চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি

আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলন শেষে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। এসময় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে ২৬টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি আদায়ের জন্য সাত দিনের আল্টিমেটামও দেওয়া হয়।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।

দাবিগুলো হলো- অতিসত্বর সিন্ডিকেটে ডিন, প্রভোস্ট এবং একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন দিতে হবে।

>> শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে নিয়োগ-বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করতে হবে।

>> শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ডে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন অনেক প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে।

>> পক্ষপাতদুষ্ট ও বিতর্কিত এ সকল নির্বাচনী বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন বিভাগে স্থায়ী/অস্থায়ী ভিত্তিতে গণহারে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

>> সিন্ডিকেট সভায় নির্বাচনী বোর্ড বা সিন্ডিকেট প্রযোজন মনে করলে বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত নিয়োগ দিতে পারবে মর্মে গৃহীত রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিপন্থী ও বেআইনি সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল করতে হবে।

>> সিন্ডিকেট সভায় বিভাগ থেকে চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত এ সকল প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপককে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই স্থায়ী করা যাবে' মর্মে গৃহীত বেআইনি এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও বিশ্ববিদ্যালয় কনসেপ্ট পরিপন্থী সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল করতে হবে।

>> নির্বাচনী বোর্ড বা বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হিসেবে মিথ্যার আশ্রয়গ্রহণ, স্বীকৃত ও মানসম্পন্ন জার্নালের প্রকাশনাকে অস্বীকার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষকগণের পদোন্নতিতে অন্যায়ভাবে বাধা সৃষ্টিকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, এবং অতিসত্বর ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়ে আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর করতে হবে।

>> সম্মানিত শিক্ষকগণকে অযাচিত হয়রানি থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সহকারী অধ্যাপকের ন্যায় সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদোন্নতি আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর করতে হবে।

>> পালি বিভাগের সভাপতি শাসনানন্দ বড়ুয়া রুপন এবং ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর আবদুল হকের বিরুদ্ধে গঠিত হয়রানিমূলক তদন্ত কমিটি অতিসত্বর বাতিল করতে হবে।

>> অতিসত্বর চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষকদের জন্য অতীতে বিদ্যমান চিকিৎসাকেন্দ্র, ক্লাব এবং গেস্ট হাউস সুবিধা চালু করতে হবে।

>> শিক্ষকদের যাতায়াত সংকট নিরসনের জন্য অতিসত্বর নতুন শিক্ষক বাস (এসি) ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> অবিলম্বে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৪ জুন ২০১৮ থেকে অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ এবং তদুর্ধ্ব গ্রেডের শিক্ষকগণকে যথাক্রমে মাসিক ৩,৩০০/- এবং ৪,৭২০/- টাকা হারে ইন্টারনেটসহ টেলিফোন নগদায়ন ও মোবাইল ভাতা এককালীন এবং এর পর থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> দেশের অন্যান্য সরকারি/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অবিলম্বে শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের পারিতোষিক এবং বিভিন্ন দায়িত্ব ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> সম্মানিত শিক্ষকগণের পরীক্ষার পারিতোষিকসহ বিভিন্ন বিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিলম্ব, বিশৃংখলা ও হয়রানি রোধে অবিলম্বে অটোমেশনসহ আবশ্যক অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

>> শিক্ষকগণকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৩টি অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট প্রদানের ব্যাপারে বিগত ৩১-১২- ২০২২ তারিখ অনুষ্ঠিত ৫৪০তম চবি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ৪০(ক) অতিসত্বর বাস্তবায়ন করতে হবে।

>> অবিলম্বে আবাসিক হলসমূহে নিয়মিত ও বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ প্রদানসহ আবাসনের পরিবেশ ও খাবারের মান বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য শাটল ট্রেনে বগির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর শুরুতে ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ব্যাপক ভাংচুর ও সম্পদহানির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

>> অবিলম্বে যে কোন ইস্যুতে যখন-তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া; শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে হুমকি প্রদান কিংবা মারধর: এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানি সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার মত নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডসমূহ মোকাবেলায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

>> একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদের সভায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগণ কিংবা প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সম্মানিত শিক্ষকগণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে এবং এ সকল কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্তদের দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

>> উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত শর্তসমূহকে শিথিল করার প্রস্তাব এবং তা সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

