বহুত্ববাদ দেখতে চাইলে জগন্নাথ এলাকায় আসুন: জবি উপাচার্য



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বাংলাদেশে বহুত্ববাদ দেখতে চাইলে জগন্নাথ এলাকায় আসুন। এখানে আসলে আপনারা বহুত্ববাদ দেখতে পাবেন। এখানে চার্চও আছে, মন্দির আছে, মসজিদও আছে।

রোববার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ যোহর দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় অবন্তিকার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেও দোয়া করা হয়।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু হিন্দু-মুসলিম সকলের সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন। কারণ, তিনি ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন। একটি দাঙ্গায় হিন্দু-মুসলিম উভয়পক্ষেরই সমান সংখ্যক মানুষ আহত হয় তখন বঙ্গবন্ধু সবার দেখাশোনা করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা সবসময়ই বলতেন বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। অর্থাৎ ধর্ম নিয়ে আমরা রাজনীতি করবো না। আপনারা বার বার প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে আপনারা ধর্মান্ধতার রাজনীতি করেন না। সেটার বড় প্রমাণ করোনা কালীন সময়ে পুরো দেশ দেখেছে। তখন হিন্দুরা মুসলিমদের দাফনে সাহায্য করেছেন এবং মুসলিমরা হিন্দুদের সৎকারে সাহায্য করেছেন।

আবেগঘন হয়ে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময়ই বলতেন আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি। সমস্যাটা হলো আমি তাদেরকে একটু বেশিই ভালোবাসি। কিন্তু তাদেরকে বেশি ভালোবাসার ফলে তাদের মধ্যেই কাফের সৃষ্টি হলো। তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করলো, ছোট্ট রাসেলকেও তারা ছাড় দিলো না।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, তোমরা যেকোনো সময় তোমাদের অভিযোগ আমাকে জানাতে পারো। আমাকে ম্যাসেজ করে রাখবে। আমি তোমাদের অভিযোগ পড়ে যেভাবে হেল্প করা যায় সেটা করবো।

উপাচার্য আরো বলেন, আমাকে তো তুই বলে স্লোগান দেয়া হয়। জীবনের প্রথম আমাকে তুইতোকারি শুনতে হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পঁয়ত্রিশ বছর শিক্ষকতা করেছি। অনেক উপাচার্যের ক্রাইসিসের মধ্যে আমি দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু কোনোদিনও কোনো উপাচার্যকে তুইতোকারি করতে শুনি নি। কেউ না কেউ ওদের শিখিয়েছে। আমি ওই শিক্ষার্থীদেরকে দোষ দিবো না। কেউ কখনো আমাকে তুইতোকারি করে কথা বলে নাই। অথচ জগন্নাথে এসে আমার তুইতোকারি শুনতে হচ্ছে।

দোয়া মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

এর আগে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

এরপর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, বিভিন্ন সংগঠন, কর্মচারী সমিতি এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে একাডেমিক ভবনের নিচতলায় পুরানো ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধু ও আগামীর শিশু’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

এছাড়াও সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

   

শেকৃবির নবাব হলে মাদকসহ আটক ৫



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) চার বহিরাগতসহ এক সাবেক শিক্ষার্থীকে মাদকসহ আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম এবং হল প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ছাদ এবং হল গেট থেকে মাদকসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন রায়হান হুসাইন, আতিকুর রহমান, আমিরুল ইসলাম শান্ত, শামীম আহম্মেদ এবং শুভ। এদের মধ্যে রায়হান এবং শান্ত উভয় খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। শামীম ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আতিকুর রহমান স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সিএস‌ই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী এবং শুভ শেকৃবি থেকে ড্রপ আউট হ‌ওয়া শিক্ষার্থী।

জানা যায় নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের এ ব্লকের ৩১১ নাম্বার রুমে সোমবার রাতে এসে উঠেন আতিকুর রহমান। বাকি তিনজন বহিরাগত হলে এসে ভিন্ন রুমে ছিলেন। বিকালে রায়হান, শুভ, শামীম এবং শান্ত মিলে হলের ছাদে মাদক সেবনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল প্রশাসনের হাতে আটক হন অন্যদিকে আতিকুর রহমানকে মাদকসহ হল গেট থেকে আটক করা হয়।

