রমজান মাসে ছুটি চায় জবি শিক্ষার্থীরা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে ছুটি চায় জবি শিক্ষার্থীরা

রমজান মাসে ছুটি চায় জবি শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি বছর ঘুরে আবারো এসেছে পবিত্র রমজান মাস। ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য এক রহমত ও বরকতময় মাসের নাম রমজান মাস। রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা, যে রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই মহিমান্বিত মাসে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকে পুরো মুসলিম উম্মাহ। 

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দেশ-বিদেশের সকল মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)  মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাঝেও সেই পবিত্র মাসের খুশির আমেজ লক্ষণীয়।

মহান আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য রমজানের এক মাস ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পার করতে চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা-ল্যাব চলমান থাকলে সেই ইবাদত-বন্দেগিতে কিছুটা ভাটা পড়ে। রোজা রেখে দীর্ঘ সময় ক্লাসে মনোযোগ দেওয়া, পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যেমন কষ্টকর, তেমনি ৬ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ল্যাব করাটাও কষ্টকর।  

এদিকে প্রকৃতির রুক্ষ আচরণ শিক্ষার্থীদের কষ্টকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিবে। কারণ, বাংলাদেশে এখন বসন্তকাল চললেও প্রকৃতির বিচারে সেটি গ্রীষ্মকাল মনে হয়। প্রচন্ড রোদে একটু হাটলেই হাসফাস অবস্থা হয় সকলের। পাশাপাশি ব্যস্ত সময়সূচিতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও আমাদের পূর্ববর্তী জেনারেশন থেকে বিবেক, বিচার-বুদ্ধি, মেধা ও মননশীলতায় পিছিয়ে আছি। রমজানে আল্লাহর সন্তষ্টির কথা চিন্তা না করে টানা ক্লাস করতে হয়, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে ল্যাব করতে হয়। কেন এ বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়না? রমজানে সেহেরীর পরে সকাল সকাল ক্লাস রাখা হয়। ক্লাস করে বাসায় গিয়ে ক্লান্ত থাকার জন্য সময়মতো নামাজ পড়া হয়না। ইফতারের পরে বিশ্রাম নেওয়ার বদলে নিতে হয় মিড পরীক্ষার প্রিপারেশন। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এবারও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পবিত্র রমজান উপলক্ষে ৪০ দিনের দীর্ঘ ছুটি দিয়েছে, তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।

উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান পিয়াস বলেন, রমজান মাসে রোজা রেখে ক্লাস, পরীক্ষা ও ল্যাবে মনোযোগ দেয়া  কষ্টকর। সারাদিন রোজা রেখে ক্লাস-পরিক্ষার পর আবার টিউশনের জন্য সময় বের করতে হয়। দিনে এতটা দৌড়ঝাপ করে ইফতারের পর শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি। ফলে মিডের পড়ার প্রতি মনোযোগ আসে না। আবার তারাবী নামাজ পড়তে হয়। ১২ টার দিকে ঘুমাতে গেলে সেহরীর জন্য উঠতে হয় ৪ টায়। ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমানোর প্রিপারেশন নিতে নিতে ৬ টা বেজে যায়। আবার ৮ টায় উঠে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়। ফলে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ক্লাস ও ল্যাবে কনসেনট্রেট করতে পারি না। আবার, পড়াশোনার পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় মিড পরিক্ষা খারাপ হয়।

সাভার থেকে আসা ১৪তম আবর্তনের আরেক শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান সিয়াম বলেন, রমজান মাসে রোজা থেকে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো ভার্সিটির বাস ধরা। যেহেতু আমাদের আবাসন সুবিধা নেই, তাই প্রশাসনের উচিত ছিল রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে ভাবা। সেহরী করে ঘুমানোর সময় পাই না। বাসা থেকে ৬ টায় বের হয়ে সাড়ে ৬ টায় ভার্সিটির বাস ধরতে হয়। আবার ভার্সিটির বাস মিস হয়ে গেলে লোকাল বাসে আসলে ক্লাস ধরতে পারি না। রোজা থেকে যাওয়া আসা নিয়ে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় বাস জার্নি করতে হয়; যা খুবই কষ্টকর। রাস্তায় জ্যামের কারণে অনেক সময় ইফতার করা যায় না। বাসায় ফিরে ইফতার করে পড়াশোনায় কনসেনট্রেট করতে পারি না। ফলে সেশনজট কমানোর চেষ্টা থাকলেও আল্টিমেটলি রেজাল্ট খারাপ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জি. এম. আল-আমীন বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা সেশনজটে আছে। কম্পিটিশনের এই যুগে আমাদের শিক্ষার্থীরা দ্রুত গ্রাজুয়েশন শেষ করার চেষ্টা করছে। অন্যান্য বছরে রোজার মধ্যে যেভাবে ক্লাস-পরীক্ষা চলেছে, এবারও সেভাবেই চলবে আমাদের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী। 

দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ল্যাব করার বিষয়ে তিনি বলেন, রসায়ন বিভাগ ছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের অন্যান্য বিভাগে খুব বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। আমাদের শিক্ষকরা সেভাবেই এডজাস্ট করেন। যে ল্যাবগুলোতে সময় বেশি লাগবে সেগুলো রোজার পরে রাখেন।

তিনি আরও বলেন, করোনার পরবর্তী সময়ে আমরা এখনো রাইট ট্র‍্যাকে যেতে পারি নি। তাই আমরা এখন চাচ্ছি শিক্ষার্থীরা দ্রুত কারিকুলাম শেষ করুক এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাক।

   

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যেটা ১৯৯০ সালে তিনি তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিলে হত না। সেদিন তিনি সারা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলে আজ শাসন, শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। রাজাকার ও মৌলবাদীদের হাত থেকে আজ বাংলাদেশ নিষ্পত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী ফিরেছিলেন বলে আজকে বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে পেয়েছে। আপনি জীবনকে তোয়াক্কা না করে সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। তাই আমরা আজ ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, তার এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পরিবর্তন এর সূচনা করেছে। তিনি এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন যখন বাংলাদেশে চলছিল 'কারফু গণতন্ত্র', তখন মিলিটারিরা প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো,যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সামরিক স্বৈরশাসকেরা 'কোন বানেগা ক্রোরপতি' এর মতো টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতো। যখন আমাদের নাগরিক অধিকারের মৌলিক বিষয়বস্তু ভোটের অধিকার যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এই মৌলিক সাংবিধানিক কথাটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সামরিক স্বৈরশাসকেরা অবৈধ দখলের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক তান্ডব চালিয়েছে হত্যাকান্ড করেছে এবং দেশ বিক্রির রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াও এ দেশে সাধারণ মানুষের জীবন জয় বা জীবন বদলে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন এর মাধ্যমে।

সাদ্দাম হোসেন বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকের এই দিনেও আমরা জানি যে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ক্ষমতায় আসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তথা কথিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে এজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলো 'টেকব্যাক বাংলাদেশ' তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণ রেড কার্ড দেখিয়েছে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো 'ত্রুটিপূর্ণ' তারাই আবার গতকাল বলছে আস্থার পুনঃনির্মান। যারা বলেছিল বাংলাদেশে লু হাওয়া প্রবাহিত হবে তারা দেখছে বাংলাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

;

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গবেষণা সেলের আয়োজনে 'রিসার্চ প্রপোজাল রাইটিং' শীর্ষক গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তখনই এগিয়ে যাবে যখন তরুণ শিক্ষকরা গবেষণায় উৎসাহিত হবে, বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ইনোভেশনের চেষ্টা থাকবে। তবেই গবেষণায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

এছাড়াও ওয়ার্কসপে বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

;

চবি শাটলে পাওয়ারকার ও বগি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রক্টরিয়াল বডির



চবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের সমস্যা সমাধানের লক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে মিটিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এসময় একটি পাওয়ার কার ও একটি বগি বাড়ানোর প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় (সিআরবি) কার্যালয়ে প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের সাথে এই আলোচনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির।

মিটিং এ গৃহীত সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বগি শিডিউল বাড়ানো ও পাওয়ারকার যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে আমরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় একটি ট্রেনের আপ-ডাউন করতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। অন্যদিকে এই রুটে ট্রেনের লাইন একটা হওয়ায় নতুন করে শিডিউল বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই আমরা নতুন বগি সংযোগ ও পাওয়ারকার দেওয়ার কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শাটলে আপাতত যে মালবাহী বগিটি আছে ওইটার পরিবর্তে আপাতত একটা বগি যোগ করার কথা হয়েছে। আর যেকোনো একটা ট্রেনে একটা পাওয়ারকার সংযোগ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেনে বগি বাড়ানোর ব্যাপারগুলো আমাদের হাতে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। হয়ত খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা লাইট ফ্যানগুলো চালু করার চেষ্টা করছি, দেখি কবে চালু করা যায়।

কবে নাগাদ চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটা লিমিটেশন আছে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা চেষ্টা করছি।

;