যারাই বলবে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' তাদের বললেন 'গো ব্যাক পাকিস্তান': সাদ্দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি যারাই বলবে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' তাদের মুখের ওপর বলে দিবেন 'গো ব্যাক পাকিস্তান'।

রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি জামাত জোটের হত্যা সন্ত্রাস ও নৈরায্যের প্রতিবাদে ঢাবির বিশেষ সমাবর্তনের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাবির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করেছে। এ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এসব কথা বলেন।

সাদ্দাম বলেন, শুধু টেকব্যাক নয়, তারা বাংলাদেশ কে হাইজেক করতে চায়। তাদের ইতিহাস ও ত এটাই। সামরিক স্বৈরশাসক?মেজর জিয়া ছিলেন ফাদার অব অটোক্রেসি, খালেদা জিয়া ছিলেন এনিমি অব ডেমোক্রেসি এবং বিএনপি-জামায়াত যেভাবে গণতন্ত্র নিয়ে তামাশা করছে, দেশকে বিদেশি অপশক্তির কাছে দান করে দিতে চাচ্ছে তারা তাতে মার্চেন্ট অব ডেমোক্রেসিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি সমাবর্তনের পরপরই বলেন,আজকে এই দিনটি ছাত্রসমাজের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে ঢাবি থেকে ডক্টর অব ল'জ প্রদান করা হয়েছে। আরো আনন্দের ব্যাপার হল ঢাবি গ্রেজুয়েট শেখ হাসিনা এই সমাবর্তনে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এটি ইতিহাসে অবিশ্বাস্য ঘটনা, যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টর অব ল'জ প্রদান করেছে।

বিএনপির সমাবেশের ব্যাপারে বলেন, গতকাল আপনারা দেখেছেন কিভাবে ঢাকার রাজপথে তান্ডব চালানো হয়েছে, নৈরাজ্যের সৃষ্টি করা হয়েছে। কিভাবে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কিভাবে রাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ অবস্থাকে সন্ত্রাসে বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

আমরা দেখেছি পুলিশ হাসপাতালে কিভাবে তান্ডব চালিয়েছে অ্যাম্বুলেন্সে। ২৫ মার্চে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রথমে এই রাজারবাগে আক্রমণ করেছিল আমাদের শহীদ পুলিশদের উপর। আজকে সেই পাকিস্তানের উত্তরসূরী বিএনপি জামাত সেই রাজারবাগে তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সারবভৌমত্বকে আক্রমণ করার যে দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এটি করেছে।

রোববারের হরতালের ব্যাপারে বলেন, তারা প্রহসনের হরতাল করেছে, যারা মানুষের জান মাল নিয়ে জুলুম করে তারাই এই প্রহসনের হরতাল ডেকেছে।

সাংবাদিকদের উপর হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সব সময়ই নিরপেক্ষ। কিন্তু তারা (বিএনপি-জামাত) বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীর উপর হামলা করেছে। গণমাধ্যম যদি সঠিক সাংবাদিকতা তুলে ধরে তাহলে তাদের চেহারা উন্মোচন হয়ে যাবে। তাই তারা এ কাজ করেছে।

এছাড়াও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন এবার থেকে প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এ বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সহ ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন,সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।

   

ইবির একই বিভাগের তিন বন্ধুর যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি’র স্বপ্নপূরণ



নূর ই আলম, ইবি করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন মানুষের সফলতার পেছনে একজন বন্ধুর অবদান কখনো কম থাকে না! হাসি, ঠাট্টা, গল্প, আড্ডা, খেলাধুলা আর গানের পাশাপাশি যখন একই সঙ্গে সফলতার চূঁড়ায় আরোহন করা যায়, তার থেকে মধুর আর কিছু হতে পারে না!

তেমনি এক আকাশচুম্বী সফলতার মুখ দেখেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বন্ধু এবং তিনজনই একই বিভাগের। তিন বন্ধুই পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ’।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনি এক চমকপ্রদ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তিন মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে ‘শিক্ষার্থী’ বিশেষণ একপাশে রেখে তিন বন্ধু বলাই শ্রেয়! এই তিন বন্ধু হলেন- মামুনুর রশিদ, সুমন আলী ও নাঈম হোসেন।

জানা যায়, স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে তিনজনের রেজাল্ট একই। প্রথম থেকেই তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনীর দিকে আগ্রহ ছিল। পরবর্তীতে অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসানের সহায়তায় ‘Hasan's research lab’ নামে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে সেখানে একসঙ্গে কাজ করতে থাকেন। করোনা মহামারির সময়ও থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই এক বাসায় রুম ভাড়া নিয়ে কাজ চালিয়ে যান তারা। সেখানে তারা একইসঙ্গে গবেষণার মৌলিক কাজগুলো শেখেন।

ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একই বিভাগের তিন বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করার সুযোগ পেলেন, ছবি- সংগৃহীত

এই সফলতার পেছনের ঘটনা বলতে গিয়ে তারা বার্তা২৪.কমকে জানালেন, আমরা সপ্তাহে ২-৩ বার জুমে মিটিং করতাম। ২০২১ সালের জুনের দিকে আমাদের গবেষণাপত্র প্রথম প্রকাশিত হয়। এর পর আমরা আরো বেশি ‘মোটিভেটেড’ হই। মনে প্রচণ্ড আনন্দ নিয়ে কাজ করতাম দিনরাত। স্যার আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন যে, তোমরা বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা নেবে। তারপর বিশ্বের নামি-দামি গবেষকের সঙ্গে কাজ করবে। আমাদের নাম উজ্জ্বল করবে।

মাঝে মাঝে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তাম। আবার মোটিভেটেড হতাম স্যারের কথায়। স্যারই আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা!

তারা বলেন, আমাদের এই সফলতার পেছনে সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসান স্যারের অবদান সবচেয়ে বেশি। বখতিয়ার হাসান স্যার আমাদের হাতেকলমে গবেষণা শিখিয়েছেন। সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। দেশি এবং আন্তর্জাতিকমানের গবেষকদের সঙ্গে গবেষণা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সুমন আলী বলেন, আমার বিভাগের এবং আমার পরিবারের জন্য এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! সবচেয়ে মজার বিষয়, আমরা যখন ড. বখতিয়ার স্যারের পাবলিকেশন দেখতাম, তখন তিনজন আলোচনা করতাম, আমরাও একদিন স্যারের সঙ্গে পাবলিকেশন করবো।

নাঈম হোসেন বলেন, মানুষের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য থাকে। বিসিএস অবশ্যই ভালো পেশা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে। তবে আমি কখনো সাধারণ জ্ঞান বা অনেক মুখস্থ পড়ায় আগ্রহ পেতাম না। অন্যদের মতো আমার পরিবারও বিসিএসকে গুরুত্ব দিতো। কিন্তু তারপরও আমার বড়ভাই আমাকে ‘সাপোর্ট’ জুগিয়েছেন। আমার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান বলবো, আমার বড় ভাইয়ের। একজন ভাইয়ের কী করা উচিত, তার সর্বোচ্চটা তিনি করেছেন। কোনো কিছুর কমতি কখনো তিনি আমার জন্য রাখেননি। সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

মামুনুর রশিদ বলেন, আমার জন্য এই সাফল্যটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, বাংলাদেশ থেকে খুব কম শিক্ষার্থীই আছেন, যারা সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিন্যান্সে পিএইচডিতে ‘ইনরোল’ (ভুক্ত) হতে পারেন। তিনি বলেন, ফিন্যান্সের পিএইচডি প্রোগ্রামগুলো খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়। সেখানে একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং তিন বন্ধু একইসঙ্গে পিএইচডিতে সুযোগ পাওয়া, অনেক গর্বের বিষয়!

আবেগ আর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মামুনুর রশিদ বলেন, সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো, তিন বন্ধুর একইসঙ্গে পিএইচডি শুরু করা; যেখানে আমরা তিনজনই একসঙ্গে অনার্স চতুর্থ বর্ষ থেকেই গবেষণা শুরু করি।

সুপারভাইজারের শিক্ষকের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এখানে আমাদের তিনজনের সুপারভাইজার ড. বখতিয়ার হাসান স্যারের অবদান বলে শেষ করা যাবে না! তিনি না থাকলে হয়ত আমরা এই স্বপ্ন দেখার সাহসই পেতাম না! আমার মায়ের দোয়া সবসময় আমার সঙ্গেই ছিল।

আমার মা সবসময় বলতেন, ‘তুমি পারবা বাবা’- এই কথাটুকু আমার কাছে খুবই অনুপ্রেরণার ছিল। যাই হোক, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাআলার প্রতি অশেষ শুকরিয়া যে, আমরা এই ‘চ্যালেঞ্জিং জার্নিতে’ সফল হয়েছি। তবে এটাই শেষ না; যেতে হবে বহুদূর!

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যবসায় শিক্ষার গবেষণা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। আমি তাদের পরার্মশ ও গাইডলাইন দিয়েছি। তারা তিনজনই ছিল অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী। তবে এটা খুবই ব্যতিক্রমী যে, তিন বন্ধু একইসঙ্গে ‘ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ’ পেয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে এর চেয়ে আনন্দ ও গৌরবের আর কিছু হয় না! এটাই আমার সবচেয়ে বড় সফলতা!