পরে তাদের ৫ জনকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড.শেখ মোহাম্মদ মাসুম বলেন, আমি আসলে লজ্জিত আমার হলে এই রকম একটা ঘটনা ঘটায়। অনেক ভালো ভালো পরিবারের ছেলে মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। মাদকাসক্তদের রিহ্যাবে পাঠিয়ে বা মোটিভেশন দিয়ে ঠিক পথে নিয়ে আসা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক নিয়ে আটকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. হারুন -উর - রশিদ বলেন, আমরা মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। যারা মাদক বহন করবে , মাদক খাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করবে তাদের ক্ষেত্রে আমরা শক্ত অবস্থানে। কোন ক্রমেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

;

যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপক নাদিরকে অব্যাহতি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে একাধিক সিন্ডিকেট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। এই তদন্তে শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলকে তদন্ত করতে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে প্রেস ব্রিফিং করে এমসিজের শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়। সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, 'শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিন্ডিকেটকে চাপ প্রয়োগ করতে প্রেস ব্রিফিংয় করছে উল্লেখ করে অধ্যাপক নাদির জুনাইদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বরারব চিঠি দিয়েছিলেন।'

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বিভাগের আরেক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে মৌখিক যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীও তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গত ৩ মার্চ ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। এছাড়াও চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

;

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপে পড়ানোর দাবি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সংগঠনটির দফতর সম্পাদক সীমান্ত বর্ধন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের সংগ্রামী জনতার পাশে দাঁড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সংহতি গড়ে তোলার দায়িত্ব পৃথিবীর প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। এটি কোনো যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা। প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা বরাবরই সংহতি গড়ে তুলেছে। ফিলিস্তিনের বীর জনতার ওপর ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা এবং অব্যাহত নৃশংসতায় সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতার বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন দেশজুড়ে সংহতি গড়ে তোলার কাজে শুরু থেকে নিযুক্ত।

আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পাঠ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়নের লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় ডাকসু ও ছাত্র ইউনিয়ন ঘোষিত ‘ভিয়েতনাম দিবসের’ সংহতি মিছিল মার্কিন দূতাবাসে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশের গুলিতে ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মতিউল ইসলাম ও মির্জা কাদেরুল ইসলাম শহীদ হন। ২০০২ সালে মির্জা কাদেরুল ইসলাম ও মতিউল ইসলামকে ভিয়েতনামের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয় দেশটির সরকার। পাশাপাশি ভিয়েতনামের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নামকরণও করা হয় এ দুই বীরের নামে।

;

ছাত্রদল নেতাকে পিস্তল দেখিয়ে গুলি করার হুমকি রাবি ছাত্রলীগের



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের কক্ষে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার বন্ধুকে নির্যাতনের পাশাপাশি পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে শাখা ছাত্রদলের দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে আমি ও আমার বন্ধু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের তিনজন নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ আমাদের পেছনে এসে দাঁড়ায়। তাদের দেখে আমরা ক্যাম্পাস থেকে বাইক নিয়ে চলে আসছিলাম। আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া আবাসিক এলাকায় তারা আমাদের পথ রোধ করে তাদের বাইকে আমাকে তুলে নেয়। এরপর তারা আমাকে মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ওই কক্ষে আসেন। এসময় সে আমাকে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এক পর্যায়ে সে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে চড়-থাপ্পর ও মাথায় কিল-ঘুষি মারে। এরপর সে একটা পিস্তল বের করে। পিস্তলে তিনটা গুলি লোড-আনলোড করতে করতে বলে, ‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে’। এমন করতে করতে সে একবার শুট করে। তবে গুলি তখন আনলোড করা ছিল। পরবর্তীতে রাত ১টার দিকে তারা আমাকে সহকারী প্রক্টরের হাতে তুলে দেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর আগে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আমরা তাই সন্দেহজনকভাবে তাকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি।

পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারণ অস্ত্রের রাজনীতি ছাত্রদল করে, এটা ছাত্রলীগ করে না। ছাত্রলীগের হাতে কলম থাকবে, অস্ত্র না।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ফোন পেয়ে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। তারা সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বিনোদপুরে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় মারধর কিংবা নির্যাতনের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মারধরের ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ করলে বিষয়টি দেখব।

;