অবন্তিকার ফেসবুক ওয়াল জুড়ে শোকের ঝড়, বিচার দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার (২৪) আত্মহত্যার পর তার ফেসবুক ওয়াল জুড়ে চলছে সহপাঠী ও বন্ধুদের শোকের ঝড়। সেইসঙ্গে অবন্তিকার আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন তারা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার পর কুমিল্লার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা।

আত্মহত্যার আগে তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে একটি সুইসাইড নোট লেখেন। তাতে তিনি মৃত্যুর জন্য তার এক সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী তাকে যৌন হয়রানি করেছেন এবং তারপর তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এবিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি আম্মানের পক্ষ নিয়ে তার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। সুইসাইড নোটে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা লেখেন-

‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।

কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে "খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? "

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না

আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার!’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

এদিকে, অবন্তিকার আত্মহত্যার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী এবং বন্ধুদের শোকবার্তায় ভরে যেতে থাকে তার ফেসবুক ওয়াল। এছাড়া দোষীদের বিচার দাবি করেও একের পর এক পোস্ট দিয়ে চলেছেন তারা।

এ বিষয়ে কয়েক বন্ধু ও সহপাঠীর শোকবার্তা তুলে ধরা হলো-

Sumaiya Sumaiya Soma
‘কিছুদিন আগে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে Fairuz Abontika অন্যদের মতো সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই সময় অবন্তিকার সাথে হয়ে যাওয়ার অন্যায়ের বিচারের জন্য এই বিষয়গুলো শেয়ার করেছিলো। অবন্তিকার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটি অকার্যকর প্রশাসন, মৃত্যুশেল। প্রশাসন কি পারবে অবন্তিকার মৃত্যুর প্ররোচনাকারী অপরাধীদের শাস্তি দিতে??’

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

আঁখি সরকার রাই

‘ঈশ্বর জীবন এতো ছোট কেনো? মানুষগুলো এমন অমানুষ কেনো? এত প্রাণবন্ত, স্বাধীনচেতা মেধাবী মেয়েটাকে বাঁচতে দিলো না, আমি ওনাকে দেখতাম ওনার একটিভিটি দেখতাম আর ভাবতাম আমরা কুমিল্লার মেয়েরা আসলেই ট্যালেন্টেড, উদাহরণ টানলে উনার কথা বলতাম, নিজের কথা বলতাম আরো অনেকের নামের সাথে।

অথচ সেই স্ট্রং মানুষটাকেও আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলো কিছু মানুষ নামক জানোয়ার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো একটা জায়গায় এতোটা যন্ত্রণা ভুগতে হলো তাকে, কেউ কী ছিলো না তার পাশে দাঁড়ানোর?
তাকে সাহস জোগানোর?
ওনার মতো আমিও তো এরকম কতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ি, আমাকেও কী কখনো এই পথ বেছে নিতে হবে? এক জীবনে এতকিছু সইবো কেমনে ঈশ্বর?

অবন্তী আপু,
পোস্টটা করার পর সকলের মতামত গুলো দেখে যেতে পারতেন অন্তত, এতগুলো মানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করে চলে গেলেন? অবশ্য এটা আত্মহত্যা না এটা হত্যা, অবন্তী হত্যার বিচার চাই!!’

Fahmida Zaman
‘Fairuz Abontika মেয়েটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। মাত্র জানলাম সে সুইসাইড করছে এবং ফেসবুকে তার সুইসাইডের কারণ হিসেবে সরাসরি দায়ী করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনকে।

২০২২ এ ভার্সিটি ডে তে হঠাৎ করে মেয়েটা পিছন থেকে এসে বলে আমাকে তার খুব ভালো লাগে, সে মেসেন্জারে টেক্সটও করেছে এবং তার নাম ফাইরুজ অবন্তিকা, সে ল ডিপার্টমেন্টের।আমার সংগে সে একটা ছবি তুলতে চায়। তখনের তোলা ছবিটা when she was alive and happy. সে বারবার বললো আমার স্বাধীন ডেয়ারিং জীবন তার খুব পছন্দ। Another departed soul has been added to my memories.’

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

তৌফিকুল ইসলাম হৃদয়

পৃথিবীর কোনকিছু দিয়ে Fairuz Abontika হত্যার ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে হচ্ছেটা কি? আর কত তাজা প্রাণ অকালে ঝরে পড়বে? বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে?
মেধাবী, প্রতিভাবান একজন শিক্ষার্থী এভাবে হারিয়ে গেল। আর আমরা চুপচাপ বসে আছি? শিক্ষার্থীদের বোধ উদয় হবে কবে? প্রশাসনের টনক নড়বে কবে?
আর...
আমরা মানুষ হবো কবে??
অবন্তীকা জগন্নাথকে কোনদিন মাফ করে দিস না।

Alif Tasnim
The day I went to ABC radio for the first time, I got introduced with Fairuz Abontika apu. Just like me she was also there as a contestant for giving audition. As we endured a lengthy wait, our conversation delved into various topics including cricket, commentary, life, and career, anchoring, and so on. It felt like I'm conversing with someone who was deeply connected to me. I never anticipated that she would pass away under such distressing circumstances. May Allah forgive her all the sins.

