'দখলদারিত্ব' থেকে গেস্টহাউজ মুক্ত করতে কুবি শিক্ষক সমিতির চিঠি
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Feb/23/1708689878459.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর কমলাপুরে অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গেস্টহাউজটি আগামী ১ মার্চের মধ্যে উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের ব্যক্তিগত ও 'অবৈধ দখলদারিত্ব' থেকে মুক্ত করে কুবি'র পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চিঠি দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।
চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে থাকে। গত দুই বছর শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম না থাকার সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন তার নিজস্ব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসন এবং জরুরী প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রয়কৃত গেস্টহাউজ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে আসছেন। এ সময় পর্বে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে বা ব্যক্তিগত কারণে গেস্টহাউজ ব্যবহার করতে চাইলে তিনি তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের দুর্ব্যবহার করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গেস্টহাউজ তত্ত্বাবধানের জন্য নিয়োজিত কর্মচারীকেও ঢাকাস্থ গেস্টহাউজ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাহার করে মাননীয় উপাচার্য নিজে গেস্টহাউজের চাবি হস্তগত করে এটিকে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করেছেন। উপরন্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদের ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বসবাস করার অনুমতি দেন। যে ভবনে গেস্টহাউজটি অবস্থিত, সেখানকার লগ বই, গেস্টহাউজের লগবই এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কিত সকল তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা সম্ভব।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এভাবে উক্ত গেস্টহাউজের ব্যক্তিগত দখলদারিত্ব ও অপব্যবহরের ফলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুষমভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের ৭ (সাত) নম্বর ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে আগামী ১ মার্চ ২০২৪ তারিখের মধ্যে অবিলম্বে ঢাকাস্থ গেস্টহাউজকে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী পর্যাপ্ত লোকবল ও সুযোগসুবিধাসহ শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'গেস্টহাউজ কুক্ষিগত করার আমার কি দরকার? উপাচার্যের জন্য সেখানে আলাদা কক্ষ আছে। আমি সেই চাবিই রেখেছি ৷ আগে সেখানে যে যতদিন চাইতো থাকতো, সেখানে আমি একটা শৃঙখলা আনার চেষ্টা করছি ৷ সেখানে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়ে এস্টেট দপ্তর থেকে চাবি নিয়ে যাবেন তারা ৷ এখানে আমার পর্যন্ত আসার কিছুই নেই৷'
তিনি আরও বলেন, 'একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ তৈরি করতে প্রয়োজন ভিশন, প্যাশন, পলিসি এবং কঠোর শ্রম। নাম কুড়াতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু এমন কয়েকটা ইস্যু মূহুর্তেই সব নষ্ট করে দেয় ৷ এতে করে ভালো শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসতে চাইবেনা।'
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তৎকালীন উপাচার্য ড. মো. আলী আশরাফের সময়ে রাজধানীর কমলাপুরে গেস্ট হাউজটি ক্রয় করা হয়।