জাবি প্রেসক্লাবের ১ যুগ পূর্তি উদযাপিত



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মল সত্য প্রকাশে নির্ভীক 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব' তার গৌরবময় অগ্রযাত্রার ১ যুগ পূর্ণ করেছে আজ। কেক কাটা, আনন্দ র‍্যালি এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে 'যুগপূর্তি' উদযাপন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের এই সংগঠনটি।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসিব সোহেল এর সঞ্চালনায় সংগঠনটির যুগপূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীরের হাত ধরে প্রেসক্লাব গড়ে উঠলেও এই সংগঠন সৃষ্টিতে তখন আমারও ভূমিকা ছিল। জাবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা শুধু সাংবাদিকই নয়, শিক্ষার্থীও। কারণ শিক্ষার পাশাপাশি তারা সাংবাদিকতা চালিয়ে যান আর তাদের লেখনিতে মনে হয় তারা যেন জাতীয় পর্যায়ের পেশাদার সাংবাদিক।’

জাবি প্রেসক্লাবের ১ যুগ পূর্তি উদযাপিত

উপাচার্য আরও বলেন, ‘সাংবাদিকতা যেন গঠনমূলক হয়। সত্য প্রকাশের স্বার্থে যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের কাছে তথ্য জানতে চাইবেন। কারও জন্য মানহানিকর হয় এমন কিছু প্রকাশ করবেন না। আপনারা কাউকে যেমন উপরে তুলতে পারেন, তেমনি নিচেও নামাতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মান যেন বৃদ্ধি পায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন। আমরা চেষ্টা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নত করতে। ইতোমধ্যে আমরা বায়োডাইভারসিটি মাস্টারপ্ল্যান করার উদ্যোগ নিয়েছি। দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আমরা বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছি। অনুষদভিত্তিক বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে সমাজবিজ্ঞান এবং গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয় যাতে শিক্ষা গবেষণায় আরও এগিয়ে যায় সেজন্য সাফল্যগুলো আপনারা পত্রিকায় তুলে ধরবেন। আমি প্রেসক্লাবের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।’


অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকতা কেন করব এটি জানা জরুরি। বর্তমান জেনারেশনের কেউ পত্রিকা পড়ে না, বই পড়ে না, অডিওবুক শুনে। দশ বছর পর পত্রিকা বলতে কিছু থাকবে না, বিশ বছর পর হয়তো টেলিভিশন বলতে কিছু থাকবে না। আমাদের জেনারেশনের বেশ কিছু মানুষের এখনো পত্রিকা পড়ার অভ্যাস রয়ে গেছে। এরপরেও যারা সাংবাদিক পেশায় আসতে চান তাদেরকে প্রচুর পড়তে হবে, জানতে হবে। ক্লাসিক সাহিত্য যেমন রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্কর, জীবনানন্দকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে। ভালো মুভি দেখতে হবে।‌ গান শুনতে হবে। সাংবাদিক হই না হই, নিজেকে একজন সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

জাবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব এক যুগ পার করেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে জাবি প্রেসক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একজন সংবাদ কর্মী অনেক তথ্য-উপাত্ত যাচাই বাছাই করে গবেষণার মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে। প্রেসক্লাবের সকল কর্মীকে হলুদ সাংবাদিকতা থেকে দূরে থাকতে হবে, ভুল তথ্য যেন ছড়িয়ে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই যাত্রা অব্যাহত থাকলে একদিন জাবি প্রেসক্লাব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।’

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শিহাব উদ্দীন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে সকলের প্রচেষ্টায় আজ এক যুগ পূর্ণ করলো জাবি প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাব সদস্যরা বাংলাদেশে প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ও অনলাইন পোর্টালগুলোতে কাজ করছে। ১৫ টি প্রিন্ট পত্রিকাসহ ২০টির অধিক অনলাইন ও অন্যান্য পত্রিকায় কর্মরত ২৭ জন সদস্য এবং ১৫ জন সহযোগী সদস্যের এক বিশাল পরিবার এটি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে গত এক যুগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই সাংবাদিক সংগঠনটি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে।’

জাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসিব সোহেলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হেল কাফি, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুলতানা আক্তার।

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সাবেক নেতৃবৃন্দের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন আমিনুল ইসলাম ইসহাক, মো. রায়হান চৌধুরী, সাগর কর্মকার, হাসান তানভীর, খলিলুর রহমান, ইমন মাহমুদ, নুর হাছান নাঈমসহ প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছাত্রদের হাত ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব যাত্রা শুরু করে।

   