আ ফি য়া
Fairuz Abontika হত্যার দায় শুধু দুজনের না৷ আমাদের পুরো জগন্নাথের।
একজন প্রক্টর এমন পিশাচ হইলো না হয়! প্রক্টরিয়াল বডির বাকিরা কেন নিরব ভূমিকায় ছিলো? এই নিরবতা তো ঐ একজনের অন্যায়কে মৌন সমর্থন দেয়া।
বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছেও নাকি বার বার নালিশ করেছিলো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান যথেষ্ট পাওয়ারফুল হন। উনি চাইলে পারতেন মেয়েটিকে রক্ষা করতে । বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকও কি একদিনও খেয়াল করলেন না যে একজন শিক্ষার্থী এতোটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে?

আর ভিক্টিমের বন্ধু বান্ধব যারা আছেন, আপনারা অনেকেই নাকি জানতেন বিষয়গুলো। দোষীদের একজন আপনাদেরই সহপাঠী। তবু আপনারা কিছু করতে পারলেন না?

সবাই মিলে কি কিছু করা যেতো না? আর না হোক অন্তত মানসিক সাপোর্টটা তো দিতে পারতেন।

পৃথিবীর কোনো কিছুই মানুষের সেচ্ছামৃত্যুর কারণ হতে পারে না যদি ব্যাক্তি মানসিকভাবে শক্ত থাকেন। যত রোগ বালাই বলেন আর বিপদ বলেন, সবকিছুই আপনাকে তখন কাবু করবে যখন মানসিকভাবে আপনি একা হয়ে যাবেন, ভেঙে পরবেন।

মেয়েটা লড়াই করতে করতে যখন আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সে একদম একা! কেউ নাই পাশে! তখনই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।

শ্রদ্ধেয় উপাচার্য Sadeka Halim ম্যামের কাছে অনুরোধ, সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে জগন্নাথের এই কলঙ্ক দূর করুন ।

retha Sarker
Fairuz Abontika আপুর মৃত্যুর পেছনের কারণের ভয়াবহতা এখান থেকে একটু হলেও আঁচ করা যায়। নইলে এমন একজন স্ট্রং এবং একটিভ মানুষ এত সহজে ভেঙ্গে পড়তে পারে না।যতবারই তার কথা মনে করছি তার হাস্যোজ্জ্বল, কর্মচঞ্চল চেহারাটাই ভেসে উঠছে।
প্রশাসনের এই অন্যায় ও নির্লিপ্ত আচরণের বিরুদ্ধে সবাই রূখে না দাঁড়ালে ক্ষমতার এসকল ম্যালপ্র‍্যাক্টিস চলতেই থাকবে এবং আরো কিছু ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ড ঝরে পরবে। আর যারা ঝরবে না, তারা দিনে দিনে ভোঁতা হয়ে যাবে।

Noshin Tabassum Prapty
Fairuz Abontika মেয়েটা আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতো, খুবই এডমায়ার করতো।এটা আমার কথা না,এটা যারা একটু হলেও ভালো করে জানে অবন্তিকাকে,তারা জানবে আমার কথা।

অবন্তিকার সাথে আমার পরিচয় ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে হলেও ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব ওর বিএমএ থেকে আসার পর।ওর কিছু পোস্ট দেখে আমার মনে হয়েছিল মেয়েটা ভালো নেই, ওর কাছ থেকে জানতে চাইলে,ও আমাকে গড়গড় করে সব বলে দেয়। তখন থেকে আমার কাছে ওর শেয়ার করা শুরু এবং হেন কিছু নেই সে আমাকে শেয়ার করেনি।

আমি শুধু অবন্তিকার কথাই বলবো,যে কথাটা অবন্তিকা বুক ফেটে সবাইকে বলতে চাইতো এবং এটাও প্রমাণ করতে চাইতো,

"তোমরা যারা অবন্তিকাকে এতটা খারাপ ভাবে মানুষ এর কাছে রিউমার ছড়াচ্ছো,সে এতটা খারাপ না। সে খুব ই সাধাসিধে একটা মেয়ে,যাকে কেন্দ্র করে তোমরা জটিল গল্প বানাচ্ছো,সে গল্প গুলো বিশ্বাস ও করে ফেলেছো একটা বার তার সাথে কথা না বলে"

সে আমার কাছে আর্তনাদ করে বলতো,"প্রাপ্তি! আমি এত খারাপ মেয়ে না!আমি এটা কাকে বিশ্বাস করাবো? ওরা এই আটজন এমনভাবে আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে, প্রত্যেকটা মানুষ এর কাছে গিয়ে গিয়ে আমি কয়জনকে প্রমাণ করবো?কেউ আমার কথা শুনবে?"

