বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরনো বছরের কোনো ল্যাব খাতা দেখে নতুন খাতায় লিখা কিংবা কোনো শিট দেখে ল্যাব খাতায় তুলে ফেলা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এক আদিম প্রথা। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও (শেকৃবি) এই রীতির বাইরে নয়। যদিও আট মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, যে সকল শিক্ষক আগে থেকেই ল্যাব খাতা লিখার বিপক্ষে ছিল এবং এর পরিবর্তে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করত সিন্ডিকেট মিটিং এর এই সিদ্ধান্ত শুধু তাদের কার্যক্রমকে বৈধতা দিয়েছে। আর যারা পূর্বেও ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে ছিল তারা এখনও একই রীতিতে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।  

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমাদের ল্যাব কোর্সগুলোর ১০ শতাংশ নম্বর ল্যাব খাতার উপর থাকে। কিন্তু এই অংশ থেকে আমরা কিছুই শিখতে পারি না। উল্টো রাতভর ল্যাব খাতা লিখতে গিয়ে পরীক্ষার আসল জিনিস পড়তে বা প্রাকটিস করতে পারি না। অনেক সময় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণও হয়ে দাড়ায় এই ল্যাব খাতা লিখা। আমাদের ক্লাস নোটগুলোর উপর ল্যাব খাতার মার্কিং করলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকর হতো। সবাই মনোযোগ দিয়ে ক্লাসও করত, শেখাও হতো এবং নম্বরও পাওয়া যেতো। এই পদ্ধতি চালুকরণে কোনো সমস্যা হওয়ার তো কথা নয়। অনেক শিক্ষক এই পদ্ধতি অনুসরণও করছেন।' 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের কৃষি অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'মাড়িয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এত বড় আন্দোলন হলো। শুনলাম সিন্ডিকেট মিটিংয়েও পাশ হলো লিখতে হবে না ল্যাব খাতা। সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনন্দিত হলেও নতুন সেমিস্টারে সেই আগের পদ্ধতিতেই ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। জানি না এই সিদ্ধান্তের কি কার্যকারিতা হয়েছে, তবে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত। মাড়িয়া মৃত্যু কেন্দ্রিক অন্য দাবিগুলো কার্যকর না হলেও এই একটি দাবি অন্তত বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।' 

উল্লেখ্যে,গ ত ২৩ মার্চ ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাড়িয়া নামক এক শিক্ষার্থী আবাসিক হলের ১০ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলে সাধারণ শিক্ষার্থী
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মিডটার্ম চালু, সাইকোলজিস্ট নিয়োগ এবং ল্যাব খাতা বন্ধকরণসহ বেশ কিছু দাবি শিক্ষার্থীরা উত্থাপন করলেও ল্যাব খাতা বন্ধে প্রশাসন একমত পোষণ করে এবং দ্রুত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকগণ এই রীতিকে অকার্যকর মনে করলেও বন্ধের সিদ্ধান্তের আট মাস পরে এখনও চলমান রয়েছে এই রীতি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবুল ফায়াজ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, 'প্রথমত আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে  অপারগতা দেখিয়েছি ।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সন্তান হিসেবে চিন্তা করতে পারিনি। তাদের সমস্যা গুলোকে নিজেদের সমস্যা মনে করা বাদ দিয়ে, নিজেদের সমস্যা ও স্বার্থ হাসিলে আমরা ব্যস্ত। ল্যাব খাতা লিখা বন্ধকরণ বড় কোনো বিষয় নয়। ক্লাস নোটকেই ল্যাব খাতার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকে। তার উপর অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি তাদেরকে আরও প্রেসারে ফেলছে। একটু চেষ্টা করলেই পরিবর্তন সম্ভব।' 

অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশে থেকে কীভাবে আমরা এই আদি রীতি অনুসরণ করি তা বোধগম্য নয়। আগের লেখা ল্যাব খাতা দেখে নতুন করে লেখার মধ্যে কি মহত্ত্ব বিদ্যমান রয়েছে তা আমাদের অজানা। এগুলো শুধু সময়ের অপচয় মাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খাতা লিখা বন্ধ করলেও আমাদের এখনও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টের ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। আশা করছি এই অপ্রয়োজনীয় রীতি থেকে প্রশাসন যথার্থ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের নিষ্কৃতি দিবে।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.অলক কুমার পাল বলেন, 'আমাদের সিন্ডিকেটে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ব্যাবস্থা নিয়েছি। কিন্তু বয়স্ক কিছু শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি পরিবর্তন করে নতুনত্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি, তাদেরকে বুঝাচ্ছি, আশা করি দ্রুতই পরিবর্তন সম্ভব হবে। আমরা পুরোনো খাতা দেখে ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে নই।' 

   

