রাবির দোকানগুলোতে খাবারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত
দামের তুলনায় নিম্নমানের এবং পরিমাণে কম খাবার পরিবেশন করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অভ্যন্তরে খাবারের দোকানগুলোর খাবারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি খাবারের যথাযথ মান নিশ্চিতে নিয়মিত তদারকি এবং দাম অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করাসহ নির্দেশনা অনুযায়ী খাবার পরিবেশন না করলে বড় ধরনের জরিমানা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী ও দোকানিদের যৌথ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।
প্রক্টর বলেন, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন দোকানে খাবারের দাম বৃদ্ধির অভিযোগে শিক্ষার্থীসহ দোকানিদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। আলোচনার মাধ্যমে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি মূল্য তালিকা তৈরী করা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ক্যাম্পাসে দোকানদারদের যেন কোন ঘাটতি না হয় এবং শিক্ষার্থীরাও যাতে সন্তুষ্ট থাকে, সেই দিক খেয়াল রেখেই খাবারের একটি মূল্য তালিকা তৈরীর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে উভয়েই উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে কিছু দিন পর যদি খাবারের মান কমে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দোকানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্ধারিত মূল্যতালিকা অনুযায়ী, ভাত হাফ ও ফুল ৬ ও ১২ টাকা, খিচুড়ি হাফ ও ফুল ১০ ও ২০ টাকা, গরুর মাংস হাফ ও ফুল ৬০ ও ১০০ টাকা, বাটি গরুর মাংস ৬০ টাকা, সোনালী মুরগি ১/৪ পিচ ৭০ টাকা, বয়লার মুরগি হাফ ও ফুল ১৫ ও ৩০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০ টাকা, রুই মাছ ৩০ টাকা, রান্না বা ভাজা ডিম ১৫ টাকা, ঘন ডাল ১০ টাকা, ভর্তা ৫ টাকা, সবজি ১০ টাকা, মোগলাই হাফ ও ফুল ২০ ও ৪০ টাকা, সিঙ্গাড়া ৬ টাকা, পুড়ি ৬ টাকা, পরোটা ৬ টাকা, চপ ৬ টাকা, সবজির রোল ২০ টাকা, বার্গার (বড়) ৩০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ৩০ টাকা, লাল চা/লেবু চা ৫ টাকা, দুধ চা ১০ টাকা, দুধ কফি ১৫ টাকা, ব্লাক কফি ১০ টাকা, স্যান্ডউইচস ৩০ টাকা এবং লেমন জুস ১০ টাকা।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে সহ স্টেট দপ্তরের কর্মকর্তা, দোকানদার এবং ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে নিজেদের মত দাম বৃদ্ধির অভিযোগে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। তখন খাবারের দাম কমিয়ে মান বৃদ্ধির দাবি তোলেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, দ্রব্য মূল্যের উপর নির্ভর করে প্রশাসন বিভিন্ন সময় মূল্য তালিকা তৈরী করে দিলেও সেটা যথাযথ মানে নি অনেক দোকানি।