আমি এই অবন্তিকার কথাই বলবো। আমাকে শুধু সময় দিন।আপনারা এর মাঝে চিন্তা করতে থাকেন, মেয়েটাকে নিয়ে কি পরিমাণ বাজে কথা ছড়ানো হয়েছিল,কোন মুখ গুলো ছড়াচ্ছিল সেটা মনে করতে করতে।

আমি ওর সব কথা হয়তো মনে করে বলতেও পারবো না।আপনারা যারা রিউমার শুনেছেন,সেটা আমাকে মনে করায় দিতে সাহায্য করবেন।

আমি ওর কথাই বলবো ও যা বলতে চেয়েছিল সবাইকে।
আমি মানসিক অবস্থায় নেই সব বলার এখন।
কিন্তু আমি বলবো।
একটু সময় দিন আমাকে।
এর মাঝে আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করবেন না, নক দিবেন না কিছু জিজ্ঞেস করে।
প্লিজজ

Shanta Islam
Fairuz Abontika
মৃত্যু ভীষণ কাছে কেন?
বহুদূর পার হয় নি কেন?
কিছু নরপিশাচের জন্য নিজেকে এমন ভাবে শেষ না ও তো করতে পারতেন।
জীবনে একটা আফসোস থেকেই যাবে আপনার মতো মানুষের সাথে কোনো দিন সামনে থেকে কথা হয়নি আমার।
ওপারে অনেক ভালো থাকবেন অবনী আপু।

Dipu Roy
‘জেনেছি সামনে “হঠাৎ মৃত্যু”
দুইদিন আগেও আপনি বললেন আপু
"আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়"

Abontika জোনাক পাখি হঠাৎ করেই আলো নিভিয়ে চলে গেলো...
কিভাবে পারলেন এটি করতে??
ঈশ্বর আপনাকে ছায়াতলে রাখুক।
ভালো থাকবেন...’

Nazmul Sakin Shanto
সুশান্ত সিং রাজপুত হোক অথবা ফাইরুজ অবন্তিকা আপা, আত্মহত্যার আগে কেউ এদের আশেপাশেও ছিলো না। অথচ ২ জনই যখন মারা গেলো, ফেসবুক জুড়ে Comments And Status* লোকজনের মারাত্মকভাবে Sympathy দেখাইচ্ছে যেই Level এ তাতে ত মনেই হচ্ছে আসামীরা ঘরের বাইরে বের হলে মেরেই ফেলবেন আপনারা!

পারবেন না, কিচ্ছুই হবে না। কয়েকদিন মানববন্ধনের ভণিতা করবেন, আর ১ বছর পর মৃত্যুবাষির্কীর দিন আসলে সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের হারিকেন জ্বালিয়ে খোঁজ করবে এই ব্যাপারে: আপনারা একটু ক্ষোভ জাতীয় কথা বলবেন, আর তাঁরা তাঁদের News Channel'র TRP বাড়াবে!

যদি একজন সত্যিকারের ফাইরুজ আপা পক্ষের মানুষ হন, তাহলে তাঁর মারা যাওয়ার আগে দায়ী ব্যক্তি আম্মান সিদ্দীকী এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে নিজ দায়িত্বে মামলা দিয়ে দিন। ১০০ জন ১০০ মামলা!

তারপর দেখবো, লম্পট গুলো কই যাবে? যদিও আমি এই আত্মহত্যাকে কোনোদিন সমর্থন দিই না, ফাইরুজ আপা আসলেই জীবন যুদ্ধে হেরে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে ফেলছে। আমরা এই ভূল করবো না, ইনশাআল্লাহ। 😒✊🏽

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যেহেতু ফাইরুজ আপা মুসলিম ছিলেন, তাই তাঁর ছবি ব্যবহার করে Sympathy আদায় করাকে আমি মুনাফেকি কাজ মনে করি, পারলে শব্দযুদ্ধ করে লড়াই চালিয়ে যান।

   

৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন হওয়ায় আগামীকাল ৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষা কার্যক্রম।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন ৮ মে, বুধবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় ০৮ মে, ২০২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।

;

চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট

চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসলে ভর্তি বাতিল করবে প্রশাসন।

