'গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে নতুন স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে আহ্বায়ক ও সংগঠক নাহিদ ইসলামকে সদস্য সচিব করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে নতুন স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ শাখার আহবায়ক কমিটিও ঘোষণা করা হয়।

বুধবার (৪অক্টোবর) বেলা ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন।

এ সময় ‘শিক্ষা শান্তি ও মুক্তির মূলনীতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে ১ বছর মেয়াদি ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ও ৩ মাস মেয়াদি ঢাবি শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঢাবি কমিটির আহবায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সদস্যসচিব আবু বাকের মজুমদার।


গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি কেন্দ্রীয় সংসদের আহবায়ক কমিটিতে রয়েছেন:

আহবায়ক আখতার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মাদ আরিফ সোহেল, যুগ্ম আহবায়ক এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, যুগ্ম আহবায়ক মো. ফয়সাল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মুহিম, যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল মুনঈম।

সদস্য সচিব মো. নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব নুসরাত তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. ওয়াহিদুজ্জামান, যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুল্লাহ আল গালিফ, যুগ্ম সদস্য সচির জোবায়ের হোসাইন জুম্মা, যুগ্ম সদস্য সচিব মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান,

সদস্য: মো. ইব্রাহিম খলিল (জিসান), আমির হামজা মাসুম তসলিম হোসাইন অভি, কামরুজ্জামান, সাব্বির হোসেন রাহাত গাজী নাজমুল, খান শাহরিয়ার ফয়সাল মশিউর রহমান।


গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ আহবায়ক কমিটিতে রয়েছেন:

আহবায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহবায়ক, নুসাইবা তাসনিম সাবা, যুগ্ম আহবায়ক তারেকুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মশিউর আমিন শুভ, যুগ্ম আহবায়ক রাইসুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক রাকিব হোসাইন খান।

সদস্য সচিব মো. আবু বাকের মজুমদার, যুগ্ম সদস্য সচিব রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মাহাবুব বিল্লাহ কাদিম, যুগ্ম সদস্য সচিব সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন হামিম, যুগ্ম সদস্য সচিব মেহেদি হাসান, যুগ্ম সদস্য সচিব মারজিয়া হোসাইন জামিলা, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, যুগ্ম সদস্য সচিব শাহরিয়ার রহমান অপি।


এদিকে, মধুর ক্যান্টিনে বেলা ১১ টায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও সম্মেলনটি ডাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত হয়। মধুতে সংবাদ সম্মেলন করতে না পারার ব্যাপারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আখতার হোসেন বলেন, সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে ছিলো। কোনো জায়গা ছিলো না। আমরা চাইলেই শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দিতে পারি না। সেখানে আপনাদের দাঁড়ানোর জায়গা ছিলো না আর ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের স্লোগান চলছিলো। তাই আমরা মধুতে সম্মেলনটা করিনি।

সংগঠনটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠকালে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো উপস্থাপন করেন। সেগুলো হল:
১। শিক্ষা ব্যবস্থায় পুনর্গঠন: চিন্তা বিনির্মাণ, জাতীয় চৈতন্য নির্মাণ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সংগঠন কাজ করা।

২। রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ: দেশের রাজনৈতিক পরিসর ও সংস্কৃতি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যার ফলস্বরূপ দেশে নেমে এসেছে রাজনৈতিক দুঃশাসন আর ক্ষমতার স্বৈরাচারি ব্যবহার। রাজনৈতিক পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণের মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও নেতৃত্ব তৈরিতে কাজ করা।

৩। শিক্ষার্থী কল্যাণ: ছাত্রসংগঠন হিসেবে সর্বদা ছাত্র কল্যাণমুখী চিন্তা এবং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা, আর্থিক, সামাজিক ও কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করা।

৪। ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণ: নাগরিক সমাজের সাথে ছাত্রসমাজের রাজনৈতিক সংযোগ স্থাপন করা। নাগরিক ও ছাত্রসমাজের স্বার্থ ও মুক্ত চিন্তার অভিন্নতা ও পারস্পরিকতাকে সংরক্ষণ করা।

