কুবি ছাত্রলীগের কর্মীসভা: নেতৃত্বে আলোচনায় এগিয়ে যারা



কুবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম কুমিল্লা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ (ইলিয়াস-মাজেদ) কমিটি বিলুপ্তির সাত মাস পর কর্মী সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আগামী ৯ অক্টোবর (সোমবার) কর্মীসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুবি শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা।

এই কর্মীসভাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে তাদের।

গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অনেকের নামই আসছে আলোচনায়। এ তালিকায় আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী, সাবেক সহ-সভাপতি এইচ. এম. মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসাইন, বিগত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মু. রকিবুল হাসান রকি, মো. ইকবাল হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাত সায়েম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম সম্পাদক মুমিন শুভ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন, ছাত্রলীগ নেতা তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাস। তবে কে কোন পদের প্রত্যাশা করছেন সেটি তারা প্রতিবেদকের কাছে স্পষ্ট করেননি।

কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহসম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী বলেন, 'কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃত্বে বাছাই করবে যোগ্যতা, দলীয় মতাদর্শ, সেক্রিফাইজ, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে শুরু করে দলের প্রতি কতটুকু নিবেদিত এই বিষয়গুলো দেখে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতামত নিয়ে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব বাছাই করবে।'

তিনি বলেন, 'আমি যদি আসতে পারি প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠ থাকে, বিশৃঙ্খলা না হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে যেকোনো সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবো। দলীয় রাজনীতির কথা চিন্তা করলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় রাখতে পারি সেই অনুযায়ী যে নির্দেশনা আসবে সেগুলো করবো। আমাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করবো।'

স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপশক্তির মাথাচাঁড়া দেওয়া রোধ করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২১ এবং ৪১ এর মিশন ও ভিশন, সেই সাথে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষে স্মার্ট ছাত্রলীগ কাজ করে যাবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেই বিষয়েও কাজ করে যাব।

এইচ. এম. মেহেদী হাসান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আ.লীগ সরকারের বিরুদ্ধে চলমান দেশী-বিদেশী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র মোকেবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারুণ্যের ভোট ব্যাংক যাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষে যায় সে লক্ষে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১৫ বছরের শিক্ষাবান্ধব উন্নয়নমূলক কাজের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।

মু. রকিবুল হাসান রকি বলেন, 'জাতির জনকের আদর্শ ধারণ করে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে স্মার্ট সিটিজেন তৈরী করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য সর্বদা রাজপথে সোচ্চার থাকবো।'

মো. ইকবাল হোসাইন খান বলেন, 'আমার নিজস্ব জায়গা থেকে নেতৃত্ব স্থানে যাওয়ার সুযোগ হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আবদুল মঈন স্যার এবং প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাব।'

আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, 'শিক্ষা, শান্তি ,প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাব। বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক এবং যৌক্তিক দাবি আদায় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার সোচ্চার থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ । বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি।'

ইমরান হোসাইন বলেন, 'আমাদের প্রথম প্রত্যাশা, গঠনতন্ত্রের বাইরে থেকে যেন নেতৃত্ব না আসে। যারা শিক্ষার্থী বান্ধব এবং স্মার্ট বাংলাদেশের শেখ হাসিনার যে ঘোষণা তা বাস্তবায়নে যারা ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সময় কাজ করেছে এবং যারা দক্ষতার ভিত্তিতে কাজ করেছে সেই বিষয়গুলো দেখা। যারা শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে চায় তাঁরা নেতৃত্বে আসুক। নেতৃত্বে তাঁরাই আসুক যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরাজকতাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিরসনে কাজ করবে।'

এনায়েত উল্লাহ বলেন, 'আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে এমন শিক্ষার্থীদের চাই, যারা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে। সাধারন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করেছে, ছাত্রদের জন্য কাজ করছে। এই ক্যাম্পাস যেন অস্ত্রাগার না হয়ে ফুলের বাগান হয়। তাছাড়া ভবিষ্যত নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা শেখ হাসিনার আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনে নৌকা যেন পাস হয় সেই লক্ষে কাজ করবে তাদের মধ্য থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত নেতৃত্ব যেন বাছাই করে।'

নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন যারা এখানে রাজনীতি করেছি আমরা চাই যোগ্য, স্মার্ট, মেধাবী, সাংগঠনিক এমন কাউকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ নির্বাচন করুক। যাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং যারা নেতৃত্বে এলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পারবে, ছাত্রলীগের কর্মী বাড়বে এমন কাউকেই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ নির্বাচন করবে বলে আমাদের আস্থা আছে।'

ছাত্রলীগ নেতা তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী বলেন, 'বিগত সময়গুলোতে যারা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে গঠনমূলক প্রগতিশীল চর্চায় সম্পৃক্ত ছিলো তাদের থেকেই গঠনতান্ত্রিকভাবে মেধাবী পরিশ্রমী ও গ্রহনযোগ্য স্মার্ট ছাত্রনেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হউক। একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ হবে স্মার্ট ও নিরাপদ। যেখানে শিক্ষার্থীরা শতভাগ স্বাধীনভাবে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করবে। আমরা চাইনা অস্ত্রের ঝনঝনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন মায়ের বুক খালি হোক।'

   

জাবিতে ইতিহাস পরিবহনের ৮ বাস আটক, ৬০ হাজার টাকায় মুক্তি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের হঠাৎ ব্রেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের এক ছাত্রীর বোনের প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৮টি বাস আটক করে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইতিহাস পরিবহনের চেকার জসিম হাওলাদার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকের বোন ক্যাম্পাসে তার বন্ধুদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে আরিচাগামী রুটের বাসগুলো আটক করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় মহাসড়কের মাঝখানের লেন থেকে একটি মোটরসাইকেল ইউটার্ন নেওয়ার সময় পিছনে থাকা ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস ব্রেক করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। তখন ইতিহাস পরিবহনের বাসের পিছনে থাকা সাভার পরিবহনের একটি বাসও ব্রেক করলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর বড় বোনের ব্যক্তিগত গাড়ি ওই বাসের পিছনে এসে সজোরে ধাক্কা খায়।এতে গাড়িটির সম্মুখভাগ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরবর্তীতে জাবির সেই ছাত্রী তার বিভাগের বন্ধুদের ঘটনাটি জানালে তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উপস্থিত হয়ে ইতিহাস পরিবহনের ৮টি বাস আটকে চাবি নিয়ে নেয়।

বাস আটকের বিষয়ে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. সাগর বার্তা২৪.কমকে জানান, আমাদের (ইতিহাস) একটি বাস সাভারের শিমুলতলায় হার্ড ব্রেক করলে পেছনে থাকা সাভারের পরিবহনের একটা বাস গতি সামলাতে না পেরে আমাদের বাসের পেছনে মেরে দেয়। আর সাভার পরিবহনের বাস যখন ব্রেক কষে তখন পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকার সাভার পরিবহনের সেই বাসের পেছনে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জের ধরে সাভার পরিবহনের বাসটি না আটকে আমাদের বাসগুলো আটক করে রাখে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারে থাকা জাবি শিক্ষার্থী বলেন, এত বড় একটি ঘটনা ঘটার পর পেছনে কেউ মারা গেল নাকি বেঁচে আছে, সেটি না দেখে বাসটি দ্রুত টান দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার প্রাইভেটকারের চালক ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠে কেন এমন হার্ড ব্রেক করল, জানতে চাইলে বাসের চালক এবং সহযোগী খারাপ ব্যবহার করে হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা চাই।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে ইতিহাস পরিবহনের ৫টি বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির মধ্যে চালক-সহযোগীদের কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, আবার কেউ রাস্তায় বসে আছেন। এসময় চালক ও স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮টি বাস আটক করলেও ৩টি বাসের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা চাবি নিতে ভুলে যায়। পরে সেই তিনটি বাস চলে যায়।