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ইবি ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের আজকের দিনে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে বাংলার মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আজকের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ফেরার দিন। তিনি দেশে ফেরত আসার মধ্য দিয়ে এদেশে নবজাগরণের সৃষ্টি করেছিলেন। এদিন ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আপামর জনতা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। সেদিন থেকে তার পথচলা এখনো থামেনি। তিনি এসেছিলেন বলেই আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি দেশে ফিরে স্বৈরাচারের পতন করেছেন, রাজাকারদের বিচার করেছেন, সমুদ্র সীমা জয় করছেন, আমাদের মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট চির কৃতজ্ঞ।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষ করে আজকের এই দিনে এদেশের মাটিতে পা রাখেন। তাই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। পাশাপাশি তিনি দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বৈরচারী শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মানুষকে ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশে ফিরেই তিনি জন মানুষের ভরসার জায়গায় স্থান করে নেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এবং তার হাত ধরে আজকে দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে।

এসময় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, শিমুল খান, রতন রায় সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ছাত্রলীগের নানা আয়োজন থাকে এই দিনে। 

;

রাবির 'সি' ইউনিটে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি/বিফার্ম/ বিএসসি, এজিডিভিএম/বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পছন্দক্রম জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ১ম নির্বাচন ও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হলো।

নির্বাচিত প্রার্থীদের ২১ থেকে ২২ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য কনফারেন্স রুম, বিজ্ঞান অনুষদ, কক্ষ নং ৪০১, কুদরাত-এ-খুদা অ্যাকাডেমিক ভবনে উপস্থিত হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে 'সি' ইউনিটে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং 'সি' ইউনিটের অন্য কোনো বিভাগেও ভর্তির সুযোগ থাকবে না। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া এর সমান্তরালে চলবে এবং এর জন্য পৃথক নোটিশ দেওয়া হলো।

ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদে যোগাযোগ করা যেতে পারে। (ফোন: ০২৫৮৮৮৬৪২১৮, অনলাইন ভর্তি ফর্ম পূরণ সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার জন্য হেল্পলাইন ০১৭০৩-৮৯৯৯৭৩)।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধু ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ-পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না নোটিশে জানতে পারবে। ২১ ও ২২ মে বিকাল ৪টার পূর্ব পর্যন্ত অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে অটো-মাইগ্রেশন পুরোপুরি বন্ধ (Stop automigration) অথবা এক বা একাধিক বিভাগে ট্রান্সফার বন্ধ (Opt-out) করা যাবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধাতালিকা ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ 



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ সেশনে স্নাতক (সন্মান) ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটভুক্ত মানবিক 'এ' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২য় মেধাতালিকা ও ১ম মাইগ্রেশন প্রকাশিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এস. এম. এক্রাম উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'এ' ইউনিটে ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১২-১৪ মে ভারিখের মধ্যে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয় পছন্দক্রম ও মেধা স্কোর-এর ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন বা প্রথম মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হলো। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, একই সাথে শূন্য আসনগুলোর বিপরীতে বিষয় পছন্দক্রম ও মেধা স্কোর-এর ভিত্তিতে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলো। আগামী ১৯-২১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ডীনস কমপ্লেক্স ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের A ইউনিটের চীফ কো- অর্ডিনেটরের অফিসে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকারসহ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে A ইউনিটে তাদের ভর্তির মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের A ইউনিট অফিসে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) তাদের রোল নম্বরের পাশে উল্লিখিত বিভাগে আগামী ১৯- ২১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

উল্লেখ্য, ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা স্কোর ও বিষয় পছন্দের ক্রমানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বিভাগ পরিবর্তনের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে (www.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে। ভর্তি হওয়ার পর কোনো ছাত্র-ছাত্রী বিভাগ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাকে অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে স্বয়ংক্রিয় বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে। তবে এরই মধ্যে যারা পছন্দক্রমের ১ম বিষয় পেয়েছেন তাদের মাইগ্রেশন বন্ধ করার প্রয়োজন নাই। 

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধা তালিকা ২৩ মে ২০২৪ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝর্ণায় ঘুরতে এসে জুনায়েদ নামের এক স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অক্সিজেন ডুবুরি দল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালাই। প্রথমে হাটহাজারী ডুবুরি দল প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শহর থেকে অক্সিজেন ডুবুরী দল এসে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে আমরা ময়নাতদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু তারা ওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না। হাটহাজারী থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে এখন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যায় । নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্র ঝর্ণায় ডুবে গেছে এই আশংকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় তল্লাশি চলমান ছিল।

নিখোঁজ জুনায়েদ নগরীর মহসীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছেন। একইসাথে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন।

জানা গেছে, নগরীর প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।
এক পর্যায়ে বারোটার দিকে তারা বুঝতে পারেন যে জুনায়েদকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। এরপর ঝর্ণা ও আশেপাশের পাহাড়ে দীর্ঘক্ষণ খুঁজেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তারা শহরে ফিরে যান।

এরপর বিকেলে জুনায়েদের বন্ধু রিমনসহ পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

;