চবিতে ছাত্রলীগের উন্নয়ন কনসার্ট ও আলোচনা সভা



চবি করেসপন্ডেন্ট , বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) উদ্যোগে উন্নয়ন কনসার্ট, আলোচনা সভা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত আটটায় 'ওয়ান্স অ্যাগেইন শেখ হাসিনা' প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান।

ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের সঞ্চালনায় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, তোমরা যারা নবীন আছো তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের নেতা আ জ ম নাসির উদ্দীনকে জননেত্রী শেখ হাসিনা পূর্বেও মূল্যায়ন করেছেন ভবিষ্যতেও করবেন। মৌলবাদী শক্তি বলে এদেশের জনগণের নাকি বাক স্বাধীনতা নাই। বাক স্বাধীনতা যদি নাই থাকে তাহলে তাদের নেতা বিদেশ থেকে ভিডিও বার্তা কীভাবে পাঠায়। তোমাদের প্রতি অনুরোধ তোমাদের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছে মাত্র। তোমাদের শেষটা যেন এমন হয় যাতে তোমরা চলে যাওয়ার পরে যেন মানুষ তোমাদেরকে দিয়ে উদাহরণ দেয়।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। চবি শাখা ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে সেই ইতিহাসগুলো ঢাকা পড়ে যায়। নতুন যারা আছেন হয়তো এটা অনেকেই জানেন না সারা বাংলাদেশের যতগুলো ছাত্রলীগের ইউনিট আছে তার মধ্যে চবি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সবচেয়ে বেশি আসতো। আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আজকে এখানে আসতে হয়েছে। নেতা আমাদেরকে সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে সবসময় সহযোগিতা করেন এবং খবর রাখেন। আমাদেরও যথেষ্ট ভরসা আছে নেতার প্রতি।

সহকারী প্রক্টর নাজমুল আলম মুরাদ বলেন, আমরা এমন এক সময়ে অবস্থান করছি যখন শকুনের নিশ্বাস আমরা শুনতে পাচ্ছি। এমন মূহুর্তে ছাত্রলীগের এ প্রোগ্রাম করাই তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা ছাত্রদের জন্য কাজ করি। অনেকসময় কিছু সমস্যা হয়। তবে আমরা চেষ্টা করি সবসময় ছাত্রদের পাশে থাকতে। আমরা শেখ হাসিনার পাশে আছি। আমরা জননেত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে যাবো।

আরেক সহকারী প্রক্টর আফজালুর রহমান রিমন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাজগুলোকে তোমাদের ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে অল্প সময়ে স্বাধীন করেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, রুমেল হোসেন, সাদেক হোসেন টিপু, মারুফ ইসলাম, নেছারুল করিম, ইয়াছির আরাফাত, সৈয়দ আমীর হোসেন, ইমামুদ্দিন ও আলামিন শান্ত, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরাজি সজিব, সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহির মোহাম্মদ মাহফুজ, সাবেক উপ সম্পাদক মুনসুর আবেদীন ও ছাত্রলীগ নেতা পিয়ারুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু

   

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয়টি অনুষদের ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদ থেকে দুইজন, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ থেকে তিনজন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজন ও জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজনসহ মোট ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও আইন অনুষদ থেকে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে সকাল ৯ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। নির্বাচন শেষে রিটানিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৮ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক বশির আহমেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম পেয়েছেন ৪২ ভোট।

ডিন নির্বাচনে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রব। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অধ্যাপক আবদুর রব। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ৫৭ টি ও অধ্যাপক তপন কুমার সাহা ২৫টি ভোট পেয়েছেন।

ডিন নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক৷ নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে ডিন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক আরিফা সুলতানা পেয়েছেন ৬০ ভোট।

জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূহু আলম এবং প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৯ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নূহু আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ পেয়েছেন ৪১ ভোট।

এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা৷ আইন অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রিটার্নিং অফিসারের কাছে অনুমোদিত ফরমে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৩০ এপ্রিল, বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হয় ২মে। এছাড়া ৭ মে প্রার্থীগণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ ও আইন অনুষদসহ মোট ছয়টি অনুষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ মে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

;

ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) ঢাবির আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মো. মুমিত আল রশিদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশী সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এবং ইন্টারনেট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।

উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, এই ভাষার সাহিত্যকর্ম চর্চার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে। এই বিভাগের এমফিল ও পিএইচডি'র গবেষণাপত্র ফারসি ভাষায় রচনা করার জন্য তিনি গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান।

প্রসঙ্গত, আলোচনা পর্ব শেষে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

;

লাল সোনাইলের অপার সৌন্দর্যে সেজেছে বেরোবি



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল সোনাইলের অপার সৌন্দর্যে সেজেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। বাহারি ফুলে প্রকৃতির এই সুন্দর সাজে ৭৫ একরের পুরো ক্যাম্পাস যেন সেজেছে নতুন রূপে।