>> সিন্ডিকেটের বিভিন্ন সভার আলোচ্যসূচি যথাসময়ে সদস্যগণের নিকট প্রদান না করা, সভাসমূহে গৃহীত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সভা অনুষ্ঠানের তারিখের পর বিকৃত করা এবং যথাসময়ে সিন্ডিকেট সদস্যগণের নিকট কার্যবিবরণী সরবরাহ না করার মত অগ্রহণযোগ্য ও বেআইনি কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে।

>> বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদের সভায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি কিংবা প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সম্মানিত ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকগণের সাথে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

>> মর্জিমাফিক কাজ না করার কারণে অসৌজন্যমূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকগণকে অব্যাহতি প্রদান, ফলক থেকে নাম মুছে দেয়া, কিংবা পদত্যাগকারী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদানের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যক্রম থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে।

>> অবিলম্বে সম্মানিত শিক্ষকগণের চরিত্রহননের লক্ষ্যে বানোয়াট সংবাদ, ভিডিও চিত্র, লিফলেট ইত্যাদি তৈরী ও ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

>> শিক্ষক সমিতির দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী ঢাকাস্থ গেস্ট হাউস সুবিধার সম্প্রসারণ এবং আবাসনের মান ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> বর্তমানে যথাযথ পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণের অভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদাক্রমের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যাহত অবনতি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য কৌশলে উপেক্ষা করে এসেছেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এসব দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা বাধ্য হয়েছি দেশের এই নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেই কর্মসূচি দিতে। প্রশাসন বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭৩' এর আইনকে অমান্য করেছে। তিনি সিন্ডিকেটকে একটি পর্ষদে পরিণত করেছে ফেলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারসাম্যহীন একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৭৩' এর আইনকে অমান্য করেছেন।

সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের প্রতিটি দাবি প্রশাসন কৌশলে উপেক্ষা করে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মতো অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতিকে প্রোগ্রামের আগেরদিন দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। অথচ অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ খুবই নগন্য। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের রুটি-রুজির উসিলা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আবেগ জড়িয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। কিন্তু প্রশাসন এই দিবস উদযাপনের আগে থেকে শিক্ষক সমিতিকে কোনো কিছু জানায়নি। এভাবেই প্রতিনিয়ত শিক্ষক সমিতিকে অমর্যাদা করছে। তিনি আসলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার সক্ষমতা হারিয়েছেন। উনার নৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মতো একটি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং নেতৃত্বের দুর্বলতা থাকায় শিক্ষকগণ তার সাথে অংশগ্রহন করতে চান না।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুংখের সাথে বলতে হয় শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েও আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটা আমার জন্য সম্মানের। আমি তার সেসব হুমকিকে থোড়াই কেয়ার করি। আমার ভিত্তি আমার কমিউনিটি যারা আমাকে নির্বাচিত করেছে। আপনার এসব প্রচ্ছন্ন হুমকি আপনার জন্য দুর্ভাগ্যজনক, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। আপনি সবকিছু মুখে মেনে নেন। দিব দিচ্ছি বলেন। কিন্তু কেন?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী ও অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদাসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

   

হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীদের অবস্থান



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান হলে অবস্থান করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এদিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে হলের প্রাধ্যক্ষরা জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে থাকতে কোন বাধা নেই।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জরুরি এক সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের আজ বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

হলে থাকার প্রসঙ্গে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জয় রায় বলেন, আমরা হল ছাড়ছি না। প্রাধ্যক্ষ স্যারও থাকার পক্ষে। তাছাড়া হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখানে টিউশনি করিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের দাবি, পরিবহন ব্যবস্থা যেন অবিলম্বে চালু করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার জানান, প্রশাসন থেকে হল ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, গতকাল হল বন্ধের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যদি হলে থাকতে চায়, মনে হয় না কোন সমস্যা হবে। আমি শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিব।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, হল কেন্দ্রিক কোন ঝামেলা না হলে প্রশাসন হলের শিক্ষার্থীদের বের করে দিবে না। তাই শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে অবস্থান করতে পারবে।

;

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান কুবি শিক্ষার্থীদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হল চালু রাখার ও ক্লাসে ফেরার দাবি জানান। এছাড়া এই মানববন্ধনের একাত্মতা পোষণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর আল-আমিন হোসেন।

বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম আবর্তনের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম পড়াশোনা করার জন্য, তবে বিগত কয়েক মাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। কখনো শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করছে, তো এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনিদির্ষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিচ্ছে, হল বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার প্রশ্ন শিক্ষকদের এই দ্বন্দ্বে আমরা শিক্ষার্থীরা কিভাবে দোষী? আমরা কেন ভুক্তভোগী? এখানে অনেক শিক্ষার্থী অর্থাভাবে হলে থাকে টিউশন করিয়ে নিজের আর পরিবারের ভরণপোষণ সামলায়, তারা কোথায় যাবে?

আমরা যে পড়াশোনায় পিছিয়ে যাচ্ছি এর দায়ভার কে নিবে। আমি একটাই দাবি করতে চাই, আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা হোক, হলগুলো বন্ধ না করা হোক।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম আবর্তনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সার্কাস চলছে। প্রথমে প্রশাসন সিদ্ধান্ত দিল ২রা মে পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, অনলাইনে ক্লাস চলবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তঃকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শিক্ষক সমিতি আবার এই মগজ গলা গরমে সিদ্ধান্ত দিল ২৮ এপ্রিল থেকে স্বশরীরে ক্লাসে ফিরবে, এর আগে তারা আবার ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করেছিলো। এখন আবার প্রশাসন আমাদেরকে হল থেকে বের করে দিচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। এমনিতে বেশ কিছু বিভাগ করোনার কারণে পিছিয়ে আছে তার ওপর তাদের এ ধরণের সিদ্ধান্ত কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষক সমিতি আর উপাচার্যের দ্বন্দ্বে আমরা বলির পাঠা হয়ে আছি। এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান আশা করছি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম আবর্তনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আনাস আহমেদ বলেন, 'আজকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি নিজেদের কিছু ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য। আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা চালু করতে হবে, হলগুলো খোলা রাখতে হবে। শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার তদন্ত করে সঠিক বিচার করতে হবে দোষীদের। চলমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করতে হবে, অন্যথায় আমরা আমাদের কর্যক্রম চালিয়ে যাব।'

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে নাসির হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে চলমান সংকট সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে। শিক্ষার্থীদের সংকটের মুখেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার মনে হয় না, এমন কিছু ঘটেছে। আর কাজী নজরুল হলে কোনরকম অবৈধ অস্ত্র বা টাকা ঢুকেনি। আমার হল খোলা থাকবে। আমার হলের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।'

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক আল-আমিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমার হলে কোনপ্রকার অবৈধ অস্ত্র নেই। আমার হল স্বাভাবিক আছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি, তারা তাদের মতো করে হলে থাকতে পারবে। শিক্ষার্থীদের কেউ জোরপূর্বক হল থেকে বের করতে পারবে না।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, 'প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন হল প্রভোস্টদের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে হল খুব সুন্দরভাবেই চলছে। আর একাডেমিক কার্যক্রম চলুক সেটাও আমি চাই। আমি মনে করি এই উপাচার্য একজন অদক্ষ প্রশাসক। তার পদত্যাগই সবকিছুর সমাধান।'

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছি। যখন কোন একটা ছুটি হয় তখন কিন্তু প্রতিবার একই নোটিশ যায় যে হল ছাড়তে হবে। অনেক সময় হল সিলগালা করে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে সবাইকে সেটা মানতে হবে। যেহেতু এই নোটিশে সিলগালার কথা বলা নাই সেক্ষেত্রে কেউ যদি বিকাল চারটার মধ্যে হল ত্যাগ না করে তাহলে নিশ্চই হল প্রসাশন শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিবে।'

;

'ফিলিস্তিনের ২০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানসহ ঢাবিতে ভর্তি করা হবে'



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। 

বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তর হতে জানা যায়, মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মি. ইউসুফ এস, ওয়াই, রামাদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় ঢাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন।

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি এবং আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয় নিয়ে তারা দীর্ঘ আলোচনা করেন। এসময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও বৃত্তি প্রদানের জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ১৯৭১ সালে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে জোড়ালো অবস্থান নিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান।

