ঢাবির জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, ১ জন আইসিইউতে



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন- জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব চক্রবর্তী। তিনি বর্তমানে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি আছেন।

আনুমানিক রাত ৮টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি হামলার পাশাপাশি হলের ফ্লোর ও এক নেতার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় দু'পক্ষই এক অন্যকে দোষারোপ করেছে।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন- পলাশ রায় সৌরব, অপুর্ব চক্রবর্তী, পল্লব মন্ডল, অর্পণ কুমার বাপ্পি, বিপ্লব পাল, বর্ষণ রয়, কার্তিক কুমার।

এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্যপক্ষের আহত হয়েছেন অভিষেক ভাদুড়ি, জয় দাস, ধ্রুব, চিন্ময়, রিদ্ধি, অভি ও প্রিতম। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়। কনসার্ট চলাকালীন ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে প্রথমে দু'গ্রুপের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। সাময়িক উত্তেজনার পর একটি গ্রুপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং অন্য গ্রুপ মাঠে অবস্থান করে। তখন ওয়ারফেজ ব্যান্ড ৩য় গান পারফর্ম করছিল। পরবর্তীতে কনসার্টের শেষ মুহূর্তে যখন মমতাজ গান গাইতেছিল তখন আরেকটি বড় গ্রুপ হল মাঠে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চার নেতা কনসার্ট ত্যাগ করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। আমি দেখলাম কয়েকজন দৌড়ে নতুন বিল্ডিংয়ে উঠে পড়ল। পুকুর পাড়ে দেখলাম স্টাম্প, লাঠি, পাইপ নিয়ে শুধু মারামারি চলছে।

তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী ও হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ঋভু মন্ডল বলেন, যখন চার নেতা কনসার্টে এসেছিল, মমতাজের গান শেষ হলো। তখন তিন নেতা বের হচ্ছিল, তখন গণেশ ঘোষ তার কর্মীসহ এমন অবস্থা তৈরি করেছে যাতে সৈকত ভাই (ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) বের হতে না পারে। ফলে কর্মীদের মধ্যে একটা ছোট ঝামেলা তৈরি হলে সৈকত ভাই তাদের সাথে কথা বলে বের হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, সৈকত ভাই বের হয়ে গেলে জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে হট্টগোল তৈরি হয়। পরে আমরা আমাদের কর্মীদের নিয়ে ভেতরে চলে আসি। পরবর্তীতে ইনান ভাইয়ের তিনটি গ্রুপ ও সাদ্দাম ভাইয়ের দুইটি গ্রুপসহ মোট পাঁচটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে নতুন ভবনের সেক্রেটারি ব্লকের তিনতলা ভাঙচুর করে চার তলায় যেতে চায়। হামলায় হলের সভাপতি কাজল দাস, সাধারণ সম্পাদক অতুনু বর্মণ ও হল ছাত্রলীগের নেতা রাজিব বিশ্বাস, গণেশ ঘোষ, সবুজ মণ্ডলের গ্রুপ উপস্থিত ছিল। প্রত্যেকের হাতে স্টাম্প, রড, কাঠের টুকরো, এস এস পাইপ ছিল। হামলায় আমাদের ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

হামলায় গুরতর আহত হন অপুর্ব চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমি আমার কর্মীদেরকে ভেতরে যেতে বলে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে রাজিব বিশ্বাস ও গণেশ এসে আমার মাথায় ও চোখে রড দিয়ে বাড়ি দেয় ফলে আমার চোখের কোণে কেটে যায় এবং মাথা ফেটে যায়। আমি তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে চলে আসি। তার পরে আমি আর জানি না।