উল্লেখ্য, তিন বন্ধুর মধ্যে মামুনুর রশিদ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিন্যান্স নিয়ে পিএইচডির জন্য মনোনীত হয়েছেন। নাঈম হোসেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ ওরল্যান্সে ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিকসে মনোনীত হয়েছেন এবং সুমন আলী এল পাসোর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিন্যান্স নিয়ে পিএইচডি করার জন্য মনোনীত হয়েছেন।

;

ঢাবিতে ১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) 'করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা' স্লোগানকে ধারণ করে দু'দিনব্যাপী ১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) এবং পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ডিইউডিএস-এর মডারেটর অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, শহীদুল্লাহ হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ডিইউডিএস-এর সভাপতি অর্পিতা গোলদার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, দেশে জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের বাসযোগ্য ভূমি কমে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষ বাধ্য হচ্ছে বনাঞ্চল উজাড় করতে ও গাছপালা কেটে ফেলতে। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো বিশ্ব জুড়েই দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে উন্নয়নের লক্ষে দেশে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। এসব কারণে পরিবেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে পরিবেশ বান্ধব ও একটি সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এবং নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ ও এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পরিবেশ, জলবায়ু, তাপপ্রবাহ, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেশের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।

;

চবির হলে লোকবল সংকট, ডাইনিং বন্ধ রেখে আন্দোলনে বাবুর্চিরা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের ডাইনিংয়ে লোকবল সংকট নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন হলটির কর্মচারীগণ।

রোববার (১৩ মে) দুপুরের খাবার রান্না বন্ধ রেখে হলের সামনে অবস্থান নেয় বাবুর্চিরা। এতে হলের ডাইনিংয়ে খবার না পেয়ে বিপাকে পড়েন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

হল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে হলের প্রভোস্ট না থাকা ও ডাইনিং থেকে পরপর চারজন কর্মচারীকে অন্যত্র স্থানান্তর করায় সৃষ্টি হয় নানা সমস্যা।

জানা যায়, সহকারী বাবুর্চি, ভোজনালয় সহকারী ও বাবুর্চিসহ মোট ১৭ জন কর্মচারী নিয়ে ডাইনিং পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু গত কয়েকমাসে ৩ জন কর্মচারীকে ওই হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে হল কর্তৃপক্ষ। এর পর সর্বশেষ জামাল উদ্দিন নামের এক ভোজনালয় সহকারীকে হল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। ফলে লোকবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।

হলের ডাইনিং এর ভোজনালয় সহকারী মো ফরহাদ বলেন, আমাদের এখানে এমনিতেই লোকবল সংকট রয়েছে তার পরে আরও একজনকে এখান থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে করে আমাদের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ১৭ জনের জায়গায় ১৩ জন কাজ করছি ফলে আমরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের সময়মত সেবা দিতে না পারায় তারা মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা চাই এখানে যাতে করে দ্রুত লোকবল নিয়োগ দিয়ে আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হলের ডাইনিং ম্যানেজার বখতিয়ার মিয়া জানান, আমাদের ডাইনিংয়ে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে পারছি না। ফলে প্রায় শিক্ষার্থীদের সাথে মনোমালিন্য তৈরি হচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত না নতুন লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয় ডাইনিং বন্ধ থাকবে।

হলটির আবাসিক শিক্ষক সাঈদ বিন কামালের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, হল থেকে কয়েকজন কর্মচারীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এজন্য তারা নতুন লোকবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলব এটা নিয়ে যাতে করে সমস্যাটি সমাধান করা যায়।

;

বেরোবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান মোরশেদ হোসেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচির মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোরশেদ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (১২ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০০৯ অনুসারে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোরশেদ হোসেনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকতা বিভাগে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ওই নিয়োগ আদেশ ১২ মে, ২০২৪ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পরিবর্তিত হলে পরবর্তী সময়ে দায়িত্বে আসা ডিন এ দায়িত্ব পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হয় গত ১০ মার্চ। ওই দিন থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর সই করা পৃথক পৃথক তিনটি পত্রের মাধ্যমে তিন দফায় তিনজন সহকারী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কেউই দায়িত্ব নেননি।

গত প্রায় দুই মাস সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের পদটি শূন্য ছিল। এতে বিভাগের কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেয়। সেশন জটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা ৭ মে (মঙ্গলবার) থেকে বিভাগের প্রধান নিয়োগের দাবিতে লাগাতার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন। ওই ঘটনার পর রোববার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে ওই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেয় প্রশাসন।

 

;