহদী নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেটের বাজারে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মারধরের এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২ নং ফটকে বাজার করতে আসেন ওই শিক্ষার্থী। সেখানে সবজি বিক্রেতার সাথে তরকারির দরদাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এসময় পাশ থেকে আরোও কয়েকজন স্থানীয় বিক্রেতা এসে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় ভুক্তভোগীর মাথায় মোটা বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়।

মারধরের শিকার আনাস মাহদী বলেন, আমি বাজার করার জন্য ২ নং গেটে গেছিলাম। সেখানে (রহমানিয়া হোটেলের পাশের) একটি দোকানে সবজি কিনতে গেলে দেখি দোকানে অন্যান্য দোকানদারদের চেয়ে দাম বেশি চায়। আমি তাকে দাম কমানোর জন্য বললে সে আমার সাথে তুই তোকারী শুরু করে। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে ওই দোকানিসহ আরও চার পাঁচজন মিলে আমাকে মারধর করে। তাদের মধ্য থেকে একজন মোটা বাঁশ দিয়ে আমার আঘাত করে এতে তৎক্ষণাৎ আমার মাথা ফেটে পুরো গেঞ্জি রক্তে ভিজে যায়। সেখানে আমি একা ছিলাম পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বড় ভাই এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে আসে।

তিনি আরও আরোও বলেন, পরবর্তীতে চবি মেডিকেলে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট শেষে প্রক্টর স্যার কে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন এবং আমাকে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে বলেন। পরে আমি হাটহাজারী থানায় একটি একটি সাধারণ ডায়েরি করছি। প্রশাসনের কাছে আমার সাথে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার বিচার চাচ্ছি।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদী হয়ে মামলা করার দাবি জানায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ২নং গেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরায় বাজার করতে যায়। সেখানকার স্থানীয়রা প্রায় শিক্ষার্থীদের সাথে হিস্র আচরণ করে থাকে। তারা আজকে একজন শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করেছে এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয় আর পরবর্তীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরো বড় কিছু তৈরি হয় তাহলে সেটার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।

এ বিষয়ে চবি মেডিকেলের দায়িত্বরত ডা. আতাউল গনি পারভেজ বলেন, মারধরের ঘটনায় তার (ভুক্তভোগী) মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে অনেক। আনাস মাহদীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ২ নং ফটকে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক ওই জায়গায় যাই। পরে স্থানীয় দোকানদের সাথে কথা বলে তাকে (ভুক্তভোগী) মেডিকেলে পাঠাই। সে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নেবে।

;

শেকৃবির নবাব হলে মাদকসহ আটক ৫



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) চার বহিরাগতসহ এক সাবেক শিক্ষার্থীকে মাদকসহ আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম এবং হল প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ছাদ এবং হল গেট থেকে মাদকসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন রায়হান হুসাইন, আতিকুর রহমান, আমিরুল ইসলাম শান্ত, শামীম আহম্মেদ এবং শুভ। এদের মধ্যে রায়হান এবং শান্ত উভয় খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। শামীম ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আতিকুর রহমান স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সিএস‌ই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী এবং শুভ শেকৃবি থেকে ড্রপ আউট হ‌ওয়া শিক্ষার্থী।

জানা যায় নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের এ ব্লকের ৩১১ নাম্বার রুমে সোমবার রাতে এসে উঠেন আতিকুর রহমান। বাকি তিনজন বহিরাগত হলে এসে ভিন্ন রুমে ছিলেন। বিকালে রায়হান, শুভ, শামীম এবং শান্ত মিলে হলের ছাদে মাদক সেবনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল প্রশাসনের হাতে আটক হন অন্যদিকে আতিকুর রহমানকে মাদকসহ হল গেট থেকে আটক করা হয়।

পরে তাদের ৫ জনকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড.শেখ মোহাম্মদ মাসুম বলেন, আমি আসলে লজ্জিত আমার হলে এই রকম একটা ঘটনা ঘটায়। অনেক ভালো ভালো পরিবারের ছেলে মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। মাদকাসক্তদের রিহ্যাবে পাঠিয়ে বা মোটিভেশন দিয়ে ঠিক পথে নিয়ে আসা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক নিয়ে আটকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. হারুন -উর - রশিদ বলেন, আমরা মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। যারা মাদক বহন করবে , মাদক খাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করবে তাদের ক্ষেত্রে আমরা শক্ত অবস্থানে। কোন ক্রমেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

;

যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপক নাদিরকে অব্যাহতি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে একাধিক সিন্ডিকেট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। এই তদন্তে শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলকে তদন্ত করতে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে প্রেস ব্রিফিং করে এমসিজের শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়। সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, 'শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিন্ডিকেটকে চাপ প্রয়োগ করতে প্রেস ব্রিফিংয় করছে উল্লেখ করে অধ্যাপক নাদির জুনাইদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বরারব চিঠি দিয়েছিলেন।'

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বিভাগের আরেক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে মৌখিক যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীও তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গত ৩ মার্চ ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। এছাড়াও চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

;

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপে পড়ানোর দাবি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সংগঠনটির দফতর সম্পাদক সীমান্ত বর্ধন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের সংগ্রামী জনতার পাশে দাঁড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সংহতি গড়ে তোলার দায়িত্ব পৃথিবীর প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। এটি কোনো যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা। প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা বরাবরই সংহতি গড়ে তুলেছে। ফিলিস্তিনের বীর জনতার ওপর ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা এবং অব্যাহত নৃশংসতায় সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতার বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন দেশজুড়ে সংহতি গড়ে তোলার কাজে শুরু থেকে নিযুক্ত।

আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পাঠ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়নের লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় ডাকসু ও ছাত্র ইউনিয়ন ঘোষিত ‘ভিয়েতনাম দিবসের’ সংহতি মিছিল মার্কিন দূতাবাসে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশের গুলিতে ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মতিউল ইসলাম ও মির্জা কাদেরুল ইসলাম শহীদ হন। ২০০২ সালে মির্জা কাদেরুল ইসলাম ও মতিউল ইসলামকে ভিয়েতনামের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয় দেশটির সরকার। পাশাপাশি ভিয়েতনামের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নামকরণও করা হয় এ দুই বীরের নামে।

;