৫। রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন: সভ্যতাগত রাষ্ট্র বিনির্মাণ, জাতীয়তাবাদের প্রসার ও জাতীয় সংহতি রক্ষা করা, রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী তৈরি করা, কমিউনিটি কেন্দ্রীক চিন্তা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা, জাতীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতার গণতন্ত্রায়ণ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনে ছাত্র সমাজের আশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংগঠন কাজ করা।

উল্লেখ্য, এ কমিটি ঘোষণার পর দলটি ঢাবি ক্যাম্পাসে একটি র‍্যালি বের করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন দলীয় স্লোগান দেন। র‍্যালিটি ডাকসু ভবন থেকে কলাভবন হয়ে রাজু ভাষ্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।

   

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের রশিদ চৌধুরী আবাসিক হলের ১ নং কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন- একই ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমাকে রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১নং রুমে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। এ সময় ওই রুমে চারজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। পালাক্রমে চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমাস মাহফুজ রাফিদ, ফরহাদ হোসেন সুমন, সাগর রয় অনিক, মেহেদি হাসান আমাকে মারধর করে এবং সর্বশেষ আলমাস আমার হাতে ও গলায় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। তারা আমাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং আমার ১ম বর্ষ 'ফিগার স্টাডি কোর্স-১০৩ পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

ভুক্তভোগী স্বাগত দাসের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পাস থেকে আমাদের চারুকলার ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে বাস থেকে নামার পরে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র আলমাস মাহফুজ ভাই আমাকে হলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে আরো তিনজনসহ মোট চারজন আমাকে ঘণ্টাব্যাপী মারধর করে এবং জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ও এ ঘটনার বিচার কামনা করেছি।

মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাদের পূর্ব কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না, কিন্তু তারা (অভিযুক্তরা) আমার সাথে প্রায়ই ঝামেলা বাধাতে আসত।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলমাস মাহফুজ রাফিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরেক অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন সুমন রুমে আটকে রাখা ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। আমার ব্যাচমেট আলমাস ও জুনিয়র স্বাগতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেহেদী হাসান নামের আরেক অভিযুক্ত। তিনি বলেন, এটা স্বাগত (ভুক্তভোগী) ও আলমাসের (অভিযুক্ত) মধ্যকার ঘটনা। তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা থেকেই এমন হয়েছে। মারধরের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা দুপুরের পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা এখনো অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারিনি। এ ব্যাপারে আগামীকাল আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে।

;

কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন: পাল্টাপাল্টি দোষারোপ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য-শিক্ষক সমিতি-ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যকার ত্রিমুখী সংঘর্ষের পর উপাচার্য ড. এফএফএম আবদুল মঈন এবং শিক্ষক সমিতির নেতারা আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সংঘর্ষের পর বিকাল ৫টার দিকে উপাচার্য এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হয়ে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে এবং সেখানে আমার সাথে তারা উচ্চবাচ্য করে, হুমকি-ধামকি দেয়, গালিগালাজ করে। আমি তাদেরকে বারবার বলেছি, আপনারা আসুন, আলোচনা করি। উনারা কোন রেসপন্স করে নাই। আমি উনাদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট ডেকে কমিটি গঠন করেছি, কিন্তু উনারা সেটি মানল না। উনাদের সাতটি দাবির চারটি পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা কি করলো? ভিসি, আমার ট্রেজারারকে, আমার প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো। ট্রেজারার স্যারকে রাত ৮টা অবধি গেইটে রেখেছে। দপ্তরগুলোতে তালা দিয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে এখানে নিয়োগ দিয়েছে, তারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কীভাবে?

