এমসি কলেজে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন, অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীট মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে পানি ও ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের জন্য অবরুদ্ধ করে রেখেছে কলেজের অধ্যক্ষকে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটা থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয় তালা দিয়ে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো.রিয়াজ।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো.রিয়াজসহ ৮-১০জন শিক্ষক এখনো অবরুদ্ধ রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো.রিয়াজ নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

এমসি কলেজের শিক্ষর্থীদের দাবি হলো- কলেজের ইতিহাস বিভাগে মাত্র চারজন শিক্ষক ছিলেন। গত কয়েক মাস থেকে একজন শিক্ষকও নেই এ বিভাগে। এছাড়া ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট। এসব সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার এসব সমস্যা নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ। বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। এতে বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখে আন্দোলন করছেন।

আন্দোলনস্থনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত থাকা ছাত্রনেতা দিলোয়ার হোসেন রাহী জানান, দীর্ঘদিন থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট, হলের পানি সমস্যা নিরসনের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে একমত। দ্রুত এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির শুভ বলেন, ছাত্রাবাসের সমস্যা নিয়ে কথা বলে আসছি। লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস বিভাগে মাত্র চারজন শিক্ষক। বর্তমানে একজন শিক্ষকও নেই। এসবের কোনো সমাধান করা হচ্ছে না। আজ (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসেও কোনো সমাধান না আসায় অধ্যক্ষের কার্যালয় তালা দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে মুরারি চাঁদ(এমসি) কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো.রিয়াজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি এক সঙ্গে সবগুলো সমাধান করা সম্ভব নয়। তাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করতে কিছু সময় লাগবে। শিক্ষক ও ছাত্রাবাসে পানি সংকট নিয়ে আজ শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে বসেছিল। তাদের দাবি মেনে নিতে কিছু সময় চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তাতে রাজি না।

তিনি বলেন, বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত আমিসহ ৮-১০জন শিক্ষক অবরুদ্ধ রয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবি হলো আজকের মধ্যে ডিপটিউবওয়েল বসাতে হবে। কিন্তু একটি টিউবওয়েল বসাতে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা লাগবে। একদিনের মধ্যে এটা চাইলেই সম্ভব না। একটা প্রক্রিয়া আছে, সময় লাগবে। তাছাড়া শিক্ষক সংকট সমাধান করতে হলে মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের পদায়ন করতে হবে।

   

চীনে বাংলাদেশী ইয়ুথ স্কলার'স ডেলিগেশনে যাচ্ছেন ডুজা সভাপতি-সম্পাদক



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি ইয়ুথ স্কলার'স প্রতিনিধি হিসেবে চীনে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির(ডুজা) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি।

আগামী রবিবার (২ জুন) সাংহাই ইনস্টিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আমন্ত্রণে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ থেকে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন তারা। ১১ জুন দশ দিনের সফর শেষে তারা দেশে ফিরবেন।

বাংলাদেশী ইয়ুথ স্কলারস প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৬ জন শিক্ষক, বিসিএসআইয়ের একজন গবেষক ও তিনজন সাংবাদিক রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এতে যোগ দিচ্ছেন ডুজা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এই সফর নিয়ে তারা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি ইয়ং স্কলারদের প্রতিনিধিদের চীন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার জন্য এই সুযোগকে পূর্ণ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি ইয়ুথ স্কলার প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা চীন সফরে ইউনান, বেইজিং, সাংহাই প্রদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। চীনের সাথে বাংলাদেশের একাডেমিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক নীতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।

;

শেকৃবি উপাচার্যের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ইউজিসি'র তদন্ত কমিটি



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, টেন্ডারবাজি, একাডেমিক ও প্রশাসনিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ কে আহবায়ক এবং পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক জনাব মো. গোলাম দস্তগীর কে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউজিসির পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, '৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবে, তদন্তের স্বার্থে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট যে কোন নথি, নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোন ডকুমেন্টস ও আনুষঙ্গিক কাগজ-পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ তার অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারবে এবং কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

এর আগে গত ১৬ মে শেকৃবি উপাচার্যের নানা অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে। একইসাথে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দফাওয়ারি বক্তব্য কমিশনে প্রেরণ করতে বলে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়গুলোর ব্যাখ্যাসহ জবাব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ইউজিসি নিবে।

;

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে জাপান-কোরিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাপান-কোরিয়া ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধিদল। 

মিতসুবিশি কর্পোরেশনের গ্লোবাল প্ল্যানিং অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মি. লি মিউং হো এর নেতৃত্বে জাপান-কোরিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি কো-অপারেশন ফাউন্ডেশনের ৪ সদস্য বিশিষ্ট এ প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে এ প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎ করেন ঢাবি উপাচার্য। এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন কিম ইউজুং, উচিদা তোশিয়াকি এবং সুডো শুন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপান- কোরিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি কো-অপারেশন ফাউন্ডেশনের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ যৌথ সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের বিপুল সংখ্যক যুবসম্পদ রয়েছে কিন্তু বিশ্ববাজারে দক্ষ মানব সম্পদের অভাব লক্ষণীয়। যুবসম্পদকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে জাপান-কোরিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি কো-অপারেশন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

;

রাবি ভর্তি পরীক্ষা ৪ আঞ্চলিক কেন্দ্রে, থাকছে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাবির ভর্তি পরীক্ষা ৪ আঞ্চলিক কেন্দ্রে, থাকছে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ

রাবির ভর্তি পরীক্ষা ৪ আঞ্চলিক কেন্দ্রে, থাকছে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা দেশের চার আঞ্চলিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এবছর থেকে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে থাকবে নিয়মিত স্নাতকোত্তরে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির সুযোগ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, 'আগামী বছর থেকে প্রথম বর্ষ স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা দেশের চারটি কেন্দ্র অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাস্টার্সে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি কলেজসহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারবে।'

জানা গেছে, আগামী বছর ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকার অভ্যন্তরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র বৃদ্ধি করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় ভোগান্তি কমানো এবং অন্য শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

;