জগন্নাথ হলের একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর তৎকালীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাসের গ্রুপ দুই ভাগ হয়ে যায়। তখন একই গ্রুপে ছিলেন লিয়ন বালা, ঋভু মণ্ডল ও জয়ন্ত, রাজীব, গণেশ ও সবুজ। এরা ইনানের অনুসারী ছিলেন। পরবর্তীতে লিয়ন বালা, ঋভু মণ্ডল ও জয়ন্ত ইনানের গ্রুপ ছেড়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরেও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, এসব ঘটনার জের ধরেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী ও হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সাথে হল ছাত্রলীগ নেতা গণেশ ঘোষের একটু ধাক্কা লাগে। গণেশ ঘোষ শেখ ইনানের অনুসারী। এসময় গণেষ সৈকতের কাছে মাফ চাইলে সৈকত ঘটনার মীমাংসা করে দেন। সৈকত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে তার অনুসারী সুস্ময়, অপুর্ব চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে আমাদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। এতে আমাদের অভিষেক ভাদুড়ি, জয় দাস, ধ্রুব, চিন্ময়, রিদ্ধি, অভি ও প্রিতম আহত হয়। জগন্নাথ হলে তার অবস্থান শক্ত হওয়ায় অন্য গ্রুপ তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। হামলা-মারামারি হয়েছে এমনটি আমি শুনিনি। তবে জানতে পেরেছি কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু মারামারির বিষয়ে আমি এখনও শুনিনি। এমন কিছু হয়ে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাতাল অবস্থায় গণেশ আমার গায়ের উপর পড়লে আমি মীমাংসা করে দিয়ে চলে আসি। পরে জানতে পারি আমার গ্রুপের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে হলের অন্যান্য কয়েকটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে তাদের উপর হামলা করেছে। বাইরে কাদেরকে ঢুকানো হয়েছে তাদেরকে শনাক্ত করতে হবে।

   

এনএসআই পরিচয়ে চবি শিক্ষার্থীর কাছে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এনএসআই পরিচয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে চবি শিক্ষার্থীর সাথে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই ব্যক্তির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অত:পর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে আবুল বাহারের ছেলে নাজিম উদ্দীন (৩০) এর বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর থানায়। বর্তমানে থাকেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায়।

এ নিয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাদীকে দেখা করতে বাধ্য করা এবং হেনস্তা করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, প্রায় সাত মাস পূর্বে ফেইসবুকের মাধ্যমে বিবাদীর সাথে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বর্তমানে এনএসআইতে চাকুরী করেন বলে পরিচয় দেন। এরপর থেকেই বিবাদীর সাথে আমার নিয়মিত কথা চলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার নিকট হতে এক লাখ টাকা নেয়। সম্পর্ক থাকাকালীন সে আমাকে প্রায় সময়ই দেখা করার জন্য বাধ্য করতো।

এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, বিবাদীর সহিত আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে বিবাদী আমার ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ তাহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতো। বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সময় আমার শরীরের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণ করে তাহার নিকট প্রেরণের জন্য হুমকি প্রদান করতো। বিবাদীর এমন ব্যবহারে আমি অতিষ্ট হয়ে তাহার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

বাদী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমান দশটার সময় বর্ণিত বিবাদী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আমাকে দেখা করার জন্য জোরাজুরি করলে আমি হল থেকে নেমে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে আসার পরে উক্ত বিবাদী আমাকে টানা হেঁছড়া করে এ সময় আমার বাম হাতের বাহুতে ও ঘাড়ের নিচে নখের আঁচড় দিয়ে সাধারণ জখম করে। তখন আমি বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করলে আমার আত্মচিৎকার শুনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে বর্ণিত বিবাদীকে আটক করে।

আটক করে তার পরিচয় সঠিকভাবে বলার জন্য বললে সে জানায় যে, সে আমার নিকট মিথ্যা সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ গ্রহণ করে এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মূলত সে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে সেলসম্যান হিসেবে চাকুরী করে। উক্ত বিষয়ে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবগত করি।

পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে বর্ণিত বিবাদীকে তাদের হেফাজতে নেয়।

অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মা ফোন রিসিভ করে। তিনি জানান, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে এ ধরনের কথা আমরা আগে কখনো শুনিনি। তবে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে এ ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়েছে। এখন সে পুলিশের হেফাজতে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, প্রায় ছয় মাস আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রেমে জড়ায় প্রতারক মো: নাজিম উদ্দিন। পরবর্তীতে এন.এস.আই'র সদস্য হিসেবেও পরিচয় দেয় এই যুবক। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে দিত বিভিন্ন রকম শর্ত। চুল কেটে ফেলা, রুমমেটদের সাথে সম্পর্কছেদ করা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটার-ও শর্ত দিত মেয়েটিকে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর কথা অনুযায়ী লাখের বেশি টাকা নিয়েছে ছেলেটি। এটিই প্রথম নয় এর আগেও এরকম প্রতারণা করেছে ছেলেটি। যার প্রমাণ আমি পরবর্তীতে পেয়েছি। হাটহাজারী থানায় এ নিয়ে আমি মামলা
করেছি।

মামলার বিষয়ে হাটহাজারী থানার অসি মনিরুজ্জামান বলেন, এরকম একটি ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের কাজ করছেন। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;