রোববার (০৫ মে) চবি উপাচার্য প্রফেসর মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ডোপ টেস্টের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের চবিতে চূড়ান্ত ভর্তির আগে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, মাদক আমাদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তাই আমরা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমে যারা সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তারপরে আমরা পর্যায়ক্রমে আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ধীরে ধীরে এর আওতায় আনব।

উপাচার্য আরও বলেন, এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা চমেক হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেছি। কে এই খরচ বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমরা একটি সীমা—২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা—নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি।

সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলা গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা দেশের স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছি। পুরুষ ও নারী সব শিক্ষার্থীকেই তাদের রক্তের বা ইউরিনের নমুনা চমেকে দিতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত তালিকার জন্য প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না।'

উল্লেখ্য, ডোপ টেস্ট বা ড্রাগ টেস্ট হলো কোনো প্রাণীর শরীরের কোনো অংশের নমুনা থেকে ঐ প্রাণীর শরীরে কোনো নির্দিষ্ট মাদকের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা। যারা নিয়মিত মাদক বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের শরীরে ওই নেশাজাতীয় পদার্থের কিছুটা হলেও থেকে যায়। আর সেটিই ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ধরা পড়ে। কোনো ব্যক্তি আদৌ মাদকাসক্ত কি না তা যাচাইয়ের জন্য যে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়।

এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মূত্র বা রক্ত, আবার কখনো দুটিরই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মাদক গ্রহণ করা ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শেষ ১ সপ্তাহে মুখের লালার মাধ্যমে, শেষ ২ মাস রক্তের মাধ্যমে, শেষ ১২ মাস বা ১ বছরে চুল পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায় মাদকের নমুনা।

;

জাবিতে ডিন নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অনুষদগুলোর আসন্ন ডিন নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের বিরুদ্ধে।

রোববার (৫ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পক্ষপাতিত্বমূলক কার্যক্রমের প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন নির্বাচনের বৈধপ্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়া ৪ জন শিক্ষক।

পক্ষপাতিত্বমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে অভিযোগকারী শিক্ষকরা হলেন- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বর্তমান ডিন ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক ইউসুফ হারুন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক কাশেদুল ওহাব তুহিন ও সহযোগী অধ্যাপক রাকিবুল হাসান। এছাড়া উপাচার্য বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে অবৈধভাবে বাছাইকৃত প্রার্থী তালিকা বাতিল করে আইনানুগভাবে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই শিক্ষকবৃন্দ।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের আসন্ন ডিন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গত ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। কিন্তু বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পূর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য গত ৩০ এপ্রিল ই-মেইলে এবং ১ মে সশরীরে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করে আবেদনপত্র জমা দেন তারা। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে প্রার্থীদের অনুপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাই করেন। এরপর তড়িঘড়ি করে গত ২ মে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় কোন ত্রুটি বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে তা প্রার্থীকে অথবা মনোনীত প্রতিনিধিকে দেখানোর কথা এবং তা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

আরও জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং সে সময়ে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ কর্তৃক সমর্থিত এক প্রস্তাব গ্রহণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রস্তাবটি ছিল, মনোনয়নপত্রে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ডেকে তা প্রতিকার করে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করার। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার আইন এবং সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেননি। এছাড়া ঠিক কি কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে অথবা কি কারণে আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হলো না তা ওই শিক্ষকদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

ডিন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার সময় থেকে এখন পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ডিন নির্বাচন সংক্রান্ত কোন নীতিমালা, আইন, বা প্রচলিত নিয়মসমূহের সংকলন লিখিত অথবা মৌখিকভাবে অবহিত করেননি। মনোনয়নপত্রেও এধরনের কোন নির্দেশনা বা বিশেষ দ্রষ্টব্য ছিলো না। এছাড়া বৈধতালিকা প্রকাশের আগে প্রচারণা চালানো প্রার্থীদের প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়নি।

অভিযোগপত্রে উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, বৈধতালিকা প্রকাশের আগেই একজন যখন নিজেকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দেয় তা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবজ্ঞা করা অথবা রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সকল প্রার্থীদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংক্রান্ত সংবিধির ১.২৪ ধারা মোতাবেক এ বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করছি।

;

ঢাবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি দুই মাসেও কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায়, দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, এ বছরের ৩ মার্চ অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যাচাইয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কর্তৃপক্ষ এ কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বললেও ২ মাস পার হলেও এ ঘটনায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায় নি। এতে ন্যায়বিচার ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরো জানান, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে, প্রশাসন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীকে যথাযথ বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কমে গেলে লঘু দণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বাঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান এবং তিন দিনের মধ্যে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার দাবি করেন। অন্যথায় পুনরায় আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন এই শিক্ষার্থীরা।

;