উপাচার্য ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজা'র অধিবাসীদের উপর ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বর ও নির্মম হামলা, গণহত্যা ও অমানবিক অত্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সকল জনগণ ফিলিস্তিনি বন্ধুদের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল বলে তিনি উল্লেখ করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং ঢাবিতে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, এ সময় আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মুর্তুজা এবং জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

;

ইবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা না মেনে কন্ট্রোলরুমে প্রবেশ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে সমন্বয়কারীর অফিস ও ভর্তির কার্যাদি সম্পাদনের কন্ট্রোল রুম সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করেছেন দুই শিক্ষক। উক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হচ্ছেন আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ও ইবি শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন এবং ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী। ঘটনার পরদিনই প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ঝিনাইদহ আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার ফজলুল হক এবং কুষ্টিয়া আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার আলতাফ হোসেন।

অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার আগের রাতে আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন এ ইউনিটের সমন্বয়কারী অফিস ও ভর্তির সকল কার্যাদি সম্পাদনের কন্ট্রোল রুম সংশ্লিষ্ট ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে এবং আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী বি ইউনিটের কন্ট্রোল রুম সংশ্লিষ্ট তালাবদ্ধ অনুষদ ভবনে প্রবেশ করেন। তবে উক্ত ভবন দুটিতে দুই ইউনিটের কন্ট্রোল রুম থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাত ৮টার পরে উক্ত ইউনিটে কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/কর্মকর্তা ব্যতিরেকে অন্য কাউকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে আনসারদের বাধা উপেক্ষা করে জোর করেই উক্ত দুই শিক্ষক ওই দুটি ভবনে প্রবেশ করেন। এমতাবস্থায় জরুরী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য ও ঝুকিপূর্ণ বলে লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন আনসার সদস্যরা।

পরীক্ষার আগের রাতে ভবনে ঢোকার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানতেন না উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, অফিস কক্ষে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলাম। সেসময় আনসারদের কাছে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রথমে শুনতে পাই। পরে কাগজপত্রগুলো নিয়ে চলে আসি। বিষয়টি প্রক্টরকে ফোন করে অবহিত করেছিলাম।

ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী বলেন, বিভাগে কিছু কাজ ছিল সেজন্য রাত ৮টার দিকে অফিসে গিয়েছিলাম। তাছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের লিখিতভাবে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। প্রবেশের সময় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরাও কিছুই বলেনি। পরে আমার রুমে একজন আনসার এসে বলে যে, প্রক্টর স্যার অনুষদ ভবনে কাউকে ঢুকতে নিষেধ করেছেন। এসময় প্রক্টরকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি যেহেতু বিভাগের কাজ করছেন। আপনি থাকেন, কোনো সমস্যা নেই।’

কর্মকর্তা সেলিম বলেন, স্যার প্রবেশ করার সময় আনসার সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টা শেয়ার করেন। পরে নিষেধাজ্ঞা না মেনে প্রবেশ করলে আমারে জানান আনসাররা। তাৎক্ষণিক প্রক্টর স্যারকে কল দিয়ে বিষয়টা অবহিত করি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে স্যারদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকতেও পারে কিন্তু স্যার প্রবেশের পর আরও দুজন কেন প্রবেশ করলো বোধগম্য হয় না। জবাবদিহি আমাদের করা লাগবে বলে নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টা খুব সেনসিটিভ। বাকিটা প্রশাসন দেখবেন।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি ২৬ তারিখে অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতের। আমার কাছে গত ২৭ তারিখে নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম তার বরাবর দেয়া আনসার পিসিদের ২টি লিখিত আবেদনের উপর নোট উপস্থাপন করেন। পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি সেই নোটটি ২৯ তারিখে ফরওয়ার্ড করেছি।

ঐ দুই শিক্ষক তাকে সেসময় বিষয়টি অবহিত করেছেন, এবিষয়ে প্রক্টর বলেন, বিষয়টি সত্য নয়। তারা একেক সময়ে একেক কথা বলছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। আনসার সদস্যরা অভিযোগ দিয়েছেন। তবে আমার কাছে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগটি আসেনি। আগে অভিযোগ পত্রে কি আছে সে বিষয়টি বুঝতে হবে। তাহলে এ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। যেহেতু পরীক্ষার আগের রাত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সেক্ষেত্রে সবার উচিত সংযত ও যুক্তিসংগত আচরণ করা।

;