দুর্লভ লাল সোনাইল বেরোবির বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে প্রেম নিবেদন করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের সাথে। রোমাঞ্চকর প্রেমালাপ যেন উপযুক্ত হয়ে ওঠেছে লাল সোনাইলের বাহারে। প্রিয় মানুষের খোঁপায় গুঁজে দেওয়ার এক অনন্ত প্রয়াস যেমন কবি কাজী নজরুল চেয়েছিলেন— ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল’; বেরোবিতেও যেন একই পরিবেশ! পাতার আড়ালে থোকা থোকা লাল সোনাইল ফুল দেখে প্রকৃতি প্রেমীদের মনে প্রেম উদিত হচ্ছে। এই সৌন্দর্য পৃথিবীর অমৃত লহরীর মতো যে ব্যাখ্যার অন্তহীন।

ক্যাম্পাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারের পাশে থোকায় থোকায় দুলছে লালচে গোলাপি ও সাদার সংমিশ্রণ যুক্ত লাল সোনাইল ফুল। ক্যাম্পাসের ভিসি রোডের পাশের প্রতি সোনালু গাছের গা থেকে যেন সবুজ জোড়া পাতার পাহাড়ে গোলাপি ঝরনা নেমে এসেছে। বাতাসে কিশোরীর কানের দুলের মতো দুলতে থাকা এক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য চোখে পড়ে। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

আবু সাইফ ও জোনায়েদ নামের দুই দর্শনার্থী বলেন, প্রায়ই শান্তির নিঃশ্বাস নিতে আসি বেরোবিতে। কৃষ্ণচূড়া, লাল সোনাইলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। চারদিকে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মন ভরে যায়। বছরের সবসময় সবুজে ভরা থাকে, তবে এখন ফুলে-ফুলে ভরে আছে, খুব ভালো লাগছে।

পাতার আড়ালে থোকা থোকা লাল সোনাইল ফুল

বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। শাড়ি পরে নিজেকে প্রকৃতির মাঝে তুলে ধরে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হচ্ছেন দর্শনার্থীদের অনেকেই।

শাড়ি পরে খোঁপায় ফুল গুঁজে ছবি তুলছেন দর্শনার্থী অনামিকা। মুখে এক ঝিলিক হাসি নিয়ে বলেন, লাল সোনাইল আর কৃষ্ণচূড়ার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। লাল সোনাইলের এই সৌন্দর্যে নিজেকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখছি। এই অনুভূতি বোঝানোর মত না।

লাল সোনাইলের সৌন্দর্য নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ২০০৮ সালে কোনো গাছ ছিল না। এমনকি ২০১৪ সালেও ক্যাম্পাস ছিল ছায়াহীন। শিক্ষার্থী আর কয়েকজন কর্মচারীকে সাথে নিয়ে চার শতাধিক প্রজাতির প্রায় ৩৭ হাজার গাছ রোপণ করেছি। এখন সারা বছর বিচিত্র ফুল আর সবুজের আচ্ছাদনে অপরূপ সাজে সৌন্দর্য বিতরণ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে স্বর্ণচাঁপা, কনকচাঁপা, লাল সোনাইল, বন আশরা, বান্দরহুলা, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, কুর্চিসহ অনেক ফুল ফুটেছে।

তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ ক্যাম্পাস যেমন শীতল, তেমনি এর নান্দনিকতা মানুষকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করছে। তাই ক্যাম্পাসের বাইরেরও অনেকে আসছে শীতলতা আর নানন্দিকতা উপভোগ করতে।

লাল সোনানাইলের দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটা মুগ্ধ করে তোলে শিক্ষার্থীদের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি যেন লাল সোনাইলের নৈসর্গিক লীলাভূমি বেরোবি৷

;

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রলীগ নেতার ছিনতাইয়ের অভিযোগ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের দিনে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কক্ষে ভাঙচুর ও ২৬ হাজার ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন- সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৯৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, 'গত ১১ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার অনুপস্থিতিতে আমার রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং রুমের ভিতরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমার রুমে থাকা ১টি ল্যাপটপ, ২টি ফ্যান, লাইট, ঘড়ি ও রুমের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ড্রয়ারে থাকা মোবাইল বিক্রির ২৬ হাজার টাকা ছিনতাই ও লুটতরাজ করে। অতএব জনাবের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমার ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।'

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, এখন কত কিছুই বের হবে। আমি তো আতিকের রুমেই যাইনি। আর যেখানে আমি যাইনি, সেখান থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটা একটা ডাহা মিথ্যা অভিযোগ।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে হলের নিরাপত্তা প্রহরীকে আতিকসহ শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীর মারধর এবং ১৩ মে রাতে পুনরায় রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিয়াজ মোর্শেদসহ শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;