যারাই বলবে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' তাদের বললেন 'গো ব্যাক পাকিস্তান': সাদ্দাম
সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি যারাই বলবে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' তাদের মুখের ওপর বলে দিবেন 'গো ব্যাক পাকিস্তান'।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি জামাত জোটের হত্যা সন্ত্রাস ও নৈরায্যের প্রতিবাদে ঢাবির বিশেষ সমাবর্তনের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাবির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করেছে। এ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এসব কথা বলেন।
সাদ্দাম বলেন, শুধু টেকব্যাক নয়, তারা বাংলাদেশ কে হাইজেক করতে চায়। তাদের ইতিহাস ও ত এটাই। সামরিক স্বৈরশাসক?মেজর জিয়া ছিলেন ফাদার অব অটোক্রেসি, খালেদা জিয়া ছিলেন এনিমি অব ডেমোক্রেসি এবং বিএনপি-জামায়াত যেভাবে গণতন্ত্র নিয়ে তামাশা করছে, দেশকে বিদেশি অপশক্তির কাছে দান করে দিতে চাচ্ছে তারা তাতে মার্চেন্ট অব ডেমোক্রেসিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি সমাবর্তনের পরপরই বলেন,আজকে এই দিনটি ছাত্রসমাজের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে ঢাবি থেকে ডক্টর অব ল'জ প্রদান করা হয়েছে। আরো আনন্দের ব্যাপার হল ঢাবি গ্রেজুয়েট শেখ হাসিনা এই সমাবর্তনে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এটি ইতিহাসে অবিশ্বাস্য ঘটনা, যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টর অব ল'জ প্রদান করেছে।
বিএনপির সমাবেশের ব্যাপারে বলেন, গতকাল আপনারা দেখেছেন কিভাবে ঢাকার রাজপথে তান্ডব চালানো হয়েছে, নৈরাজ্যের সৃষ্টি করা হয়েছে। কিভাবে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কিভাবে রাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ অবস্থাকে সন্ত্রাসে বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
আমরা দেখেছি পুলিশ হাসপাতালে কিভাবে তান্ডব চালিয়েছে অ্যাম্বুলেন্সে। ২৫ মার্চে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রথমে এই রাজারবাগে আক্রমণ করেছিল আমাদের শহীদ পুলিশদের উপর। আজকে সেই পাকিস্তানের উত্তরসূরী বিএনপি জামাত সেই রাজারবাগে তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সারবভৌমত্বকে আক্রমণ করার যে দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এটি করেছে।
রোববারের হরতালের ব্যাপারে বলেন, তারা প্রহসনের হরতাল করেছে, যারা মানুষের জান মাল নিয়ে জুলুম করে তারাই এই প্রহসনের হরতাল ডেকেছে।
সাংবাদিকদের উপর হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সব সময়ই নিরপেক্ষ। কিন্তু তারা (বিএনপি-জামাত) বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীর উপর হামলা করেছে। গণমাধ্যম যদি সঠিক সাংবাদিকতা তুলে ধরে তাহলে তাদের চেহারা উন্মোচন হয়ে যাবে। তাই তারা এ কাজ করেছে।
এছাড়াও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন এবার থেকে প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এ বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সহ ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন,সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।