রাবির 'সি' ইউনিটে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি/বিফার্ম/ বিএসসি, এজিডিভিএম/বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পছন্দক্রম জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ১ম নির্বাচন ও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হলো।

নির্বাচিত প্রার্থীদের ২১ থেকে ২২ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য কনফারেন্স রুম, বিজ্ঞান অনুষদ, কক্ষ নং ৪০১, কুদরাত-এ-খুদা অ্যাকাডেমিক ভবনে উপস্থিত হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে 'সি' ইউনিটে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং 'সি' ইউনিটের অন্য কোনো বিভাগেও ভর্তির সুযোগ থাকবে না। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া এর সমান্তরালে চলবে এবং এর জন্য পৃথক নোটিশ দেওয়া হলো।

ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদে যোগাযোগ করা যেতে পারে। (ফোন: ০২৫৮৮৮৬৪২১৮, অনলাইন ভর্তি ফর্ম পূরণ সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার জন্য হেল্পলাইন ০১৭০৩-৮৯৯৯৭৩)।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধু ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ-পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না নোটিশে জানতে পারবে। ২১ ও ২২ মে বিকাল ৪টার পূর্ব পর্যন্ত অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে অটো-মাইগ্রেশন পুরোপুরি বন্ধ (Stop automigration) অথবা এক বা একাধিক বিভাগে ট্রান্সফার বন্ধ (Opt-out) করা যাবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধাতালিকা ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ 



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ সেশনে স্নাতক (সন্মান) ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটভুক্ত মানবিক 'এ' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২য় মেধাতালিকা ও ১ম মাইগ্রেশন প্রকাশিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এস. এম. এক্রাম উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'এ' ইউনিটে ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১২-১৪ মে ভারিখের মধ্যে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয় পছন্দক্রম ও মেধা স্কোর-এর ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন বা প্রথম মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হলো। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, একই সাথে শূন্য আসনগুলোর বিপরীতে বিষয় পছন্দক্রম ও মেধা স্কোর-এর ভিত্তিতে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলো। আগামী ১৯-২১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ডীনস কমপ্লেক্স ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের A ইউনিটের চীফ কো- অর্ডিনেটরের অফিসে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকারসহ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে A ইউনিটে তাদের ভর্তির মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের A ইউনিট অফিসে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) তাদের রোল নম্বরের পাশে উল্লিখিত বিভাগে আগামী ১৯- ২১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

উল্লেখ্য, ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা স্কোর ও বিষয় পছন্দের ক্রমানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বিভাগ পরিবর্তনের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে (www.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে। ভর্তি হওয়ার পর কোনো ছাত্র-ছাত্রী বিভাগ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাকে অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে স্বয়ংক্রিয় বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে। তবে এরই মধ্যে যারা পছন্দক্রমের ১ম বিষয় পেয়েছেন তাদের মাইগ্রেশন বন্ধ করার প্রয়োজন নাই। 

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধা তালিকা ২৩ মে ২০২৪ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যেটা ১৯৯০ সালে তিনি তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিলে হত না। সেদিন তিনি সারা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলে আজ শাসন, শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। রাজাকার ও মৌলবাদীদের হাত থেকে আজ বাংলাদেশ নিষ্পত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী ফিরেছিলেন বলে আজকে বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে পেয়েছে। আপনি জীবনকে তোয়াক্কা না করে সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। তাই আমরা আজ ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, তার এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পরিবর্তন এর সূচনা করেছে। তিনি এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন যখন বাংলাদেশে চলছিল 'কারফু গণতন্ত্র', তখন মিলিটারিরা প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো,যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সামরিক স্বৈরশাসকেরা 'কোন বানেগা ক্রোরপতি' এর মতো টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতো। যখন আমাদের নাগরিক অধিকারের মৌলিক বিষয়বস্তু ভোটের অধিকার যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এই মৌলিক সাংবিধানিক কথাটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সামরিক স্বৈরশাসকেরা অবৈধ দখলের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক তান্ডব চালিয়েছে হত্যাকান্ড করেছে এবং দেশ বিক্রির রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াও এ দেশে সাধারণ মানুষের জীবন জয় বা জীবন বদলে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন এর মাধ্যমে।

সাদ্দাম হোসেন বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকের এই দিনেও আমরা জানি যে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ক্ষমতায় আসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তথা কথিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে এজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলো 'টেকব্যাক বাংলাদেশ' তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণ রেড কার্ড দেখিয়েছে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো 'ত্রুটিপূর্ণ' তারাই আবার গতকাল বলছে আস্থার পুনঃনির্মান। যারা বলেছিল বাংলাদেশে লু হাওয়া প্রবাহিত হবে তারা দেখছে বাংলাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

;