জাবির ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস বর্জন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাসন সংকট নিরসনপূর্বক সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে অনলাইন ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা।

প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী বিভিন্ন অনুষদের প্রায় ২০টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়মিত অনলাইন ক্লাস বর্জন করেছে। অপরদিকে নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগন।

এর আগে, গতকাল সোমবার সশরীরে ক্লাস শুরুসহ ৩ দফা দাবি নিয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় নবীন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো, '২০ তারিখের মধ্যে হল অ্যালটমেন্ট দিতে হবে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যে স্বশরীরে ক্লাস শুরু করতে হবে, অফলাইনে ক্লাস শুরুর ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে কোন প্রকার পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এবং এ সংক্রান্ত অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে।'

পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। রেজিস্ট্রার তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, ১৭ তারিখ আউটসোর্সিং-এ ৬৪ জন লোক দিবে। এর ফলে, ২০ তারিখের মধ্যে ক্লাস শুরুর প্ল্যান ছিল। কিন্তু কোন হলের আবাসন ব্যবস্থা না থাকায়, আমরা সিট দিতে পারছি না।

হলে আসন বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, এই মাসের মধ্যে আমরা তোমাদের হলে উঠাতে পারবো বলে আশা করছি। তা না হলে সর্বোচ্চ ফেব্রুয়ারির ১ম সপ্তাহে যাবে। উপাচার্য বলেছিলেন যে, গণরুম থাকবে না। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগুচ্ছি এবং আশা করছি, তোমাদের গণরুমে উঠতে হবে না।

একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সকল অনুষদ ও বিভাগীয় প্রধানদের কাছে বেনামি ই-মেইলের মাধ্যমে সশরীরে ক্লাস শুরু ও অনলাইন ক্লাস বর্জন করার কথা জানায় তারা। দাবি পূরণ না হওয়ায় গতকাল থেকেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করতে শুরু করে। সর্বশেষ সে দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আজ মঙ্গলবার অন্তত ২০ টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান অনলাইন ক্লাস বর্জন করেছেন।

কলা ও মানবিকী অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনুষদভুক্ত বাংলা, ইতিহাস, দর্শন, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ, চারুকলা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস বর্জন করেছে। তবে ইংরেজি বিভাগে অনলাইনে একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে সমাজবিজ্ঞান অনুষদে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা একযোগে ক্লাস বর্জন করেছে। অপরদিকে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ব্যতিত অন্যান্য বিভাগে শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনুষদের গণিত, রসায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস বর্জন করেছে। জীববিজ্ঞান অনুষদের ফার্মেসী ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে ইতোমধ্যে ক্লাস বর্জন করেছে। আইন অনুষদেও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) ও তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের (বিআইসিএলসি) শিক্ষার্থীরাও ক্লাস বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়েছে।

গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ জানান, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে থাকায় বিষয়টি জানতে পারিনি। মাত্রই শুনলাম। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো। আশা করা যায় দ্রুত এ অবস্থার অবসান ঘটবে।

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নূহু আলম বলেন, আমি ফেসবুকে দেখেছি যে ওরা একটা তারিখ দিয়েছে ১৬ তারিখ বা এমন একটা সময়ে তারা ক্লাস বর্জন করবে। তবে ভিসি স্যার অবশ্য চেষ্টা করছেন যেন দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা যায়। জানুয়ারির মধ্যেই আশা করি তারা সশরীরে ক্লাস শুরু করতে পারবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বার্তা ২৪.কমকে জানান, এ ব্যাপারে আমি শুনেছি। নতুন হলগুলোতে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আপাতত ছেলেদের একটি হল ও মেয়েদের একটি হল খুলে দেওয়া হবে। আমরা নবীন শিক্ষার্থীদের দুটি হলে সিট এলোট দিয়ে চলতি মাসের শেষদিকে তাদের অফলাইনে ক্লাস শুরু করবো।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ সেশনের (৫২ ব্যাচ) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয় গত বছরের ৯ মে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৮ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত। এছাড়া ভর্তি কার্যক্রম গতবছরের ১৬ আগস্ট শুরু হয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ইউজিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস ৩১ অক্টোবর, ৯ নভেম্বর, ১৬ নভেম্বর, ২৩ নভেম্বর শুরু করবে বলে ইউজিসিকে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুত তারিখে ক্লাস শুরু করতে ব্যর্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই চারটি তারিখের মধ্যে ক্লাস শুরু করতে পারলে ইউজিসি কর্মসম্পাদন সূচক মান ১–এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ থেকে ৭০ শতাংশ নম্বর পেত। অপর দিকে পরবর্তী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরু করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয় চলতি মানের নিম্নে ৬০ শতাংশ নম্বর পাবে। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইনে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার দীর্ঘ পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও ক্লাস শুরু করতে পারেনি প্রশাসন। সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর অনলাইনে ক্লাস শুরু করা হয়।