প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ব্যাপারটি দফারফা করেছেন বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সাভার টু জিরানি রুটের ইতিহাস পরিবহনের চেকার মো. জসিম হাওলাদার।

তিনি বলেন, সাভার পরিবহনের বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাস আটকে রেখে তারা ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাচ্ছে। এটা কোন ন্যায়সঙ্গত কথা! তারপরও উভয় পক্ষ আলোচনা করে এক পর্যায়ে ৬০ হাজার টাকায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে গাড়ির চাবিগুলো নিয়েছি।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: জবি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ৮৩.০৪ শতাংশ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৮৩.০৪ শতাংশ। এদিন বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জবির কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা শেষে এসব তথ্য জানান জবির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (মূল কেন্দ্র) এবং পাঁচটি উপকেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জবি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৫৭৯ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার ৮ জন পরীক্ষার্থী।

উপকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৩৩৮জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জন, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬১১ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৫ জন এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ২৬৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন পরীক্ষায়।

উপস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে। কলেজটিতে উপস্থিত ছিল ৮৪.৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪.৩৫ শতাংশ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৮৪.১০ শতাংশ, সরকারি বাংলা কলেজে ৮৩.২৫ শতাংশ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৮৩.১৬ শতাংশ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৯.৫৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অর্থাৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কেন্দ্রে ৫৩ হাজার ৮১৫ জনের আসন সাজানো হলেও পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ১২৯ জন।

এদিকে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হওয়া আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায় জবি ক্যাম্পাসে ২ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। এর মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৩.৪০ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ১২টা থেকে দেশের ২৩টি মূল কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩ মে 'বি'(মানবিক) ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯০ শতাংশের উপরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার গড়ে ৯০ শতাংশের উপরে ছিল বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১টায় শেষ হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে এবং সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতির হার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে। তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গড় উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের উপরে। আর যবিপ্রবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত আর্কিটেকচার ড্রয়িং পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও ছিল সন্তোষজনক। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল সাড়ে ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তবে পরীক্ষায় তাদের গড় উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের উপরে।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ইবিতে শিক্ষকবিহীন পরীক্ষা হল!



ইবি প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ ২০২৩-২৪ (স্নাতক) শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে শিক্ষকবিহীন কক্ষে পরীক্ষা গ্রহণ করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের জন্য দায়িত্বরত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ২ জন। তবে ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলার সময় কোনো শিক্ষক ছিলেন না। এ রুমে পরীক্ষা চলার সময় ডিউটি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারেরা।

এ বিষয়ে প্রধান পরিদর্শক মো. তহিদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১ নম্বর কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। সে কারণে ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপ-রেজিস্ট্রারদের সহায়তায় তিনি ২০১ নম্বর রুমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।

ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক বলেন, পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষক ছিলেন কি না, তা ফাইল দেখে বলতে হবে। পরীক্ষায় যে শুধুমাত্র শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন তা নয়, বরং যত কর্মকর্তা সবাই পরিদর্শক। সুতরাং তাদেরও পরিদর্শকের সমমর্যাদা। প্রধান পরিদর্শক সব দেখভাল করবেন। কারণ, আমাদের যতসংখ্যক শিক্ষক তাদের সবাইকে প্রত্যেক রুমে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পরীক্ষার হলে একজনও কক্ষ পরিদর্শক নেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমরা প্রতিটি রুমেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দিয়েছিলাম। পাশাপাশি কর্মকর্তারাও ‘ইনভিজিলেটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আসলে এটা তো জোর-জবরদস্তির কোনো বিষয় নয় যে, কোনো শিক্ষককে বাধ্য করে আনা হবে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ছিলাম, তখন পিয়নদের দিয়েও দায়িত্ব পালন করিয়েছি।

উল্লেখ্য, গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৪শ ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;