তিনি আরো বলেন, আজকে আমি প্রবেশ করতে গেলে উনারা (শিক্ষক সমিতি) আমার উপর আক্রমণ করেন। বিশেষ করে সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, প্রত্নতত্ত্বের মোর্শেদ রায়হান আরেকজন হলো মার্কেটিংয়ের একজন জুনিয়র শিক্ষক মাহফুজ। এই মাহফুজ ছেলেটা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে চেয়েছিলো। উনারা কীভাবে একজন ভিসির গায়ে হাত তুলেন এটা আমার জানা নেই। আমিতো ভিসি ছাড়াও একজন সিনিয়র শিক্ষক!

পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'আমাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে যে তিনটি দফতর তালাবদ্ধ ছিল সেগুলো প্রক্টরের নেতৃত্বে অছাত্র-বহিরাগত, বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামিদের দ্বারা তালা ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু আমরা কোন সংঘর্ষে যাইনি। উনি আসার সময় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম, উনি (উপাচার্য) আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন, মোর্শেদ রায়হান স্যারকে কনুই দিয়ে আহত করেন, মাহফুজুর স্যারকে ঘুসি মারেন। সকল অছাত্ররা তখন আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা কেউ সেখানে যাইনি। শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অবস্থান করেছি। অথচ কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরের মদদে অছাত্র, সন্ত্রাসীরা শিক্ষক সমিতির অফিসে লাথি মারে এবং তালা ভাঙার চেষ্টা করেন।

তিনি আরো বলে, পরবর্তীতে ঐ সন্ত্রাসীরা আবারো আমাদের উপর হামলা করে, সাবেক সভাপতি শামিমুল স্যার লাথি দিয়ে নিচে ফেলে মারধর করে। শুধু তারাই নয়, উপাচার্য নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে হামলা করেছেন, শিক্ষকদেরকে কিল-ঘুষি মেরে তিনি কার্যালয়ে গিয়েছেন।

;

ঢাবিতে দু'দিনব্যাপী ফার্মাফেস্ট শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগ, ফার্মেসি অনুষদ এবং ফার্মেসি ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী 'ফার্মাফেস্ট-২০২৪' শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম হোসেন খন্দকার বিজ্ঞান ভবন প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এই ফেস্ট-এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এবং রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ফেস্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ফেস্ট-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুন। ফার্মেসি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা তালুকদার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, দেশের ফার্মেসি খাতের চাহিদা পূরণে এবং ওষুধ শিল্পে গবেষণা ও উদ্ভাবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, শ্রেণিকক্ষ আধুনিকায়নসহ শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধিতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী দেশের ওষুধ শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ককে আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ফার্মাসিস্ট পেশাকে শুধু শিল্পখাতের সাথে সম্পৃক্ত না রেখে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং কমিউনিটিতে ফার্মাসিস্ট পেশার কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। ফার্মাসিস্টদের সামাজিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ফার্মা অলিম্পিয়াড, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং বক্তৃতা আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ফেস্ট। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, ফার্মাসিস্ট এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।

;

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতাহাতি: উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা করে।

প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও বিভিন্ন ভিডিও ঘেঁটে দেখা যায়, রোববার দুপুর ১টায় প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে কুবি শিক্ষক সমিতির লাগানো তালা ভাঙতে যান অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিচতলায় শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করা শিক্ষক সমিতির নেতারা তাকে বাধা দেন।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে প্রবেশ করতে সাহায্য করতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়ান শিক্ষক সমিতি ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এ সময় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা এতদিন তিনজনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আসছিলাম। শনিবার মেন গেটের সামনে আইকিউএসির পরিচালকও শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে মারতে তেড়ে আসেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংক্রান্ত নানা কেলেঙ্কারি করে যাচ্ছেন ট্রেজারারকে সঙ্গী করে।

আজকে (রোববার) তো আমাদের গায়ে হাত দিয়েই তিনি প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেছেন। এতদিন সাত দফা দাবি ছিল। এখন আমাদের দাবি একটাই। এই উপাচার্যকে আমরা আর চাই না।

;