কিন্তু সশরীরে নবীনদের ক্লাস শুরুর আগেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

   

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যেটা ১৯৯০ সালে তিনি তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিলে হত না। সেদিন তিনি সারা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলে আজ শাসন, শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। রাজাকার ও মৌলবাদীদের হাত থেকে আজ বাংলাদেশ নিষ্পত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী ফিরেছিলেন বলে আজকে বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে পেয়েছে। আপনি জীবনকে তোয়াক্কা না করে সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। তাই আমরা আজ ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, তার এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পরিবর্তন এর সূচনা করেছে। তিনি এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন যখন বাংলাদেশে চলছিল 'কারফু গণতন্ত্র', তখন মিলিটারিরা প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো,যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সামরিক স্বৈরশাসকেরা 'কোন বানেগা ক্রোরপতি' এর মতো টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতো। যখন আমাদের নাগরিক অধিকারের মৌলিক বিষয়বস্তু ভোটের অধিকার যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এই মৌলিক সাংবিধানিক কথাটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সামরিক স্বৈরশাসকেরা অবৈধ দখলের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক তান্ডব চালিয়েছে হত্যাকান্ড করেছে এবং দেশ বিক্রির রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াও এ দেশে সাধারণ মানুষের জীবন জয় বা জীবন বদলে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন এর মাধ্যমে।

সাদ্দাম হোসেন বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকের এই দিনেও আমরা জানি যে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ক্ষমতায় আসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তথা কথিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে এজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলো 'টেকব্যাক বাংলাদেশ' তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণ রেড কার্ড দেখিয়েছে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো 'ত্রুটিপূর্ণ' তারাই আবার গতকাল বলছে আস্থার পুনঃনির্মান। যারা বলেছিল বাংলাদেশে লু হাওয়া প্রবাহিত হবে তারা দেখছে বাংলাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

;

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জবিতে গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গবেষণা সেলের আয়োজনে 'রিসার্চ প্রপোজাল রাইটিং' শীর্ষক গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তখনই এগিয়ে যাবে যখন তরুণ শিক্ষকরা গবেষণায় উৎসাহিত হবে, বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ইনোভেশনের চেষ্টা থাকবে। তবেই গবেষণায় বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

এছাড়াও ওয়ার্কসপে বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

;

চবি শাটলে পাওয়ারকার ও বগি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রক্টরিয়াল বডির



চবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের সমস্যা সমাধানের লক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে মিটিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এসময় একটি পাওয়ার কার ও একটি বগি বাড়ানোর প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় (সিআরবি) কার্যালয়ে প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের সাথে এই আলোচনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির।

মিটিং এ গৃহীত সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বগি শিডিউল বাড়ানো ও পাওয়ারকার যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে আমরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় একটি ট্রেনের আপ-ডাউন করতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। অন্যদিকে এই রুটে ট্রেনের লাইন একটা হওয়ায় নতুন করে শিডিউল বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই আমরা নতুন বগি সংযোগ ও পাওয়ারকার দেওয়ার কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শাটলে আপাতত যে মালবাহী বগিটি আছে ওইটার পরিবর্তে আপাতত একটা বগি যোগ করার কথা হয়েছে। আর যেকোনো একটা ট্রেনে একটা পাওয়ারকার সংযোগ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেনে বগি বাড়ানোর ব্যাপারগুলো আমাদের হাতে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। হয়ত খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা লাইট ফ্যানগুলো চালু করার চেষ্টা করছি, দেখি কবে চালু করা যায়।

কবে নাগাদ চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটা লিমিটেশন আছে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা চেষ্টা করছি।

;